Friday, July 29, 2022

 বিজন ঘরে একলা ঝিঁঝিপোকার গান সব নীরবতা কোন সুরে মিলিয়ে দেয় । পথ চলতে চলতে এতো মানুষের সাথে আধো পরিচয় , সু আর কু অভিনয় । কত চেনা পথ বড়ো অচেনা বলে মনে হয় আবার অচেনা পথে হাঁটতে হাঁটতে মনে হয় এই পথে তো  কত বার এসেছি বসেছি শীতল ছায়ায় অপার মায়ায় । অবিরাম বারিধারায় প্রভু সব কালিমা মলিনতা ধুইয়ে দাও ।ছোট ছোট স্বপ্নেই তো জীবনের মালাগাঁথা,হাসিকান্নায় জীবনের কোলাজ ।ভুবনডাঙার মাঠে একলা শুয়ে আকাশ দেখা , একান্ত গোপন হৄদয়ের আশা ভালোবাসা দুঃখ বেদনা আকাশেই বিলিয়ে দেওয়া , আরো আরো বেঁচে থাকার , যে দিন যায় ফিরে পাবার কি আকুল আকুতি । বেলাশেষে গোধুলিবেলায় সময় তো হলো খেলাঘরের দুয়ার খোলার ।কতকিছু যা করার ছিল তা না করার অলসবিলাস ।মনে হয় এতো পথ পার হয়ে এসেও নবআনন্দে এই তো সবে শুরু পথচলা ।রাগ বিলাবলে কে যে নিখিল ভুবন ভরায়  ।।

দিন পর দিন যায়,পাখি কুলায় ফেরে। আঁধার ধীরে অধীরে আকাশ থেকে নেমে আসে ভাঙা দাওয়ায়। মুখোশ সব চারিদিকে উন্মাদ নৃত্যগ্রস্ত। নিরাপত্তাহীনতায় মুখোশের দল। আকাশকুঠিতে সাপলূডোর খেলা। দাওয়ায় গল্প জুড়তে আসে সোঁদা মাটি আর সবুজ হাসনুহানা। শত আঘাতেও জীবনের ভালোবাসায় অমৃত মধুকর।দুরের চাঁদ গহিন দিঘির হৃদমাঝারে আঁকে মনছবি।জোনাক আলোয় জারূল গাছে চড়ুইবাসায় দীপাবলি।মধুময়, অন্ধকারে আলো জাগে।চোখের জল মুছে যায় বারিধারায়।মাদুরে গা এলিয়ে দেয় স্নিগ্ধ মধুকর।বাউলবনে আলো আরো আলো। সাই গানে নিদ্রা জাগে। অনিমেষ শুভ্র পথ অনন্ত। আমোদিত শাওনে সত্য জাগরূক অমলে বিমলে  রূদ্ররথে।

অমর্ত্য স্বপ্ন।

এক আবর্ত,ঘোরা আর ফেরা,এই সজনে সবুজ গাছবেলা,ওই ভাঙাডিঙির থেমে চলা।নোঙর বাঁধা কালের অমোঘ সুতোয় কোন আবাহনে নিহত কাঠের পুতুল।তবু ক্লান্ত নদীর আকেবাকে স্বপ্নশালুক  বেঁচে ভেসে বেড়ায়।

এক আবর্ত,বলা যেতে পারে পশুখামারে চলাচল,মিছে কোলাহল।তারই মাঝে ফিনিক্স পাখির মতো  জীবন জাগে,ভাসে পানকৌড়ি আশায়।

রাত গহিন ,মোহন বাশি বাজে,

রুপে  অরুপে কৄষ্নকলি জাগে ।

 নয়নে মগনে  সঘনে সলাজে,

 ভুবন  উথালে মধুবন্তী বেহাগে।

  জীয়নকাঠির  কঠিনে সহজে,

  প্রানে অপ্রানে, অনন্ত আবেগে ।

  আবেশে আলোতে শ্রাবণ অবুঝে

  নতুনে জাগরনে আশায় সোহাগে,

  পরশে আকুলে  অমৃতঅনন্ত মাঝে

   মরনমাঝারে জীবন দহন ত্যাগে।

   ঝরে অঝোরে অঙ্কুরে  সবুজে

  মরণ মাঝারে তবু নবপ্রাণ জাগে।

 তারারা ডাকে চাঁদেলা আঁধারে

 মেঘেলা আকাশ ভোরের মধুরে ।

চোখদুটি ধিকি ধিকি  জ্বলে,এই মায়া এই আলোনয়নতারা ছেড়ে যাই কোথা। বাঁশী বেজে চলে বিরামহীন। মাথার মাঝে সব ঘুণপোকা একসাথে বিপ্লবের ফুটপাতে।


