Saturday, April 30, 2022

 ভালো মেখো

বৈশাখী বনে মনপলাশিতে তির তির শির শির

ভেসে বেড়ায়,দুচোখ ভেজায় পাতা ঝরার গান ।

সকলি হারায় , দেবালয় ভাঙে সাথে ভঙ্গুর বন্ধন

অন্তর কুঠুরীতে তবু হৄদয় বলে ভালো থেকো ।


পাতা খুলে যায় , পরতে পরতে জাগে এক দুই 

কোন সে যুগান্তর ।

আরশি আঁধারে নিজেই অনভি্প্রেত।

রোদনে বসন্তবিলাপ.খুকুমনির তরলআলতায় রঙিন গোধুলি আলোয় পদাবলীতে মধুবন্তী সুরে সেধো ।


একলা নিশি নিকষ সুতীব্র আলিঙ্গনে একাকার,

প্রভাত আর সাঁঝবেলার রুপকথার তৄপ্ত সঙ্গম।

পুর্নচন্দ্রের বন্যা ধারায় উপচে পাগল দশ্বাসমেধ ঘাট,

ভাটার টানেও আরতি স্তবে গাঙ্গেয় মননে জেগো ।


বাসাবাড়ির পলেস্তারায় খসে খসে পড়ে অসংযমী

ক্লান্ত সম্ভোগের আর্তিআাকুলতা,বাঁশী ভেঙ্গে বাজে।

ফেলে আসা মনে রক্তকরবীবনে গহনে নন্দিনের 

ক্ষ্যাপা খোঁজা।

স্বপ্নের পুনঃজন্মকালে সাথেই রেখো ।


আগুনপাখি জ্যোৎস্না অঝোরে আবেগ হয়ে ঝরে.

শতেক ইচ্ছা নামাবলী গায় টালমাটাল শালুকমন

আগল খোলে ।বেদনে অন্তর সাজায় বলে অসংলগ্তায়

ভালো থেকো ,ভালোই থেকো .ভালোতে ভালো মেখো।

 আমরাও বাঁচি


রোদেলা বিকেল,অনেক অনেক পথ পেরিয়ে

গ্রাম ছাড়িয়ে দুচোখ ভরে তুই আকাশপানে।

পার হয়ে গেলো একটি দুটি কতক  জীবন ,

তুই কি সেই আগের মতো আছিস, বহমান,

অনর্গল ।পায়ে হাতে ছুয়ে পাই তো শুধুই অশ্রুপাথর ।

তুই কি ওরে পাগলপারা ইছামতী ?


চাঁদেলা সাঁঝবেলা ফিসফিস কানে কানে, দে দৌড় 

দে দৌড়,একটুখানি অন্য ভুবনে আপন সুরে ,সব

হারিয়ে বকুলব্যাথা,কুল যে ভাঙে উথাল ঢেউ কষ্নকলি ।

ওই যে হোথায় ঔ সুদূরে বৄষ্টি রাঙা স্বপ্ন চর আবছা

নিথর, সব ভেসে যায়, তবু জাগতে চায় পাইন হাওয়ায় ।

তুমি নয় তো সেই বিদ্যাধরী ?


একেলা আকাশ,ছোট্ট ডিঙি, ঠায় দাড়িয়ে,কিসের খোঁজ?

