জীবন ভর রঙের খোজ পাই বা পেয়ে হারাই,
স্বপ্ন দিয়েই গাথা মালা ,অথৈ গাঙ নাও ভাসাই।
দোল তো কদমতলায় পুর্নচন্দ্রমায়
হঠাৎ কথাটা কানে ধাক্কা মারল সজোরে
“বোকা ,তুই আগে বুঝে আয়”,কোথা থেকে ?
সারা দিন কাটে মানুষের মন খুঁজে অর্থহীন,
কত যে মন কত তার রকমফের ভাঙাগড়া,
পুতুলনাচের এই ইতি কথার শেষ যে শুরুতেই
বুঝতে পারি কই ?
যে পথগুলো ক্লান্ত বিরক্ত শুকিয়ে যায়,মরামনটা
কত সহস্র বছর সেই আদিকাল হতে,একপা দুপা
পৄথিবীকে করি অনন্তধর্ষিতা ,দেবকন্যার রক্তেই
আবির লাল,সুন্দর হাসিমুখে ভরা বুকে,এবসন্তে
পারিনা চাইনা অক্ষম সঙ্গমে মাফ করবেন
বোকাটা বুঝতেই পারেনা ।
মনন চিন্তন সভ্যতার পতন চলছে রাত অন্ধকার
সেতো জাগছেই, অন্দরমহলে উন্মুক্ত প্রান্তরে ,আসমান নামে এই বন্ধ্যা জমিনে, গোপন পাপ,যদি পাপবোধ বেঁচে থাকে বারে বারে পচা ধাপার ডাস্টবিন এই পিচকারির ফাগধারায় ,হোলি তো হ্যায় জরুর হ্যায়
বোকা কিছুই বুঝিসনা।
পুজো সেতো সুভোগে নিজেকেই, বিজ্ঞাপন সেতো
আমারই ,আমি বিনা কর্মে , চলনে বলনে লেখনে
গতি নাই নাই শুধু নিজেরই গান গাই যতক্ষন শ্বাস
একটা কালো পর্দা কিনে দাও আকাশ ঢাকি,চাঁদ তুই কেন? বুঝতে পারিনা ।
চল বোকা মরে আর একবার জন্মাই বুঝেই আসি,
দেবকন্যা কিন্তু ইশ্বরকে সব সত্যি সত্যি বলে দেবে,
তার আগে “বোকা আমি, আগেই বুঝে আসি”যদি পারি ।
বসে পড়লাম,খোলা উঠোনে,মাটি তো অনেক যোজন দুর,পাথুরে আস্বাদ, সকালআলোর কর্মনাশা রং মিলান্তি।
বস্তা গমের,বাছতে থাকি নুড়িপাথর,অভাবঅনাহার,পাই যদি সুখরুটির উপকরণ,বসন্ত ফাগুনের একপশলা দিন।
আবহমান, আগুনগুলো বৃষ্টির মতো, সমাপতন কিয়েভ থেকে আমার সুখপুর,গা বাঁচিয়ে নিরাপদ রক্তপলাশ।
ভিখারিটার একটা পা কাটা, অবলীলায় উঠোন ডিঙিয়ে,হয়তো ওই দেশে মানুষ ভালোবাসার কাঁথা বোনে।
সজনে ফুলে রক্তের ছাপ, সহজ শিকার ,একের পর আরেক, ছন্দবদ্ধ কাব্যযাপন সাথে দু-একটি দীর্ঘশ্বাস।
নিরুপায় বিকেল আসে, আওয়াজ কমে ধীরলয়ে,কি যায় আসে, বেড়িয়ে পড়ি,প্রেম কুড়াই,ভরে যায় শ্রান্ত আঁজলা।
