একটুকরো ভালোবাসা আর কয়েকটুকরো মন্দবাসা,
জীবনগান বাজে তার আপন সুরে,নিকট কিংবা দুরে।
দিন পর দিন পথচলা অন্তহীন,প্রেম আর অপ্রেমের কোলাজ,
ধ্বংসের মাঝেই নবপ্রানের নবসৄষ্টি আঁধারে আলোর মন্তাজ ।
অবধ্য
মৄত্যু উপত্যকায় মহামিছিলে সামিল সব্বাই,
একের পর এক তালসারি ,একলা বট পা টলমল।
ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরিতে পিদিম জ্বলে লেলিহান,পথ
খোঁজে লাভাশ্রোত,তোমায় অমোঘ প্রেমআলিঙ্গন ।
ভালোবাসাপাতাগুলান বট ছেড়ে ধুলিমায়ায়।
আকাশঘরে ন্যাড়া লাভাস্নান, অনিবার অপলক
সময় কোন জ্যোৎস্নাবনে শীতকালীন রাগজলসায়।
অক্ষমকান্না তীব্রউত্তাপে পুড়ে ছাই নিরালম্ব বট,
যক্ষারোগও মুক্তি পায় আদিম লালসায় সুনিবিঢ়।
মাথাবটে তারাগুলোর ঝরে পড়া আঁধার উল্কাপাত,
কতশত বছর রবিবাউল গানভেলায় নদীউড়ান।
বটের শিরা উপশিরায় সুতীব্র মাইগ্রেণ অপেক্ষায়
মদির অমর মরন। মরু দুগ্গাঝড়ে বিদায় শীতলতা।
লাভা বন্যাপ্লাবন আত্মা জাগে কোথাও নবরুপে ।
দহিত সময়কাল, রিক্ত উদ্বাস্তু পথ,
মৃত্যু অমৃতময়, আকন্ঠ লড়াইশপথ।
আকন্ঠ তৃষ্ণা, কানাগলি, কারাগার,
হিমায়িত মন, চতুদেওয়াল রূদ্ধদ্বার।
বন্ধ্যাচর, ইচ্ছে নৌকো সাগরলোহিতে,
পিছু হটছি,হারছি,ভাসছি করালশ্রোতে।
আজ,কাল গত বা আগামী কৃষ্ণসঙ্গম,
ধুকপুক অন্ধবুক,জীবনগাড়ি ঝমঝম্।
উন্মাদ দুটি চোখ, আগুন উত্তাপ খোঁজ,
নিশ্চিত বন গহণ,দুখের নিভৃত বোঝ।
ঝরতি মেলা পিদিম মনোহারী ,ক্লান্ত রথ,
চরৈবতি,জীয়নবাতি,আকন্ঠ লড়াইশপথ।
লড়াইশপথ।
পূবপারের ত্রয়োদশী চাঁদ ডাকে,মনে মনে।
পশ্চিম বাগানের ডুবতে যাওয়া রবির মনে এক অদ্ভুতুড়ে অস্থিরতা,অনেকটা যৌবনকালের ফিঙে পাখি ।
মৌরিফুল দুলতে চলতে মুচকি হাসে,পৌষ হেঁকে বলে,যাই গো যাই।
গোমড়া মুখো আকাশ বলে,এ কি অনাচার?এখন তো বাপু চোখ কান খুলে বান্দোয়ান বা জয়পুরের জঙ্গলে কাঠ আর শুকনো শাল পাতা বস্তাবন্দি করার সময়।
বেলা যে পড়ে এলো,বেচারা বুঝতে নারে।
ভাঙা চাঁদা দিয়ে ত্রিভুজের কোণ মাপার চেষ্টায় ব্যস্ত হয়, বিদ্রুপের গান ধরে বসন্তবৌরি।
কি যে হচ্ছে, কেনই বা হচ্ছে , ইচ্ছে চড়ুই এর কিচ্ছুটি যায় আসে না, ফুটপাতের ছেড়া পলিথিনের ছাওয়া ছেড়ে নেমে আসে,বড়রাস্তায়।
এপার,ওপার ,শতেক যোজন,হোক্ না।
মিলনযাপন।
আজও
হলুদ সবুজ সরসে খেতে খুঁজি আলো,
কিশোর মন,বাসন্তীপ্রেম ,মাঠেরধুলো।
অমৃতস্য পুত্র আমি খুজে ফিরি সেইমায়ের কোল,
বাবার উপাসনা গান,আকাশময় দে দোল দোল।
এখনও খুঁজে ফিরি, তৃষ্ণার্ত দুই চোখ,
আজও সেই মাধুকরী,ডাকে অমর্ত্য আলোক।
সেই খেজুরতলা পুকুরধার, বন্ধুর পাশে থাকা,
কথা মধু ভালোবাসার, আকাশে ছবি আঁকা।
সুর সেধে টাপুরটুপুর,ভরে যায় ঝূলি,
কাল অন্য ভাগলপুর,অশেষের পথে চলি।
ফিরে ফিরে দেখা, সহজিয়া স্পর্ধার উড়ান,
গোধূলি আদর মাখা, বহুমাত্রিক রঙতুলির টান।
হয়তোবা অন্য আধার,তুই আমি আমরা,
হাজার বছর পার,অন্যমেলায় রঙবেরঙিপশরা।
ইস্টিশন মা
প্রতিদিনই দেখা হয়,যখন দৌড়,
যদি পালায় সোনারপুর লোকাল।
পাগলিটা পয়সা নেয়না, দেখতে
পেলেই এককাপ চায়ের সওয়াল।
পাগলের সংজ্ঞা সেটা কি তোমার জানা ?