আঁধার নামে,ওকুল কাঁদে,নাও ভাসায়ে ভাসা মন ।

বৈঠা হাতে ,সে হাত কাঁপে, অথৈ মাঝে ভাটিয়ালি,

খোঁজের খোঁজ, চোখের জল, ডুব সাঁতারে অমুল্যধন ।

এত শিকলেও বাঁধন টুটে আপন ধারায় অগাধ অশেষ

মরেও বাঁচিস ,অমৄতপানে শীর্ণ কোপাই ।


সরস্বতী জেগে ওঠ ,কানা নদী বয়ে চল আপন সুরে

জ্যোৎস্না ধারায় নেচে নেচে গেয়ে চল নিজের সুরে

নদী তুই জাগ , বেঁচে থাক আপন ধারায় মরিসনা ,

দিন কাল সময় বর্তমানে ভবিষ্যতে মেলে ধর ইচ্ছেডানা ,

নদী তোর অবলম্বনে আমরাও বাঁচি ।

Tuesday, April 26, 2022

 জনগহনের সবুজে কত অবুঝ মন।কথার মালা এতো নীরবে সরব ।পাগল সেই ভিড় ঠেলে মরা ন্যাড়া ফ্যাকাশে গাছটার তলায় বসে বসে একলা ভাবে ।তুলসীর মঞ্চটা কোথায় যে হারিয়ে গেলো ,ভাঙ্গা প্রদীপটা পড়েই আছে ।কতদিন দেখেনি পিদিমের আলোয় মায়ের ভালোবাসা ।চলতে শুরু করে অচেনা পথে ।এলোমেলো ঘুমে আকাশের কোলে গাছের সার ।মা যে কোথায় লুকিয়ে ,কতদিন যে মেলামিলি অমিল ।পথ তুমি কি মিলিয়ে হারাবে ।

 পুড়ছে জীবন, পুড়ছে ভেজা কান্না

অন্ধ আকাশজুড়ে স্বপ্নদহন, আকাশহোলি খেলছি।বুলডোজার পথ গুলো দুমড়ে মুচড়ে,

ইচ্ছেগুলো  মারছি।


কানামাছি ভোঁ ভোঁ, আজ আমি ,কাল

তুমি,ঝরাপাতায় দাবানল,জ্বলছি।


গ্যাঙর গ্যাঙ নিশির ডাকে মুখোশগুলো ছিড়ছি।


সাপলুডো যে খেলাটা এতদিন ...এখন খামারবাড়ি

খড়বিচালি নিয়মমতো খাচ্ছি।কামারশালায় হাপর ছেড়া,মরাপাথরেই কাস্তে আমি গড়ছি।মিডাস রাজা তোমার ছোঁয়ায় নতুন ধরা গড়ছি।


পরিযায়ী ঠোঁট কোথায় তুমি, আমি ঐ আকাশে আগুন হয়ে উড়ছি আর পুড়ছি। নতুন ধরা গড়ছি।

Monday, April 25, 2022

 আলোতে আধার আধারে আলো, জীবনের অথৈ গহনে খুজে ফেরা ।

যুগ সময় কাল ফিরে দেখা বয়ে চলা শেষ নেই পথের ।ঘুনপোকা  কামড়ায় ।

মন পোড়ে অঝোরে ঝড়ে ।

Saturday, April 23, 2022

 জ্বলছে,জতুগৃহ, পুড়ছে শাওন,নিভছে নয়ন অশ্রুপথ,

বধ‍্যভুমি, প্রভু তোমায় নমি,ঔ আকাশে তব পুন‍্য্যরথ।

ভেজাস্বপ্নে আবছাআলো ইচ্ছেচড়ুই ধুসর চিত্রন,

একটুকরো আরেকটু জীবন আরও কিছুক্ষণ।

স্তব্ধ দিন   নতুন সকাল আরবার অমৄতসন্ধান,

মনমাধুকরী আর কেবলই অন্তর অবলোকন।


 