Thursday, July 28, 2022

 হৃদি ভিজে যায়

কান্নাগুলো আস্টেপিস্টে বাঁধে ,চলৎশক্তিহীন,

অন্যায় গুলো তান্ডবনৄত্যে, ভীষ্ম শরসজ্জ্যায়,

পৄথিবীটা এতটাই লবণাক্ত, লোহিতসাগর পায়ের তলায় ।


 

ত্রিমাত্রিক চরিত্রগুলি এত নীরব বেদনাহত, অক্ষম

জীবন তবু ধুকপুক, হৃদয় কি চোখের জলে ভেজে,

ইন্দ্রিয় সবকটা একসাথে  একসুরে সান্ধ্যকালীন কোমায় ।


অব্যক্ত বর্ণমালা, জাগতিক চলাফেরায় যান্ত্রিক পুনরাবৄত্তি,

চিত্রসৄষ্টিকল্প তো অপরিপুর্ন, বাধ্যতামুলক গণনা পাতা

ঝরায় ।মৄত্যু তিলে তিলে আজ অথবা কাল অনন্ত প্রতিক্ষায় ।


অনুভুতি সব আবদ্ধ কফিনে,চক্রব্যুহে আবদ্ধ অশ্বথ্থামা

আর শরসজ্জায়িত ভীষ্ম একাকার ।কিছুই কি করার নেই ?

