Wednesday, June 30, 2021

 একটি সুখী গোলগাল নিরুত্তাপ জীবনকবিতা


ভাবনাবিলাস-

হাসনুহানার গন্ধটা যেন প্রবল থেকে হয় প্রবলতর,

যেন মৄত্যুর আগে পুরোটাই ভিজতে পারি

ইশ্বর আমাকে একটু সময় দিও ,শেষবারের জন্য

শুয়ে বা বসে কফি খেতে খেতে একবার ভুলে যাওয়াটুকু

যা হয়তো হয়েছে এতটা বেশী বাঁচার জন্য,মনে করার প্রচেষ্টা ।


ভুলভুলাইয়া-

একটু ঢুকু ঢুকু একটু ওয়াইন, 

আমি তো শিওর আগাগোড়াই সোয়াইন ।

চোখে হ্যারিকেন জ্বলে,নয়নতারা আধাঁর চিরে 

ভেঙচি কাটে,  একলা ফ্যাতারু ফ্যাত ফ্যাত উড়ে 

ভুল মানুষের অরণ্য ,ওই পৄথিবী ।


ভাবনাবিলাস-

খোলা আকাশের নীচে হলে মন্দ হয়না, উত্তাপটা তো থাকবে,

যতটুকু পারবো চোখ মেলে ,দুগ্গা তোমার আলোয় যবনিকা পতন

টলমলে পায়ে যে স্বপ্নের খোঁজে অন্তরক্ষরণ, তারই বাস্তবের বোধন 

হাজার বা লক্ষ হয়তো আরো অনেক বছরের আদিম জীবনপথে

চেনা অচেনা পাওয়া বা বেশী পাওয়ার আবহমান ফল্গুধারায় ।


ভুলভুলাইয়া-

একলা পানকৌড়ি , সশ্তার চোলাই গহিন গঙ্গায় 

ডুব, ইতি উতি তাকায়, কি যে খুঁজে ফেরে,

পুরো পাঁকে ডুবসাঁতার , কাঁনাগলি,

যেদিকেই যাই ,পাতার পর পাতা ওল্টাই

ছানি দুটি চোখেই  শুধু লুকোচুরি ।


ভাবনাবিলাস-

দামোদর এপার ভাঙে গড়ে ওই পার ,কান্না গভীরতা বাড়ায়.

হন্যমান কালবেলা আগুন হয়ে জ্বলতে চায় দাসত্ব ভালোবাসার ।

চিতাটা যদি নদীপারেই সেজে ওঠে,শুয়ে জিরিয়ে নিয়ে

নদীর আলিঙ্গনে .ভাঙা হাটে সশ্তার বিকিকিনী ,অফুরাণ অবসর,

ভাটিয়ালী গানে তাল মদিরা কাল অন্য কেউ।


ভুলভুলাইয়া-

উজবুক জীবনে কিছুই তো ঠিক করে করতে অক্ষম,

ভদকায় ভরে মাঝবয়স নিশিকুটুম নিঘুম ।

ভন্ডামি ছাড়, তোর নেশা ভোর এক লহমায় ।

এতো ভিজেও গোটা মাতাল হতে পারলি কই?

