হাতে রাখি হাত,
জ্যোৎস্নামায়া।
স্বপ্নের করি বেসাতি,
হৃদিছায়া।
মা মাগো
ভাঙা চশমা ঝাপসা চোখ ,সব মানুষের মুখগুলো
কেন যেন এক হয়ে যায়, নামগুলোও ভুলে যাই ।
এতো সু্ন্দর সুন্দর সব চলমান চিৎছবি ,খাই
আঁচার দিয়ে ছাতু , লেকরোডের বলরাম শেঠকে ভুলে
পেট আইঢাই করা অবাক অবাক জলপান ।
সমাপতন না মানবিক অধঃপতন জানো কি ?
কালোয়ারের দোকানে মা হংসেশ্বরীর পুজা,
লাইন দিয়ে অনাহার খিঁচুরীতে ভীড় থালাবাটির ।
সব মানুষের মুখগুলো কেন যেন এক হয়ে যায়,
পিজ্জার বাক্সোর সাথে একই ডাস্টবিনে
এঁটো খিঁচুরীর থালা কৄষ্নকালো, একান্ত গোপনে ।
খয়েরী, কালো ,সাদা রেসের মাঠে দৌড়ঘোড়া
মুখগুলো কেন জানি সব এক, দড়ি দিয়ে বাঁধা
দৌড় দৌড় বাঁচা ,অক্ষম একটাই গুলি ,
নতুন আরেকটা,তোকেই নামাব নতুন রেস
বাড়ি, গাড়ি, টাকা, কেনা প্রেম, হুইস্কি ,
রোদে পুড়ে একলা বড়ো ক্লান্ত রঙ পুড়ে যায়
আরেকটু ভানুমতীর পাহাড় দেখা ,আধাঁরে ঢাকা
একটুকরো স্বপ্ন, সাতসকালেই লম্বা লাইন.
যন্ত্রনিয়ন্ত্রিত জীবনজলেরও কিয়স্ক
জানলায় ফুলেল মাপসই ঢাকা আলো
পাখাটা ঘুরছেই,মনগুলো সব এক হষে শোকগাঁথা
আধাঁরনীল আকাশের একফালি চাঁদে,
তারাগুলো যেন একইরকম মিটমিট ।
অতীত, আজ, ভবিষ্যতের একসাথে পংক্তিভোজন ।
বুকের ডান বা মাঝঘেঁষে মিটিমিটি ব্যাথা,
অফিস টাইম একই ভিড় সব ট্রেন ওঠা দুস্কর,
আমার দুগ্গার একই একলা লড়াই, অনিমেষ, অফুরাণ
সব স্বপ্নগুলো মিলেমিশে একাকার আকাশের তারামালায়,
অন্তসলিলা, আবাহন, বোধণ, পুজন ,প্রতিপল জীবনভোর
ফুটপাথের ছেঁড়া দুগ্গা ,ইসরাত, লঙ্কেশ,মালালা,মহাস্বেতা,
ঝাপসা চোখে সব মুখই যেন আমার একান্ত আপনার দুগ্গার,
পুজোতো.. একটু মানুষ করো মা মাগো মৄণ্ময়ী নাকি চিণ্ময়ী ।
কবির ভাষায় জনম যায় শান্তি মেলেনা । অমৄতকুম্ভের অনন্ত খোঁজ । আমার লেখার অনেকটাই হয়তো দুঃখবিলাস । এই মাধ্যমটি আমার কাছে একটি খোলাজানালা । আবেগ অনুভুতির ভাগিদার খোঁজার হয়ত অকারণ প্রয়াস । নিজের মনে একটি বোধ ,বোধ জাগানোর অক্ষম আকুতি । বেশীর ভাগ নদীতো দুঃখ বয়ে