মেঘবালিকা এলেই যখন দুখের পাথার দাও গলিয়ে,
সুখের চাদর গায়ে মেখে একফালি রাত যাই ঘুমিয়ে।
।ভিজেলা রাত।
তৄষ্না অপরিমেয় ,মুছে যায় দিবা রাত্রির সীমারেখা,
নিদ্রামধুর জাগরণে,শ্যাম সম মরণে এসো পরাণসখা।
কতদিন পরে দেখা ,মনে পড়ে আমাদের সেই সখ্যতা ।মন উজাড় করে সুখদুখ ভাগ করে নেওয়া । ছোট ছোট আশা আনন্দ হতাশা বেদনার মালা দিয়ে ভেসে থাকা ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়া ।মানবসাগরের ভিড়ে বেচেঁ থাকার মানে খোঁজা ।কলকল কত কথা কত গানে বয়ে চলা । একা পথে নাওএর তিরতির পথচলা ।গঙ্গা তুমি শুকিয়ে যেওনা ।চাঁদেরনগরে তোমার আমার যে মধুরমিলন জীবন সেই আবেগে আমাকে রিক্ত করো সিক্ত করো ।
আজ দুরে দুরে সরে যায় বোবা অতীতে
ছায়াময় মন, একদিন তো পরশে নিয়েছিলাম।
প্রতি পলে মনে হয় কড়া নাড়ি একবার,একটিবার,
সুর্য ঘুমিয়ে পড়ে অনুভূতি সাথে নিয়ে।
একটা মহাশুন্য বুকে নিয়ে বসে আছি একলা নিভৃতে।
কানামাছি খেলা।
চন্ডাল সে তো মৃত্যু ভয় হীন, নিত্যদিন মরণকে নিয়েই অগ্নিসঙ্গম,হোরি খেলা।
ফিসফিস ,শুনতে পাই, আমি আছি একান্ত কাছাকাছি,পথের ধুলোয় ঘুমাই বকবক করি,সুর্যের মাঝহৃদয় নিতান্ত শীতল,চোখ জুড়িয়ে আসে।
আছো তো
দাড়াস্ সাপটা একটু একটু করে বুড়ো হচ্ছে,
এখন আর নড়তে চড়তে বিশেষ ইচ্ছে জাগেনা ।
কেউ কিছু বলতে এলেই ভাল্লাগেনা একদম,
চুপ চুপ কেবল একলা ঘুম ,মেঘলা মন।
আবার দিন পর দিন দাবদাহ যেভাবে বেড়েই
চলেছে.গাছ ছেড়ে পাতা শুকায়, জমে পাহাড়
ধুলিধরায় ,জমছেই,ঔ পাতার নীচে এতো শীতলতা,
এতোটা আবডাল ,অদৃশ্যমান,বড্ডো একান্ত ।
টুকরো টুকরো স্বপ্ন মালা গুলো চাঁপার ঝোপে
মরা কাকের সাথে গলাগলি, বড়ো আবছা ।
সব চরিত্র মন্চহীন, পিচগলা পথে শ্থবির চলন,
হৄদপিন্ড কুড়ে পেট ফোলায় ঘুনপোকা, ছিদ্র বৄহদাকার ।
সাপটা পাতার ফাঁক দিয়ে বের করে একটু মুখ
দুরে কাগতাড়ুয়াটা একলা হাসছে হি হি,
কানে আসে আলুথালু মাঝবয়েসী ক্ষেমঙ্করীর বিড়বিড়,
রাতে নিকষেই তো আসাযাওয়া, আজ দুপুরেও কালবেলা।
আবার ফিরে শীতঘুম ভরা গ্রীষ্মে , আলপথে সোনাব্যাঙ,
অল্পচোখের কল্পকান্না,মায়া মরীচিকা, শুকিয়ে ঘাস হলুদ।
বাতরোগের চিকিৎসে নেই, মুখ গুলো এতো অচেনা, গ্রাম
পুড়ছে,সাথে ঘাস, পাতা, কুন্দফুল, ফুটে ফাটা আকন্ঠ পুকুর ।
বেতো সাপ, দেখ , আগুন রে আগুনে হলুদ সবুজ একাকার,
বুড়ো বটেও উলঙ্গ হাত ,পা, দহনকামনায় উত্তপ্ত ছিন্নমুল
দেহআগার ।চিল শকুনের ভাবনায় ঝলসানো মাংসের
আবাহনে জীবনে মরণে সাপ নামক কেঁচোর ভীরু নগ্ন প্রস্থান ।
রাত কাহিনীর পাতায় পাতায় ঝরে রূদ্র বারিধারা,
মৃদু হেসে, সঠিক ভাবে বলতে গেলে মুচকি হেসে কালি ও কলম লুকিয়ে পড়ে মরা মানুষগুলোর কালো নাভির মুলে।
সাদা চাদর চওড়া অক্টোপাসে, জানিনা সকালের আমোদিত রোদ্দুর দেবে কোন ছোঁয়া ?
