Wednesday, June 29, 2022

 দুটি দুঃখি মানুষ মুখোমুখি,ভাঙা টেবিলের এক আর দুই কোন, হাতের ছোঁয়ায় একটু ভালোবাসার অন্যসন্ধান, নষ্ট হবার কঠিন লাজুকভয়।

দুরে দুরে সরে যায় আলো আর অন্ধকারের খেলা লূকোচুরি, কারণ আর অকারণের ডাকাডাকি , আকাশ জুড়ে অসময়ের মায়ামৃদঙ্গ।

পাহাড়ভরা কথামালা, দুচোখের নীলজলে বলা হয়ে যায়,বড়ো ইচ্ছে জাগে সকাল হবার,পিছুটানের আগল দীর্ঘ মনপাগল তালসারী।

ঝরাপাতার আদুরীছোয়ায় ওরা  অকল্প মালা গাঁথে ,ঘরঘর পাখার শব্দে বাসর সেজে ওঠে আর চিতায় ধিকিধিকি  অনন্তসঙ্গম।

ঠিক বেঠিকের জটিল অংক শালুকজলের মতো টলমলে,ঘুমহারা চোখের কোনে পাথর জমে,আগামীকালের অপেক্ষা।

একঝলক বিদ্যুৎএর আন্দোলন,,একটা ধাক্কা,এক মানব কেঁপে ওঠে,শীত লাগে,একাই,পা টলমল,চলে নিরালম্ব জমিনে মিশিয়ে দেয় বেয়াকুব হৃদপিন্ড কাঁপতেই থাকে, মৃত্যুর খোঁজ।

অন্য মানুষ দৌড়ে ফেরে,সশব্দে আগল বন্ধ করে, কাঁদে বা অন্য আকাশ হাসে,যোগ,বিয়োগ, পরিনতির হিসেব কষে,বাতাস থেমে যায়।

কাল হয়তো বা সব মুছে যাবে।



Sunday, June 26, 2022

 অনেক দিনের পরে আকাশচাঁদ আর মেঘের ফাঁকে একটু নয়নতারা,

ছোট্ট পরাণ হোথায় জাগুক, একটু কাঁপুক, হেসে হোকনা বেদন হারা।

            

Sunday, June 19, 2022

 বাসি মনরুটি ফুটিফাটা ,অগ্নিস্নান  বারংবার,

হয় না নরম সহজপাচ্য,তৎসহ সম্পুর্ন জীবানুমুক্ত।

সকাল সেতো প্রতিদিন আাসে ,পিন্ডদানে অন্তরগয়া,

অনবরত প্রতিষেধক তবু ঝরে,ঝরে পড়ে পুজরক্ত।

বুড়ো অন্ধ কাক সযতনে পালন করে  দেহ পরানে,

রোগটির নাম অর্থহীন লড়াই কিংবা আদুরী মধুমেহ ।

ইতিউতি চোখ পিটপিট,সব সবই  নিকষ কালো,

অন্তহীন খোঁজ, কোথায় মেলে আগলহীন শান্তি গেহ।

 ।সকালটাই কেবল অবধ্য্।

 অমৄত কুম্ভের সন্ধানে আলোর খোজে এই মাধুকরী ।যত ভালো লাগাতে আধারকে নিভিয়ে আলোকময় হয়ে ওঠা ।মনে আসে সেই ছেলেটিকে সে স্নাতকোত্তর বিদ্যাভাস করার পরেও বাধ্য হয় হকারি করতে কিন্তু ফিরে আসে করে অধ্যাপনা, ছোট্ট হয়ে মেয়ের সাথে বাংলার পাখি চেনে চেনায় আদিঅন্তহীন ইতিহাস ।মন ভরে যায় । সেই মেয়েটি যে বিচ্ছিন্ন হয়েও তীব্র আবেগে ভালোবাসায় ফিরে পায় প্রিয়জনকে ।চিত্ত বিকশিত করে দয়াময় ।সেই পাগল যে জীবন দিয়ে সব ভুলে রবিঠাকুরে নিজেকে করে বিমোহন ।আর সেই মেয়েটি যে কত বড়ো আমলা তবু সে গোপালপ্রিয়া ।মধুময় এ জীবন । সেই পাগল যে কিনা সারা দুনিয়া ঘুরেও ফেরে , বাগবাজারের বাড়ির মেঝেতে শুয়ে শীতল হয় ।ভবসাগরে এতো শান্তি । পথ এগিয়ে চলে ।ঔ যে দুহিতা যে সন্তানের দুরে থাকার বেদনা ভোলে অসহায়  কত জীবনের আলোকবত্তিকা হয়ে উঠে ।মহামানবসাগর ।বিপুলাপৄথিবীতে ওই দেবী যে তার সৄষ্টিকে মনের মতো অপরূপ করে গোটা জীবনভোর জবাব দেয় বিশ্বাসহীনতার । এই জীবনে না পাওয়ার মাঝেও এতো এতো পাওয়া. ঝোলা যে ভরে উপচে ওঠে প্রভু ।