বোবা কান্না গুমরে কাঁদে, সুরহীন অসীম একাকী  মন্দিরায় ।


জীবন আর মরন  তীব্র আলিঙ্গনে , টুকরো আকাশটা ছোট

হতে হতে জরাগ্রস্ত বিন্দুসীমা । ভুলভুলাইয়া জাগে অট্টহেসে,

ভালোবাসা তবু জাগে বেলাশেষে, তুমি, তোমায় , আকাশগঙ্গায় ।

Wednesday, July 27, 2022

 নয়নতারা

নয়নতারা নয়নতারা নয়নেরই তারা

তুমি তো অঝোর শ্রাবন ভালোবাসার প্লাবনধারা ।

কচি ঘাস সবুজ মুক্তোকণায় ভেজা ,

নয় প্রকাশে , অনুভবে ,নয় কলরবে

স্বপনে মধুভাসে নীরবে

জীবনে প্রতি পলে তুমি নীরা ।।

তুমি কোপাই আর তুমিই তো জলঢাকা

আজ উথালপাথাল আজ বেনিয়ম বাঁধনছেড়া

আপন ভুলে চিকমিক উথাল পাথাল  সবুজতারা

চোখের কোনে  ক্লান্তিকলস তবু লড়াই জীবনভোর  

দুগ্গা দুগ্গা তুমি তো দশভুজাই রাগ নটভৈরব ।

আপন ভুলে দুয়ার খুলে অবোধ অবনী পাগল

মনে তার শক্তিকবি কাঁদে, জাগায় সুবোধ

জাগে সুনীল, শঙ্খ বাজে

পাহাড় দিয়ে নদী কেনাই তবে হলো পাকা

নিয়নের আলোয় নয় কেরোসিনের ল্যাম্পে

অবুঝ সবুজ সবুজ ছবিই আঁকা ।

Tuesday, July 26, 2022

 অথৈ অতলে  দিন পর দিন  কেবলই তলিয়ে যাওয়া,

শুধু হেরে যাওয়া, মরনসাগরে  জীবনতরী বাওয়া ।

কেন বারবার  তবু কামনা ফেরার ,অবুঝ  মন বিহ্বল ,

ডোবে নাও,অক্ষম অব্যক্ত বন্যাধারায় আঁখি ছলছল।

চোখ তবু বেঁচে, কেঁপে কেঁপে ওঠে অনুভবে অমলতাস।

মরি বার বার নিমজ্জনে লাজহীন ঘোলাটে বিষনিশ্বাস।


।হায় মনমাঝি ,ডোবারই বাজি,হেরেই হারতে রাজি ।

Monday, July 25, 2022

 বাঁচি বা মরি কি আসে যায় , ক্ষতি কি তাতে , 

পৄথিবী  ক্লান্তিহীন , ঘুর্ণায়মান আপণ কক্ষপথে।

প্রশ্নের উত্তর মেলেনা, সাদাটে খালি সেই খাতা ,

অক্ষরগুলির উকিঝুকি ,অনর্থক চলমান স্তব্ধতা।

    

     সকাল কি যায় না আসে নিশা অবশেষে ?

Sunday, July 24, 2022

 হয়েছে সময়,নীল নেই, আকাশ আজ ঘোলাটে,

বাতাস থমকে তৃষ্নার্ত,আকন্ঠশুন্য এতপথ হেঁটে।  

ছেঁড়া চাটাই,বসে বা শুয়ে,একে একে সব চরিত্র অদৃশ্য,দাওয়ায় আর আসেনা গন্ধ  সোঁদা।

এতো পথ হেঁটে ফিরে আসি সেই ভাঙা স্বপ্নবিলাসে, আসলে নিজেকেই এপ্রিল ফুল,ত্যাগে সব আবরণ।

পাপের চাদর পারিনি ছাড়তে,মিশে গেছে  হৃদরক্তে,যতো বলি সাধুকথা মুখোশ হাসে  আকাশ উড়ানের শিমুল তুলোয়।

মাথার মাঝে অবিরাম আন্দোলন, ক্লান্ত ,দিকহারা,বুকভরা ধড়ফড়, অসহায় একা কান্না ভেজায় পথ।খালি শেষের গান ধাক্কা মারে।






Saturday, July 23, 2022

 ক্ষণে ক্ষণে সুতীব্র শুন্য ,অসীম ভরিয়ে তোলে 

সম্বল একফালি আকাশ নীল আর একতারা ।

পদপৄষ্ট অনুভুতিগুলিই  বারংবার পুনরাবৄত 

উত্তরের অক্ষম খোঁজ ,দংশন উদভ্রান্তপ্রাণহরা ।

        ।নিঘুম ও আকন্ঠ প্রশ্নচিহ্ন ।

Wednesday, July 20, 2022

 কাল রাত গহিনে চুপে চুপে বৄষ্টি হেসেছিলো,

আকাশ জুড়ে অপরুপে মধুর নিকষ কালো ।

গলে গলে কান্নাগুলো ভাসলো উড়ানভেলায়.

উঠোন  ভরলো জুই, বেলি আর হাসনুহানায় ।

বৄষ্টি তুই আবার এলি ,দিন ভোর ও আঁধাররাতে,

থাক কাছে,প্রানের মাঝে,ভিজি আয় দুজনাতে ।

      