মৃত্যু এদিক ওই দিক,সবদিক দিয়েই,দমবন্ধ হয়ে আসে।
হাপরের চিৎকার,বধিরতার জোরদার অঙ্গীকার,দাওয়ায় বসে বিড়ি ফুকি, পরিপূর্ণতা বাঁশের খাঁচায় আর মাচায়।
কানাচাদ আকাশ জুড়ে চাঁদোয়া না মরণ নাগর। মিলন কোন সাঁঝবেলায় ,কোন নয়নতারায় ? আজ ভরা বুড়ো যৌবন। একের পর এক গেঁথে চলা অহেতুক প্রশ্নমালা, বিদায়বেলায়।
দিনরাত্রির কাব্য
পথ একলাই রোদ পোহায় আলসেমি গোটা শরীর জুড়ে।
গাছগুলো হেলেদুলে মাথা নামায়,যদি একটু গল্পগাছা।
বায়ু ফিসফিস করে অবিশ্বাসী অথচ অমোঘ মৃত্যুর বোল তোলে।
গলার মধ্যে ফাঁসটা হয়ে ওঠে আরও কঠিন, তীব্র শীতল।
উইঙ্কেলের ঘুম ভাঙে, চোখ খোলে , ভিজে যায় ফোঁটা ফোঁটা মৃত্যু বৃষ্টি জলে।
চোখ মেলে,বেনেবউ মুচকি হাসে,চিল শকুন আর্তনাদে আকাশ জুড়ে।
ভাবনাগুলো সব পচে মরে, শ্বাস তালাবন্দী,
দায়বদ্ধ চেতনা ,মানবতা জমে আস্তাকুঁড়ে সযতনে।
অপঘাতে মৃত্যু নাগরিক সমাজের ,ভাইরাস সে কান্না মোছে, দ্বিধা হীন।
সে ও সব্বাই আয়েস ভরে ঠান্ডা ঘরে অখন্ড অবসরে।
লেখনীতে অমর কাব্যগাথা, ইতিহাস অতীত খোলাখাতায়।
উৎসবের মৌতাত পলপল পেটপুরে, মুখোস খোলে মুখোসের সব আবরণ।
বসতবাড়ি আড়মোড়া ভাঙে ,সবই গত প্রায়, অন্তর্জলী অতল মহাসাগরে।
এক পা অন্য পা,পথের অনন্ত আকন্ঠ মদ্যপান একমুঠো ভাঙা চুড়ি,মহাকাল হাত বাঁধে,চোখও বাঁধে নাগরদোলার ছেড়া দড়ি দিয়ে,ডাকে অন্যভুবন।
দিকশুন্যপুরে একা উইঙ্কেল সব দ্বিধা ভুলে হাত ধরে পথের পায়ে পায়ে এগিয়ে যায়, বসত, জমিন,জীবন, মৃত্যু, মৃত্যু তো অন্য ভুবন।
হায়
যদি সত্যি সত্যি একটু পাগল হতে পারতেম। চলার পথে এই জনঅরন্যে কেবলই মুখোসগুলি হাঁটছে ,চলছে ,ফিরছে , অন্তহীন অক্লান্ত অভিনয় ।আমি আমি আমি শুধু আমি, আমার সুখ, আমার পরিবার ,ছোট সুখী পরিবার, আর.. আরে আর তো কিছুর দরকার নেই ভাই ।তোমাকে ঠকাতে পারলেই আরেকটু বেশী সুখ ।তোমাকে টেনে পিছনে ফেলে আমি আরেকটু এগোই্। নিজেরই বিজ্ঞাপন প্রতি পল, আমিই সবথেকে উপাদেয় , অতীত- বর্তমান -আগামী একটু কি অন্যরকম হতে পারেনা ?
