Monday, December 31, 2018


এক ঝিলিক আসমানি রঙিন
মৌরিফুলেল ঔ হাসি সর্বনেশে।
দুরে ও কাছে,আধো রিনিঝিনি
ঘুমকাড়ারাতে রুপকল্পে অক্লেশে।
কুন্চিত পাগলি বানভাসি চুলে
হারায় জীবন আলিঙ্গন আবেশে।
উল্লাসী তুমি, আমি অন্ধচোখে
বাউলমন মরি ভালোইবেসে ।

Sunday, December 30, 2018

এমন একটা  বৃক্ষ যার ছায়ায়
নীরবতার হয় জন্ম মাঝসমুদ্রে।
এমন সেই আকাশপাখি যার
উড়ান ছায়াময়তার রুগ্নপদ‍্যে।
সেই জীবন্ত প্রান অহরহ যার
জন্ম মৃত্যু উপত্যকার নিশ্তব্দে।
সেই প্রাপ্তি কামনায় ওই পাগল
শহরবাউল আজ ও মরে কেঁদে।
শীতক্লান্ত আগুন আজ বড় বেহুঁশ
দুগ্গাকেই খোঁজে জঙ্গলের ছাদে।

Thursday, December 27, 2018

শীতলতা প্রবল থেকে প্রবলতর
নেই একটাও শীতবস্ত্র একান্ত নিজস্ব।
একটা আবরন যাতে আমি লুকিয়ে রাখতে পারি আমার কান্না,একলা বেদনা, আমার অন্ধকার,
এই সমাজে আমার অপ্রয়োজনীয়তা।
দুগ্গা আমাকে একটা ডাস্টবিন দাও ,
যেখানে আমার নষ্ট মনটাকে ফেলে রেখে
রওনা দিই অচিনপুর।
অক্টোপাস তো জড়িয়ে ধরছে আষ্টেপৃষ্ঠে,পারলে
দিও এমনকিছু যা দিয়ে ছিঁড়ে ফেলতে পারি সব
বন্ধন।

Tuesday, December 25, 2018


ভাল্লাগে তোমাকেই
উন্মুক্ত ক্রুশবিদ্ধ বায়ুতে অসহায় রক্তক্ষরণ, তবুও মৃত্যু নির্ভরশীল
এসে যায় একপলকেই কর্মকাবার । বাতাসী এসেছো, থাকো
রক্তিম হৄদপিন্ড খুঁজবেনা আর
থাকোই আর খানিকক্ষন,সুন্দর হয়ে উঠছে পৃথিবী,
অভাব নেই,আবর্জনা পরিস্কার চলছে মহাভারতের কিংবা মানবযুগ
সুচনার সময় কাল থেকেই।চুঁইয়ে চুঁইয়ে পড়ছে অনাহারে ভারাক্রান্ত
সুকান্তের দল, লক্ষ লক্ষ না তার
থেকেও বেশি খোলা আকাশ ঝরে পড়ছে আদুলগায়

প্রান্তরের গান সে তো কানামাছি খেলছে সারি সারি দেশলাই বাক্স কিংবা
নিশ্চিন্ত নিরাপদ দিনযাপনের স্বকীয় অহমিকায় ,যান্ত্রিক বাক্য সাহিত্যের
সদা আলাপচারিতায় গানের সুরটি বেশ, বারবার ভরায় বিদগ্ধ মন,  
আলপথ কতদিন আশ্রয়হীন চওড়া পিচগলা রাস্তায়।
উলঙ্গ অট্টহাসি পুর্ণচন্দ্রও লজ্জায় ছেড়াশাড়িতে মুখঢাকে,
আমার আলতো চুমু তোমাকেই,নিরাভরণ এই মরুভুমের চাঁদেলা
 অট্টহাসিতে ভেজা বোধহীনতার সুন্দরী পাহাড়গুহা
লেদমেশিনটা মাথার মধ্যমায় সগর্ব সচল উপস্থিতিতে মন্দ্রাক্রান্তা

রাজার রোগে নিরাভরণ বিষন্নআমোদে তুলসীপিদিম

Wednesday, December 19, 2018

দুগ্গা বড়ো ভীষণ মন কেমনে ভরে,
এই একান্ত আঁধারে মৌন মুখরে।

Sunday, December 16, 2018


দুগ্গাসুতমাসু,

কতকাল ধরে ভাবি লিখি দু কলম তোমাকে কল্পদুগ্গা আমার,
এতো কথা যে ভিড় করে আসে, মেঘদুত তুমি থাকো প্রতিক্ষায়।
দুগ্গা একটুখানি …, মেঘদুত জানোতো আমার ঠিকানা, আছি
লাশকাটা ঘরেই,কাটাছেড়াই তো চলছে ক্ষনের পরও ক্ষন, পুনঃ অনুরণন।
ওখানেই এসো, লোহিতহৄদসাগরমাঝেই সযতনে ক্ষরণে লবনাক্ত পত্রখানি ।

