একটা অদ্ভুতুরে আবর্তে আমাদের চলাচল।কেউ জানিনা কোনটা ঠিক বা বেঠিক,কেন ঠিক,কেনই বা বেঠিক। একটি সমাজ নামক বায়বীয় অনুশাসনকে সামনে রেখে আমরা যে কাজটি করি বা যা যা আমাদের দ্বারা হয়ে যায় সেটিকেই সঠিক প্রমান করার চেষ্টা করে যাই।
যে মানুষটি একবিন্দু পড়াশোনা করে নি, দেশি বিদেশি সাহিত্য, বিজ্ঞান বা আরো সব বিষয়ে কিছুই পড়েনি,শেখেনি তার জীবনবোধ কি কোন অসাধারণ জ্ঞানী বোদ্ধার থেকে কোন অংশে কম,প্রশ্ন থেকেই যায়।
আজকের এই দিনে যখন রেলগাড়ি এগিয়ে চলে, পেরিয়ে যায় একটার পর একটা স্টেশন,জানালার ওপাশে ঔ কাশফুল আলতো হাওয়ায় শরীর হেলিয়ে দুলিয়ে যে কথা বলে ,তা বোঝার জন্য কোন পুঁথি পড়ার তো প্রয়োজন পড়েনা।
এতো যত্ন দিয়ে দিনের পর দিন কতো যে বই পড়া তাওতো যাই ভুলে,নেভা জ্যোৎস্নায় আকাশ থেকে নেমে আসা চেনা অচেনা তারার দল যখন গল্প শোনায়, ঘুম পাড়িয়ে দেয় তখন যে আমোদিত ভালোবাসায় ভিজে যাই,সেই ভিজে ভালোবাসা সকাল হয়ে জাগে।
মনের মাঝে একটা বোধ কড়া নাড়ে, অপরিমেয় অজানার মাঝে সারাদিনের শেষে পিদিম আলোয় সেই সবুজ বেলার মাদুরে গা এলিয়ে গোবর লেপা মাটির দাওয়ায় জীবনকে ফিরে দেখি।
তরতরিয়ে উঠে যাই একলা নীরব পাহাড়ের চূড়ায়, যেখানে নেই কোন পাখির কোলাহল, নীচে অথৈ সমুদ্র অনবরত ধাক্কা দিয়ে ডাকে ,আয়,আয়।ছুড়ে ফেলে দিই সব পুঁথি পড়া বিদ্যে। শুন্য হই,হই সম্পুর্ন।