নিয়ে চলে । হয়তো এই লেখা অনেকের কাছে বিরক্তি ,হাসি বা করুণার উদ্রেক করে । আজ সকালে একটা মন্তব্য মুছতে গিয়ে মনটা এতো বেদনায় ভরে গেলো আবার সকালেই পাওয়া আমার এক দাদার ভাব প্রকাশে যেন শান্তিবারি ছড়িয়ে ভাসালো । দয়া করে এই পাগলকে খোলা জানালা দিয়ে তার নিজের অবুঝ সবুজ আকাশটাকে নিজের ঝাপসা চোখে ভাঙা চশমার ফাঁক দিয়ে একটু দেখতে দেবেন ।
কবির ভাষায় জনম যায় শান্তি মেলেনা । অমৄতকুম্ভের অনন্ত খোঁজ । আমার লেখার অনেকটাই হয়তো দুঃখবিলাস । এই মাধ্যমটি আমার কাছে একটি খোলাজানালা । আবেগ অনুভুতির ভাগিদার খোঁজার হয়ত অকারণ প্রয়াস । নিজের মনে একটি বোধ ,বোধ জাগানোর অক্ষম আকুতি । বেশীর ভাগ নদীতো দুঃখ বয়ে নিয়ে চলে । হয়তো এই লেখা অনেকের কাছে বিরক্তি ,হাসি বা করুণার উদ্রেক করে , এই পাগল খোলা জানালা দিয়ে তার নিজের অবুঝ সবুজ আকাশটাকে নিজের ঝাপসা চোখে ভাঙা চশমার ফাঁক দিয়ে একটু দেখার অক্ষম প্রচেষ্টায় জীবন ভর।
ওরে আমার দুঃখ নদী,তোর বুকেতেই আকাশ ভেলা,
ভালোবাসার ভরাজোয়ার,বেদন রঙ্গন, আলো আধেলা।
জীবন সেতো খড়িমাটি, মুছে লেখা,লিখেই মুছে ফেলা।
নদীরে কবে যে হবে ,হবেরে তোর আমার মিলনমেলা।
পেসমেকার
প্রতিদিন এই পথেই তো যেতো সেজেগুজে,
এখনো যায় কিন্তু বড়ো ক্লান্ত পথচলা ।
সেই আগুন ছাই হয়ে ধিকি ধিকি শুধু পোড়ে মরে
ছোট ছোট সুখগুলো ,যেন অসুখে বন্যাধারায় দিকহারা ।
ওই যে সুপুরীগাছের মাথায় একলা ফড়িংটা
ইতিউতি তাকায়,আমিও মনে গাছফড়িং
উড়ছি একলা ডানায়,দেশলাই কাঠির ফুস প্রাণ ,
আচ্ছা এই বছরদুই মেয়েটাকেও তো ছিড়ে ফেললো ।
শুধু বাঁচা আর একলা কেঁদে মরা আর নিজেকে
প্রমান করার অন্তহীন অপচেষ্টা,পুরো ছেড়া তার
কেন মরার জন্য এতো বাঁচা, বোবা আর কালা
বোধ ভাসায় গঙ্গায়, কেউ তো ফেলেনা চোখের জল ।
কত শত বছরের পুরোনো উটির সেই পামের সারি ,
তোমরা কি বৈঠকখানা বাজারের ওই মেয়েটার গন্ধ পাও ?
অনুভবে তার কান্না ,গান ,নিজের থেকে পালিয়ে ফেরা ,
দেখতে পাও নাকি তোমরাও একলাদলে অভিশাপের দৄঢ়মুল ?