খুঁজে ফেরা অমলতাসে সোনার রথ।


ভাবনাবিলাস-

সকাল থেকে রাতশেষ আমি জ্বলব, জ্বলে পুড়ে

মরবে আমার যত পাপ , সমস্ত ক্লীব নিঃশ্বাস, সময়

তো লাগবেই, পাপনাভিমুল কিছুতেই তো ছাই হতে চায় না।

ঝিনুকরঙা বায়বীয় আদুরে ছোয়ায় যন্ত্রনা মুলাধার সহ হবে

উৎপাটিত, উড়ব এদিক ওদিক অন্যভুবন ।


ভুলভুলাইয়া-

ভিখীরির বাচ্চা একটু টাকা ওড়া, হুইস্কিটা জম্পেস

সেই  ঝড়ে পড়া আাঁচলের মতো,

একঝটকায় ফুরতি কমপ্লিট ,পিচরাস্তায় গলাগলি,কিলবিল ,

পা দুটো এতো কাঁপে কেন রে ,হাতে ধর।

মনপাগল দারুবষ্হ্ম তরলতর।


ভাবনাবিলাস-

শেষ আবরণ টুকুও দান করে বা করতে বাধ্য হয়ে

রবিবাউল তোর গানে আমার চোখে দিস একটুকু

কান্না, চৌরাসিয়ার বাঁশীতে কানে অন্তত একবার 

রাগ মধুবন্তী, চাওয়ার তো শেষ অথৈ সামুদ্রিক বনলতায় ।

পিদিমের শেষ , তৈলাক্ত দপ্ করে নিভে জাগা।


ভুলভুলাইয়া-

আহাম্মক, নাটক তোর মনে নেই যেন ?

ঘর অন্ধকার, ছায়াছবি ঘরঘর ঘরঘর,

বিয়ারের বোতল নিমেষে একশেষ

চুঁবিয়ে ভেজা আকন্ঠ সাগরসঙ্গম ।

দেওয়াল পলেস্তরা খসে পড়ে কাছাকাছি ।


ভাবনাবিলাস-

নরম মোম সবুজ এবরোখেবরো আলপথে

তোকে ছুয়ে আমি একবার কেবল একবারের জন্য

ঝিমধরা ক্যানভাস হবো । কারা সব পাশ দিয়ে 

অথবা মাড়িয়ে দিয়ে এগিয়ে চলবে, নব জন্মাধার

হৄদয় নামক কল্পনাটি চলৎশক্তিহীন ।


ভুলভুলাইয়া-

জিন সুন্দরী  আমার,নেশা জমছে কই?

আহাম্মক, স্বপ্নটাইতো একলা জানলা ।

নরম শিমুল, চক্রব্যুহ,  তুলিকার উড্ডয়ন ,

একটু নেশা চড়াও নইলে বিষ দংশন ,

হিমশৈলচুড়া উত্তাপে গলনপিয়াসী ।


ভাবনাবিলাস-

আমার নদীটা.একান্তই আপনার সেই তো  

আজও বাঁচিয়ে রেখেছে,   শুকনো বুড়ো পাহাড়টাকে ।

তপ্ত দাবদাহ, বনতুলসীও শুকিয়ে মরে ।

আকাশটাই শুধু মাঝেমাঝে নেমে আসে, দুদন্ড দু এক কথার আদানপ্রদান এবং 

নদী হাজার ঝড় ঝাপটা সামলেও কখন যে ভিজিয়ে দেয় শীতল মায়ায়।


ভুলভুলাইয়া-

রামেই ওং শান্তি নম শিবায়,

ডুবে মর ,তাতেই সব মুস্কিল আসান ।

জীবনটাতো মরুভুমি বানিয়ে পুরো বেকার,

তার কাটা সেতারটাও তো অসুরে ছাড়লি ।

ঘুরে মরিস্ জাকারিয়া স্ট্রীটের নিঝুম বারবেলায় ।


ভাবনাবিলাস-

নর্দমার পচা কালো জলে কেন্নোর মত কিলবিলিয়ে এগিয়ে চলা,

মাড়িয়ে দিলে বৄত্তাকার, একান্ত সংকুচিত, তবু টিকে থাকার এক অপরিমেয়

অক্ষম প্রচেষ্টা। কিছুই সম্ভব নয়, নিজের সাথে নদীর তীব্র মিলে যাওয়া ব্যতিরেকে,

বোধ সেও তো আর কোন ভাবে কাজ করেনা ,চলতে চলতে এক ঝিমুনি জেগে

ওঠে, আঙুলগুলো সব থেতলে গেছে, কেন্নোর রক্ত  কি ফিকে লাল ? 


