জ্যোৎস্না বনে আজ ট্রাফিক জ্যাম,
সবার হাতে মোবাইল বা হ্যান্ডিক্যাম।
নব্য কবিদল, ভরপেট কাব্যবিলাস,
লজ্জালাল চাঁদ রঙ্গিন মোমআকাশ।
শহরবাউল বাক্যহারা সাথে রবিপাগল,
এইশীত বসন্তে খুলি না বাঁধি মনআগল ?
অবধ্য
মৄত্যু উপত্যকায় মহামিছিলে সামিল সব্বাই,
একের পর এক তালসারি ,একলা বট পা টলমল।
ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরিতে পিদিম জ্বলে লেলিহান,পথ
খোঁজে লাভাশ্রোত,তোমায় অমোঘ প্রেমআলিঙ্গন ।
ভালোবাসাপাতাগুলান বট ছেড়ে ধুলিমায়ায়।
আকাশঘরে ন্যাড়া লাভাস্নান, অনিবার অপলক
সময় কোন জ্যোৎস্নাবনে শীতকালীন রাগজলসায়।
অক্ষমকান্না তীব্রউত্তাপে পুড়ে ছাই নিরালম্ব বট,
যক্ষারোগও মুক্তি পায় আদিম লালসায় সুনিবিঢ়।
মাথাবটে তারাগুলোর ঝরে পড়া আঁধার উল্কাপাত,
কতশত বছর রবিবাউল গানভেলায় নদীউড়ান।
বটের শিরা উপশিরায় সুতীব্র মাইগ্রেণ অপেক্ষায়
মদির অমর মরন। মরু দুগ্গাঝড়ে বিদায় শীতলতা।
লাভা বন্যাপ্লাবন আত্মা জাগে কোথাও নবরুপে ।
দহিত সময়কাল, রিক্ত উদ্বাস্তু পথ,
মৃত্যু অমৃতময়, আকন্ঠ লড়াইশপথ।
আকন্ঠ তৃষ্ণা, কানাগলি, কারাগার,
হিমায়িত মন, চতুদেওয়াল রূদ্ধদ্বার।
বন্ধ্যাচর, ইচ্ছে নৌকো সাগরলোহিতে,
পিছু হটছি,হারছি,ভাসছি করালশ্রোতে।
আজ,কাল গত বা আগামী কৃষ্ণসঙ্গম,
ধুকপুক অন্ধবুক,জীবনগাড়ি ঝমঝম্।
উন্মাদ দুটি চোখ, আগুন উত্তাপ খোঁজ,
নিশ্চিত বন গহণ,দুখের নিভৃত বোঝ।
ঝরতি মেলা পিদিম মনোহারী ,ক্লান্ত রথ,
চরৈবতি,জীয়নবাতি,আকন্ঠ লড়াইশপথ।
লড়াইশপথ।
বিশ্বাস করো, খুব খুব ইচ্ছে করে মরতে,এই দুনিয়ায় সত্যি বলতে কোনো শুভ প্রয়োজনীয়তা আমার নেই,কেউ তো মনেও রাখবেনা।
এমন কিছু গুন ,না তাও নেই,কেবল ভিড় করা অহেতুক। ইচ্ছেগুলো মরে,মরে স্বপ্ন, একটুকরো ভালোবাসা,জানিনা কোন ক্লান্তজারুলের বনে সে আজো লুকিয়ে,বড়ো ঘুম আসে দুচোখে।
বিছানা সেও শ্রীজাতর কথায় এক কফিন, ক্লান্ত করে,এ এক অনাবৃত অবসাদ।
অযথা এতোটা পথে ঘুরে ফেরা।
মরচে ধরা গরাদ চিৎকার করে, মুক্তি খোঁজে।
এক পশলা ভিজে বাতাস ছোঁয়,বলে এসো বসি এক আকাশে ।
গরাদ আর্তনাদে নিজেকেই হারায়, বাতাস এসে ধরে হাত বলে ,চেনো কি আমায়,সেই যে জয় গোঁসাই,ওই তো আমায় পাঠালো, মেঘবালিকা গো।
এবরো খেবরো বুকের ধুকপুকানি আরো ভেজে,আরো।
আদুলমনে আঁকড়ে ধরে হাসনুহানার রাতবুননের মন কাঁথা ।কত কি যে ঘটে, মুচকি হেসে নয়নতারায় একাকার মেঘের বালিকা। এক আমোদিত হাসিতে আঁধারের ঘুম ভাঙে।
ইস্টিশন মা
প্রতিদিনই দেখা হয়,যখন দৌড়,
যদি পালায় সোনারপুর লোকাল।
পাগলিটা পয়সা নেয়না, দেখতে
পেলেই এককাপ চায়ের সওয়াল।
পাগলের সংজ্ঞা সেটা কি তোমার জানা ?
