ঝরা পাতায় পথের ধুলায় , তবু নতুন করে ভাবি,
আঁকি আলো ,আশা আর ভালোবাসার জলছবি ।
আকাশ খুঁজি উদাসীন সবুজে,নিঃশ্বাসে কানামাছি,
বন্দীবৃত্তে আলগাবাতাস, তুমি আছো, আমি আছি।
সময় যে তুই কোথায় পালাস,কোন আকাশের নিরুদ্দেশে,
আমায় বুঝি গেছিস ভুলে ,সকাল বলে একটু হেসে ।
দুপুর ডাকে ,বিকেল ডাকে ,অঝোর সুরে অবুঝ ধারায়,
পাগল বাঁধা শীত আর তাপনিয়ন্ত্রিত ঘরের মায়ায় ।
সন্ধ্যা অকপট বলে একটু মিলি আয় আঁধার সাগরে,
ক্লান্ত আমি ,শ্রান্ত আমি ,দৌড়ে ফিরি আপণ নীড়ে ।
।।জীবন খাতায় আজ দিনশেষের প্রান্তসীমায় শুভরাত্রি ।।
অনুরনন
আসমান ঢেকে রাখা মিছিলের মহীরুহদল, আজ আর দেখা পাইনে,ছাল গেছে,ডাল গেছে, এমনকি মিহি সুরে সাজা পাতার দল তারাও।
বালির দল ঝড় তুলে দুই চোখে দেয় ঝাপটা, আগুন তার দৃষ্টি,মেকি মুখোশে দেয় টান,ছেড়ে , টুকরো টুকরো,রক্ত ঝরে,ঝরে পড়ে, আঁকড়ে ধরা স্বপ্ন উজান।
নোনা জলে বুক ভেজে,টেনে হিঁচড়ে দেহটাকে তক্তোপোসের এপাশ ওপাশ,তেলচিটে বালিসের বিদ্রুপ,হাসি মেশে ঘরজোড়া মৃতনদীর আকন্ঠে।
এসবের মাঝে কিছু বেসুরো পাগল একতারার ছেঁড়া তার সুরে বাঁধার শপথে, কাঁটা চাঁপার ঝোপে আশা ফুল ।ব্যারিকেড এ শব্দ অমোঘ বিস্ফোরণে।
হাজার বছর বুড়ো পাইনের আবছাপথে হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত সাদা খাতায় অদ্ভুত আঁকিবুঁকি হাই তুলে জানান দেয় একটি ঢোড়াসাপের প্রাণের স্পন্দন।
আলো হয় মৃদুতর,জীবনান্তরের গানে বাতাস যায় থেমে,ছায়াআবছায়া কেঁপে কেঁপে ওঠে,মৃগনাভি তার সুগন্ধে শেষবারের মতো মাতায় ভাঙামেলা।
হল্লায় আবোলতাবোল।
ইসরাত
রাত আঁধারে সাঁঝবেলায় ফুটলো ক্যাকটাসে ফুল সাদা ,
এতো সাদা এতো আলো ,রুপসাগরে মা তুমি ।
বেতো ঘোড়াটা তাই দেখি গড়িয়াহাটে ব্রিজের নীচে
বসে দাড়িয়ে বোড়ে দিয়েই রাজাকে করছে মাত ।
ইসরাত তুমি কেমন করে নাড়িয়ে কাঁপিয়ে দিলে,
জগদ্দল পাথরটা ,ভাঙাচোরা দুঃখগুলো,প্রতিদিনের মৄত্যুগুলো,
মায়ের আবাহনে কি সুরে তুমি ভরিয়ে নিলে ।
কৌশিকিতে রাত সবুজ অবুঝ জোয়ারে ভাঙলে অচলায়তন ।
রেসের মাঠে আজ তো মখমলে ঘাসের আদুরে চাদর,
মনখোলা বাণভাসি দেবশিশু যখন মাকে মায়ায় ভরে বাঁধছে,
বুড়ো পেটমোটা মনিটারে লেখাগুলো যখন একেবারেই ঝাপসা,
অন্ধকার মন এই ভাঙা মসজিদের দালানে দাড়িয়ে,
অন্ধকার মন তোকে তালাক,তালাক,তালাক ।
এক্রোপলিস মল থেকে উদয়ন
এক্রোপলিস, সামনে বট,
অদ্ভুতুরে চিলতে চিত্রপট ।
রঙবেরঙের মোহিনী মায়া
মনের কি আছে যে ছায়া ?