কলকাতার ফুটপাথ ভিড় করে বেপথু রুদ্রপলাশ,
বিদ্রোহী,হে মানবী তুমি কথা কও,জ্বালাও ঝরাপাতা,এ দেশে জীবন চিতা সাজাও শিমুলের।
রুইতন কিংম্বা ইস্কাবন যাই হও না তুমি দরকার তো শুধু এককাঠি দেশলাই। কুড়ুলটায় চকচকে ধার,মানুষ কাটা নিতান্তই কাজ এলেবেলে।
মলের ক্যাফেটেরিয়ার কৌচে বসে কফিতে চুম্বন দিতে দিতে প্রতিক্ষার কিছুটা সময়,আমি নবরুপে। মৃদু ভলিউমে বিঠোফেন বা সাম্যের গান।
সুর্য উত্তাপ দাও আগুন চাই ঝলসানো,নৌটঙ্কি বৃন্দাবনে,দোল খেলব কুতুবমিনারের মাথায়, অট্টহাসি ছড়িয়ে দেব গলিতে,মহল্লায় , ভালোবাসায়।
কথামানবমানবী ডুব দাও চৌরাসিয়ায়।
অমৄত কুম্ভের সন্ধানে আলোর খোঁজে এই মধুকরের কালপুরুষ হয়ে কেঁদে ফেরা হে পিতা । আঁধার আকাশ বড়ো আপণ করে নেয় । না বলা কত কথা আগল খুলে একলা বলা । নিজের পাপ, অন্যায় ,অক্ষমতার একান্ত স্বীকারোক্তি । প্রভু করুণাধারায় আমাকে ধুইয়ে দাও,সিক্ত করো.রিক্ত করো,আমাকে সুতীব্র বেদনা দাও ।আঘাতে আঘাতে আমাকে রক্তাক্ত করো । রক্তের রঙ যে এতো কালো ।মায়ের বুকের ওম নিয়ে চিরনিদ্রায় অনন্ত স্বপণে সব কুড়ির ফুল হয়ে ওঠা দেখার বড়ো সাধ হে জীবনবল্লভ ।এই সৌমসুন্দর অন্ধকার আমায় আবৄত করো।পরমপ্রিয়া পুজ্যা দুর্গা আমার ভালোবাসা আমার দুগ্গা হয়ে আমাকে তোমাতে চিররুদ্ধ করো। তোমাতেই আমার পুজা এই কালপুরুষের আত্মনিবেদন। পৄথিবী ফুটে উঠুক বহ্মকমলে।সব বন্ধন ছিড়ে অন্তরগ্লানি মুছিয়ে দাও, চিরঅন্ধকার দেখার অনিমেষ নয়ন দাও কৄষ্নময় পাপবিদ্ধ এই কালপুরুষকে, নাথ হে ।
হৃদি ভেসে ভাসায়
নীরা তোমায় সুনীলে পাগলে যে পাগলামি
আমিও সেই ভেলায় ভাসলাম ডুবসাঁতারে
আকাশগঙ্গায় দুচোখে।
কিশোর চোখ ইশারায় আজও এই নীলনদী
পথের হোঁচটে , জীবনের কোন আবছা আলোয়
পাগলহাসিতে কানে কানে।
ঘামে ভেজা শিমুল পলাশে রাতভোর জেগে
যে পদাবলী ঝরঝর ঝরে পড়া শুকতারায়
সুর্যমুখীর সুখবসন্তবিলাপে।
তোমার হাসিতে হাজারদুয়ারী এখনও কালাহান্ডির
কন্দমুলের ঝলসানিতে একান্ত তপ্ত উত্তাপে আহা.
নির্জনতম তীব্র তৄষায়।
তুমি হাসছ?