ভুলভুলাইয়া-

ব্র্যান্ডি খা থুড়ি পান কর,কোডারমায় পালা 

শালা নক্শাল,বিপ্লব সব কোন নদ্দমায় চটকাচটকি ।

ভুত নেই ,ভবিষ্যত নেই ,বোকা গরুর গাড়ির হেডলাইট,

তল্পি গোটা ,গলায় বিষ ঢাল, মর ,মর, মরে বাঁচ,  ।

আধো কুয়াশাতেই একটু লুকানো চুম্বন ।


ভুলভুলাইয়া ও  ভাবনাবিলাস-

দেখা হয়ে গেলো ,একটি দরজা মুখোমুখি দুজনায়

শক্তির খালি উদার গলায় রবিঠাকুরের মরণরে তুহু মম..

দামোদর এগিয়ে আসে,আকাশ চুপ, দুগ্গা দেবী না মানবী ?

তোমার চালিতে যদি একটু জায়গা , মরুভুমিতেও ঝরণাধারা,

অসম্ভবে ইলেকট্রিক শক্ ,অস্তমিত নেশা, যে চন্দনগাছটা ছোটবেলায়

নিজ হাতে রোপন ,তারই কাঠ, রক্ত ঝরছেই, ছায়াদুটি একাকার,

স্বপ্ন,সুচনা, মুচকি হাসে মৄত্যু, আশ্রয়হীন, কাঠের বেন্চিটাও ভাঙছে।

শির শির দখিনা হাওয়া, চিতায় শুয়ে বসে জীবনের গান, অমৄত

আমৄত্যু ভালোবাসা, তমসো মা ... কফি এককাপ এবং এবং একটি অর্থহীন

ক্যকটাসের নীলাভ সহমরণ বেপথু হাসনুহানায় ।

Monday, June 28, 2021

 কতদিন ,কতযুগ, তোমার ছাতিম ছায়া, পড়েনা আর আমার পাগলা পথে।

নিয়মমতে চলি, আকাশ বীণায় জাগেনা টলটলে কালো জল নিদারুণ  নহবতে।

অমিলনান্তি চালচিত্রে অগোছালো মেঘের দল আতঙ্কে রূদালী কানাছায়াপথে।

আঁধার আজ বালুচরী।


Saturday, June 26, 2021

 অনেক দিনের পরে আকাশচাঁদ আর মেঘের ফাঁকে একটু নয়নতারা,

ছোট্ট পরাণ হোথায় জাগুক, একটু কাঁপুক, হেসে হোকনা বেদন হারা।

            ।।  আমিি তুমি জাগা  রাত।।

 আকাশপথে নামল এসে চুপিচুপি কখন যে মেঘবালিকা আমায় ভেজালো,

সযতনে লুকানো কান্না সব মিলে যায় ,মুখোশটাই উথাল বড়ো এলোমেলো।

 ।।বৄ্ষ্টি পাগল মন সাথী

                   ভেজা জুই মালা গাথি ।।

Wednesday, June 23, 2021

 আবদ্ধ চোখ,সারি সারি দৄশ্যপট ভাসে আপন খেয়ালে,

ভারাক্রান্ত একটু আলো, আঁধারে অন্ধকার ডানা মেলে।


ঝড়ে শ্রান্ত বটে অকবি বাসা বাঁধে কৃষ্ননগ্ন কোলাহলে,

সাথে একমুঠো শ্বেত আকাশ, নয়নতারা রূদ্ধ আগলে।


          ।  রাত ভিজেই যাচ্ছে।

Saturday, June 19, 2021

 বাসি মনরুটি ফুটিফাটা ,অগ্নিস্নান  বারংবার,

হয় না নরম সহজপাচ্য,তৎসহ সম্পুর্ন জীবানুমুক্ত।

