Thursday, December 31, 2020

 নতুন দিন,তারিখ,সময়,পল.কাল. বছর

দিকহারা অবক্ষয়ে হারায় শোভনসুন্দর,

অকারণে কুহকে এই ফিরে ফিরে দেখা।

নেশাতুরপ্রান চাওয়াপাওয়ার জীবনরেখা।


জীবন জাগুক  সুন্দর পৄথিবীর অলীক স্বপ্নে ,আর গারদ ভাঙার গানে , ঠিক তো ?

Wednesday, December 30, 2020

আমিই

 জীবন অবিরামে বয়ে চলে,

তবু একটা বোধ অনিমেষে...

এমন একটা  বৃক্ষ যার ছায়ায়

নীরবতার হয় জন্ম মাঝসমুদ্রে।

এমন সেই আকাশপাখি যার

উড়ান ছায়াময়তার রুগ্নপদ‍্যে।

সেই জীবন্ত প্রান অহরহ যার

জন্ম মৃত্যু উপত্যকায় নিঃশব্দে।

সেই প্রাপ্তি কামনায় ওই পাগল

শহরবাউল আজ ও মরে কেঁদে।

Thursday, December 24, 2020

ভাল্লাগে

 ভাল্লাগে তোমাকেই

উন্মুক্ত ক্রুশবিদ্ধ বায়ুতে অসহায় রক্তক্ষরণ, তবুও মৃত্যু নির্ভরশীল

এসে যায় একপলকেই কর্মকাবার । বাতাসী এসেছো, থাকো 

রক্তিম হৄদপিন্ড খুঁজবেনা আর

থাকোই আর খানিকক্ষন,সুন্দর হয়ে উঠছে পৃথিবী,

অভাব নেই,আবর্জনা পরিস্কার চলছে মহাভারতের কিংবা মানবযুগ 

সুচনার সময় কাল থেকেই।চুঁইয়ে চুঁইয়ে পড়ছে অনাহারে ভারাক্রান্ত 

সুকান্তের দল, লক্ষ লক্ষ না তার

থেকেও বেশি খোলা আকাশ ঝরে পড়ছে আদুলগায় ।


প্রান্তরের গান সে তো কানামাছি খেলছে সারি সারি দেশলাই বাক্স কিংবা

নিশ্চিন্ত নিরাপদ দিনযাপনের স্বকীয় অহমিকায় ,যান্ত্রিক বাক্য ও সাহিত্যের

সদা আলাপচারিতায় । গানের সুরটি বেশ, বারবার ভরায় বিদগ্ধ মন,  

আলপথ কতদিন আশ্রয়হীন চওড়া পিচগলা রাস্তায়।

উলঙ্গ অট্টহাসি পুর্ণচন্দ্রও লজ্জায় ছেড়াশাড়িতে মুখঢাকে, 

আমার আলতো চুমু তোমাকেই,নিরাভরণ এই মরুভুমের চাঁদেলা

 অট্টহাসিতে ভেজা বোধহীনতার সুন্দরী পাহাড়গুহা ।

লেদমেশিনটা মাথার মধ্যমায় সগর্ব সচল উপস্থিতিতে মন্দ্রাক্রান্তা ।


রাজার রোগে নিরাভরণ বিষন্নআমোদে তুলসীপিদিম ।



Monday, December 21, 2020

 আকাশ ভরে কালপুরুষ,

চোখ দুটো ধুলোয় গড়ায় ।

মৄত্যু উপত্যকা জুড়ে এক এবং 

একমাত্র রবিঠাকুর,একান্ত ইশ্বর 

আর বোতলবন্দী একা কবন্ধ,

বাউল মনে বাউন্ডুলে গান গায় ।

Thursday, December 17, 2020

 রাত আঁধারে

শীত জাগছে মনে, ফুটপাথে,

খোলা আকাশের নীচে চিন্হিত সীমায় ।

অবনী কাঁপছে, দরজাটা কে ভাঙছে?

মৄত্যুহীন বুকটা জাগছে গন্ধে হাসনুহানায়।।

 রাত আঁধার জঙ্গলে ও  চিলেকোঠায়.......