Tuesday, July 19, 2022

 মেঘমলহার

অবনীর আজ রাগ মেঘমলহার

যে গাছে সে জল দিয়েছিলো ,খুব খুব ভালোবেসেছিলো

সেই চাঁপায় দুটো শ্বেত শুভ্র ফুল ,সুবাসে মাতাল অবনী ।

সুমনে ধারাস্নানে সিক্ত দেহ মন, এতো পাওয়ায়ও  কেন রিক্ত  ।

স্বপনেই তো জীবন ।

দিবসান্তে ঘন আধাঁরে রবি কিরণ হয় একাকার 

চায়ের দোকানে পেটরোগা বাচ্চা কুকুরের দল

বাঁচার লড়াই একটা বিস্কুট কিংবা দুটো

জানলাগুলোতো  বাইরে থেকে আটকে দিচ্ছে ওরা কারা

এই আঁধারে একটু আলো দাও ।

জলছবি, সবুজ আকাশ, তুলি আর ক্যানভাস

মন ভাসে দিন আসে রাত শেষে

জুঁইও ফুটেছে কত শত , বৄষ্টি অঝোরে ঝরে ঝরে

আকাশ আর মেঘবালিকার চিরন্তন প্রেমগাথা 

কাছে কতো তবু কতো দূরে ।

তোমরা একটু দরজা খুলতে দাও , দাও একমুঠো আকাশ

একটু বাঁচতে দাও অবনীকে,

একটাইতো জীবন , বাঁচিয়ে ভাসাও ।।

Monday, July 18, 2022

 মুক্ত অঙ্গনটি ঘিরে গড়ে উঠছে পাঁচিল,দীর্ঘতর থেকে আরেকটু দীর্ঘায়িত,

ওইখানেই কাগতাড়ুয়ার সমাধিস্থ করার আয়োজন মোটামুটি পন্জীকৄত ।

কফিন বন্দী করা হইতেছে উড়িবার কল্পডানা ,ভাসিবার মনপাখা ইত্যাদি ,

আাকাশ  ভুমিশয্যায়  ক্লান্ত হতোদ্যম , তবু অবুঝ আশা বৄষ্টি পড়ে একটু যদি । 

মৃত্যুউপত্যকায়  ছোট ছোট হৃদপিন্ডগুলির সমাবেশ দুরত্ব মেনে।নীল সকালটায় জীবনের অমৃত সোয়াদ।

ফ্যাতারুরা আকাশ বনে , উড়তেই থাকে, মোটামুটি চারিপাশ একগুঁয়ে কচুরিপানায় গেছে ভরে,পা ফেলার জায়গা নেই।

কে কোথায় যে দাঁড়াবে? স্বপ্নের কালঘুম শেষে আশাগুলো পথের মিছিলের গোলকধাঁধায়।

সমাজের মালিকানা স্বত্ব কার এই চিন্তায় মাথা হচ্ছে আরও সাদা।আপসের ছানি জমে দুই চোখে।



Sunday, July 17, 2022

 সজনে পাতা আরও সবুজ,বুড়ো হয়না আকাশ,একের এক পুরোনো ছবির কোলাজ, জীবনের কথা।মনে হয় এই তো সেদিন।জমে আছে কত অভিমান,কত কথা।এতো মানুষের ভিড়ে একান্তই একা চলা।


Thursday, July 14, 2022

 আমার তোমার ঘরের বাড়ি,

জাগছে রাজা,তার নজরদারি।

ভাঙছে রথ,চলার পথ ,উল্লাস,

নেভে আগুন,মনফাগুন, উদ্ভাস।

অন্ধ বন, বিভীষণ, আলগোছে,

বড্ড সুখ,মুখোস মুখ, ছোঁয়াচে।

বিলাসী বালা,গোরের মালা,ভাসে,

কানামাছি, মরে বাঁচি,রাজা হাসে।


Tuesday, July 12, 2022

 আকাশ জুড়ে আগুন জ্বলে ,অথৈ সাগর মুচকি হাসে আজ এই বেলাশেষে,

বায়ুবনে জাগছে ঝড়,স্বপ্ননীড় কাঁপছে থরথর কি জানি কোন তরাসে ।।

 ভোরাই আঁধার, লাঠির ঠক্ঠক,রাতপ্রহরীর বাঁশী ডাকে তফাৎ যাও, তফাৎ ষাও,

অনেক তো হলো, দিনাবসানে ডাকে অসীম কোন অকুল, মধু সওদাগর নাও ভাসাও।

 আলেয়ায় অন্যকাল

বাত্যমন একান্ত নির্জন, পাগল চিন্তন ,সুরে স্থবিরতা, পথ কিন্তু বৄত্তাকার ,

আপাদমস্তক মহাপ্লাবন,শঙ্খচিল,তটরেখা স্ত্রৈন উত্তাপে পায় শীতলতা ।

কফিনবন্দী গোলাপগুলো নিরুদ্দেশে কাঁটাগুলোর সাথে ঝগড়ার ব্যস্ততা,

শামুকজীবন উকিঝুকি ,বারবার ফিরে চাওয়া, অনন্ত লাল রক্ত রডোডেনড্রন ।


লেদমেশিন একই যান্ত্রিক ঘট্ঘট, অবদমনে  সুতীব্র অনাহার, তবুও কম্পমান

হৄদয়পিন্ড, অগ্রদানে মাথার ভিতর কেন্নো খোঁজ  চোরাগলি অনিমন্ত্রিত স্বপ্নসন্ধান

না স্বপ্নদহন. ধীর অথচ সুনিশ্চিত হেমলকে কালপুরুষের ছিন্ন কোমরবন্ধন.