সকাল সেতো প্রতিদিন আাসে ,পিন্ডদানে অন্তরগয়া,

অনবরত প্রতিষেধক তবু ঝরে,ঝরে পড়ে পুজরক্ত।

বুড়ো অন্ধ কাক সযতনে পালন করে  দেহ পরানে,

রোগটির নাম অর্থহীন লড়াই কিংবা আদুরী মধুমেহ ।

ইতিউতি চোখ পিটপিট,সব সবই  নিকষ কালো,

অন্তহীন খোঁজ, কোথায় মেলে আগলহীন শান্তি গেহ।

 ।সকালটাই কেবল অবধ্য।

 অমৄত কুম্ভের সন্ধানে আলোর খোঁজে এই মাধুকরী ।যত ভালো লাগাতে আঁধারকে নিভিয়ে আলোকময় হয়ে ওঠা ।মনে আসে সেই ছেলেটিকে সে স্নাতকোত্তর বিদ্যাভাস করার পরেও বাধ্য হয় হকারি করতে কিন্তু ফিরে আসে অসম্ভব মেধা আর মনের জোরে,করে অধ্যাপনা, ছোট্ট হয়ে মেয়ের সাথে বাংলার পাখি চেনে চেনায় আদিঅন্তহীন ইতিহাস ।মন ভরে যায় । সেই মেয়েটি যে বিচ্ছিন্ন হয়েও তীব্র আবেগে ভালোবাসায় ফিরে পায় প্রিয়জনকে ।চিত্ত বিকশিত করে দয়াময় ।সেই পাগল যে জীবন দিয়ে সব ভুলে রবিঠাকুরে নিজেকে করে বিমোহন ।আর সেই মেয়েটি যে কত বড়ো আমলা তবু সে গোপালপ্রিয়া ।মধুময় এ জীবন । সেই পাগল যে কিনা সারা দুনিয়া ঘুরেও ফেরে , বাগবাজারের বাড়ির মেঝেতে শুয়ে শীতল হয় ।ভবসাগরে এতো শান্তি । পথ এগিয়ে চলে ।ঔ যে দুহিতা যে সন্তানের দুরে থাকার বেদনা ভোলে অসহায়  কত জীবনের আলোকবত্তিকা হয়ে উঠে ।মহামানবসাগর ।বিপুলাপৄথিবীতে ওই দেবী যে তার সৄষ্টিকে মনের মতো অপরূপ করে গোটা জীবনভোর জবাব দেয় বিশ্বাসহীনতার । এই জীবনে না পাওয়ার মাঝেও এতো এতো পাওয়া. ঝোলা যে ভরে উপচে ওঠে প্রভু ।

 বাউল একাদশী


কত দশক পারাপার,

কোথায় এসে ভিজে ইচ্ছেসব গোল পাকাচ্ছে,

মন্দ বারাণসী?


সাক্ষী পেটমোটা চাঁদ ,

 রোজদিনই তো ভেজাভিজি আষাঢ় ও বেঁচে,

খুকখুক কাশি।


মিঠা ঝুটা পদাবলী,

কানে কানে এই সত‍্যিটাই চিৎকারে বা নীরবে,

নিজেকেই ভালোবাসি।


ভয় হয় মানতে তবু,

অকারণ ঝরা রোদে পুড়ছে,শিকলগুলো গাইছে,

দর্পণে মুচকি হাসি।


হাতল ভাঙা চায়ের কাপ,

ছেঁড়া থলে কাছে কাছে অবিরাম ঘুর ঘুর চক্কর,

চলাটাই বাণভাসি।


দেয়ালগুলো ভাঙা চুরমার,

আধখানা চাঁদে আঁধার, দর্পন  অবয়বহীন প্রতিকৃতি,

তেলচিটে বালিশ উদাসী।


চোখ অস্পষ্ট কায়াহীন

এলোমেলো ওড়ে ভোকাট্টা,লাটাই ঠোঁটে গাঙচিল,

যাই নাহলে এইবার আসি?


