নতুন দিন,তারিখ,সময়,পল.কাল. বছর
দিকহারা অবক্ষয়ে হারায় শোভনসুন্দর,
অকারণে কুহকে এই ফিরে ফিরে দেখা।
নেশাতুরপ্রান চাওয়াপাওয়ার জীবনরেখা।
জীবন জাগুক সুন্দর পৄথিবীর অলীক স্বপ্নে ,আর গারদ ভাঙার গানে , ঠিক তো ?
পৌষালী রাতে শীত লুকোচুরি খেলে জারুলের পাতায়,
মিটিমিটি হাসে নিভে থাকা বেহিসাবি পথ।
অহেতুক রাত পেরিয়ে সকাল,
বারবার ফিরে যেতে চাই খেজুরের পাতায় কেঁপে কেঁপে ওঠা স্বপ্নের বসতবাসায়।
ফ্লাইওভারের নিচে ফাটল ধরা বেন্চে বসে থাকি,
এবং বা অফিসের চেয়ারে,
ফাইলের কানামাছি,
জানালায় নয়নতারা,
দ্রোহকাল।
ঘোলাটে মেঘের গম্ভীর ভ্রূকুটি,
নেই তোয়াক্কা,
একটা জীবনে পাওয়ার খোঁজে হারিয়েছি সব,
ইটেচাপা সাদাটে ঘাসের সাথে সহগল্পকথা,
মানুষ ভিন্নগ্রহী,
অবলম্বন ?
তেঁতুলের বনে তিরিতিরি ছায়া নামবে,
হয়তো বা এখনি,
কাল এই ভাঙা পথে অন্য কেউ,
কেউ কি মনে রাখবে?
ইতি অন্যান্য
মরিচঝাপির নয়া আবাদ ফসল মরা ঘাস,
ঘোলাটে সন্ধ্যায় সেজে উঠেছে রিসর্ট, বাংলায় অনুবাদ করলে মনে হয় একটু নিরূদ্বেগ আশ্রয়ে নিজেকে বিপনণ।ভাঙা রাস্তায় চাঁদোয়া সাজিয়ে সর্বরোগ নিরাময়ের নিলামজারি।
মুঠো মুঠো পলির মাঝে ভাঙা নৌকায় আটকে আছে সবটুকু আবেগ অনুভূতি এমনকি পাগল ভালোবাসাও
পুর্ণগাভি জোয়ারের অক্ষম অপেক্ষায়,সান্ধ্য জলসায় বাধ্যতামুলক অনাবৃত উপস্থিতি।
আমিটাকে , আমার সেই আমিটাকে রম্য সরোবরের পাশের মরা শিমুলগাছে ঝুলিয়ে রাখা , খোলা জানালা দিয়ে উঁকি মারে প্রেতাত্মা,জোনাক আলোয় স্বপ্ন সন্ধানী ভিজে কিশোরী শামুকমেঘ।
হৃদমাঝারে
একটি দুটি, হাজার হাজার,
সলতে পাকাই,পথের দিশা।
আজ কাল ,বছর বছর ,
এইতো জীবন,অমৃত পিপাসা।
সবুজ অবুঝ, কলম আখর,
আলো দেখাই, দুরে কুয়াশা।
কাঠের বেন্চ,আগামীর অন্তর
অনিমেষ দৃষ্টি,আলোর আশা।
আজ আমি,কাল অন্য কেউ,
তোরাই প্রাণ, ছাত্রদলের ঢেউ।
তোদের ভালোবাসা, এইটুকু মাধুকরী,
আর কিছু চাইনে,স্বপ্নের আকাশতরী।
এটি একটি অনুরোধের লেখা যা আগে করিনি।
প্রাণ ফেরে,
মরে।
যে দিন যায় ক্ষয়ে,
কাঁদে ,
ফিরে আসে না,
সুখ কিংবা অসুখ,
পথ ভোলে,
কোথায় হারায় !
বছর বছর ভেসেই যায় ,
ক্ষ্যাপা দেয় ডুবসাতাঁর,
সেই যে পাওয়া ভরা জ্যোৎস্নায় পরশপাথর ।
সেই আশ্বিন কোথায় যে হারিয়ে গেলো……
মনোময় অন্ধকার আজ ছাতিম গন্ধে পাগল,
আপনভোলা পথ ছাড়ায় ,
মায়া ইছামতী ডাকে
ভাটিয়ালী মায়াবন ।
এখানেই সেই হারিয়ে যাওয়াই ইচ্ছেনদী?
দাও, দাওনা আমার সেই মুক্তধারা পরশপাথর ।
সেই বনফাগুন মনআগুন কে যে নিভিয়ে ভেজালো……….
কিশোরী প্রেম,
কাঁপা হাত পড়তে দেওয়া,
লেখাটা হয়েছে কেমন ?
কাল বা পরের দিন অপেক্ষা অন্তহীন ।
অবসর যখন হলো..
যে দিন যায় ফিরে আসেনা ।
যখন পড়া হলো.
বোঝা গেলো,
কোথায়,
কোথা যে সে ?
এতো জল কে যে অশ্রুনদী বানভাসি অকুলে হারালো…..
আকাশআয়নায় নিশির ডাক,
উড়োপ্লেন গুলোর কাঁটাকুটি,
মুখটাই অদেখা,
তবুও হাঁটাচলা ,
হাঁতরে জাগা রাতভোর,
বিকলাঙ্গ মন এখনো আঁধারসুরা পানে খোঁজ,
কোথায় ঝুলিভরা পিতৄমুখে পুরাণ,উপনিষদ্,
আর গোপন কিশোর শীতপ্রেম ।
দড়িতে ঝুলে মৃত প্রাণ কে যে কেন যে নামালো……..