আকাশ ঝরে ঝিরি ঝিরি,
পথ যে এগোয় তারাতারি ।
উল্টোদিকে ডাকে চিনি কম
ফুটপাথেই পুরি ,আলুর দম ।
ভিজেই দিনশেষে সবুজ পাখি
ভাঙা ফোনেই জলছবি আঁকি ।
একলা পথে বন্ধ বেপথু খাম,
কিইবা আছে কোন সে নাম ।
সেকেন্ড ওয়াইফ দাড়িয়ে ডাকে
বিরিয়ানির গন্ধ মিলছে নাকে ।
ঝোপের মাঝেই হাসে নয়নতারা,
কোন সে ডাক, হৃদি আকুলকরা ।
মুখ ঢেকে দেয় ধুসর ইচ্ছে ধোঁয়া
রমনী তুমি কি সে নিঝুম কায়া।
ভালোবাসার বেকুব ব্যাকআপ,
মাথায় ভিড়ে জমে বালুচর চাপ ।
হঠাৎ পথে কাঁধেহাত,সোমেশদাদা,
কবিতা আমার একা ঘুমিয়ে কাদা ।
অনেক বছর পরে খুঁজে পেলাম,পথের দুপাশে তাকিয়ে একটু চলে একটু থেমে ছোট ভাঙাফোনে লেখা।
এক্রোপলিস মল থেকে উদয়ন
এক্রোপলিস সামনে বট,
অদ্ভুতুরে এক চিত্রপট ।
রঙবেরঙের মোহিনী মায়া
মনের কি আছে ছায়া ?
আকাশ ঝরে ঝিরি ঝিরি,
পথ যে এগোয় তারাতারি ।
উল্টোদিকে চিনি কম
ফুটপাথেই পুরি ,আলুর দম ।
ভিজেই বসে সবুজ পাখি
ভাঙা ফোনেই ছবি আঁকি ।
একলা পথে বন্ধ খাম,
কিইবা আছে কোন সে নাম ।
সেকেন্ড ওয়াইফ দাড়িয়ে ডাকে
বিরিয়ানির গন্ধ নাকে ।
ঝোপের মাঝেই নয়নতারা,
কোন সে ডাক আকুলকরা ।
মুখ ঢেকে দেয় ধুসর ধোঁয়া
রমনী তুমি কি সে কায়া।
ভালোবাসার ব্যাকআপ,
মাথায় আসে প্রচুর চাপ ।
হঠাৎ পথে সোমেশদাদা,
কবিতা আমার ঘুমিয়ে কাদা ।
আমার বাইশে শ্রাবন আমি একান্ত অন্তরালে একলা কাটাতে চেয়েছি , চেয়েছি আমার একলা চোখের জলে আমার বেদনা ,ব্যাথা , আমার অসম্পুর্নতাকে নিজের সাথে ভাগ করে নিতে।এই নিতান্ত অকর্মন্য অতিরিক্ত মানুষটা অনবরত ঘুরে বেড়ায় আপন খেয়ালে ,মাধুকরীতে দিন কাটায়, কিসের যে খোঁজ নিজেই তো জানেনা । তবু চরৈবতি ।
এই বাইশে শ্রাবনে আমার যত পাপ যত অন্যায় যত ভুল সবটুকুর জন্য সবার কাছে আমার মাথা নত করে দাও হে । সব্বাই যদি আমার কালো ভুলে সাদাটুকু, যদি কিছু থাকে ,মনে রেখো, তাহলেই আমার মানবজনম সার্থক ্।
এই বছর এই দিন টা আমার দুখের ঝুলি ভরে দিয়েছে , আমি পরিপুর্ন । এই দিনে আমার মেঘদুত কে দিলাম আমার খুব কাছের আমার একলা আপনার দুগ্গাকে অন্জলি শিউলি ফুলে।দুগ্গা ভালো থেকো।
আর
সব্বাইকে বাঁধি মিলাই আপন সুরে
স্বপ্নে কল্পে থেকো কাছে ,নয়কো দুরে ।
আপন খেয়ালে গাই যে আমার গান,
আহা মরনরে তুহু মম শ্যাম সমান ।
সতীশ,satishacharya2018.blogspot.com
মাফ
জং ধরে গেছে সবকটা অনু আর পরমাণুতে,পারছিনা,আকন্ঠ উদাসীন।
কিছুতেই ছিটকিনিটা খুলছেনা ,কেন যে?