Friday, April 22, 2022

 অনিমেষ ভোর , আঁধার অমানিশা তবু অক্লান্ত,

পথ খালি লুকোচুরি খেলে,মনন সে দিকভ্রান্ত।


কিসের খোঁজ কেনর খোঁজ হেথা হোথা ইতিউতি,

দর্পনে শুধু আবছায়া , কেবলই অর্থহীন চরৈবতি।


সব চরিত্র স্থির, আমি আমরা যে যেখানে দাঁড়িয়ে,

অন্তরনাথ  দুয়ারে আজ মহাকালের বাঁশি বাজিয়ে।


আজকাল সকালগুলো নোনতা, বিস্বাদ,

হারায় সমতল,ডাকে গহিন নিথর খাদ।

Tuesday, April 19, 2022

 প্রখর তপনতাপে মনন চিন্তন সহজিয়ার মেঠো সুর কোথায় যে ভেসে যায় ।নিজেকে আলোকেরবৃত্তে ধরে রাখার কি কঠিন সংগ্রাম । পলাশ শিমুল করবী আর তো চোখে পড়েনা । সবাইতো মুখোসের আড়ালে।একটু যদি বাউল মন অসুর থেকে সুরে ছাতিমের আদরে একটু শীতলপাটির কোমল ছোয়ায় নিজেকে ভেজাতে পারতো ।

 একলা আধার আকাশ জুড়ে নাথ হে তুমি,

কত কথা কানে কানে উন্মুক্ত হৄদিবাতায়ন ।

মুখোশ টেনে ছিড়ি,প্রিয়তম তোমারেই নমি,

উতল হাওয়া,অধরা অশেষ, অনিমেষ নয়ন।

 

Sunday, April 17, 2022

 দেখা হয়েছিল, সাবধানে এড়িয়ে যে যার পরিচিত পথে।

দিনের আলো শেষে নেমেছিল লাজুক সন্ধ্যা, চুপচাপ ন্যাড়া আকাশে।

কেমন আছো? অবশ্যই এর থেকে অবান্তর প্রশ্ন আর হয়না, আমার সকলেই নিজের বৃত্তপথ নিস্কন্টক করার 

Saturday, April 16, 2022

 পথের শেষ কোথায় ,পাগল মন কেইবা জানে,

উজানে না ভাটায় , নাও ভাসাই  কোন পানে।

পদ্মদিঘীর গহিন টানে মন জাগে সে কোন ভোরে,

অমলতাসে মিলতে চায়, পরাণ কান্দে মেঘমল্লারে ।

কালচক্র অনন্ত অব্যয়,দিন আসে দিন যায়

জীবন জুড়ে যত অনুভব মেশে ঝরাপাতায়।


              


Thursday, April 14, 2022

 শুধু যাওয়া আর আসা ।জীবন সময় কাল ।সহজে জটিলে জটিলে সহজে বেচে থাকার মানে খোঁজা ।বিদায়ে আবাহনের গান ।ভেসে চলে জীবন ।

           হৃদয়ে দূরগামী ব্যথার মাঝে   ঘুম ভেঙ্গে যায় , সব আগল খোলা ।মাধবীলতা তার সুবাসে মনে পড়িয়ে দেয় কত মোহন বাশিঁর সুর । শুভকামনা শুভচিন্তনের মালা গাঁথার গান ভেসে আসে  । শহরবাউলমন জাগে কাঁদে ।

চড়কগাছ সেজে ওঠে,ঢাকের বোল মন ভিজিয়ে দেয়,নাথ হে দাও একটু শুভ্রমন, মাধুকরীতেই টিকে থাকুক অমৃতপথচলা আর দিকভোলা।