স্মৄতিভষ্ট্র ধাপসিড়ি, দুর্বোধ্য বাক্যবিন্যাসে মোমজোছনায় চুম্বিত বিচ্ছিন্ন স্পর্শ অতল ।


সুদীর্ঘ অপরিচিত সহযাত্রিক অন্তপথ দিখন্ডিত,নিঝুমপাতার নৌকা নিতান্ত অপ্রয়োজনীয়

বিদায় সম্ভাসন ,মনহনণে নিঃশব্দ পুনরাবৄত্ত পরলৌকিক ক্রন্দিত উৎসব উদযাপনের

দীর্ঘ প্রস্তুতি, তবু বাধ্যতামুলক জীবনযাপন ।তবু রোদ্দুর আমোদিত সেই একই চেয়ারে

দৄষ্টি পুবে ও অন্য পশ্চিমে , জোনাকআলোয়  পুনঃশ্চ শেষরজনীর মহড়ার রুটিনমাফিক 

যবনিকাপতন।

তবু একটি জীবন বাঁচা ।

Sunday, July 10, 2022

 একতারা, তারটি তোমার কেন যায় ছিড়ে বারবার  ফিরে ফিরে  ?

জীবন ভোর এত পাপ, এত পদশ্খলন নিজেরে লুকাই কোন গভীরে ।

 একটু ভালো লাগা অনেকটা মন্দ লাগা নিয়ে এই জীবন ।সুখমন্দাকিনীর খোঁজে ছুটে চলা ।জীবনের আনন্দ হতাশার গোলকধাঁধায় ভালোবাসায় মায়ায় বিরাগে অনুরাগে মালা গাঁথা ।আকাশের অশ্রুধারায় হৄদয়কাননে প্রাণ ফেরে নব নব রুপে ।বারিধারায় নবসবুজে কৄষ্ণকলি জেগে ওঠে ।ও চাঁদ তুমি মেঘের আড়াল ঠেলে সরিয়ে একটু হাসোতো ।সব কালিমা ভুলে একটু জাগি অনেকটা বাঁচি । পান্চজন্য মৄত্যু নিনাদে নয় জীবনের জয়গানে নিজেকে এই মানবসাগরকে মন্দ্রিত করো ।

 লবনাক্ত জলঢেউ সামুদ্রিক, তটভুমিতে ঠাঁই খুঁজে ফেরে যুগযুগান্তর ।

মেলেনা, কেন চেষ্টা অবিরাম,কিসের খোঁজ অমৄতকুম্ভ না পরশপাথর ?

মনমরীচিকা চোখ ভিজে যায়……

Saturday, July 9, 2022

 বুড়োটা  নিজেকে লুকিয়ে রাখে, পাগলের মতো কি যেন খোঁজে। মুচকি হাসে এই সকাল থেকে পরের সকাল ,  বুড়োটা সেই খুঁজেই চলে।

বলতে চায় কলমি সুখ আর শালুক দুখের নিবিড় কথা।

Friday, July 8, 2022

 কালপুরুষেও উথাল পাথাল ঢেউ ,জীবনের রঙ কাছিম ঘোলাটে.

বিষ নিঃশ্বাস, জোনাকিও আলো হারায়. পাতা ঝরে শুকনো বটে।

মুখোশ গোটা দেহ মুখে ছাড়িসনা ,আকড়ে ধর জোরে শক্ত করে,

নবজীবন , রুপান্তরিত স্বপ্ন , জাগুক আপন পথে শুদ্ধ সত্য অন্তরে।

            যদি পারিস চোখটাকেও কর আবরিত. 

             দৄষ্টি  অভিশাপ. কান্না অতীব লবনাক্ত।

                     মঙ্গল শঙ্খে অমৄতপ্রান হাসে.