এতো নোংরা ছেড়া ছবি তবু
যখন চায়ের কাপটা ধরাই,
মা মা গন্ধটা এতো মিঠে
শরীর জুড়াই মন,বুক ভরাই ।
পাগলের মতো আছে কি তোমার ইচ্ছেডানা ?
নিমতলায় কেনা সশ্তায় কোট,
শীতলতা প্রতিরোধক,পুরো কালো।
উস্কো খুস্কো পাকা বেশী কাঁচা কম
মুখ ঢাকে মুখোশে এতো আলো ।
পাগলের কি তোমার মুখোসের দরকার পড়েনা ?
দেওয়ার আগেই পাগলীর হাতে
গরম চা দিয়েছে আজ অন্য কেউ।
আমায় বলে তুই হয়েছিস পুরো ভদ্রলোক,
মুখভরা তার অমলিন হাসির ঢেউ।
পাগলীরে কেন তোর মতো রে হাসতে পারিনা ?
ঘরভোলা ঘর হারায় দিন দিন,
অনিমেষ অহরহ অবুঝ শীতলতা ।
অসীমে অক্লান্ত চলন, দেশ অচীন,
মৌডুংড়ী ইচ্ছে বসত চুপ চুপকথা।
পাগলীমা কেন রে বল্ পালিয়ে হারাই উথালকান্না ?
তোর কোলেই আমি ঝাপাই করিসনে করিসনে মানা।
আলোর খোঁজে অন্ধ বাউল
অনাহুত ।
ভীড় জমেছে, কাজের ও মানুষের,
পাতাঝরার শিরশির শব্দ ওঠে গুনগুনিয়ে।
লোকটি একপাশে সরে আসে, আরও একটু,
ওরা সব হৈচৈ করছে, জীবনের নাটক,
লোকটির পরাজয় পেতে পেতে এবং নিতে নিতে ঝুলি উপুড়চুপুড়,
একাকীত্বের ভাগবাটোয়ারা।
মাধুকরী।
ধাক্কা দেয় এলোমেলো দ্রোহকাল,আলো হয় স্তিমিততর,দিনরাতের এক পুনরাবৃত্তি।
আশা বাঁচতে চায় , ঘোলাটে আকাশের গভীরে,
নারিকেল পাতা ভীরু হৃদয়ের সাথে কাঁপতে থাকে সুরসঙ্গতে,
আগ্রহী তক্তপোষে লেপকম্বল,
লেপ্টে থাকা অনিবার্য জীবনপালন।
আমোদিত জ্বলন।
পিদিমের বয়স বাড়ে,
পরিপূর্ণা, প্রস্ফুটিতা,
দুরে, বহুদূরে আলোর রোশনাই, অন্ধকারে কাঁটাচাঁপার পাশে দাঁড়িয়ে, পা টানে বালিয়াড়ি।
আকন্ঠ তৃষ্ণা দুই চোখে,
ভিজে সকালের সন্ধানীপাখি,অনুচলন,
অর্থহীন বৃত্তকাহন।
ফোঁটা ফোঁটা শীত নামে, ফিসফিস করে,
বলে,এসো,অমৃত উত্তাপে দহিত হও, নির্বাপনকাল।
সময় হয়েছে, গোটা দেহে সোঁদা মাটির গন্ধ মেখে,ওমমাখা রুটি গন্ধ ছুঁয়ে যেতে হবে।
নয়নতারা ফুটুক তার লড়াইয়ে,স্বপ্নে, ভালোবাসার কার্নিশে,
মৃত্যুর মাঝে বেঁচে জাগা নয়নের তারায়।
বেসাতি মৃত্যুর,স্বপ্ন,সত্য মরে,কুড়াই অক্লেশে, ভরে ঝুড়ি,পথে পথে সে পথ হোক লালমাটির বা পাথুরে,চলতেই থাকি,হেকে চলি,নেবে গো আজকের বাস্তব, মরা,শুকিয়ে যাওয়া মানবতা।
সুধীসমাজ,কবির দল,কত সুকথা অনবদ্য প্রকাশে,শীতেও চলে জীবনের বিশ্লেষণ কফির কাপে আর মৃত সত্যস্বপ্ন চলতে থাকে জীবনের কাঁধে চেপে,কালাহান্ডি থেকে জলপাইগুড়ি মসৃণ রাস্তা।