সুখ অসুখের গভীর আলোকমালায় তোমায় যে গান,
শুনছ তো স্টেশন ভীড়েও বুড়োকুলীর ভাঙামাথায়
বোবা কান্নায় বেহাগে ।
নীরা তোমাকেই ভালেবেসে,এই মনপান্থনিবাসে
প্রিয় আঁধার আবেশে আকন্ঠে হৃদি ভেসে ভাসায়,
ভালোবেসে ভালোবাসায়,
আলোখেলায় বা সাঁঝবেলায়,মৃত্যুপ্রতিক্ষায় ।
আজকের দিনে ভাষা , ভালোবাসা, জীবন, পথচলা সব একাকার হয়ে যায়।
রবি বাউলের তাসের দেশের রূইতন,চিরীতন,ইস্কাবন আর আজকের আমি তুমি।চলি বলি, লুকিয়ে ছবিও আঁকি।
অন্তরাম পাঠশালা,শিখি কত যে কিছু।প্রশ্ন নিষেধ।নিজে বারবার নিজের কানটা কষে মুলি। আরামকেদারা এসে সোহাগ করে।
রেলগাড়ির বসা বেন্চের চারনম্বরী যাত্রী,এই গেরাম থেকে ওই গেরাম,হড়কে এগোই। আমোদিত হাততালি খাসা লেখা।
বস্তা ভর্তি পুঁথি,গুজি মূখে ,জমা হয় কোন এক জায়গায়,ফুলে ফেঁপে ওঠে।আলো ভরা বর্ধিতমান মধুজীবন।
চলা শুরু শিশু ভোলানাথে একা উজানশ্রোতে,
অথৈ গহনে মাধুকরী না বিকিকিনি, খুঁজে ফেরা ।
আলোতে আঁধার,আধাঁরে আলো, প্রেম ন হন্যতে
যুগ,সময়.কাল,ফিরে ফিরে দেখা বাসন্তী ধ্রুবতারা।
সত্য শিবসুন্দরে নাথ হে তুমি যে ঔ আকাশরথে,
উষা জাগে নবরবি কিরণে সে কোন্ মন মধুবন্তী রাগে।
শেষ নেই পথের,বন্ধনহারা বয়ে চলা,রহো রহো সাথে,
তব ভালোবাসায় এই পান্থ হৄদমাঝারে যেন জীবন জাগে।
একে একে বন্ধন ছিড়ে এগিয়ে যায় পথ, বন,দহিত চিন্তন।আগুন তবু জ্বলতেই থাকে ধিকি ধিকি। স্তব্ধ বাতাস ডাকে, আমন্ত্রণ আঁকড়ে ঝরা পাতা সঙ্গ নেয়। উড়ান অনিশ্চিতে।নেড়া ধানের মাঠে ইতিউতি উকি মারে কাঁটা খেজুর।বসত কোথায়? তালসারি মৃদু হেসে বলে ওঠে,ওরে সবুজ তুই জাগ নয়নতারায়। কুয়াশা নেমে আসে মরাদিঘীর ঘোলাজলে। পানকৌড়ির জলডুব সাঁতার, বৃত্ত আবৃত।বুলবুলি ঝাপসা চোখ কচলাতে থাকে।পথের লাল মোরাম এখনও গভীর ঘুমে।শালমহুলের ফিসফিস, গুনগুন। আঁধার আলোর বেহিসাবি মিলন।পরশু,কাল আর আজ।শালিক,চড়ুই বিচ্ছিন্ন বসবাস।
সকালের ঘুম ভাঙ্গে।
সমে জাগে চরাচর। জেগে ওঠা বালুচরের আঁকে বাঁকে মায়ামৃদঙ্গের জলছবি।
অমৃত আলোয় আলোকময় ইচ্ছেপাহাড়।
তুলতুলি
বুলবুলি তুই ভুল ভুলালি
বাসন্তীকা মনের ক্ষেতে।
ছোট্ট পায়ে আদুল গায়ে
সজনে সবুজ দিনে রাতে।
পাগলী হাসি বৃষ্টি বাঁশি
ভুবন ভরে আলতো হাতে।
হৃদয় দোলে গোলাপ গালে
মধুর পরশ তোর ছোঁয়াতে ।
পাগল বাউল বড়োই আকুল
জাগে কান্না হাসি স্বপনেতে।
পেতেম যদি ইচ্ছে নদী
লুকোচুরি তোতে আমাতে।
আলো ছায়া আবছা মায়া
আয় না এই জীবন জুড়াতে।
হোক না স্বপন তবুও শাওন
মায়ামৃদঙ্গে পাড়ি যে দুগ্গাপথে।