যাই।

 দেয়ালগুলো ভেঙে হয় চুরমার,

আধখানা চাঁদে জাগে আঁধার।

দর্পনে কেন  অবয়বহীন প্রতিকৄতি,

তেলচিটে বালিশে বাঁচার আকুতি।

      ।জাগাটুকু থাকুক।

Tuesday, June 15, 2021

 জোনাকি

আশাগুলো কি আসে যায়ও কি 

কত পিদিম তো ইচ্ছেনদীতে ভাসে 

আলো আঁধারে কেউটে তার এলেবেলে বিষ ছড়ায় ।

বোকা ভবঘুরের সকাল বিকেল আর সবুজ রাত আকাশটাকে

সবুজ দুব্বোতে ভরিয়ে পাকদন্ডিতে পথ হারায় ।

কোঁচকায় চামড়া, শিরা ফুলে ওঠে,কালো সাদা ছবিটা

আরো কি নীল ?

কেরোসিনের ল্যাম্প জ্বলে নিভতে চায় ,

ফাঁদটা পাতাই তো আছে,সব মুখগুলো এক হয়ে যায় ।

জোনাকি হয়ে জীবনটা  জ্বলে নিভেও জ্বলে ।


ঝাপসা দুপুর আদুর গায়ে অবোধ ছেলে

হঠাৎ শিরশির করে কাঁদে দুখি মন ,

জোয়ারে ছোট ছোট ঝিনুক পরাণ

ভেসে যায় ধরে হারায় একমুঠো সুখ ।

Thursday, June 10, 2021

 তখন উদভ্রান্ত সকাল,

নিমের ফুল সবে শুরু করেছে বাতাসের সাথে টুকিখেলা,

আকাশের দিকে তাকাই,কি যে করি,কি যে চাই ?

মনের খবর মন কি জানে।

যখন সকলে অচেনা,

 পথ সবে হাঁটি হাঁটি,ভাঙা রোদ আর দুই চোখের মেঘলা,

বারে বারে চশমার কাঁচটাই মুছি,কোন ছবির কামনা?

