Wednesday, February 26, 2020

কলকাতার ফুটপাথ ভিড় করে বেপথু রুদ্রপলাশ,
বিদ্রোহী,হে মানবী তুমি কথা কও,জ্বালাও ঝরাপাতা,এ দেশে জীবন চিতা সাজাও শিমুলের।

রুইতন কিংম্বা ইস্কাবন  যাই হও না তুমি দরকার তো শুধু এককাঠি দেশলাই। কুড়ুলটায় চকচকে ধার,মানুষ কাটা নিতান্তই কাজ এলেবেলে।

মলের ক্যাফেটেরিয়ার কৌচে বসে কফিতে চুম্বন দিতে দিতে প্রতিক্ষার কিছুটা সময়,আমি নবরুপে। মৃদু ভলিউমে বিঠোফেন বা সাম্যের গান।

সুর্য উত্তাপ দাও আগুন চাই ঝলসানো,নৌটঙ্কি বৃন্দাবনে,দোল খেলব কুতুবমিনারের মাথায়, অট্টহাসি ছড়িয়ে দেব গলিতে,মহল্লায় , ভালোবাসায়।

কথামানবমানবী ডুব দাও চৌরাসিয়ায়।


Tuesday, February 25, 2020

তুমি কেন কবিতা লেখো ?
নিশ্চয়ই লুকিয়ে লুকিয়ে তথাকথিত অবৈধ প্রেম করো,না হলে হঠাৎ এই শেষ বয়সে এতো কবিতা কেন? আর কেই বা নেড়ে চেড়ে দেখবে যতোসব অখাদ্য, কুখাদ্য। লক্ষ লক্ষ কিলবিল বাঙালি কবি।

আচ্ছা বলো ,আজ তুমি কাউকে নিজের সব সবটুকু কি উজাড় করে বলতে পারো?
অনুচ্চারিত আবেগ,অনুভব সেতো থেকেই যায় মন সাগরেরর অতলে, নিভৃতে। স্বপ্ন না দেখে বাঁচি কেমনে। কাউকে তো বিরক্ত করা নয়,ব্যাসাল্ট বা গ্রানাইট পাথর জীবন আমার,লিখি লুকিয়ে, তুমি চিন্তা কোরোনা,যাবার আগে সব সব মুছে দিয়ে যাব।


Tuesday, February 4, 2020




নীরা
সেদিন আকাশে এদিক ওদিক এলোমেলো মেঘবালিকা, ভাসছিলো,খেলছিলো,হাসছিলো সরষে রঙে রঙিন।
তোকে আমি ভিজিয়ে কাঁদলাম,রাতভর একটা কথাই শুধোলাম,' কে ,কে তোমার মনমেঘবালিকা?'
বুনেছিলাম নক্সী কাঁথা একমুঠো অলীক স্বপ্ন দিয়ে অনেক অনেক যত্নে, সিঁদুর আলোয়,এমন ও তো ঘটে।

সারা রাত ভর দুচোখের আকুল ধারায় মুছে যায় আখর এর পরের আখর,নগ্ন ভালোবাসা ।সব ছেড়ে চেয়েছিলাম তোমাকেই  সব ব্যকারণ ভুলে,আকুল গঙ্গা ধারায় সব আগল খুলে তুলসী তলায় পিদিম জ্বেলে বসেছিলাম তোমার তোমারই জন্যে।
এলেনা ‌।
শিকল এলো, আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধল আমার হাত ,পা,মন আর হৃদয়টাও,আমি হলাম স্বেচ্ছা বন্দী ।

ভালোবাসলাম শিকলটাকেই, জীবন তো ইছামতি।

অবনী

হঠাৎ অনেক অনেকদিন পর বদ্ধ ঘর উঠলো কেঁপে,
কে নাড়লো কড়া?
তুমি ভালোবাসা এলে,দমকা হাওয়ার মতো, আমার কান্না এলো গলার কাছে,চোখ বুজে আমি দেখলাম আলো আমার হৃদয় জুড়ে, পাশে দাঁড়ালে আমি সেই লেবুফুলের গন্ধে স্নান করলাম অনেক অনেক দিনের পর।
এতো দিন যে কথা বলবো বলে আমার বুকের মাঝখানে সেই টিনের বাক্সে জমিয়ে রেখেছিলাম, খুলতে গেলাম ভুলে,সময় বয়ে গেল আনমনে, হলো না বলা।
জানিনা,এই সন্ধ্যা জীবনে আর কখনো অনুপ্রেমের কুল ভাসিয়ে আসবে না নাআসবে  কলমিফুলেল আমার ভালোবাসা।

পলে পলে আমার একলা দরজা খেয়ে ভুরিভোজে উইকালবেলা,মনটাও মরছে গোধূলি নয়নজলে,আছো কোন আত্রেয়ী নদীর বুকে কোন সাম্পানে, নদীর ও তো মরণ  জাগে।
প্রাণপণে চিৎকার করে খুলতে চাই দরজা,সব নিয়ম চুরমার করে তোকে চাই কিন্তু অসহায় কালবেলা,
কিচ্ছুটি পারিনা

কেবল ভালবাসা জেগে থাকে  বিচ্ছিন্ন দ্বীপে, মৃত্যু হীন।

অবনী আর নীরা

মুখোমুখি, নদীর বাঁক, ছলছলাৎ অপলক ভালোবাসা।
স্পর্শ হীন,বর্ণময়, পৃথিবীর আদি থেকে অন্তে প্রেম নিদ্রাহীন।