একটুকরো ভালোবাসা আর কয়েকটুকরো মন্দবাসা,
জীবনগান বাজে তার আপন সুরে,নিকট কিংবা দুরে।
দিন পর দিন পথচলা অন্তহীন,প্রেম আর অপ্রেমের কোলাজ,
ধ্বংসের মাঝেই নবপ্রানের নবসৄষ্টি আঁধারে আলোর মন্তাজ ।
অবধ্য
মৄত্যু উপত্যকায় মহামিছিলে সামিল সব্বাই,
একের পর এক তালসারি ,একলা বট পা টলমল।
ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরিতে পিদিম জ্বলে লেলিহান,পথ
খোঁজে লাভাশ্রোত,তোমায় অমোঘ প্রেমআলিঙ্গন ।
ভালোবাসাপাতাগুলান বট ছেড়ে ধুলিমায়ায়।
আকাশঘরে ন্যাড়া লাভাস্নান, অনিবার অপলক
সময় কোন জ্যোৎস্নাবনে শীতকালীন রাগজলসায়।
অক্ষমকান্না তীব্রউত্তাপে পুড়ে ছাই নিরালম্ব বট,
যক্ষারোগও মুক্তি পায় আদিম লালসায় সুনিবিঢ়।
মাথাবটে তারাগুলোর ঝরে পড়া আঁধার উল্কাপাত,
কতশত বছর রবিবাউল গানভেলায় নদীউড়ান।
বটের শিরা উপশিরায় সুতীব্র মাইগ্রেণ অপেক্ষায়
মদির অমর মরন। মরু দুগ্গাঝড়ে বিদায় শীতলতা।
লাভা বন্যাপ্লাবন আত্মা জাগে কোথাও নবরুপে ।
ইস্টিশন মা
প্রতিদিনই দেখা হয়,যখন দৌড়,
যদি পালায় সোনারপুর লোকাল।
পাগলিটা পয়সা নেয়না, দেখতে
পেলেই এককাপ চায়ের সওয়াল।
পাগলের সংজ্ঞা সেটা কি তোমার জানা ?
এতো নোংরা ছেড়া ছবি তবু
যখন চায়ের কাপটা ধরাই,
মা মা গন্ধটা এতো মিঠে
শরীর জুড়াই মন,বুক ভরাই ।
পাগলের মতো আছে কি তোমার ইচ্ছেডানা ?
নিমতলায় কেনা সশ্তায় কোট,
শীতলতা প্রতিরোধক,পুরো কালো।
উস্কো খুস্কো পাকা বেশী কাঁচা কম
মুখ ঢাকে মুখোশে এতো আলো ।
পাগলের কি তোমার মুখোসের দরকার পড়েনা ?
দেওয়ার আগেই পাগলীর হাতে
গরম চা দিয়েছে আজ অন্য কেউ।
আমায় বলে তুই হয়েছিস পুরো ভদ্রলোক,
মুখভরা তার অমলিন হাসির ঢেউ।
পাগলীরে কেন তোর মতো রে হাসতে পারিনা ?
ঘরভোলা ঘর হারায় দিন দিন,
অনিমেষ অহরহ অবুঝ শীতলতা ।
অসীমে অক্লান্ত চলন, দেশ অচীন,
মৌডুংড়ী ইচ্ছে বসত চুপ চুপকথা।
পাগলীমা কেন রে বল্ পালিয়ে হারাই উথালকান্না ?
তোর কোলেই আমি ঝাপাই করিসনে করিসনে মানা।
আলোর খোঁজে অন্ধ বাউল
মন খারাপের মেঘ জমে যে বেহুলা আকাশ, শীতকাতুরে নিরুত্তাপ।
বুকের মাঝে কাঁদন জাগে,নীলগহিনে সব পুন্য আর একলা পাপ।
ঝাপসা কাঁচে আগুন খুঁজি রোজ সকালে হলুদ হাওয়ায় শীর্ণ রাতে।
জমাট জ্বালা,কুড়কুড়ানী, দুয়ার ভাঙে বনচাদরে চলাচলের দুগ্গাপথে।
ভাঙা বেন্চ, লালচে চা, বুকের খাঁচায় মরচে মরে আনমনা নদীর বাঁক।
হরির বোলে চাঁপার বন,ধুলোয় হাসে দিনের লিপি,অর্থছাড়া নিবিড় ডাক।
জীবন তুই ধুকপুকুনি,অস্থিরতার অগাধ জল,
চাইছি ছুঁতে,চু কিতকিত,টুকিটুকুই তুই না বল।
মনকাঙালী কাঠবিড়ালি ,দিনদিন গাছের ডাল,
পাতা ঝরে প্রতি ভোরে,বাঁশের সাঁকো রঙমশাল।
অল্প সকাল, লম্বা রাত,পথপাঁচালী নক্সী কাহন,
অন্য বাঁশী,রত্নাবলী, ভাঙা মোরাম রাঁধে বৃন্দাবন।
জাগছে চোখ অন্ধ স্লোক,আলোর রেখা ছন্নছাড়া,
হামাগুড়ি ছলচাতুরি, দোলা পালকি এক বেহারা ।
অন্যদুর, শাপলা সুর,আদুল গায়ে রাণীকথা জড়িপাড়।
মাঠ সবুজ হলুদ অবুঝ অনিমিখ খুনসুটি বেগম বাহার।
থামতে হবে, সন্ধ্যাই হবে,
আবারও সেই দুগ্গা পথ
৭০বা ২০১৭,২০১৮ পার হয়ে সেই ২০১৯ ও তো পার হয়ে এলাম, উল্লাসে ,নবজীবনে, পানশালায় ট্রাফিক জ্যামে, এসো চিৎকারে চুম্বন করি আগুনে ছাই এই সভ্যতাকে, আমরাই তো সুশীলসমাজ।
কালো নিকষ অন্ধকার, মৃত্যু সাগর উথালপাথাল অমোঘ আশ্লেষে নগ্নিত লজ্জিত আলিঙ্গন।
আর কি বেশি দিন, না কয়েকদিনেই দুগ্গা তুমি,ফনিমনসার ক্লান্ত ফুল, আমার হাত পুড়ছে মন সেও তোমার স্মৃতি ছোঁয়ায়, এভাবেই তো শেষ হয়।
পাল্টাচ্ছি পোশাক, নিজেকেও সবার মতো করে ঘন শীতঘুম,হয়তো কোনদিন আর ভাঙবেনা, একা বাউল গান সেও ওই আকাশ কালপুরুষে।
যে পথে যাওয়ার ছিল, হলো না যাওয়া,অন্য গাড়ি, দাঁড়িয়ে আছি একা অক্ষম প্ল্যাটফর্ম।
শীতের ওম নিতে তুমি হয়তো খুব ব্যস্ত, তোমার তো আর গাড়ি ধরার তাড়া নেই, আর জানো আমি ও সব ভুলে প্ল্যাটফর্মে বসে একটা বিন্দাস সুর সাধার চেষ্টায় আছি,শালিকগুলো এদিক ওদিক,গানই গাইছে,ওরাও হয়তো আমার মতো অনিদ্রা রোগে ভোগে, জানিনা।
দুগ্গা পথ কোন বাঁকে, এলোমেলো পা,টলমল করে চিন্তন, একবার যদি পেতাম আঁজলা ভরে ঘুম, একসাথে মানুষ,পশু, প্রাণ ভরে নিকষ কালো আঁধার ভালোবাসায় ,হিম তো ঝরছেই, শীতার্ত জীবন যাপন।
আমরাই সুধী সমাজ।
সতীশ আচার্য্য