এতো নোংরা ছেড়া ছবি তবু
যখন চায়ের কাপটা ধরাই,
মা মা গন্ধটা এতো মিঠে
শরীর জুড়াই মন,বুক ভরাই ।
পাগলের মতো আছে কি তোমার ইচ্ছেডানা ?
নিমতলায় কেনা সশ্তায় কোট,
শীতলতা প্রতিরোধক,পুরো কালো।
উস্কো খুস্কো পাকা বেশী কাঁচা কম
মুখ ঢাকে মুখোশে এতো আলো ।
পাগলের কি তোমার মুখোসের দরকার পড়েনা ?
দেওয়ার আগেই পাগলীর হাতে
গরম চা দিয়েছে আজ অন্য কেউ।
আমায় বলে তুই হয়েছিস পুরো ভদ্রলোক,
মুখভরা তার অমলিন হাসির ঢেউ।
পাগলীরে কেন তোর মতো রে হাসতে পারিনা ?
ঘরভোলা ঘর হারায় দিন দিন,
অনিমেষ অহরহ অবুঝ শীতলতা ।
অসীমে অক্লান্ত চলন, দেশ অচীন,
মৌডুংড়ী ইচ্ছে বসত চুপ চুপকথা।
পাগলীমা কেন রে বল্ পালিয়ে হারাই উথালকান্না ?
তোর কোলেই আমি ঝাপাই করিসনে করিসনে মানা।
আলোর খোঁজে অন্ধ বাউল
বেসাতি মৃত্যুর,স্বপ্ন,সত্য মরে,কুড়াই অক্লেশে, ভরে ঝুড়ি,পথে পথে সে পথ হোক লালমাটির বা পাথুরে,চলতেই থাকি,হেকে চলি,নেবে গো আজকের বাস্তব, মরা,শুকিয়ে যাওয়া মানবতা।
সুধীসমাজ,কবির দল,কত সুকথা অনবদ্য প্রকাশে,শীতেও চলে জীবনের বিশ্লেষণ কফির কাপে আর মৃত সত্যস্বপ্ন চলতে থাকে জীবনের কাঁধে চেপে,কালাহান্ডি থেকে জলপাইগুড়ি মসৃণ রাস্তা।
সকাল হয়,রোদ ওঠে, নবারুণ আলো জাগে না,মরচে ধরা কোদাল,বেলচা, তীব্র কালো নিঃশর্ত সুবাস, এখানে ওখানে ফেলে যাওয়া সাপের খোলস,একটু অক্সিজেন, বুলডোজারের নিদারুণ আবশ্যকতা।
হতাশ নিঃশ্বাস কাজে লেগে পড়ে, নিরর্থক জীবনের ছবি আঁকে,বীজ বোনে বোকাটে আশার, মানুষের ভিড়,অনুভবগুলোকে কেটে করে টুকরো টুকরো , কান্নাগুলোকে দেয় অন্তের উষ্ণতা।
মন্দিরের ঘন্টা বেজে ওঠে সঠিক সময়ে।
কার কি এসে যায়? রুটিন মাফিক পৃথিবী ঘুরতে থাকে।
Contrdiction and confusion walk together hand in hand.
সবুজ পাতা বর্ণ হারায়,ঝরে একা,বাতাস তাকে দেয় আদর,ভালোবেসে নামায় মাটির বুকে। এদিক ওদিক এলোমেলো চলন, হারিয়ে যাওয়া।আবার জন্ম নেয় সবুজ, বছরের পর বছর,মধুবসন্ত শীতের ক্লান্ত অবসানে। সেই আলোর খোঁজ, পৃথিবীর আলো যেদিন প্রথমবার জড়িয়ে ধরে সেই দিন থেকে আজ , আগামীকাল,যতদিন পিদিমের প্রাণ। নিজেকে প্রমাণ করার চেষ্টা প্রতিপল, কাউকে তো জায়গা ছাড়িনা,আবেগ শুকায় নিরাপত্তাহীনতায়।তবু নতুন সকাল।আর ওরা অমৃতস্য পুত্র,অন্য পৃথিবী,অন্য লড়াই।ওই পার, অবরুদ্ধ পারাপার।
আমাদের ভীড় আলোকিত জনমেলায়, নতুন বছর।
নতুন দিন,তারিখ,সময়,পল.কাল. বছর
দিকহারা অবক্ষয়ে হারায় শোভনসুন্দর,
অকারণে কুহকে এই ফিরে ফিরে দেখা।
নেশাতুরপ্রান চাওয়াপাওয়ার জীবনরেখা।
জীবন জাগুক সুন্দর পৄথিবীর অলীক স্বপ্নে ,আর গারদ ভাঙার গানে , ঠিক তো ?