তাহলে দুগ্গা যা লিখছিলাম,একলা জীবন, একলা লড়াই,
কেউ কি কথা রাখে?রাখেনা।
বুকের মাঝে আকড়ে যে জামরুলমন, মাগো  ওই উজ্জয়িনী আকাশতারায়,
বাবা তুমিও তো আমায় শক্ত মুঠিতে ধরেছিলে, বলেছিলে আছো ছাতিম হয়ে,
গাছটা গেলো শুকিয়ে, শুকিয়েই গেলো।

সরস্বতী কৈশোর,যে শিমুলকথাগুলো ফিসফিসিয়ে শোনাতে নীলচে সবুজে কালচে
হলুদে তোমাকে খুঁজেছে,আজও আজও খুঁজে চলেছে,জনারন্যে ,
নিঝুম পথে,হংসবলাকায়,কৄষ্নকালো অতলঝিলে
অথবা একান্ত গোপন দিশাহীনতায়,তুমি পড়ছো তো, নাকি ডাস্টবিনে
তথাকথিত নিরাপত্তাহীনতা থেকে সুরক্ষা।

জানো আকাশদুগ্গা একটা জটিলতা মুক্ত,তথাকথিত আপন পৄথিবী থেকে
ক্ষণিকের অবসর নিয়ে জীবনভর খোঁজ একটুকরো সহজীয়া ভালোবাসা,
সেই শুন্য থেকে ৮ , ১৮,২৬ বা ৪৩ এমনকি পন্চাশেও অবশ্যম্ভাবী আমৄত্যু,
তুমি ,আমি , চুঁইয়ে ঝরা আকাশ,চাঁদেলা নদী, কান্ডজ্ঞানহীন সোনাঝুরি আর
আমার চুপিচুপি শঙ্খচিল মৌনমেদুর সহজীয়া ভালোবাসায়।

কালাহান্ডির কালো গহ্বর থেকে বহুতলে নিশ্চিন্ত আরামদায়ক অর্থ উপার্জন এবং
প্রতি পলে সবার কাছে এমনকি আত্মজের কাছেও হারতে হারতে মরতে মরতেও
তোমাকেই যে অনিমেষ চাওয়া।হয়তো একফালি ওয়েসিস, কোন কি দরকার আছে
এই বেঁচে থাকা,এই লাশ কাটা ঘর, বিরামহীন বিস্ফোরণ মাথার মধ্যেই ,
হিসাব মেলেনা, একপলকের বন্যাহাসি ,পড়ে পাওয়া ঘৄনা সম্বল।


লতাপাতাহীন ছালচামড়া উঠে যাওয়া ঘেও প্রানীটিও তো ঝর্নায় ভিজে শিউলিকফিনে
বাহাত্তুরে তুতানখামেনন বা নিদেনপক্ষে মৄতনিঃশ্বাসে পাথরমুর্তি হয়ে স্থবিরে তোমার
টলটলে হাসি দেখতে চায়। জানোতো অনেক শীত বসন্তশেষে আশা, ভালোবাসা, আবেগ
ফুরোতে ফুরোতে নিজের জন্য রাগটুকুই জমিয়ে রাখছি ওই উতালপাথাল কুরচি বেহুসমোহনায়।
আচ্ছা তোমার চুলে এখনো অমলতাস দেয়তো বিলি কেটে ।

ছিড়ে ফেলোনা এই পদ্যাবলী মাধুকরী ,মনে হতে পারে এতো সেই চেনা প্যানপেনে কবিতাবিলাপ,
তবু মনের মাঝে তো অহরহ একটা স্বপ্ন খেলা করে, সব পারিপাশ্বিকতা ভুলে মায়াআবিলতায়।
চলতি পথে এক একটি অসম্পুর্ন পান্ডুর জীবনপত্র, তারই মাঝে অন্ধ অবসরে তোমার
একফালি হাসিতে দর্পণে আপনাকেই দেখা ,দুগ্গা তোমারই কোমল গান্ধারীআলোয়।
আমার এক আকাশ উদ্দাম পাগল বেদনবিহ্বল দুগ্গা তোমায়।

পাওয়া চিরজীবি অখন্ড শুন্যতা।দুগ্গা ভালো থেকো। 
                       ইতির একনিষ্ঠ অপেক্ষায়
          


Friday, December 14, 2018

কোডারমা নয় কোলকাতায়
করলেই তো তুমি  পথ ভুল।
পাহাড় ছেড়ে এই সমতলে
ফুটলে  পৌষালী মৌরিফুল।

দে দৌড় দেয় দৌড় মৌরি
আগুন নাকি হলুদ সবুজ।
শুকনো মাঠেও বৃষ্টি নামে
স্বপ্ন সে তো সত্যি অবুঝ।

Wednesday, December 12, 2018

আজ যখন তমলুক থেকে  ফেরার সময় আমার পুরোনো উলুবেড়িয়া সাবডিভিশন এর পথগুলো পার হচ্ছি মনে হচ্ছে আবার যদি ফিরতে পারতাম,আমি ভিজে যাচ্ছি, আমার খুব শীত করছে।