Saturday, June 18, 2022

 বাউল একাদশী


কত দশক পারাপার,

কোথায় এসে ভিজে ইচ্ছেসব গোল পাকাচ্ছে,

মন্দ বারাণসী?


সাক্ষী পেটমোটা চাঁদ ,

 রোজদিনই তো ভেজাভিজি আষাঢ় ও বেঁচে,

খুকখুক কাশি।


মিঠা ঝুটা পদাবলী,

কানে কানে এই সত‍্যিটাই চিৎকারে বা নীরবে,

নিজেকেই ভালোবাসি।


ভয় হয় মানতে তবু,

অকারণ ঝরা রোদে পুড়ছে,শিকলগুলো গাইছে,

দর্পণে মুচকি হাসি।


হাতল ভাঙা চায়ের কাপ,

ছেঁড়া থলে কাছে কাছে অবিরাম ঘুর ঘুর চক্কর,

চলাটাই বাণভাসি।


দেয়ালগুলো ভাঙা চুরমার,

আধখানা চাঁদে আঁধার, দর্পন  অবয়বহীন প্রতিকৃতি,

তেলচিটে বালিশ উদাসী।


চোখ অস্পষ্ট কায়াহীন

এলোমেলো ওড়ে ভোকাট্টা,লাটাই ঠোঁটে গাঙচিল,

যাই নাহলে এইবার আসি?


যাই।

Wednesday, June 15, 2022

 জোনাকি

আশাগুলো কি আসে যায়ও কি 

কত পিদিম তো ইচ্ছেনদীতে ভাসে 

আলো আঁধারে কেউটে তার এলেবেলে বিষ ছড়ায় ।

বোকা ভবঘুরের সকাল বিকেল আর সবুজ রাত আকাশটাকে

সবুজ দুব্বোতে ভরিয়ে পাকদন্ডিতে পথ হারায় ।

কোঁচকায় চামড়া, শিরা ফুলে ওঠে,কালো সাদা ছবিটা

আরো কি নীল ?