মন যমুনা হারায় কোনখানে।

একলা বৃষ্টি কাঁদায়,

নিজেকে অমিলে সাথী,পরিজন,শুধুই নিরাশ্রয় ভেজা,

চোখের জলে এক আকাশ,কি চাওয়া এই অন্ধজীবন,

মাদল বাজে বুকের মাঝখানে।

কবিতা কেবল ডাকে,

কলম কত কিছু চায়,কালি যায় মরূভুমে মনমিলন অধরা,

বন্ধ সব দরজা,গাঁথা পাঁচিল,রূগ্ন চলন,কথন, ভুবনডাঙা,

দীর্ঘ নিঃশ্বাস বিষপানে।

একটা দ্বিতীয় জীবন,

এই পথ দুরে দুরে শালুক বনে শ্যাওলা অক্টোপাস প্রসারে,

ফুল ঘুমে, একটা মালা গাঁথার আকুল লিপ্সা, লবনাক্ত,

যদি কোথাও অন্যখানে।

দ্বিতীয় যদি পথশুরু,

মন যেখানে যেতে চায়, সেইখানেতে কল্প   বসতভুমি,

আকাশ মাটি গলাগলি, যদি তোমায় মায়াপথে মিলি,

স্বপ্নে জন্ম দেবযানে।






Monday, June 7, 2021

 একলা সকাল, একটুকরো আকাশ জুড়ে লেখা তাহাদের কথা,

যারা হাসে ,ভেসে বেড়ায়, লুকায় সযতনে হৃদঅন্তরের ব্যাথা।

 ।মুর্শেদী  অন্য সকাল।

Saturday, June 5, 2021

 পারছি কই


কেউ কি পারো,যদি পাও, দাও না আমায় একমুঠো অন্য ধরার খোঁজ,

যাই না চলে সব ছাড়িয়ে,ভুলভুলাইয়া, যে পথে যাই রোজের পরে রোজ।

নব্য যুবক আমায় বলে হে জরাশক্ত অন্য কিছু দেখো ,অন্য কিছু ভাবো,

মাঝ বয়েসে কাঁপ ধরিয়ে জীবন বলে তোমায় আমি অন্য ভুবন দেবো ।

চালসে চোখ,সেই যে কবে ছেড়ে এলাম আরশিনগর,  ভুবনডাঙার মাঠ,

 সেই পলাশবন ,সাহেববাগান ,লুকিয়ে চুরি , বাঁশীর সুর , বন্ধ আজ কপাট।

দে দৌড় দৌড়,মাঠ পেরিয়ে,গ্রাম ছাড়িয়ে ,শসার ক্ষেত,রেললাইনে কানপাতা,

কিশোর প্রেম পাঁকা কুলে,কুন্দফুলে স্বপ্নময় কতই যে আবেশ মনমালা গাঁথা।

স্কুল পালিয়ে, এদিক ওদিক ইচ্ছে পাগলামি, বায়োস্কোপের পর্দায় উকিঝুকি,

বাবার   গল্পগাথা,গুরুর শাসন,এখন তো জলতুলিতে শুধু সাদা ছবিই আঁকি।

সব পেরিয়ে মনসবুজ ,দিনেরশেষে নীর ভালবাসা অপার , মায়ের বুকে ঘুম,

কোথায় সেই প্রানের পরশ, শুন্য সবই, অন্ধ কলম ,রাত একা বড়োই নিঝুম ।

নিকষ কালো অন্ধকারে এখন শুধুই আঁধার কামনা, আঁধারমৄত্যু ভালোবাসি,

ডুবেই যাই বন্যাধারায়, প্রানের পরে কি যে হাতরাই ,জীবনটাই বানভাসি ।

মুখোস পরি , চলি ফিরি,  চিন্তন সে তো মৄত, রঙ্গমন্চে কেবলই  মিথ্যা অভিনয়,

কি পাইনি তারই হিসাব,সবই গরমিল ,অঙ্ক মেলেনা কেন যে ,শবদেহ  গদ্যময়।

নব্য যুবা প্রশ্ন তোমার , খোঁজ অন্তহীন, অচীন পাখী কোন গহিনে ,উত্তর অজানা,

ইতিকথা ঝরাপাতায়,ঘুরেই ফিরি ,কোথায় যে পাই হায় সেই সকালের ইচ্ছে ডানা।

জীবন পোড়ে ছাই হয়ে যায় উধাও আকাশনীল,নিরুদ্দেশে সুজনস্বজন  স্বপ্ন হৄদয়পুর,

পথ দেখাও দাও না দিশা, ভাবনা এখন বিগত যৌবন, সেই মধুপুর কোন সে সুদুর।

 নব্য যুবা কঠিন প্রশ্ন তোমার....

চলছি মৄতপ্রান বইছি দায়ভার

Wednesday, June 2, 2021

 সেই পুরোনো পথ । আবার সেই পথে মধুকর ।চলে থামা , থেমে খোজা ।

কত অচেনার ভিড়ে কিছু পুরোনো মুখ । 

ঝুলি ভরে ভালোবাসা কুড়িয়ে আবার এগিয়ে চলা । অতৃপ্ত নয়নে জীবনকে অনুভব করা ।

আমাকে প্রভু দ্বিতীয় জীবন দাও ।এতো ছোটো এক জীবন ,শুরুতেইতো শেষের বীণ বাজায়।

Tuesday, June 1, 2021

 স্বপন নিতান্তই অলীক তবু এই জীবনেই জ্বলে,

রাতের আঁধার সেও ভোরাই আলোতেই মেলে।


অথৈসাগর নাও ভাঙে, সম্বল তুমি হে পরমপ্রিয়,

পোড়ে সবই,নাথ তব প্রেমে মানব ভুবন ভরিও।

 ।সবুজে সকাল ।