সারাদিনের একই অভিনয়ের পুনঃ মন্চউপস্থাপন । নিজের ভুমিকা নিয়েই বড়ো চিন্তা ।সাঁঝবেলায় একান্ত আপন উঠান ডাকে অপার মধু সুরে ।আঁধার আকাশের সাথে গভীর গোপন ভালোবাসা, অশেষ কথামালা , রোহিনী, কৄত্তিকা, অনুরাধা, মৄগশিরা নেমে আসে রাত মজলিসে প্রেম বন্যাধারাস্নান । ভিজে যাই, সাথে চিরসখা রবিবাউল আমার ইশ্বর, জীবন এতো মধুর লাগে । সব পাওয়া না পাওয়া একাকার হয়ে যায় । দিনভোর যে মাধুকরী,রাতআঁধারে ঝোলা উপচে পড়ে ।রাতজোনাকআলোয় নিজের সব পাপ ধুয়ে যায় ।বেল জুই কামিনী আর হাসনুহানায় আমি মরে বেঁচে জাগি অপলকে।নিশি আকাশ জুড়ে আমার দুগ্গা হাসিমুখে ।
কখন যে ভোর হয়ে আসে ,জীবন বয়ে চলে, আজ আছি , কাল তো নেই ।
নীলকন্ঠ তুমি অচিন বোবা সবুজ বনে ,
করাত কলে এখন শুধুই ডানা কাটছেই।
উড়ে কি আর পারবে পৌছুতে তীরে রঙ্গিত,
হাজার হাজার মাইল হাঁটা ক্লান্ত নিশ্বাস।
বন্দী মন চায়ের কাপে খোঁজে রুঢ় উত্তাপ,
লিখতে পারিনা ,তবু দেওয়ালে কাটি কেবলই আকিবুকি।
অসহায় উদ্বাস্তু সময়কাল, ওরা গড়ে ওরাই মরে এই যুগ সেই যুগ , যুগান্তরে, আমরা মানুষ আকাশের নীল ছবি আঁকি।
(এই সাইবার দুনিয়ার অনেক অপছন্দের মধ্যেও এই মাধ্যমে অনেক শুকতারা দেখেছি , যারা আত্ম প্রচার চায়না, নিজের ঢাক না পেটালেও যাদের দিন চলে যায় এক অসহ্য অসহায় কষ্ট পায় অনুভবে। যখন জীবনবোধে আঘাত লাগে ,তখন বেদনবোধ তাদের সাথে ভাগ করে নিতে ইচ্ছা জাগে ।কোন জ্ঞ্যান বা নীতিকথা নয়, কোন তথাকথিত লাইকের কামনায় নয়, এই প্রলাপ আমার সেই সব অংশীদারদের কাছে একটু আত্মকথন মাত্র।)
জাগো নবারুণ,চোখ মেলে দেখো একবার,
আজ চিল ,শকুনও আর্তনাদে আকাশ জুড়ে।
ভাবনাগুলো সব পচে মরছে, শ্বাস তালাবন্দী,
দায়বদ্ধ চেতনা ,মানবতা জমছে আস্তাকুঁড়ে।
অপঘাতে মৃত্যু নাগরিক সমাজের, দ্বিধা হীন
তুমি ,আমি ও সব্বাই আয়েস ভরে ঠান্ডা ঘরে।
লিখছি অমর কাব্যগাথা, ইতিহাস অতীত আজ পথধুলায়, উৎসবের মৌতাত পলপল পেটপুরে।
নবারুণ তুমি জাগাও, আড়মোড়া অন্তত ভাঙি,
সবই গত প্রায়, অন্তর্জলী অতল মহাসাগরে।