কেরোসিনের ল্যাম্প জ্বলে নিভতে চায় ,

ফাঁদটা পাতাই তো আছে,সব মুখগুলো এক হয়ে যায় ।

জোনাকি হয়ে জীবনটা  জ্বলে নিভেও জ্বলে ।


ঝাপসা দুপুর আদুর গায়ে অবোধ ছেলে

হঠাৎ শিরশির করে কাঁদে দুখি মন ,

জোয়ারে ছোট ছোট ঝিনুক পরাণ

ভেসে যায় ধরে হারায় একমুঠো সুখ ।

Sunday, June 12, 2022

 জাগে অরণ্য,

হন্যতে কর্ণ।

জীয়ন নোঙর,

নিভছে বন্দর।

খেয়ালী বৃষ্টি,

ঝাপসা সৃষ্টি।

নিঝুম আকুতি,

অন্তের ইতি।

Tuesday, June 7, 2022

 একলা সকাল, একটুকরো আকাশ জুড়ে লেখা তাহাদের কথা,

যারা হাসে ,ভেসে বেড়ায়, লুকায় সযতনে হৃদঅন্তরের ব্যাথা।

Sunday, June 5, 2022

 পারছি কই


কেউ কি পারো,যদি পাও, দাও না আমায় একমুঠো অন্য ধরার খোঁজ,

যাই না চলে সব ছাড়িয়ে,ভুলভুলাইয়া, যে পথে যাই রোজের পরে রোজ।

নব্য যুবক আমায় বলে হে জরাশক্ত অন্য কিছু দেখো ,অন্য কিছু ভাবো,

মাঝ বয়েসে কাঁপ ধরিয়ে জীবন বলে তোমায় আমি অন্য ভুবন দেবো ।

চালসে চোখ,সেই যে কবে ছেড়ে এলাম আরশিনগর,  ভুবনডাঙার মাঠ,

 সেই পলাশবন ,সাহেববাগান ,লুকিয়ে চুরি , বাঁশীর সুর , বন্ধ আজ কপাট।

দে দৌড় দৌড়,মাঠ পেরিয়ে,গ্রাম ছাড়িয়ে ,শসার ক্ষেত,রেললাইনে কানপাতা,

কিশোর প্রেম পাঁকা কুলে,কুন্দফুলে স্বপ্নময় কতই যে আবেশ মনমালা গাঁথা।

স্কুল পালিয়ে, এদিক ওদিক ইচ্ছে পাগলামি, বায়োস্কোপের পর্দায় উকিঝুকি,

বাবার   গল্পগাথা,গুরুর শাসন,এখন তো জলতুলিতে শুধু সাদা ছবিই আঁকি।

সব পেরিয়ে মনসবুজ ,দিনেরশেষে নীর ভালবাসা অপার , মায়ের বুকে ঘুম,

কোথায় সেই প্রানের পরশ, শুন্য সবই, অন্ধ কলম ,রাত একা বড়োই নিঝুম ।

নিকষ কালো অন্ধকারে এখন শুধুই আঁধার কামনা, আঁধারমৄত্যু ভালোবাসি,

ডুবেই যাই বন্যাধারায়, প্রানের পরে কি যে হাতরাই ,জীবনটাই বানভাসি ।

মুখোস পরি , চলি ফিরি,  চিন্তন সে তো মৄত, রঙ্গমন্চে কেবলই  মিথ্যা অভিনয়,

কি পাইনি তারই হিসাব,সবই গরমিল ,অঙ্ক মেলেনা কেন যে ,শবদেহ  গদ্যময়।

নব্য যুবা প্রশ্ন তোমার , খোঁজ অন্তহীন, অচীন পাখী কোন গহিনে ,উত্তর অজানা,

ইতিকথা ঝরাপাতায়,ঘুরেই ফিরি ,কোথায় যে পাই হায় সেই সকালের ইচ্ছে ডানা।

জীবন পোড়ে ছাই হয়ে যায় উধাও আকাশনীল,নিরুদ্দেশে সুজনস্বজন  স্বপ্ন হৄদয়পুর,

পথ দেখাও দাও না দিশা, ভাবনা এখন বিগত যৌবন, সেই মধুপুর কোন সে সুদুর।

 নব্য যুবা কঠিন প্রশ্ন তোমার....

চলছি মৃতপ্রান বইছি দায়ভার

 উড়ানপাখা পুড়ছে,ফড়িঙ পাখা যৎকিঞ্চিৎ চলাচল,

বাড়িগুলো সব হাজার দুয়ারী,

Friday, June 3, 2022

 সেই পুরোনো পথ । আবার সেই পথে মধুকর ।

চলে থামা , থেমে খোজা ।

কত অচেনার ভিড়ে কিছু পুরোনো মুখ । 

ঝুলি ভরে ভালোবাসা কুড়িয়ে আবার এগিয়ে চলা । অতৃপ্ত নয়নে জীবনকে অনুভব করা ।

আমাকে প্রভু দ্বিতীয় জীবন দাও ।এতো ছোটো এক জীবন ,শুরুতেইতো শেষের বীণ বাজায়।

Wednesday, June 1, 2022

 স্বপন নিতান্তই অলীক তবু এই জীবনেই জ্বলে,

রাতের আঁধার সেও ভোরাই আলোতেই মেলে।


অথৈসাগর নাও ভাঙে, সম্বল তুমি হে পরমপ্রিয়,

পোড়ে সবই,নাথ তব প্রেমে মানব ভুবন ভরিও।