 আজ চৈতি হাওয়ায় আমার জানালায় নিমফুল তার শাখায় শাখায় হেসে হেসে ভালোবেসে ফিসফিস করে জানান দিয়ে যাচ্ছে নতুনের আগমনী গান । লেবু ফুলের গন্ধে আমোদিত পাগলমন।একলা টলোমলো পায়ে যে মাধুকরীর শুরু আজও নব নব পথে মানবসাগরে বহমান তৄষ্না নিবারণের অন্তহীন আকাঙ্খায় বহমান ।আজ নীড়ে ফেরার গান,ঝরা পাতার গান মনকে বড়ো ভিজিয়ে দিচ্ছে,কাঁদিয়ে দিচ্ছে ।জীবনভোর কিসের খোঁজ,কেন যে এই পথ চলা ? নিজেকে চিনতে চিনতেই তো প্রদীপের তেল শেষ হয়ে যায় ।এতো মায়া এই ভুবনজুড়ে। মানুষতো একে একে সব্বাইকে ছেড়ে কেবল নিজের জন্যই বাঁচে ।ছোট আর কিশোরবেলায় এমনকি কিছুটা বড়োবেলায়ও তো মায়ের গন্ধ ছাড়া তো ঘুম আসতো না  । এখন কিন্তু দিব্যি টিকে আছি ।সেই সব সাথী যাদের ছেড়ে দিন কাটতো না সময়ের বাদলধারায় তাদের ছেড়ে পথ এগিয়েই চলেছে ।দুটো ভাতের দানার জন্য কি অর্থহীন কুৎসিত লড়াই । আজ আছি কাল নেই তবু তবুও ।জান্তব লালসা কত ফুল যে অকালে ঝরায় । কোন প্রাণ যে ফেরাতে পারিনা, এতো এতো অসহায় ।  সততা ,ভালোবাসা ঝরে পড়ে,আঁধারে হারায় । যে মায়ামৄদঙ্গ মন মাতাল করে দেয় সেই সুরও কোন সুদুরে কোন অস্তাচলে মিলায় ।তবুও যে পথে হাজার বছর আগে কোনো পাগল হেঁটেছিল আজ হাঁটে এই শহর বাউল ,একলা হাতে একা একতারা, কোন্ সুরে যে বাজে ।কাল হাঁটবে অন্য কেউ ।জীবনে কত পাপ, কত অন্যায়,কত ভুল এ জীবনে একটা ভালোমানুষ হওয়া হলোনা। কোনও কোনও পল আসে , যখন ফিরে দেখা ছাড়া কিছুই করার থাকেনা ।তবু স্বপ্নমন ইচ্ছেডানায় ভর করে ইতিউতি কেবলই ঘোরে সে কোন মধুমরীচিকায়, একে তো “BLOCK” করা যায়না ।

সবেরই তো একটা বিরতি বা অন্ত আছে । আজ চৈত্রশেষে এই “WALL” এ নিজের ঢাক নিজে পেটানোর জন্য একটু মাফ চেয়ে নেওয়া। নতুন বাংলা বছরে সব্বাই ভালো থাকুন ।এই ভিজে অন্ধকারে আপনারা সবাই জেগে একটু ঘরে ঘরে দুর্গাদের আপনকথামালায় বাঁচতে দিন ।ঘরে ঘরে অপু দুর্গারা প্রস্ফুটিত হোক,বিকশিত হোক । সব অন্ধকার কেটে যাক, জেগে উঠুক নব প্রাণ।  আমি একটু আমার দুগ্গার পুজোর মন্ত্রোউচ্চারনে নিজেকে ভেজাই ।সওদাগর নাও ভাসাও , ওই কুল যে ডাকে ।

 ।।শুভ নববর্ষ।।

Tuesday, April 12, 2022

 কেউ মনে রাখে না।

ঠিক যেমন পরের পর সময় খসে পড়ে, সব হাত দুরে দুরে সরে যায়, পাশে দাঁড়াই,পিছু চলি ,অথচ তীব্র অপরিচিততা। ভীষন ইচ্ছে করে আঁকড়ে ধরি,শুধোই, তুমি কি আগের মতো মনবাতাসী গাছের ছায়া হয়েই আছো?

জানি গভীর জঙ্গল চারিদিক থেকে তোমায় রেখেছে ঘিরে,অতীব যত্নে অথবা নিতান্তই জৈবিক চাহিদায়। ভীষন ইচ্ছে করে তোমার বাতাসী ওম নিয়ে তপ্ত বা তৃপ্ত হয়ে জিগাসি,আগের মতো তুমি কি ফাগুন হয়ে বাঁচো?