সকাল হয়,রোদ ওঠে, নবারুণ আলো জাগে না,মরচে ধরা কোদাল,বেলচা, তীব্র কালো নিঃশর্ত সুবাস, এখানে ওখানে ফেলে যাওয়া সাপের খোলস,একটু অক্সিজেন, বুলডোজারের নিদারুণ আবশ্যকতা।
হতাশ নিঃশ্বাস কাজে লেগে পড়ে, নিরর্থক জীবনের ছবি আঁকে,বীজ বোনে বোকাটে আশার, মানুষের ভিড়,অনুভবগুলোকে কেটে করে টুকরো টুকরো , কান্নাগুলোকে দেয় অন্তের উষ্ণতা।
মন্দিরের ঘন্টা বেজে ওঠে সঠিক সময়ে।
কার কি এসে যায়? রুটিন মাফিক পৃথিবী ঘুরতে থাকে।
Contrdiction and confusion walk together hand in hand.
satishacharya2018.blogspot.com
দুগ্গাপথ
একটু শীতলতার চাহিদা,
একটু বেশী প্রবল হয়ে
ঘুম ভেঙে যায় ।
অবনী নামক মৄত মানুষটা
অন্ধকারেই পথে নেমে পড়ে ।
ল্যাম্পপোস্টের উজ্জ্বল
আলোয় আর আতসবাজির
ঝলকানিতে চোখ ধাঁধিয়ে যায় ,
এতো আলো, এতো আলো,
ঘরের দরজাটাও
বন্ধ করতে ভুলে যায় ।
পথ না কালসাপ কোন্ দিশা ?
কুকুরের দল সম্মিলিত
ঘেউ ঘেউ একটানা ,কি চায় ।
বার বার বারংবার ,হয়তো ছাদ।
ছেলেবেলার বোধনমায়ের দুগ্গাপথ,
কবে যে আসে ,কামনা সুতীব্র ।
নাকি সেই সাহেব মেমের অন্ধগলি,
পথগুলোর সেই যে লুকোচুরি
ইস্কুলের ভাঙা পাঁচিল,ততোধিক
বুড়ো সাইকেল দৌড় উদ্দাম,
সত্যম শিবম্, খোঁজ খোঁজ প্রেমপথ ।
দিশেহারা দিকহারা অশ্র্রুনদী
হাজারদুয়ারী স্বপ্ন পাগল অন্তরাগ্রাম ।
সুনীল সাগরে যে নীরাকে
দেখেছিল ,যার প্রেম করেছিল
আকুল ,মনে পড়ে যায় ।
জ্যোৎস্না বনকে তীব্র
আলিঙ্গনে চায় অমানিশার কালপুরুষ ।
আগুন পাহাড় জ্বলে
দেশ কাল সময় পেরিয়ে ।
পথহারা অবনী কি পাবে
খুঁজে পাবে ঘরে ফেরার ঠিকানা ।
বন্যা মহাসিন্ধু জুড়ে,
রাগ ঝিন্ঝোটি
তুই থাক সাথে,
মধুবন্তী নয় অন্য জীবনে,
৭০বা ১৭ কিংবা ২০১৮
উলঙ্গ জীবনের সময়কালমাত্র।
আঁধারপথ তো একই রকম
অসমমনে অলীক স্বপ্নমরিচীকা ।
অবনী গোলকধাঁধায় ।
বড় ক্লান্তি এতটা পথ
দুগ্গা একটু আকাশ,
একটু বায়ু দিও, না বোলোনা ।
অবয়বহীন হতে বড়ো সাধ জাগে
অথবা নিরাভরণ শিশু বাউল ।
নদের চর,পথের শেষ ,
আমিত্বর আধার চিরে
ছোট্ট কুটির
যতটুকু বেঁচে মরা,
সতত দুগ্গাময়,
এমন আকুলকরা
বিদায় বেলায় আকাশ মাগো
তোমার সেই দুগ্গা দুগ্গা ।
হবে কি ফেরা অমৄতলোকে
জীবন ভরে মাধুকরীতে ।
ক্লীবঅবনী ভেবে এতরাতে বোঝে
দুগ্গাই সহায় আর
শীতলতাই একমাত্র অক্সিজেন ।