জানলার ওধারে ওরা ডাকছে ,একজোট, মাৎস্যন্যায়,কেন যে এমন হয় ?
সব থামে নির্বিকল্প স্থবিরতায় ।
আয়নার সামনে, মানুষবেচার হাটে অথবা সময়ের কাঠগড়ায়,কিংবা অবোধ হৃদকালকুঠুরীতে,
রাতআলোর অস্পষ্টতায় ,বুড়োটে ছানিধরা চোখে, চারিপাশে অগুনতি মুখোশের ভিড়ে,এক আঁজলা সুখের খোঁজে মনটা কোথায় কোন ডাস্টবিনে নাকি মরা আদিগঙ্গায়? এক আবর্তে ঘুরপাক।
স্বাধীন ভারত ১৫ই আগষ্ট,১,২,৭৫
একটু দমদার সেলিব্রেসান বা মহা উৎসব ।
বিজ্ঞাপনের চিৎকারটা এতোটাই , দিনের পর দিন যা ঘটে চলেছে,অভিনয় খোলতাই হচ্ছেনা,প্রম্পটারটা যে কোথায় ? বোকা চড়ুইটা ভিজেই চলেছে,একের পর এক নিম্নচাপ।
কেরোসিন লন্ঠন বা হ্যাজাক জ্বালাও, জংটাও যদি হয় পুড়ে ছাই। নাভির মতো স্বপ্ন ও কি পোড়ে না?
টিকিটের লাইনে সেই ছেড়া মেয়েটা, কোলে শিশু কান্নাভেজা মোনালিসা,কোথায় নয়াবসত ? কোন স্টেশন?
পালিয়ে যাওয়া শেষশ্রাবণ ,৭৫ বছর পেরিয়ে এলাম, জমিয়ে পালন,এতো আলো, জমজমাট, দেশ স্বাধীন ।দ্বেষও স্বাধীন, তুমি আশাবরী আর একান্তই আমি বেসুরো বক।
মাফ
জং ধরে গেছে পারছিনা,
কিছুতেই ছিটকিনি টা ,কেন যে...,
জানলার ওধারে ওরা ডাকছে তো
কেন যে এমন হয় ?সব থামে স্থবিরতায় ।
আয়নার সামনে অথবা কাঠগড়ায়,
কিংবা জেলের অবোধ কালকুঠুরীতে,
রাতআলোর অস্পষ্টতায় ,বুড়োটে চোখে
মনটাতো কোথায় কোন ডাস্টবিনে বা আদিগঙ্গায়?
স্বাধীন ভারত ১৫ই আগষ্ট,
একটু সেলিব্রেসান বা কোন উৎসব ।
বিজ্ঞাপনের চিৎকারটা এতোটাই অ সুর
অভিনয় খোলতাই হচ্ছেনা,প্রম্পটারটা যে কোথায় ?
কেরোসিন জ্বালায়,জংটাও....
টিকিটের লাইনে সেই ছেড়া মেয়েটা,
তার কোলে শিশু কান্নাভেজা মোনালিসা ।
পালিয়ে যাওয়া শেষশ্রাবণ জমিয়ে পালন দেশ স্বাধীন ।।
আলুথালু বৃষ্টির পাগলামির মাঝেই টুকরো মাঠের মাঝে গাছটা লাগিয়েছিলাম,ছেলেটা বলেছিল গাছটা চন্দন।
খুব তাড়াতাড়ি বেড়ে উঠছিল, বিশেষ কোন যত্ন ছাড়াই,এই আকাশ থেকে ঐ আকাশ,ছায়ার শীতলতা।
ওর কাছে বসে খুঁজতাম আড়াল, আঁকড়ে ধরতাম, অকপটে হৃদয়ের ঘুলঘুলি দিয়ে কত পথের আলপনা।
ছেলেটার সাথে হঠাৎ হয়েছিল, আমার ফিরে দেখা পাগল যৌবন,এক কোলাজে জীবন, ভালোবাসা, নারী।
শ্রাবন্তী ,তুই কেন দুগ্গা হলিনা ।
আমরা তো ক্লীব, তাদের কাছেই,
তুই তাদের কাছেই হেরে গেলি
একলা লড়াই জিততে পারলিনা ।
আমরা তো মুখোশ পরে ঘুরে ফিরি,
সু কথার বন্যা ভাসাই,
ভালো মানুষের নাটক করি ,নাটকটা
তুই তুইরে কেন ধরতে পারলিনা।
এতো বড়ো খোলা আকাশ,
আদিম এই জঙ্গল,এই ঘন জঙ্গল
ছেড়ে তোর ডানা মেলে কেন
কেন রে তুই উড়ে গেলিনা ?