Monday, April 11, 2022

 অব্যক্ত কথামালা


সুর্য মধ্যগগনে স্থিত, আরেকটু সঠিকভাবে

বলতে গেলে মনে হয় হেলছে পশ্চিমপানে ।

উন্মুক্ত প্রান্তর, একলা দাড়িয়ে চারিদিক শুন্য

কোথাও কোনোখানে কেউ নেই,আকাশটাও

বড়ো একলা ।


মেঘ নেই ,বাতাস বড়ো শুকনো ,সবইতো দহিত

ঝলসে পুড়ে খাক হয়ে যাচ্ছে ।একলাই দাড়িয়ে 

নির্জনতম কান্নাগুলো শুধুই বাস্পায়িত, সেই 

মেঠো মন আগুন হাওয়ায়  সেই পাহাড়ের খোঁজে

আগলখোলা ।


সেই ন্যাংটা ছেলেটা টলোমলো পায়ে সেই গাছটা

খুঁজছিল, যেটা সে নিজের হাতে লাগিয়েছিল ,যাতে

আবার টলোমলো পায়ে একটু আরাম করে যখন  চিতায়

শুতে যাবে তখন যেন কাঠের অভাব না হয় একেবারেই

উড়ানখাটোলা ।


সব শীতলতাই তো একটু আমোদিত রোদ্দুর ফিরে ফিরে

চায়,কিন্তু  যে একলা দাড়িয়ে অন্তহীন উন্মুক্ত প্রান্তরে ,

 জেগে আছেতো ? খানিক আগে তো পালিয়ে মহুয়াবনে 

আজলা ভরে মহুয়াফুল গন্ধে আস্বাদনে, ফিরতে তো হবেই

অণ্নিমধুশালা ।


চিল শকুনের দল উড়ছে ,ঠুকরে খাচ্ছে সততা,বিশ্বাস,

তীব্র দাবদাহে পবিত্র প্রত্যাশাহীন নীরব অনুভুতি গুলো

আড়াল খুঁজছে,তীব্রতর না মনে হয় তীব্রতম না পাওয়ার

অনন্ত কাব্যবিলাস। একলাই দাড়িয়ে পথভ্রষ্ট কেউ নেই ,

অব্যক্ত কথামালা ।

 চলো যন্ত্রমতে


 মৃত্যুর চোখেও জল আসে, স্তব্ধ নিম বনে বাউল গান,


একলাই মুখোমুখি একটি বুলেট,আমি তো গাঁথি মালা।


আগুন পোড়ায় আমানির সাদা ভাত,ভ্রূণ স্বপ্ন দেখে,


কাল সোহাগে আজ বিকেলে কবন্ধ হাটে দুলকি চালে।


অন্ধ যুগ,নিরূত্তাপ আকাশে ওড়ে এক ক্লান্ত প্রজাপতি,


তুমি আমি,কৃষ্ন উপত্যকা জুড়ে নিবিড় কঙ্কাল সমাবেশ।


শব্দশব সারি সারি উৎপাদন ও তালমদিরা উৎসবনির্বাপন।


শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে ভদকাচুম্বন আর আবাহন বিপ্লবের।


