দুগ্গাপথ
একটু শীতলতার চাহিদা,
একটু বেশী প্রবল হয়ে
ঘুম ভেঙে যায় ।
অবনী নামক মৄত মানুষটা
অন্ধকারেই পথে নেমে পড়ে ।
ল্যাম্পপোস্টের উজ্জ্বল
আলোয় আর আতসবাজির
ঝলকানিতে চোখ ধাঁধিয়ে যায় ,
এতো আলো, এতো আলো,
ঘরের দরজাটাও
বন্ধ করতে ভুলে যায় ।
পথ না কালসাপ কোন্ দিশা ?
কুকুরের দল সম্মিলিত
ঘেউ ঘেউ একটানা ,কি চায় ।
বার বার বারংবার ,হয়তো ছাদ।
ছেলেবেলার বোধনমায়ের দুগ্গাপথ,
কবে যে আসে ,কামনা সুতীব্র ।
নাকি সেই সাহেব মেমের অন্ধগলি,
পথগুলোর সেই যে লুকোচুরি
ইস্কুলের ভাঙা পাঁচিল,ততোধিক
বুড়ো সাইকেল দৌড় উদ্দাম,
সত্যম শিবম্, খোঁজ খোঁজ প্রেমপথ ।
দিশেহারা দিকহারা অশ্র্রুনদী
হাজারদুয়ারী স্বপ্ন পাগল অন্তরাগ্রাম ।
সুনীল সাগরে যে নীরাকে
দেখেছিল ,যার প্রেম করেছিল
আকুল ,মনে পড়ে যায় ।
জ্যোৎস্না বনকে তীব্র
আলিঙ্গনে চায় অমানিশার কালপুরুষ ।
আগুন পাহাড় জ্বলে
দেশ কাল সময় পেরিয়ে ।
পথহারা অবনী কি পাবে
খুঁজে পাবে ঘরে ফেরার ঠিকানা ।
বন্যা মহাসিন্ধু জুড়ে,
রাগ ঝিন্ঝোটি
তুই থাক সাথে,
মধুবন্তী নয় অন্য জীবনে,
৭০বা ১৭ কিংবা ২০১৮
উলঙ্গ জীবনের সময়কালমাত্র।
আঁধারপথ তো একই রকম
অসমমনে অলীক স্বপ্নমরিচীকা ।
অবনী গোলকধাঁধায় ।
বড় ক্লান্তি এতটা পথ
দুগ্গা একটু আকাশ,
একটু বায়ু দিও, না বোলোনা ।
অবয়বহীন হতে বড়ো সাধ জাগে
অথবা নিরাভরণ শিশু বাউল ।
নদের চর,পথের শেষ ,
আমিত্বর আধার চিরে
ছোট্ট কুটির
যতটুকু বেঁচে মরা,
সতত দুগ্গাময়,
এমন আকুলকরা
বিদায় বেলায় আকাশ মাগো
তোমার সেই দুগ্গা দুগ্গা ।
হবে কি ফেরা অমৄতলোকে
জীবন ভরে মাধুকরীতে ।
ক্লীবঅবনী ভেবে এতরাতে বোঝে
দুগ্গাই সহায় আর
শীতলতাই একমাত্র অক্সিজেন ।