Saturday, July 27, 2019

বৃষ্টি আসুক বেঁচে থাকুক সততা বিশ্বাসের গাছ,
তুমি আমি সবার ভালোবাসার আনাচকানাচ।

কথাগুলো তো স্বপ্নই, আসলে তো মরা বিধ‍্যেধরী আর ও মরবে,আর সেই খানেই গড়ে উঠবে বুভুক্ষু জনপদ।

প্রতি দিন এখন ঝরে পড়ি,গলে যাই ,হই অবয়বহীন,
লেখা আর আসেনা, অনিমেষ মৃত্যু প্রতিক্ষা অন্তহীন।

দুর বহুদুর একাকী ক্লান্ত নির্বাসন, ভালোবাসা মরে অহরহ,তবু বেঁচে  থাকে,রক্তবীজ জীবন অমৃত কলসে।

Monday, July 22, 2019

কান্না রোদে, ভাঙা রাতে দুচোখে তুই নয়নতারা,
গলার ফাঁস যখন কষে আদর ভরে,শহরবাউল
তোরেই খোঁজে, কোন  আকাশে দিস্ নে ধরা।

ক্লান্ত পায়ে হাঁটতে হাঁটতে  শুধু  পশ্চিমে এগিয়ে চলি,ওদিকেই পৃথিবীর শেষ ল‍্যম্পপোষ্ট,ওকে জড়িয়ে একটু ঘুমোব, আজকাল গাছ, মাটি আর পাখির সাথে গল্প করি অন্তহীনে আমার অন্ধ আবেগ।

জন্ম থেকে যে ভালোবাসার বীজ করেছি বপন
সেথা আজ ও ঢেলে চলেছি ভেজা চোখের শাওন জল,আজীবন আজও ।পথ আর নদী,নশীতে পথ আর পথে ভিজে নদী,আমাকে আঁকড়ে ধরে রেখো শক্ত করে।

একা একলা দাঁড়িয়ে ভাঙা আয়নায় দেখি অশক্ত চেষ্টায় চুরমার হয়ে যাওয়া হৃদয়টাকে,দেখতে পাইনা,হারিয়ে গেছে,গেছেই, আমি কে? কে? কেউ কি জানো?

Wednesday, July 17, 2019

কেউ আছো? কেউ কি আছো?
আলুথালু সকালের ভোর ঘুম ছিন্নভিন্ন করে  কে ?
আওয়াজ টা শুনে মনে হয় খুব রিক্ত আবছা কোন ও জীবনের আর্তনাদ।

দাঁড়িয়ে পড়লাম, দাঁড়াতেই হয়,এই খেলাটা আমাদের খেলতে হয়, মরা আদিগঙ্গায় জল আসে  নিতান্তই দু এক পশলা,হাত  কাটা, হিম শীতল কঠিন কোমর বন্ধনী, পুতুলের নাচ নাচতে তোমাকে হবেই।

কেউ আছো? কেউ কি আছো?
গলা থেকে আওয়াজ বেরোলো না,আসলে তো আগাপাশতলা কাপুরুষ, নিজের খেলাটা খেলতে গিয়ে এভাবেই পাশ কাটিয়ে কাটিয়ে এঁদো কানাগলি, নিশ্চিত নিরাপদ একটুকরো নদীর খোঁজে চোখে ছানি।

 চায়ের দোকানের যে শীতকাতুরে ছেলেটিকে ভোর ভেঙে মাজতে হয়,যে অসহায় বুড়ো বিছানা নোংরা করে ফেলে,যে মানুষটাকে নগণ্য টাকায় চালাতে হয় আস্ত সংসার,যে মা তার দেহ কে পণ‍্য করে সন্তানের একপশলা আরামের জন্য,যে পাগল অন্তহীনে  একজন সহযাত্রীর ব‍্যর্থ সন্ধানে,একলা বাউলের কল্পে গোধূলি রঙিন  পৃথিবী,যে নগ্ন বালক চায় একমুঠো হাত,
সব্বাই চিৎকার করে গলা ফাটিয়ে বলে,বলতে চায়,
কেউ আছো? কেউ কি আছো?
উত্তর ওই আকাশ সরোবরে,স্বপ্নের ওধারে।

Monday, July 8, 2019

সমুদ্র মন্থনে এই পৃথি, অনেক অনেকের সাথে জন্ম পুর্ব এই মানবজাতির, এই মানবজমিনের।
ইশ্বর আমার ,অন‍্য সব কিছুর সাথে চুপি চুপি তুমি গড়লে এক পশুখামার যার মধ্যে মানুষও থাকে,থাকতে হয় বৈকি।
চিন্তার কোন কারণই দেখিনা কারণ কি সেই পশুখামার আজ ও চলছে বহাল তবিয়তে।

খামার বেজায় বড়ো, হরেকরকম আয়োজন,বাবু হুকুম চাঁদ সেই থেকে আজও,তুমি আমি অপমান,ফারাক আসমান আর জমিনের। হুকুম মানো,মানো না হলেই দ্বীপান্তর অথবা তিয়ানমেন  স্কোয়ার।

বিপ্লব তুমি নেই, কাপুরুষ বা অমেরূদন্ডী কেঁচো সব, মুখোস শক্ত আর পোক্ত,পশুখামারে কেবল তো খাদ‍্য আর খাদকের সম্পর্ক ,চলন সে তো শিকল বাঁধা পায়ে আর মনে।

খামারে মাঝে মাঝে হুকুম চাঁদ তো বনমহোৎসবে মাছ মাংসের টুকরো টাকরা ও ছুড়ে দেন,প্রভু আমার তুমি ভালো থেকো। আমরা আর ও অনেক ভালো আছি, দিব্বি আছি,হৃদয় ও আছে।


মাস্টার, পাঠশালা আর পশুশালা অবাধ প্রেমে হাবুডুবু।

Wednesday, July 3, 2019

স্তব্ধতার পাথর , রুপান্তরের জীবনশিলা ,ক্লান্ত দ্বীপ্রহরে জাবর কাটছে নিমেষ হারা কলম,ভাঙছে আর ভাঙছে।

মন ভাঙানিয়া বেদন দীঘির কৃষ্ণজল  অতল,
আবছা আলো, বাসলে ভালো, ঐ স্মৃতি সম্বল।

পথগুলো আলুথালু এদিক ওদিক দে দৌড় আর দে দৌড়,ভাঁড়ের চায়ে মুঠো মুঠো কার্বন ডাই অক্সাইড,মধু।

দোদুল দোলে কিপটে আগুন জলে ধিকিধিকি,
ব‍্যঙ্গ হাসি,খোরাক বাঁশী, বাঁধের ধারে জলচৌকি।

চালতা ফুল আকাশ জঙ্গলে একাই ভাসে,নীল গঙ্গায় শুশুক খেলা ভিড়ের মাঝে,শহীদ মিনার বেহাগরাগে।

নিরাপত্তাহীনতায় ল্যম্পপোস্ট আলো ক্ষয়মান,
আশ্রয়হীন আনন্দ, বেদনা ,অবারিত অপমান

বাঁচে কেবল   একান্ত অহংকার বাকি সবটুকু হারাই কৄষ্নগহ্বরে। সকাল ও আসে বোধহারা রুটিনমাফিক।