তুই ভালো ছিলিনা,
গুমরে গুমরে কাঁদছিলি
কেন কাঁদলি,কেন কাঁদলি?
কঠিন হয়ে খাঁচা কেন ভাঙতে পারলিনা ??
দুগ্গা দুগ্গারে...
ekta metho manush,otath keutake bollo, ei fanushe chorbi onek onek uchute akashe urte parbi,koto kichu dekhte parbi ,se beta chasa bollo kono dorkar nei hal chosi ,gaa er pothe ghure berai,golpo kori,dukkho,sukh bhag kore madhukori kori jibon kate anonde,eito besh,kintu porom mongalmoy er icchai take jor kore fanushe chorie dilo,sabeki rajbarir pujoy fanush oranor moto ghotona arki,kodin beta chasa moner anonde ghure beray akashe ,nicher monushgulo choto bindur moto lage,kauke chena jaina,sobbai koto dure ,kauke choa jaina,kintu fanushe tar besidin jaiga holona, onno swajonra take ektu kom chailo,othoba jaiga kom porlo,dhup kore porlo se ek jongole,ekhon pothe pothe ghure beray se, khoje purono juridar der,gramer bhanga barir uthone madur pete gaan gai,chobi dekhe ,chesta kore jibonke notun kore jante pagol,pagol jibon
দুগ্গা রাতে
এক পশলা শ্রাবণ ভিজিয়ে দেয় ভালোবাসার মাধুকরী।চলার পথে কুড়িয়ে নেওয়া আলোগুলি ভরে দেয় ঝোলা। দুগ্গা রাতে ক্লান্ত জোছনা আলোয় তক্তোপোসে বসে দেখি ঝোলা উপছে টুকরো টুকরো আলোগুলি হাসছে খিলখিলিয়ে,যেন পদ্মবনে টলটলে মুক্তোধারা।সব হিসেব মেলে গরমিলে।রবিপ্লাবনে ভেসে যায় সবটুকু বেদনভার।মিলে মিশে একাকার। এইভাবেই তো উত্তরণে এক জীবন থেকে অন্যজীবন, মৃত্যু হীন।
একলা পথে
আমার একলা বাইশ একচিলতে ভেজা শ্রাবন,
মরণবানে অট্টহেসে অকুলহারা জীবন প্লাবণ।
পরাণ নাচে,ডাক ইশারায় হৃদিবাউল উথালঝরে,
চলার পথে , দিনেরাতে রবির আলো সকলজুড়ে।
নয়নতারায় আপণসুরে বাজে কৃষ্নায় নীরবগান,
ইছামতী বাইতে ডাকে উদাস জলে মন সাম্পান।
চুপকথাতেই সবকথা,তোমায় থাকি হৃদি আধার,
শামুকখোলায় অনিমেষ,মনদিঘীতেই সব উজাড়।
পলাশবনে আগুন নামে,নয়নধারায় ভানুপদাবলী,
সোনাঝুরির ভাঙামেলা, খুঁজে ফেরা অন্ধরঙতুলি।
রহো সাথে
বারবার আকন্ঠ শ্নান ভিজে রিক্ত শিক্ত পানকৌড়ি বাইশে শ্রাবন,
সেই কোন চাঁদ জোছনার মিলন মেলায় খোলা আধেক উঠানে জল ছলছল,
ফিরে ফিরে আাসা, টলমলে শুরু আবার সেই শ্খলিত পদশ্খলন, জলেই ছবি ।
এতো এতো মানুষের ভিড়ে , একটা বোধ কেবলই দেয় ঝাঁকুনি ,তফাৎ যাও,
এই জীবন , এই সমাজ, নিতান্তই বেমানান ,একলা ভিজে পথ করে ইশারা,
এ পথ, সেই পথ , অন্য পথ, অনেক অনেক দুরের বল্লভপুর ,তান্ডবে মালকোষ ।
দিনে দিনে অপরিচয়ের আভরন শৄঙ্খলাকারে আষ্টেপিষ্টে সোহাগগলা দিন পরের দিন,
বিন্দু বিন্দু স্তুপাকৄত শেষ চিঠি, জীবন আর মরণের তীব্র নরম মোমগলা প্রেম,
মনে পড়া, ভুলে যাওয়া অপরিমেয় শুন্যে অর্থহীনতায় শ্রাবন জাগে রাতের পর রাত ।
আটপৌরে আবছা আকাশ , সুর্যাস্তের পর সুর্যাস্ত, শ্যামসুন্দর আপন হোরিখেলায়
ছাতিমের সবকটা ডাল করাতকলে কাটা, সবুজ ঘুমায়, ভাঙা কাপের তিতকুটে
স্বাদে তবুও জাগে রডোডেনড্রন আর পাগলী রঙনে তবুও আমি ,আমার বাইশে শ্রাবন ।
চিরসখা, আমার সবখানে, চিরস্নানে . বন্দরের গান
আমার মরন আমার জীবন ,আমার বাইশে সাম্পাণ ...