হৄদপিন্ড গুলো তো স্হবির ,চলতে চায়না,জগদ্দল
পেসমেকার দরকার তো আমাদের সব্বার,আগুন
ঘোলাটে আকাশ, নীল নেই ,সবুজ কোথায়.বড্ড শীত
কান্না জমাট বন্ধ কপাট ,ঘড়ি টিকটিক, টিকটিক,থেমে থাকেনা
তাসের দেশ ,একই ছবি ফেরে ফিরে ঘুরে, অথৈ দামোদর ,
দিক হীন জীবনে চাওয়া পাওয়ার গুলিয়ে যাওয়া ছেড়া খাতা ।
দিন আর রাত চক্রাকার ,ভাঙা মন, পৄথিবী ঘুরছে ,
আমরা ঘুরছি জিতেই মরতে হবে ,ওই মেয়েটি আরও শ্থুলকায়া ।
চালচিত্র
হরেক রকম চেষ্টা,হুজুগ ও বলা যায়,
অবশেষের মাঝে বেঁচে ওঠা ফিনিক্স।
সামুদ্রিক খেয়ালে দ্বীপদুটির মাঝের সাঁকো,
থিতু হতে চেষ্টা করে অগোছালো উনিশে ছবি।
সারাবেলা শ্থিরবৃত্তে হাতুড়ি,
ভাঙা লালসুড়কি মন।
ব্যাকারণের মায়া কাটিয়ে বেড়ে ওঠা ঘা দগদগে,
মৃত আত্মাকে না দেখার ভান করে বেয়াদব রোয়াকি।
ঘোড়দৌড়ের প্রস্তুতি,
আবার কালকের সকাল।
পিছলে যায় নিঃশ্বাস গড়ের মাঠের ভিজে সবুজ ঘাসে,
দুমড়েমুচড়ে বসে থাকা সাম্যবাদের ভাঙা চেয়ারে।
অবিন্যস্ত একালসারিতা,
সজনেপাতার ভীরু কাঁপুনি।
কাঠের বেন্চে গা এলিয়ে ঘুমজড়ানো একতারা,
বিদ্রুপভরা অসুরহাসিতে হাবিজাবি চিন্তার কোলাজ।
অজীর্ণ যৌনআন্দোলন,
নির্মোহ নীতিধারীরা শীৎকারে।
গলিপথের কালচে ল্যাম্প দিনরাত জেগে রিমঝিম কাঁদে,
ভাড়াটিয়া চলাচলে উষ্নতা খোঁজে শেওলাধরা কলপাড়।
ভীজছে জীবনদাহি স্তূপীকৃত নিমের কাঠ।
হরেক রকম চেষ্টা,হুজুগ ও বলা যায়,
অবশেষের মাঝে বেঁচে ওঠা ফিনিক্স।
সামুদ্রিক খেয়ালে দ্বীপদুটির মাঝের সাঁকো,
থিতু হতে চেষ্টা করে অগোছালো উনিশে ছবি।
সারাবেলা শ্থিরবৃত্তে হাতুড়ি,
ভাঙছে লালসুড়কি মন।
ব্যাকারণের মায়া কাটিয়ে বেড়ে ওঠা ঘা দগদগে,
মৃত আত্মাকে না দেখার ভান করে রোয়াকি বেপরোয়া।
ঘোড়দৌড়ের প্রস্তুতি,
আবার কালকের সকাল।
রক্তচাঁদ
আমার রাত আকাশে রক্ত লাল আধখানা চাঁদ
আয় তোর সাথে প্রেমে অপ্রেমে হই আকুল ।
তুই আমাকে বড়ো করিস অশেষ, ছায়াময়ী
আবেগের মোহর, রবিছ্ছায়ায় চোখে সুখপাখী ,
আদরে ভরে বড়ো আপন ,স্বপ্নিল চাঁদ তুই ।
হৄদয় ভরে মৄত্যুর সাথে জীবনের অমোঘ আলিঙ্গনে
পান করি আবেশে , মধুর বড়ো নীল এই মিলন ।
অসুরে জোড়ে,সুরে আপন মীড়ে , আমায় নিয়ে চাঁদ
পাগলী তুই কুরচি ফুল ,আমার গালে কপাল ভরে এতো
আদর এই ছুয়ে পাওয়া সব ভুলে কি পাগলামি ,
প্রতি পলে অনেক বয়সের রকমফেরে
