Wednesday, November 28, 2018

নাথ হে একটা কোন দাও আমায় থাকি অন্তরালে,
ক্লান্ত পথিক,বাত‍্য জন যাই কোন গহিন জঙ্গলে।
চাঁদ গো আলো নয় আলেয়া
কালপুরুষ
সব চেতনা ঘুমন্ত
আকাশ ঘুমিয়ে পড়ো না , বুকের  ব‍্যাথা একটু সামলে  রাতভর তুমি আর আমি , সব মুখোশ  ছিঁড়ে ফেলে।
যতো রাত বাড়ে,যন্ত্রণা কেন এতো জোরে চিৎকার করে,
আমি তো উন্মাদ হয়ে যাচ্ছি,সবাই হাসছে আমাকে দেখে,
আমাকে দুগ্গা পথ দেখাও,একটিবার দেখা দাও নিঝুম ভোরে।
নাহলে আমাকে দাও চিরনির্বাসন,পাঠিয়ে দাও আমায় পশুখামারে।
অথবা ঐ আকাশে কালপুরুষ  করে।

Tuesday, November 27, 2018

এক পেগ নাকি দুমুঠো কালাহান্ডি দুধসাদা ভাত,
কেড়ে নেওয়া অক্সিজেন নাকি প্রত‍্যশাহীন ভালোবাসা,
আমার যত অভিমান পৃথিবী  তোমার কাছেই।
আমাকে পৃথি তুমি আমার মতো করে বুঝতে পারলেনা,
হায় এই অপাঙক্তেয় ব‍্যর্থ জীবন।
পৃথিবীর ঘুম ভাঙাবে কে?

রাত যত হয় গভীর থেকে গভীরতর,
ফাঁসটা অট্টহাসে,বলে মরে মর ,মরো।

ডানা কাটা, অবরুদ্ধ সব পথ,নির্বাক চলনে
 দিশাহারা ইচ্ছার অপমৃত্যু প্রতি ক্ষণে ক্ষণে।

Sunday, November 25, 2018

আকাশটা কেন জানি না  বড্ডো ঘোলাটে,
পথগুলো হাজারদুয়ারী দিশা পাইনা মোটে।

বোবা ল‍্যাম্পপোষ্টকেই হায় কান্না দিয়ে বাঁধি,
বুকের ডানদিকের চিনচিনে ব্যাথায় মরা নদী।

আঁধার নামে,তুই চাঁদ সে ও তো বড়ই ম্রিয়মান,
কৃষ্নকলায়  আপনারে লুকাই  উলঙ্গ আখ‍্যান ।

Friday, November 23, 2018

নদী তুমি যাচ্ছ হারিয়ে,বুক ভরা জল হায় মরূভুমে,
সুর,তার,লয় ভুলে গান পরাণের, মেলে কোন সমে ?

হয়তো সেই হাজার বছর পরে আমি আর আমার নদী,
বেলা শেষের অখন্ড অবসরে একাকারে হবেই আবাদি।

স্বপ্নেই বাঁচা,কাল তো যেতেই হবে সে কোন অন্ধকারে,
জীবন নাও ভাসাই আমি, নোঙর তিনভুবনের ওপারে।

 দুগ্গা ,ঘৃণা  নয়, আমায় দিও আঁজলাভরে ভালোবাসা,
মনজানালা রাখব খুলে ওই ভুবনে কথামালায় মধুনেশা।

কার ও তো কোন ক্ষতি চাই না সবার স্বপ্ন হোক সফল ,
কাল কে জানে,চিতায় সব শেষ, মাধুকরীই অন্তে সম্বল।

Wednesday, November 21, 2018

যতটা অক্সিজেন, চলছে অবিরাম একলা লড়াই,
যাই করি যেদিক পানে চাই, প্রাপ্তি  কেবল  ধাক্কাই।
দেওয়াল গুলান ভেঙে পড়ে,
অবাধ্য ইচ্ছে চড়ুই উঁকি মারে।

অযোগ্য প্রান তবু অলীক আশা,
মরেই তো আছি তবু বাঁচার নেশা।

মুখোশ পড়ে আছি পাপ মনে,
আকাশ প্রদীপ হৃদের কোনে।

চলছে তো চলছেই বুলডোজার,
অবিরাম নিজে নিজেকে চুরমার।

থাকো নিশ্চিতে আলোয় অমলে,
আমি শামুকখোলায় অন্ত অতলে।

মায়া আশাবরী যদি বাঁজে মোহনবাশী,
একটিবার হায় এলোমেলো দুগ্গা হাসি।

নাথ হে  করো পাগলমধুকরে ছায়াময়,
থাকি অন্তরালে, পৃথিবী  মধুআলোয়।

স্বপ্ন নাও, মাগো  তুমি কোন সাগরে?
নিও আমায়  ওগো ভুলোনা আমারে।



Monday, November 19, 2018

অনেক সময় এই ব্লগটাকে মনে হয় দিনলিপি,একটু নিজের সঙ্গে কথা বলা,  কারো কাছে কিছু চাওয়ার নেই।অনুভব একান্তই আমার।কেউ ভুল বুঝবেন না।
সন্তান এর পিতা, নিজের পায়ে দাঁড়াতে সাহায্য করার জন্য যেটুকু সময় দরকার ইশ্বর ওইটুকু দিও আর কিছু নয়,সবাই ভালো থাকুক, পৃথিবী হোক সুন্দর।
এতো ঘৃণা আমার জন্য