                     কালপুরুষ শামুক খোলসে।

                         ধৄতরাষ্টীয় জীবন,

                         অক্ষম অন্তরদহন।

                             ধারাশ্নান,

                             মৄতপ্রাণ।

 হৃদয় ভরে  মৄত্যুর সাথে জীবনের অমোঘ আলিঙ্গনে,

পান করি আবেশে , মধুর বড়ো নীল এই  দিনযাপন ।

   দিনরাতের সীমারেখা মুছে যায়।

 Miss very much the days of school ,college and every moments of Ballygunge Science College,Lucky getting back my old caring friends  through Facebook. Repent as there is no option of rewind in life.Miss the rocks, mountains,river, open sky, open mind of my friends in this mechanical life.Gradually becoming living fossil

Tuesday, July 5, 2022

 নিরাপত্তাহীনতায় ল্যম্পপোস্ট আলো ক্ষয়মান,

কোথা মেলে আবরিত এক আশ্রয়নিথর।

আনন্দ , বেদনা ,অপমান, একান্ত অহঙ্কার, 

,সবটুকু হারাই এসো প্রিয় হে কৄষ্নগহ্বর।


        । সকাল ও আসে রুটিনমাফিক।

Sunday, July 3, 2022

ভগ্নপ্রান মনদালান, বার্ধক্য জনিত স্মৄতিবিভ্রম,চেনা পথ এত নীরব অচেনা,

দিন আকাশেপানে দৄষ্টি খোজে বাতিঘর,চলৎশক্প্তিহীন প্রভু তোমা বিনা ।

          

 থাকে থাকে সারি সারি দুঃখ, আঘাত, বেদনা,একটু যন্ত্রনা ইত্যাদি ইত্যাদি

আরো আছে দু এক টুকরো ভালোবাসা বা সুখ জীবনগৄহে,তিরতির হৄদয়নদী ।

 

 অধরা মাধুরী


আকাশের নীলে আকাশের বাসায় ভুল তারা

ইচ্ছেমন মন্দাকিনীর খোজে আকাশগঙ্গায় দেয় 

ডুবসাতার ।

আর পাঁচু মন দিয়ে বাসন মাজে ,ঘর সাফ করে, 

বন্ধ করে খোলা জানালা উড়ে না যায়

 বন আর মনপাখি।

অচিনপুরের সবুজপাখি  দিক ভেসে হারায় অঝোর ধারায়

আগুনপাহাড় জ্বলে পোড়ায় পাতা ,পাইনবন, অন্ধমন খোঁজে মানসসরোবরে

বহ্মকমল ।

কি করে যে অবনী ভুলভুলাইয়ায় ঘুরে মরে

দরজাগুলো দমাস্ করে বন্ধ হয়ে যায় আলোআধারে কাঁদায় নিকসকালো

জীবনরেখা ।

তবু জীবন হাসে ।

রাত যায় দিন আসে ।

অধরা মাধুরী ।।

Friday, July 1, 2022

 অভ্যাসের দাসত্ব কিংবা  অভাবে ভেঙে জমা কান্নাপাহাড়,

উপায়ান্তরের বাধ্যত্ব অথবা আধারে রচিত নবসুরসম্ভার।

     

