নীল গড়িমসি, বিছানা জড়ায় বৃষ্টিবেলা, অপলক,
অকুল মনভাসি,দীপ নেভায় আলোখেলা, অবিবেচক।
কতদিন পরে দেখা ,মনে পড়ে আমাদের সেই সখ্যতা ।মন উজাড় করে সুখদুখ ভাগ করে নেওয়া । ছোট ছোট আশা আনন্দ হতাশা বেদনার মালা দিয়ে ভেসে থাকা ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়া ।মানবসাগরের ভিড়ে বেঁচে থাকার মানে খোঁজা ।কলকল কত কথা কত গানে বয়ে চলা । একা পথে নাওএর তিরতির পথচলা ।গঙ্গা তুমি শুকিয়ে যেওনা ।চাঁদেরনগরে তোমার আমার যে মধুরমিলন, জীবন সেই আবেগে আমাকে রিক্ত করো সিক্ত করো ।
আছো তো
দাড়াস্ সাপটা একটু একটু করে বুড়ো হচ্ছে,
এখন আর নড়তে চড়তে বিশেষ ইচ্ছে জাগেনা ।
কেউ কিছু বলতে এলেই ভাল্লাগেনা একদম,
চুপ চুপ কেবল একলা ঘুম ,মেঘলা মন।
আবার দিন পর দিন দাবদাহ যেভাবে বেড়েই
চলেছে.গাছ ছেড়ে পাতা শুকায়, জমে পাহাড়
ধুলিধরায় ,জমছেই,ঔ পাতার নীচে এতো শীতলতা,
এতোটা আবডাল ,অদৄশ্যমান,বড্ডো একান্ত ।
টুকরো টুকরো স্বপ্ন মালা গুলো চাঁপার ঝোপে
মরা কাকের সাথে গলাগলি, বড়ো আবছা ।
সব চরিত্র মন্চহীন, পিচগলা পথে শ্থবির চলন,
হৄদপিন্ড কুড়ে পেট ফোলায় ঘুনপোকা, ছিদ্র বৄহদাকার ।
সাপটা পাতার ফাঁক দিয়ে বের করে একটু মুখ
দুরে কাগতাড়ুয়াটা একলা হাসছে হি হি,
কানে আসে আলুথালু মাঝবয়েসী ক্ষেমঙ্করীর বিড়বিড়,
রাতে নিকষেই তো আসাযাওয়া, আজ দুপুরেও কালবেলা।
আবার ফিরে শীতঘুম ভরা গ্রীষ্মে , আলপথে সোনাব্যাঙ,
অল্পচোখের কল্পকান্না,মায়া মরীচিকা, শুকিয়ে ঘাস হলুদ।
বাতরোগের চিকিৎসে নেই, মুখ গুলো এতো অচেনা, গ্রাম
পুড়ছে,সাথে ঘাস, পাতা, কুন্দফুল, ফুটে ফাটা আকন্ঠ পুকুর ।
বেতো সাপ, দেখ , আগুন রে আগুনে হলুদ সবুজ একাকার,
বুড়ো বটেও উলঙ্গ হাত ,পা, দহনকামনায় উত্তপ্ত ছিন্নমুল
দেহআগার ।চিল শকুনের ভাবনায় ঝলসানো মাংসের
আবাহনে জীবনে মরণে সাপ নামক কেঁচোর ভীরু নগ্ন প্রস্থান ।
দিনরাত্রির কাব্য
পথ একলাই রোদ পোহায় আলসেমি গোটা শরীর জুড়ে।
গাছগুলো হেলেদুলে মাথা নামায়,যদি একটু গল্পগাছা।
বায়ু ফিসফিস করে অবিশ্বাসী অথচ অমোঘ মৃত্যুর বোল তোলে।
গলার মধ্যে ফাঁসটা হয়ে ওঠে আরও কঠিন, তীব্র শীতল।
উইঙ্কেলের ঘুম ভাঙে, চোখ খোলে , ভিজে যায় ফোঁটা ফোঁটা মৃত্যু বৃষ্টি জলে।
চোখ মেলে,বেনেবউ মুচকি হাসে,চিল শকুন আর্তনাদে আকাশ জুড়ে।
ভাবনাগুলো সব পচে মরে, শ্বাস তালাবন্দী,
দায়বদ্ধ চেতনা ,মানবতা জমে আস্তাকুঁড়ে সযতনে।