আমাকে নতুন করে এতো ভাবে চেনাও ,
ভালোবাসাও ভালোবাসাকে, এই ঝরা বেলায় নিসংকোচে,
রক্ত চাঁদে এতো গভীর নিবিঢ় কাছে পাওয়া,
সেই তালসারির আড়ালে লুকোচুরি ।
চির আবেগ পাওয়া মজা কানানদী,
গান শোনায় তিরতির বন্যাপাগল হাসিতে ,
ভাঙা বাঁশির কান্নায় আকাশের তারাদের খুজে ফেরে ।
আধেক হাসি আর কান্না ভরা অকেজো বেকার মন ,
অপ্রয়োজনীয় ভীড় বাড়ানো মানুষটিকে,
ও পাগলভোলা ও আমার আধখানা রক্তচাঁদ ।
সকাল যেন হারিয়ে পাই উদাস আাকুল
ভুবনডাঙার মাঠ ভরিয়ে পাগলপারা ,
ভাঙা উঠোনে তুলসী তলায় আলোপিদিমে,
নেশায় ভরা আমার আধার আলোয় হাসা
তুই অতসীপ্রেম ওরে আমার রক্তচাঁদ ।।
মা গৌরী
আছি অপার আয়োজনে, মা আসছেন করতে হবে আবাহন,
তুমি তো শিবের সাধিকে ,তোমার পুজা,
তোমাকে তোমারই শরণ্যে ত্রম্বকে গৌরী নারায়ণী নমস্তুতে ।
তবু শ্রাবন্তী দুগ্গা হলিনা,চলে গেলি,গৌরী মা তোমাকেও আমরা
লঙ্কাসুরের দল কোন অথৈ জলে ভাসিয়ে দিলাম,পুজো তো
মাকে করতেই হবে, বিপুল বিপুল আয়োজনে মা তোমায়,
,কোটি টাকার সোনার শাড়ি পরাব মা,এসি গাড়িতে বসে সিরাজের
বিরিয়ানি আর গোলবাড়ির কসা মাংস খেতে খেতে তোমায় মা
প্রণামে ভরবো,ম্যাডক্স স্কোয়ারে ক্লান্তি ঝেড়ে ফেলে তরল করে মা
তোমার কল্পচিত্র আঁকবো ,গৌরী মা তোমারই পুজায় আবাহনে
বিপুলা পৃথিবী, তোমায় সাজাব যতনে গৌরী মা ।
আসবি আর ভেসেই চলে যাবি গঙ্গায় বা কোন আরবসাগরে
আমরাই দেবো ভাসিয়ে চোখের জলে।
এই পৃথিবী, এই বিপুলা পৃথিবী ,সত্যিই তুমি পৃথুলা ।।
সুশান্তপ্রেম হেসোনা
সুবোধদা, অন্ধ চোখেও জাগে ভালোবাসা,
মারণঝড়ে ভাঙেযখন জীবন গড়ার আশা।
মুক্তঅঙ্গন অযতন ভরে বুনোলতা আগাছায়,
বুলবুলি ও তুলতুলি , হেসেই মরে আদুল গায়।
আকাশ টা যখন নিরুদ্দেশে যায় হারিয়ে,
ভালোবাসাই দেয় নিসঙ্কোচ হাত বাড়িয়ে।
ভাঙাবাড়ি. ছাদ, কার্নিশ জুড়ে নয়নতারা,
গঙ্গাফড়িং একলা অবুঝ ,ছৌ নাচের মহড়া।
দরজাগুলো সব বন্ধ যখন নিষেধ প্রবেশে,
তুমি ওগো স্বপ্ন ভালোবাসা দাড়াও হেসে।
মেঘবালিকা লুকিয়ে ভেজায় শহিদমিনার,
বয়সের সমানুপাতে বাড়ে প্রেম পাজি নচ্ছার ।
দৄষ্টি যখন ঝাপসা এবং দুই পা ওহ টলমল,
পানকৌড়ি ভালোবাসা সত্যি অথৈ অতল।
তেলিনিপাড়া ঘাটে ইলিশ কেন,কিসের লাফ?
গুনীজন সুধীমন, ভালোবাসায় সবটাই মাফ।
https://satishacharya2018.blogspot.com