একটুকরো ভালোবাসা আর কয়েকটুকরো মন্দবাসা,
জীবনগান বাজে তার আপন সুরে,নিকট কিংবা দুরে।
দিন পর দিন পথ চলা অন্তহীন, প্রেমঅপ্রেমের কোলাজ,
ধ্বংসের মাঝেই নবপ্রানের নবসৄষ্টি প্রতিপলে প্রতিভোরে।
দহিত সময়কাল, রিক্ত উদ্বাস্তু পথ,
মৃত্যু অমৃতময়, আকন্ঠ লড়াইশপথ।
আকন্ঠ তৃষ্ণা, কানাগলি, কারাগার,
হিমায়িত মন, চতুদেওয়াল রূদ্ধদ্বার।
বন্ধ্যাচর, ইচ্ছে নৌকো সাগরলোহিতে,
পিছু হটছি,হারছি,ভাসছি করালশ্রোতে।
আজ,কাল গত বা আগামী কৃষ্ণসঙ্গম,
ধুকপুক অন্ধবুক,জীবনগাড়ি ঝমঝম্।
উন্মাদ দুটি চোখ, আগুন উত্তাপ খোঁজ,
নিশ্চিত বন গহণ,দুখের নিভৃত বোঝ।
ঝরতি মেলা পিদিম মনোহারী ,ক্লান্ত রথ,
চরৈবতি,জীয়নবাতি,আকন্ঠ লড়াইশপথ।
লড়াইশপথ।
অবোধ্য
মৄত্যু উপত্যকায় মহামিছিলে সামিল সব্বাই,
একের পর এক তালসারি ,একলা বট পা টলমল।
ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরিতে পিদিম জ্বলে লেলিহান,পথ
খোঁজে লাভাশ্রোত,তোমায় প্রেমআলিঙ্গন অমোঘ
রে, ভালোবাসাপাতাগুলান বট ছেড়ে ধুলিমায়ায়।
আকাশঘরে ন্যাড়া লাভাস্নান, অনিবার অপলক
সময় কোন্ জ্যোৎস্নাবনে শীতকালীন রাগজলসায়।
অক্ষমকান্না তীব্রউত্তাপে পুড়ে ছাই, নিরালম্ব বট,
যক্ষারোগও মুক্তি পায় আদিম লালসায় সুনিবিঢ়।
মাথাবটে তারাগুলোর ঝরে পড়া আঁধার উল্কাপাত,
কতশত বছর রবিবাউল গানভেলায় নদীউড়ান।
বটের শিরা উপশিরায় সুতীব্র মাইগ্রেণ অপেক্ষায়
মদির অমর মরন। শুধু মরু দুগ্গাঝড়ে বিদায় শীতলতা।
লাভা বন্যাপ্লাবন আত্মা জাগে কোথাও নবরুপে ।
ইস্টিশন মা
প্রতিদিনই দেখা হয়,যখন দৌড়,
যদি পালায় সোনারপুর লোকাল।
পাগলিটা পয়সা নেয়না, দেখতে
পেলেই এককাপ চায়ের সওয়াল।
পাগলের সংজ্ঞা সেটা কি তোমার জানা ?
এতো নোংরা ছেড়া ছবি তবু
যখন চায়ের কাপটা ধরাই,
মা মা গন্ধটা এতো মিঠে
শরীর জুড়াই মন,বুক ভরাই ।
পাগলের মতো আছে কি তোমার ইচ্ছেডানা ?
নিমতলায় কেনা সশ্তায় কোট,
শীতলতা প্রতিরোধক,পুরো কালো।
উস্কো খুস্কো পাকা বেশী কাঁচা কম
মুখ ঢাকে মুখোশে এতো আলো ।
পাগলের কি তোমার মুখোসের দরকার পড়েনা ?
দেওয়ার আগেই পাগলীর হাতে
গরম চা দিয়েছে আজ অন্য কেউ।
আমায় বলে তুই হয়েছিস পুরো ভদ্রলোক,
মুখভরা তার অমলিন হাসির ঢেউ।
পাগলীরে কেন তোর মতো রে হাসতে পারিনা ?
ঘরভোলা ঘর হারায় দিন দিন,
অনিমেষ অহরহ অবুঝ শীতলতা ।
অসীমে অক্লান্ত চলন, দেশ অচীন,
মৌডুংড়ী ইচ্ছে বসত চুপ চুপকথা।
পাগলীমা কেন রে বল্ পালিয়ে হারাই উথালকান্না ?
তোর কোলেই আমি ঝাপাই করিসনে করিসনে মানা।
আলোর খোঁজে অন্ধ বাউল
ইচ্ছা যায়, আলো আর অন্ধকার যায় হাতে হাত,যবনিকা আড়ালে,একা কুশীলব,মাছিটাই কেবল আদর করতে থাকে ,মাথায় ,পায়ে , বুকে, ভিতরে।
আলগা হয় মন।
পথ যায়,গাছ,পাখি,বন ধীর পায়ে এগিয়ে যায়,ডুব দেয় ক্লান্ত নদীর বুকে, অরণ্য বলে হয়েছে সময়,এবার এক দ্বিধা হীন সঙ্গম মরু অরণ্যে।
নেভা আগুন মন।
দরজা খোলে,বাতাস বলে এসো ,এসো, চিলতে আশা কোন সকালে দিয়েছে উড়ান,পায়ে পায়ে অন্যান্য দহন গুছিয়ে রেখে অসহায় কালপুরুষ।
সমাধির অন্তে মন।
মাছিটা কাছেই থাকে,মাথার ভিতরে জমে থাকা পচা আবর্জনা মাঝে চলতে থাকে অন্য মাধুকরী, জনশুন্য চোমাথায়,মাছি,সে আর ভাঙা চেয়ার।
হালকা হাসে মন।
রাত আসে,চিলেচাঁদকোঠায় জ্যোৎস্না বান ভাসায়,চরাচরে নীরবতার গান , অতীত,বর্তমান মুখোমুখি বসে,অনন্ত সমুদ্র ভরিয়ে দেয় দেহনাভী।
নির্বাপনে শায়িত মন।