Sunday, November 18, 2018

ঘরটার আছে শুধু একটা ঘুলঘুলি, জানালা দরজা সব গেঁথে দেওয়া হয়েছে, অবরোধ সবখানেই।
ভাল্লাগেনা আর কিছু বলতে কাউকে,চলতে কোনখানে,
শুধু নিজেকেই দেখা, নির্জনে একাকি আনমনে।
নির্বাক পাগল, দীর্ঘায়িত জীবন ,কর্তব‍্যপালন।‌
স্বান্তনা,
আর
মনটা আরও ভারি
হে প্রতিবাদ এই পৃথিবী তোমার জন‍্য নয়,স্বপ্ন দেখা নিষিদ্ধ, দেখোনা, ,সুধী রাষ্টে সুনাগরিকের
আধিক‍্য।

Saturday, November 17, 2018

কার্বন ডাই অক্সাইড বাড়ছে পরিমাণে,
সমানুপাতিক হারে কমছে আগুন আমার
কমছে বাকস্বাধীনতা হায়  ছায়াজীবন।

Monday, November 12, 2018

আধো চাঁদ শোনো আর তো পারিনে,
গিয়েছি হেরে এই অন্ধ মানবজীবনে।

নব সুবাসের ছাতিম দেখো একটি বার ,
পিদিম আলো একলা এ নিবিড় আঁধার।

 হে সমাজ, পারলাম না  সুরে মিলতে,
অক্ষম আমি নাথ হে নাও তোমাতে।

বন‍্যাধারায় ভেসে যায়  দুটি আঁখি মোর,
ক্ষম আমায় আমি শৃংখলিত বন্ধনডোর।

মাফ চাই আর তো চলেনা ,বলেনা কলম,
সবাই ভালো থেকো,চিতায় মৃত মন জঙ্গম।



Wednesday, November 7, 2018

কেউ কি কথা রাখে?রাখেনা,রাখেনি।
তবু কেন নিজেকে রাখা, কেবলই লবনাক্ত লোহিত সাগর।
পিতা,মাতা,স্বপ্ন আমার দুগ্গা,  সব সব ছেড়ে চলে যায়।
পদ্মে খেলে শঙ্খচুড় মৌমাছি মায়ায়।

Saturday, November 3, 2018

সব চরিত্র অপরিচিত,কি নাটক উপস্থাপন হবে সেটির পুর্ব পরিকল্পনা করা হয়ে ওঠেনি।
যদিও লাটাইতে সুতো বাঁধা আছে তবু ও পেটকাটি আর চাঁদিয়াল চেষ্টায় আছে উড়তে নিজের মতো করে।
ভবঘুরে পাগলটা আপন মনে  শিশির সিন্ধু কুড়াতেই প্রতিজ্ঞা বদ্ধ, আর তালি দেওয়া , দিতেই হবে।
নাট‍্যকারের চিন্তা বেজায় ভিজে গেছে, একটুকরো সবুজ রোদ্দুর নিয়ে খাটিয়ায় বসতে হবে।
বিন্দু বিন্দু আলো গুলোকে একজোট করে বৃত্তে বেঁধে
মন্চে  মাচায় দাঁড় করিয়ে,বাকি পর্দা সেলাই।
অকারনেই পাগলের চোখের লবনাক্ত জল, তেলচিটে বালিশের অন্ধ পরিনয়ে।
এখনো পর্যন্ত নাটক এর নাম ঠিক করা গেছে ,বিরিন্চিবাতাসের ঘরস্থাপনা।
চরিত্ররা পর পর নিজেদের নিয়ে এসে চালি সাজাবে একে একে।


Thursday, November 1, 2018

ছাদপাখাটার ঘ‍্যানঘেনে ঘড় ঘড়,বেটা আমার মতোই জাগছে, হাঁক দিচ্ছে তফাৎ যাও, তফাৎ যাও।
সভ‍্যতা কেবল সুখনিদ্রায় ,পলেস্তরা ঝরে ঝরে পড়ছে।
হাজার বছর বা তার ও বেশি পুরোনো আগুন টা আরব সাগরে একটি নৌকায় বসে আগ্নেয়গিরির আমন্ত্রণের অপেক্ষায় ।রাতের শেষে হয়তো জম্পেশ শীত নামবে।
রাত হচ্ছে গভীর ,পথ সে ও ঘুম চোখে কোথায় যে যাবে তাই বোবা ল‍্যাম্পপোষ্টকেই শুধোচ্ছে।