গাছে এক শালিক আর তার চারটি ছানা ।ঝড়ে ভাঙ্গা বাসা নতুন করে গড়ে তোলা । কি মমতা আর ভালোবাসা ।প্রতিদিন প্রতি পল ।পাগল মা খোজে আকাশের তারায় , গাছের নবসবুজ পাতায় , কাটা ধানের সোনায়,ঐ শালিকের ভালোবাসায় । মনেরতো ছবি আকা যায়না ।এতো ছোট জীবন তাও মা কোথায় লুকিয়ে ফেরে ।ঐ আকাশের তারায় ,এই ধরণীর ধুলিকণায় ।ঠাকুরমার ঝুলি খুলে সোনার কাঠি দিয়ে জাগাও মা সব পাগলের তুমি ঘুম ভাঙ্গাও ।একটু গল্পে ভুলি কল্পে চলি ।
এই মানবসাগর ।কত মন, কত যাওয়া আর আসা ।কত জন্ম আর ভেসে যাওয়া ।দুই নিরাসক্ত বুড়ো । সবার মাঝে থেকেও কত অন্য ভুবনপুরে ।সব দিয়েও এতো ফিরে পাওয়া তাদের।জ্যোৎস্না আলোয় জগৎ সিক্ত নিত্যদিন ।পাগল অবাক হয়ে ভাবে এই বিপূলা পৃথিবীতে এই তাসের দেশে মনের জানালা খোলা মানা,আলোতে আধাঁরে মুখোশের আবডালেই মিছেই জীবনের মিছে জয়গান গাওয়া । হাসিতে ভরে যায় দুই বুড়োর মুখ,কোপাইতে জল কোথায় ?পরিনিরবাণ নয় নবজন্মে আলোকিত করো । আলো দাও আরো আরো আলো ।পাগলকে আরো পাগল করো করুণাময় ।
আজ সকালে ভাবছিলাম
ইচ্ছে চড়ুই তুই দিলি উঁকি
আধো আলোয় ঝিকিমিকি।
আকাশে আজ পলাশবেলা
মন মাঝি চল ভাসাই বেলা।
শিউলি সকাল মুচকি হাসে
মুক্তধারা, পৃথি স্বেতউদ্ভাসে।
হলোনা, পারলাম না নিজেকে ঠকাতে।
একটা অবিশ্রান্ত আক্রান্ত বেদনা ঝরছে বিন্দু বিন্দু,
ভালো লাগেনা,ভাল্লাগে না, দরজা, জানালা বন্ধ হয়ে আসছে, অন্ধকার নামছে ,
পরিযায়ী রুটিগুলো এখনও লুট হয়নি,কেউ তো
পেতে পারে দুদিনের জীবন।
হে বিদগ্ধ সভ্যতা তুমি হাসছো ? একমুঠো মাটি দাও শুধু,একটু রোপণ করবো সবুজ, আমার একান্তই আমার,একটু পথ দাও চোখ বুজবো মাদুরদাওয়ার সোঁদা গন্ধে।
প্রনাম,স্মরণ, নিবেদন, আরও তারস্বরে, রথের চাকাও ঘুরবে, বাড়বে আরও বাড়বে মদের লাইন, অন্তহীন সুখী অবসরে শিল্পের নবজাগরণ। হে দেশ হচ্ছেতো জন নিয়ন্ত্রণ,বিষে মারো,উৎপাটনে অনাহারে মারো, আমি সুরে ধরি একটা নীলরঙা গান ।
কেউ একটা চাবুক দাও, আমাকে রক্তাক্ত করো,মারো মারো,সুধী সভ্য সমাজ, আর এক অবসরে তাকাও শহীদ মিনারের চুড়োয়,দেখো তো কোন কি তফাৎ আছে গোলগাল হৃষ্টপুষ্ট চাঁদ আর পরিযায়ী রূটিতে।
Don't worry, কাল তো নিরাপদ নতুন সকাল। রবি ঠাকুর ভালো থেকো হৃদে থেকো প্রতিপল,ভুল বুঝোনা, তুমি তো অন্তর্যামী। বাইশে শ্রাবণ সেও আসবে।
শুধু সেই বালিকা খুঁজেই চলবে তার গ্রামের রাঙামাটির পথ,আর কত দূর?
Failed to get acclimatized even after so many years.