Monday, December 10, 2018

দুগ্গা প্রতি রাত জাগা শুধু সকালের প্রতিক্ষায়  সকাল আর আসে কই, নীরব কালো রাতের সাথে অন্তহীন সখ‍্যতা।
 দুগ্গা ,হেরো মানুষটা মনফানুসে চড়ে যেতে চায় ওই আকাশ তারামেলায় যেখানে  মা আর বাবা রোদ পোহায়।
দুগ্গা, একে একে সব ইচ্ছাই মরে যায়, শুধু সাধ জাগে রবি বাউলের গান শুনতে শুনতে যদি যেতে পারি চির নিদ্রায়,সবার ভালো থাকার স্বপ্ন মনে মেখে, দুগ্গা চির নিদ্রায় যদি পারি।

Friday, December 7, 2018

           ইতি অন্যান্য

মরিচঝাপির  নয়া আবাদ  ফসল মরা ঘাস,
ঘোলাটে সন্ধ্যায় সেজে উঠেছে রিসর্ট, বাংলায় অনুবাদ করলে মনে হয় একটু নিরূদ্বেগ আশ্রয়ে নিজেকে বিপনণ।ভাঙা রাস্তায় চাঁদোয়া সাজিয়ে সর্বরোগ নিরাময়ের নিলামজারি।

মুঠো মুঠো পলির মাঝে ভাঙা নৌকায় আটকে আছে সবটুকু  আবেগ অনুভূতি এমনকি পাগল ভালোবাসাও
পুর্ণগাভি জোয়ারের অক্ষম অপেক্ষায়,সান্ধ‍্য জলসায় বাধ‍্যতামুলক অনাবৃত উপস্থিতি।

আমিটাকে , আমার সেই আমিটাকে রম‍্য সরোবরের পাশের মরা শিমুলগাছে ঝুলিয়ে রাখা , খোলা জানালা দিয়ে উঁকি মারে প্রেতাত্মা,জোনাক আলোয় স্বপ্ন সন্ধানী ভিজে কিশোরী শামুকমেঘ।

Wednesday, December 5, 2018

আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি,অন্তত মেয়ে টাকে একটু দাঁড় করিয়ে,,, মনে হয় আর হবেনা,,,চক্রব‍্যুহ  ,দুগ্গা,,, কি হবে,,,, তোমাকেই  ,,

Tuesday, December 4, 2018

জীবন মানেই পুজা মরনের প্রতি পলে
সব হারায়ে  মরেই বাঁচি রবি বাউলে।
বড়ো বেদনায় নীল হয়ে যায় সমস্ত চেতনা। চারপাশে অসীম শুন‍্যতা। আমি অনুভূতি হীন হয়ে পড়ছি,কেন আছি কেন? আমি মনে হয় সত‍্যিই পাগল হয়ে যাচ্ছি,দুগ্গা তুমি কোথায় ,পথ দেখাও পথ দেখাও। এই দিকহারা মরূভুমে আমাকে মৃত্যু পথ দেখাও। আমি তো হেরেই গেছি এই জীবনের কাছে।

Monday, December 3, 2018

বরাহ শিকারের  একটি পদ্ধতি হলো একটি বৃত্ত রচনা করে শিকারী দ্বারা বল্লম জাতীয় অস্ত্র দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মারা।যেদিকে পালাতে যাবে সেদিক দিয়েই খোঁচা মেরে যন্ত্রণা বিদ্ধ করে মারা। পালানোর কোন উপায় থাকে না। বাঁচার কোন পথ খোলা থাকে না।
 মনে হয় আমাদের সভ‍্য মানব সমাজেও এই নিয়ম বলবৎ।

Saturday, December 1, 2018

মনে হয় মন নামক বস্তুটি বড়োই আত্মকেন্দ্রিক। কেবল নিজের কথাই ভাবে। এই ভাবতে ভাবতেই মনের আঁধার এই দেহটা কখন যে ঘুমিয়ে পড়ে। এই যেমন আমি নামক দেহটি। আজকাল মাঝে মাঝেই যেন দমবন্ধ হয়ে আসে। সবার থেকে অনেক অনেক দুরে একটু অক্সিজেন পেতে ইচ্ছে করে। মনটাকে নিয়ে অন‍্যভুবনে যেতে বড়ো বাসনা জাগে। নিজেকে অতিরিক্ত বলে মনে হয়। চোখের জল বাঁধা মানেনা। জানি না আর কতো দিন এই বাধ‍্যতামুলক দিন কাটাতে হবে,নাথ হে তুমি কোথায় লুকিয়ে আছো ? বড়ো বেদনায় নীল হয়ে যাচ্ছি। অনেক দিন ভালো করে ঘুমাইনি। ঠাকুর আমায় একটু সবভোলানো ঘুম দাও আমার চুলে মায়ের মতো বিলি কেটে দাও আমি ঘুমাই।।।