ন্যাঙটা ইঁদুরের দলের কুটে কুটে খাওয়া চেতনা, আস্ফালন,


 দরজা জানালা বন্ধ রেখে নিলামে  ভদ্রাসন ও অভদ্রাসন।


দিন যায় দিন আসে ,রোয়া জমিন

 ,সবুজ মরে দীর্ঘশ্বাসে।

 শিমুল আজ নাচেনা বা ভ্রান্ত বিলাসে অচেনা,

অপরূপ রূপমধুরিমায় সবুজ আজ সম্পুর্না।

Sunday, April 10, 2022

 শিমুল আজ না চেনা বা ভ্রান্ত বিলাসে অচেনা,

অপরূপ রূপমধুরিমায় সবুজ আজ সম্পুর্না।

 আজ উদয়বেলায় পাগল মনভরে গল্পমেলায় ভরে ছিল করবীতে অতসীতো কতদিন আসেনা ।কতযে কথামালা । হাসনুহানা মত্ত হলো তালভঙ্গতায় ।নীরব ভোরের ঘুম ভাঙ্গিয়ে পাগলের কানে এলো ঢাকের আওয়াজ ।চড়কের ঝাপ শুরুর সুর ।আজ রাজা হবে ফকির ফকির রাজা ।জীবনের আরেকটা পাতা ঝরার দিন এলো যে ।মাধুকরীতে আজ সারা দিন কাটে মানুষের মন খুজে কত যে মন কত তার রকমফের ।মনপাগল দিনের বিদায়ে যখন আকাশের তারাদের খুজতে বসে ভরাচাদ,পুণি্মায় ভরাযৌবনের গানে তাকে ভিজিয়ে দেয় ভরিয়ে দেয় জীবন এতো যাতনাবিধুর । পাগল আরো পাগলামিতে নিজেকে ভরিয়ে তোলে ।মনপাখি ভোলে তার উড়ান ।

 বিশ্বাস, রাখি সযতনে,

 আধারে আলো তুমি পারিজাত।

যেও না থেকো কাছে,

হৃদয় মাঝে ,,আসুক না যত আঘাত।


Friday, April 8, 2022

 জিনে কে লিয়ে জড়ুড়ৎ হ্যায় হিম্মৎ কি,মরনেকে লিয়ে কৌই এক বাহানা।

চলনেকে লিয়ে জড়ুড়ৎ হ্যায় রাস্তে কি, গিরনেকে লিয়ে না কোই নজরানা।


পাগলী তুই এলোমেলো, আকাশগঙ্গায় ভৈরবী,

ডুবছি .কাঁদছি অমৃতসুখে ,ভিজে হৃদিজলছবি।

জাগছি  . গলছি ,হারিয়ে যাচ্ছে আমার সবই।


“The winds blow…

The lightning’s fall

The space overflows.


আবর্ত আগুপিছু,জ্যোৎস্না খেলা করে ক্লান্ত মাঠে,গাব্বুখেলায় ফিকে হয় লাল স্বপ্ন,সবকটা জানালায় শিক আঁকড়ে ধরা মনকোলাজ। মৃতদেহটি আবেগহীন চোখদুটো মুঠিহাতে ধরে, এগিয়ে চলে এক পা,দুইপা, দিনে আর রাতে,মুখ আর মুখোশের বেলাগাম প্রেমগাথা।


Thursday, April 7, 2022

 রাতসোহাগ

মৃত্যুকে রাখি ঢেকে , মদির আবছায়ায়,


  মায়া মরিচীকা,  ছেড়াজীবনের চাঁদর,


টুকরো টুকরো কাপড়ে মোড়া গড়াভাঙায়


রঙিন বেপথু আলখাল্লা , কেমন ওস্তাগর?


কত দিন কত বছর যে লাগে মৃত্যুর খুন


লাশকাটা ঘরে ,পোড়া স্বপ্ন আর ক্লান্ত স্বাধীনতা।


দম দেওয়া পুতুল বন্ধ শ্বাস,চলে ফেরে,ভাসে,


আরামকেদারায় চুমুকে অনাহারের ছেঁড়া খাতা।


বিপন্ন বিপ্লবআগুন মহাসিন্ধুর গভীরে অতলে,


দীর্ঘায়ু কাপুরুষে জাগে ক্লীব সুশীতল কামনা।


এলো ধানমাঠে সুযৌবন আড়মোড়া ভাঙে


এটো চা,ভাগে বিড়ি,পুড়ছে মুখোশ , কালোকান্না।


চাইনা চাইনা,ভরপেট ঘুম চাই উদোম বটতলায় 

অবসন্ন একলা চড়াই উৎরাই।

 আগুনের একেবারে মাঝখানে  এসে দাড়ালে

আর আগুন লাগে না ।

মাঝসমুদ্রে জল খেলা করে

ঢেউ পাগলামো ভোলে মাঝিকে ছাড়েনা  ।

আগুনের মাঝে দাঁরিয়েছে  যে জন....সে যে নিখাদ সোনা.... 