শুভলক্ষী মনে রেখো
জীবন তো এক ছোট নদী
চলতে পথে মাধুকরী,
পরাণ ভরে সাগরপানে চাওয়া ।
আকাশ কেমন ময়লা রঙা,
তারই মাঝে ভালোবাসাকে
এতো আর কতো ভালোবাসা ।
বাতাস কেমন মুখভার তবু
নীল দিনে অন্য মনে,
বেদনে রোদনে এই শ্রাবণ
শুকায় ,আবার পরাণও জুড়ায়।
সবুজ পাতায় বৄষ্টিকণায় ,
মন হারায় হয়তো বা
কন্যামায়ের চাওয়া পাওয়ায় ,
ভালোবাসা মেলে ভালোবাসায় ।
চলতে চলতে জীবনভোর
মেলে মন পিতার স্নেহে মায়ের মায়ায়
স্নিগ্ধ শীতল কোন ছাওয়ায়
মেলে যেখানে পথ মেলে আকাশে
সে কোন পাগল পথ হারায়
তার তারই দুগ্গায় ।
কঠিন কথায় আঘাতে বেদনভারেও
জীবন জাগে নতুন করে
পথে প্রান্তরে নগরে কুটিরে
ভালোবাসার ভালোবাসায়
শুভলক্ষী তুমি না ভুলে
বুঝো কিন্তু অপার মায়ায়।
লিখবো কোন অন্যদিনে
তুমি বলেছিলে, তুমিই তো বলেছিলে
আমাকে নিয়ে একটা কবিতা লিখো,লিখোই,
লিখো কিন্তু , শুধুই একান্ত তোমার আমার,
শুধু তোমার আমার ভালোবাসার
ভরা শাওন ভরন্ত আষাঢ় ।
দুঃখ নয়, বেদন সে তো নয়ই, আঘাত
নয়, নয় কান্নাধারা. কেবল কম্পিত হাসনুহানায়
ঝিরি ঝিরি হৄদয়ের গান, দুয়ে মিলে বসন্তরাগ,
যে যাই বলুক , অসীমে মিলাক সীমার রেখা,
সম্পু্র্না আকাশ, অমৄত আধার ।
হলো যেটা,যখনই লিখতে যাই, টুকরো টুকরো মধু
হাসিগুলো,ছোট্ট ছোট্ট তোমার রিনি ঝিনি কথাগুলো,
তোমার পাগলপারা এলোচুলের দুষ্টুমি সব টুকু,
তোমার গায়ের আগোছালো গন্ধের আকুলতায় ,উন্মনে আমি সব ভুলি,কিভাবে সাজাই,সব একাকার।
একটা কোলাজে সাজানোর, একই তারে বাঁধার চেষ্টাতেই
বেলা যায় বয়ে, লেখনী খেলে লুকোচুরি , পালিয়ে বেড়ায় ,
দুই হাতে বুকের মাঝে যখনই আঁকড়ে ধরতে চাই ,
ঠিক সেইবেলাতেই দিন পর দিন , যুগ থেকে যুগান্তর , সব ভুলে যাই,
তোমাতেই ,অথৈ দুই আঁখি তোমার।
তবু আমি চেষ্টাতেই আছি , বসে কিংবা দাড়িয়ে তোমার খুব খুব কাছে থেকে , সব টুকু তোমাকে নিয়ে , আমাদের এক্কেবারে অন্যব্যাকারনের ভালো টুকু বাসার, প্রেমের কবিতাটা লিখবোই ,
কোন এক উজানে একলা আমোদিত ভালোবাসায় ,চুইয়ে পড়া পড়ন্তবেলায়, পড়ো অবশ্যই
আমার অদৄশ্যময়তায়,মনে গেঁথো আমার কথা রাখার .....
ভালোই তো বাসি ভালোবেসে।