আর তারই সাথে 

আবছা ভোরে

শীতকুয়াসায় হিমায়িত সততা ,বিশ্বাস, সুমন

রোদ উঠলেই শুরু সুবাসে ,সুভাসে বাস্পায়ন ।


বড়ো একপেশে ভয় কাঁপন ধরাচ্ছে ।


Monday, December 14, 2020

ইতি

 ইতি অন্যান্য


মরিচঝাপির  নয়া আবাদ  ফসল মরা ঘাস,

ঘোলাটে সন্ধ্যায় সেজে উঠেছে রিসর্ট, বাংলায় অনুবাদ করলে মনে হয় একটু নিরূদ্বেগ আশ্রয়ে নিজেকে বিপনণ।ভাঙা রাস্তায় চাঁদোয়া সাজিয়ে সর্বরোগ নিরাময়ের নিলামজারি।


মুঠো মুঠো পলির মাঝে ভাঙা নৌকায় আটকে আছে সবটুকু  আবেগ অনুভূতি এমনকি পাগল ভালোবাসাও

পুর্ণগাভি জোয়ারের অক্ষম অপেক্ষায়,সান্ধ‍্য জলসায় বাধ‍্যতামুলক অনাবৃত উপস্থিতি।


আমিটাকে , আমার সেই আমিটাকে রম‍্য সরোবরের পাশের মরা শিমুলগাছে ঝুলিয়ে রাখা , খোলা জানালা দিয়ে উঁকি মারে প্রেতাত্মা,জোনাক আলোয় স্বপ্ন সন্ধানী ভিজে কিশোরী শামুকমেঘ।

Sunday, December 6, 2020

প্রাণরে

 প্রাণ ফেরে মরে


যে দিন যায়,ক্ষয়ে কাঁদে ,ফিরে আসে না, 

সুখ কিংবা অসুখ পথ ভোলে কোথায় হারায় ।

বছর বছর ভেসেই যায় ক্ষ্যাপা দেয় ডুবসাতাঁর,

সেই যে  পাওয়া  ভরা জ্যোৎস্নায় পরশপাথর ।


সেই আশ্বিন কোথায় যে হারিয়ে গেলো……


মনোময় অন্ধকার আজ ছাতিম গন্ধে পাগল,

আপনভোলা পথ ছাড়ায় মায়া ইছামতী ডাকে

ভাটিয়ালী মায়াবন ।এখানেই সেই হারিয়ে যাওয়া

ইচ্ছেনদী?দাও দাওনা আমার সেই মুক্তধারা পরশপাথর ।


সেই বনফাগুন মনআগুন কে যে নিভিয়ে ভেজালো……….


কিশোরী প্রেম,কাঁপা হাত পড়তে দেওয়া,লেখাটা 

হয়েছে কেমন ? কাল বা পরের দিন অপেক্ষা অন্তহীন ।

অবসর যখন হলো, যে দিন যায় ফিরে আসেনা ।

যখন পড়া হলো. বোঝা গেলো, কোথায় কোথা যে সে ?


এতো জল কে যে অশ্রুনদী বানভাসি অকুলে হারালো…..


আকাশআয়নায় নিশির ডাক, উড়োপ্লেন গুলোর কাঁটাকুটি

মুখটাই অদেখা, তবুও হাঁটাচলা ,হাঁতরে জাগা রাতভোর

বিকলাঙ্গ মন এখনো আঁধারসুরা পানে খোঁজ কোথায় 

ঝুলিভরা পিতৄমুখে পুরাণ,উপনিষদ্,আর গোপন কিশোর শীতপ্রেম ।


দড়িতে ঝুলে মৄত প্রাণ কে যে কেন যে নামালো……..

 উঁকি আলো ধিকি ধিকি,বট পাকুরে স্থবির পারাপার।

বৃদ্ধ যৌবন শুক সন্ধ্যাতর্পণ,ইতিস্মৃতি তোমার আমার।

কেন আছেন স্যার?

 কেন আছেন স্যার?

এই প্রশ্নটা শুনেই ফেললাম।

যে কথাটা সবটুকু নিঃশ্বাসে, ভেঙে পড়া দুটো পায়, বুকের ডানদিকে জ্বলন্ত ব্যাথায়।

ক্লান্ত চৌপায়ায় নীল মশারীর জালে মরা হৃদপিন্ডটাকে আগাপাশতলা বেঁধে রেখে খোলা বা বন্ধ চোখে ঘোলাটে আকাশটাকে দেখতে দেখতে একই প্রশ্ন করে চলেছি।

এতটা পথ ,মোরাম,মেটে,তপ্ত পিচঢালা,অথবা ছায়া আবছায়া আল,একাই,