শামুকের খোলে লুকিসারে উঁকি ঝুঁকি,বড়ো আলো,চোখ দেয় ঝলসিয়ে। বুকের মাঝে রেলগাড়ি ঝমঝম।না থাকলেও চলে।পলি জমে।অতল কতো কাছে এসে শোনায় প্রেমবাসার গান।ঝরাপাতা গুলো বৃষ্টিতে ভিজে কেঁপে কেঁপে উঠছে।দুই পায়ে তীব্রনীল বিষ বাসা বাঁধে। রূটমার্চ,সব্বাই এগিয়ে যায়।ওই সুর্যহীরাকে চাই কামিজের পকেটে লুকিয়ে রাখতে,মাঝে মাঝে হৃদয় জাগলে যদি যায় দেখা ,যদি হয় আলোকসম্মেলন।মাথার মধ্যে এক চুড়ান্ত দিকশুন্যতার মোহিত চড়কিপাক। মরণ নেশায় মাতাল,চলতে ফিরতে কাছে ডাকছে বেহাগসুরে,সেই মন্দিরটা নেই আর,মাখছি ধুলো,উলঙ্গ ভাবনাসব উড়ছে আকাশ ফড়িঙ হয়ে,ঘুমিয়েউ পড়ি,যদি আসে অন্যভুবন। একবার মন দিয়ে খেলব অন্য" কুমির,তোর জলকে ছুঁয়েছি।
তুমি যাও
মৃত্যুময়তা আজ টপ টপ করে সকাল থেকেই,
পিছল করে দিচ্ছে জীবনের ট্রামলাইন।
বুড়ো শালিক আহামরি আনন্দে,এখন ও টিকে তো আছে,
দানাপানি জুটছে দুটো,চারটে বা একটা।
ঝড়ে কলাগাছের পাতাগুলো ফালা ফালা হয়েছে,
একটা ফ্যাৎ ফ্যাৎ আওয়াজ কখনও জোরে কখন ও বা ঘুমঘোরে।
মেঘলা মুখে ভোর, দুপুর বা বিকেল সব একাকার লাগে। সবাই কোথায় যে ঘাপটি মেরে বসে আছে, শব্দ মিলছে শবদেহে।
উৎসুক নদীমন , অন্ধকার আবহমান।হোলি খেলছি,রঙে সাজছি , কানাগলিতে ভাঙাচোরা বেন্চ, চলৎশক্তিহীন শায়িত বুদ্ধ, নিজেকেই ঠকানো হাতদুটো মুখ ঢাকছে ভাঙা জ্যোৎস্নায়।
চটজলদি জীবনদায়ী গান তারস্বরে, আরও একটু আমাকে বাঁচন বারি দাও, ঠোঁট লুকিয়ে জুঁই ছায়ায় একান্তই স্বার্থপর, প্রজাতিটির নাম হোমো স্যেপিয়েন্স।
ভালো মেখো
বৈশাখী বনে মনপলাশিতে তির তির শির শির
ভেসে বেড়ায়,দুচোখ ভেজায় পাতা ঝরার গান ।
সকলি হারায় , দেবালয় ভাঙে সাথে ভঙ্গুর বন্ধন
অন্তর কুঠুরীতে ,তবু হৄদয় বলে ভালো থেকো ।
পাতা খুলে যায় , পরতে পরতে জাগে এক দুই
কোন সে যুগান্তর ।
আরশি আঁধারে নিজেই অনভি্প্রেত।
রোদনে বসন্তবিলাপ.খুকুমনির তরলআলতায় রঙিন গোধুলি আলোয় পদাবলীতে মধুবন্তী সুরে সেধো ।
একলা নিশি নিকষ সুতীব্র আলিঙ্গনে একাকার,
প্রভাত আর সাঁঝবেলার রুপকথার তৄপ্ত সঙ্গম।
পুর্নচন্দ্রের বন্যা ধারায় উপচে পাগল দশ্বাসমেধ ঘাট,
ভাটার টানেও আরতি স্তবে গাঙ্গেয় মননে জেগো ।
বাসাবাড়ির পলেস্তারায় খসে খসে পড়ে অসংযমী
ক্লান্ত সম্ভোগের আর্তিআাকুলতা,বাঁশী ভেঙ্গে বাজে।
ফেলে আসা মনে রক্তকরবীবনে গহনে নন্দিনের
ক্ষ্যাপা খোঁজা।
স্বপ্নের পুনঃজন্মকালে সাথেই রেখো ।
আগুনপাখি জ্যোৎস্না অঝোরে আবেগ হয়ে ঝরে.
শতেক ইচ্ছা নামাবলী গায় টালমাটাল শালুকমন
আগল খোলে ।বেদনে অন্তর সাজায় বলে অসংলগ্নতায়।
ভালো থেকো ,ভালোই থেকো .ভালোতে ভালো মেখো।
হে অনন্ত জীবন তোমাকে প্রনাম।