মেঘলা দিনের একলা মাঝি বড়ই আনমনা....

Monday, April 4, 2022

 পাখি ডাকুক, ফুল ফুটুক,ওরে আমার

মোমজোছনা থাকো তুমি আরেকটু কাছে।

কানে কানে আপন মনে এই পাগলের

অনেককথা  বেদনব‍্যাথা বলার আছে।



 আমার উঠোন ভরে আঁধার ঝরে পড়ে অন্তরে,

সুখতারা তুই আয়রে কাছে থাকিসনা ঔ সুদুরে ।

মনের মেলায় মায়ার খেলায় পরাণভরে গল্প করি,

হৄদকাননে মধুপবনে বেয়েই চলি অমৄত স্বপনতরী।

  

Sunday, April 3, 2022

 আদুল গায়ে একলা পাহাড়, ডাকছে সিদ্দত, আলুথালু নারী,উড়ানে কৃষ্নমেঘভেলা। বিষন্ন পুরুষ ছবি আঁকে পাহাড় জুড়ে। ভাঙনের নাও নিরাপদ স্বপ্নগূলো ছড়ায়,বৃদ্ধজমিন, ফসলের আশা শিকড়ের সন্ধানে,রুদালীতে আসমান।

আদুল পাহাড়মুলে দুটি চারটি পলাশ শিউলির মুখোমুখি, কিসের লড়াই? পশুপতির‌ ঝুড়ি, , হরেক আনাজ,ভন্ড পুরুষ আঁকা ছবি ছিড়ছে।কাল আর আজ ,দুরত্ব  হাজার যোজন,একটি ঢোড়া সাপ আলপথে নিশ্চিত মরণের ওম নিচ্ছে।

নারী , পুরুষ আর আদুল পাহাড় ভিজছে।শিকল ছেড়া গান বাঁধছে ভোলা নদী  ,একফালি শীতলকুচি ঘাট আদুল পাহাড়ে সুর্য ডোবা রঙ। পচা মানুষের  মেহফিল, বৃহন্নলা চৈত্র শেষে আভরণের আচ্ছাদনে।

এক অবয়বে সবকটা এপিটাফ।

 বসত

অনেক সাধে গড়েছি ঘর আপনার

এক দেওয়ালে ইচ্ছানদী,আরেকধারে

ছোট্ট আকাশ,স্বপ্ন পাহাড় অন্যপানে,

বাকিটাতো দরজা জানালা মিলেমিশে 

সব একাকার ।


মনভেলাতে ভেসে বেড়াই,হেথায় হোথায়

যেথায় খুশি ।আপন সুরে আপন

ভোরে নিজেই কাঁদি, ইচ্ছে হলে খানিক

হাসি ।আঘাত,বেদনা,যাতনা সবইতো

অরুপ অলংকার ।


ঘরের মাঝে গহিনবন সে মায়াকানন,

আশাতরু যে গল্পগাথে অতসীতে আর

মাধবীলতায়।স্বপনমুলে ,সুখশাখে ওই

আলোছায়ায় আঁধারতলে বাজাই

বাঁশী চৌরাসিয়ার ।


সবুজ সুরে গাই যে গান নীরার

কথায়,নয়নতারায় ।দুগ্গা আরাধনা ,

উপাসনায় আহা পরম ভালোবাসায়।

শিউলিপ্রেম আবিরে ,দখিনা সমীরে

খোলা হৄদয়দুয়ার ।


বাউলানী ঐ মাধুকরীর মোমজোছনা

লুকিয়ে রাখি অন্তরগৄহকোণে।পথ চলি

দিক ভুলি তবু নীরে ফিরি ।মেঘবালিকা

চিত্ত ভেজায় চুপকথায়,শহরবাউল একাই

আকুল ছিন্নতার ।