 একটি সুখী গোলগাল নিরুত্তাপ জীবনকবিতা


ভাবনাবিলাস-

হাসনুহানার গন্ধটা যেন প্রবল থেকে হয় প্রবলতর,

যেন মৄত্যুর আগে পুরোটাই ভিজতে পারি

ইশ্বর আমাকে একটু সময় দিও ,শেষবারের জন্য

শুয়ে বা বসে কফি খেতে খেতে একবার ভুলে যাওয়াটুকু

যা হয়তো হয়েছে এতটা বেশী বাঁচার জন্য,মনে করার প্রচেষ্টা ।


ভুলভুলাইয়া-

একটু ঢুকু ঢুকু একটু ওয়াইন, 

আমি তো শিওর আগাগোড়াই সোয়াইন ।

চোখে হ্যারিকেন জ্বলে,নয়নতারা আধাঁর চিরে 

ভেঙচি কাটে,  একলা ফ্যাতারু ফ্যাত ফ্যাত উড়ে 

ভুল মানুষের অরণ্য ,ওই পৄথিবী ।


ভাবনাবিলাস-

খোলা আকাশের নীচে হলে মন্দ হয়না, উত্তাপটা তো থাকবে,

যতটুকু পারবো চোখ মেলে ,দুগ্গা তোমার আলোয় যবনিকা পতন

টলমলে পায়ে যে স্বপ্নের খোঁজে অন্তরক্ষরণ, তারই বাস্তবের বোধন 

হাজার বা লক্ষ হয়তো আরো অনেক বছরের আদিম জীবনপথে

চেনা অচেনা পাওয়া বা বেশী পাওয়ার আবহমান ফল্গুধারায় ।


ভুলভুলাইয়া-

একলা পানকৌড়ি , সশ্তার চোলাই গহিন গঙ্গায় 

ডুব, ইতি উতি তাকায়, কি যে খুঁজে ফেরে,

পুরো পাঁকে ডুবসাঁতার , কাঁনাগলি,

যেদিকেই যাই ,পাতার পর পাতা ওল্টাই

ছানি দুটি চোখেই  শুধু লুকোচুরি ।


ভাবনাবিলাস-

দামোদর এপার ভাঙে গড়ে ওই পার ,কান্না গভীরতা বাড়ায়.

হন্যমান কালবেলা আগুন হয়ে জ্বলতে চায় দাসত্ব ভালোবাসার ।

চিতাটা যদি নদীপারেই সেজে ওঠে,শুয়ে জিরিয়ে নিয়ে

নদীর আলিঙ্গনে .ভাঙা হাটে সশ্তার বিকিকিনী ,অফুরাণ অবসর,

ভাটিয়ালী গানে তাল মদিরা কাল অন্য কেউ।


ভুলভুলাইয়া-

উজবুক জীবনে কিছুই তো ঠিক করে করতে অক্ষম,

ভদকায় ভরে মাঝবয়স নিশিকুটুম নিঘুম ।

ভন্ডামি ছাড়, তোর নেশা ভোর এক লহমায় ।

এতো ভিজেও গোটা মাতাল হতে পারলি কই?

খুঁজে ফেরা অমলতাসে সোনার রথ।


ভাবনাবিলাস-

সকাল থেকে রাতশেষ আমি জ্বলব, জ্বলে পুড়ে

মরবে আমার যত পাপ , সমস্ত ক্লীব নিঃশ্বাস, সময়

তো লাগবেই, পাপনাভিমুল কিছুতেই তো ছাই হতে চায় না।

ঝিনুকরঙা বায়বীয় আদুরে ছোয়ায় যন্ত্রনা মুলাধার সহ হবে

উৎপাটিত, উড়ব এদিক ওদিক অন্যভুবন ।


ভুলভুলাইয়া-

ভিখীরির বাচ্চা একটু টাকা ওড়া, হুইস্কিটা জম্পেস

সেই  ঝড়ে পড়া আাঁচলের মতো,

একঝটকায় ফুরতি কমপ্লিট ,পিচরাস্তায় গলাগলি,কিলবিল ,

পা দুটো এতো কাঁপে কেন রে ,হাতে ধর।

মনপাগল দারুবষ্হ্ম তরলতর।


ভাবনাবিলাস-

শেষ আবরণ টুকুও দান করে বা করতে বাধ্য হয়ে

রবিবাউল তোর গানে আমার চোখে দিস একটুকু

কান্না, চৌরাসিয়ার বাঁশীতে কানে অন্তত একবার 

রাগ মধুবন্তী, চাওয়ার তো শেষ অথৈ সামুদ্রিক বনলতায় ।

পিদিমের শেষ , তৈলাক্ত দপ্ করে নিভে জাগা।


ভুলভুলাইয়া-

আহাম্মক, নাটক তোর মনে নেই যেন ?

ঘর অন্ধকার, ছায়াছবি ঘরঘর ঘরঘর,

বিয়ারের বোতল নিমেষে একশেষ

চুঁবিয়ে ভেজা আকন্ঠ সাগরসঙ্গম ।

দেওয়াল পলেস্তরা খসে পড়ে কাছাকাছি ।


ভাবনাবিলাস-

নরম মোম সবুজ এবরোখেবরো আলপথে

তোকে ছুয়ে আমি একবার কেবল একবারের জন্য

ঝিমধরা ক্যানভাস হবো । কারা সব পাশ দিয়ে 

অথবা মাড়িয়ে দিয়ে এগিয়ে চলবে, নব জন্মাধার

হৄদয় নামক কল্পনাটি চলৎশক্তিহীন ।


ভুলভুলাইয়া-

জিন সুন্দরী  আমার,নেশা জমছে কই?

আহাম্মক, স্বপ্নটাইতো একলা জানলা ।

নরম শিমুল, চক্রব্যুহ,  তুলিকার উড্ডয়ন ,

একটু নেশা চড়াও নইলে বিষ দংশন ,

হিমশৈলচুড়া উত্তাপে গলনপিয়াসী ।


ভাবনাবিলাস-

আমার নদীটা.একান্তই আপনার সেই তো  

আজও বাঁচিয়ে রেখেছে,   শুকনো বুড়ো পাহাড়টাকে ।

তপ্ত দাবদাহ, বনতুলসীও শুকিয়ে মরে ।

আকাশটাই শুধু মাঝেমাঝে নেমে আসে, দুদন্ড দু এক কথার আদানপ্রদান এবং 

নদী হাজার ঝড় ঝাপটা সামলেও কখন যে ভিজিয়ে দেয় শীতল মায়ায়।


ভুলভুলাইয়া-

রামেই ওং শান্তি নম শিবায়,

ডুবে মর ,তাতেই সব মুস্কিল আসান ।

জীবনটাতো মরুভুমি বানিয়ে পুরো বেকার,

তার কাটা সেতারটাও তো অসুরে ছাড়লি ।

ঘুরে মরিস্ জাকারিয়া স্ট্রীটের নিঝুম বারবেলায় ।


ভাবনাবিলাস-

নর্দমার পচা কালো জলে কেন্নোর মত কিলবিলিয়ে এগিয়ে চলা,

মাড়িয়ে দিলে বৄত্তাকার, একান্ত সংকুচিত, তবু টিকে থাকার এক অপরিমেয়

অক্ষম প্রচেষ্টা। কিছুই সম্ভব নয়, নিজের সাথে নদীর তীব্র মিলে যাওয়া ব্যতিরেকে,

বোধ সেও তো আর কোন ভাবে কাজ করেনা ,চলতে চলতে এক ঝিমুনি জেগে

ওঠে, আঙুলগুলো সব থেতলে গেছে, কেন্নোর রক্ত  কি ফিকে লাল ? 


ভুলভুলাইয়া-

ব্র্যান্ডি খা থুড়ি পান কর,কোডারমায় পালা 

শালা নক্শাল,বিপ্লব সব কোন নদ্দমায় চটকাচটকি ।

ভুত নেই ,ভবিষ্যত নেই ,বোকা গরুর গাড়ির হেডলাইট,

তল্পি গোটা ,গলায় বিষ ঢাল, মর ,মর, মরে বাঁচ,  ।

আধো কুয়াশাতেই একটু লুকানো চুম্বন ।


ভুলভুলাইয়া ও  ভাবনাবিলাস-

দেখা হয়ে গেলো ,একটি দরজা মুখোমুখি দুজনায়

শক্তির খালি উদার গলায় রবিঠাকুরের মরণরে তুহু মম..

দামোদর এগিয়ে আসে,আকাশ চুপ, দুগ্গা দেবী না মানবী ?

তোমার চালিতে যদি একটু জায়গা , মরুভুমিতেও ঝরণাধারা,

অসম্ভবে ইলেকট্রিক শক্ ,অস্তমিত নেশা, যে চন্দনগাছটা ছোটবেলায়

নিজ হাতে রোপন ,তারই কাঠ, রক্ত ঝরছেই, ছায়াদুটি একাকার,

স্বপ্ন,সুচনা, মুচকি হাসে মৄত্যু, আশ্রয়হীন, কাঠের বেন্চিটাও ভাঙছে।

শির শির দখিনা হাওয়া, চিতায় শুয়ে বসে জীবনের গান, অমৄত

আমৄত্যু ভালোবাসা, তমসো মা ... কফি এককাপ এবং এবং একটি অর্থহীন

ক্যকটাসের নীলাভ সহমরণ বেপথু হাসনুহানায় ।