অপঘাতে মৃত্যু নাগরিক সমাজের ,ভাইরাস সে কান্না মোছে, দ্বিধা হীন।
সে ও সব্বাই আয়েস ভরে ঠান্ডা ঘরে অখন্ড অবসরে।
লেখনীতে অমর কাব্যগাথা, ইতিহাস অতীত খোলাখাতায়।
উৎসবের মৌতাত পলপল পেটপুরে, মুখোস খোলে মুখোসের সব আবরণ।
বসতবাড়ি আড়মোড়া ভাঙে ,সবই গত প্রায়, অন্তর্জলী অতল মহাসাগরে।
এক পা অন্য পা,পথের অনন্ত আকন্ঠ মদ্যপান একমুঠো ভাঙা চুড়ি,মহাকাল হাত বাঁধে,চোখও বাঁধে নাগরদোলার ছেড়া দড়ি দিয়ে,ডাকে অন্যভুবন।
দিকশুন্যপুরে একা উইঙ্কেল সব দ্বিধা ভুলে হাত ধরে পথের পায়ে পায়ে এগিয়ে যায়, বসত, জমিন,জীবন, মৃত্যু, মৃত্যু তো অন্য ভুবন।
হায়
যদি সত্যি সত্যি একটু পাগল হতে পারতেম। চলার পথে এই জনঅরন্যে কেবলই মুখোসগুলি হাঁটছে ,চলছে ,ফিরছে , অন্তহীন অক্লান্ত অভিনয় ।আমি আমি আমি শুধু আমি, আমার সুখ, আমার পরিবার ,ছোট সুখী পরিবার, আর.. আরে আর তো কিছুর দরকার নেই ভাই ।তোমাকে ঠকাতে পারলেই আরেকটু বেশী সুখ ।তোমাকে টেনে পিছনে ফেলে আমি আরেকটু এগোই্। নিজেরই বিজ্ঞাপন প্রতি পল, আমিই সবথেকে উপাদেয় , অতীত- বর্তমান -আগামী একটু কি অন্যরকম হতে পারেনা ?
সারাদিনের একই অভিনয়ের পুনঃ মন্চউপস্থাপন । নিজের ভুমিকা নিয়েই বড়ো চিন্তা ।সাঁঝবেলায় একান্ত আপন উঠান ডাকে অপার মধু সুরে ।আঁধার আকাশের সাথে গভীর গোপন ভালোবাসা, অশেষ কথামালা , রোহিনী, কৄত্তিকা, অনুরাধা, মৄগশিরা নেমে আসে রাত মজলিসে প্রেম বন্যাধারাস্নান । ভিজে যাই, সাথে চিরসখা রবিবাউল আমার ইশ্বর, জীবন এতো মধুর লাগে । সব পাওয়া না পাওয়া একাকার হয়ে যায় । দিনভোর যে মাধুকরী,রাতআঁধারে ঝোলা উপচে পড়ে ।রাতজোনাকআলোয় নিজের সব পাপ ধুয়ে যায় ।বেল জুই কামিনী আর হাসনুহানায় আমি মরে বেঁচে জাগি অপলকে।নিশি আকাশ জুড়ে আমার দুগ্গা হাসিমুখে ।
কখন যে ভোর হয়ে আসে ,জীবন বয়ে চলে, আজ আছি , কাল তো নেই ।
নীলকন্ঠ তুমি অচিন বোবা সবুজ বনে ,
করাত কলে এখন শুধুই ডানা কাটছেই।
উড়ে কি আর পারবে পৌছুতে তীরে রঙ্গিত,
হাজার হাজার মাইল হাঁটা ক্লান্ত নিশ্বাস।
বন্দী মন চায়ের কাপে খোঁজে রুঢ় উত্তাপ,
লিখতে পারিনা ,তবু দেওয়ালে কাটি কেবলই আকিবুকি।
অসহায় উদ্বাস্তু সময়কাল, ওরা গড়ে ওরাই মরে এই যুগ সেই যুগ , যুগান্তরে, আমরা মানুষ আকাশের নীল ছবি আঁকি।
(এই সাইবার দুনিয়ার অনেক অপছন্দের মধ্যেও এই মাধ্যমে অনেক শুকতারা দেখেছি , যারা আত্ম প্রচার চায়না, নিজের ঢাক না পেটালেও যাদের দিন চলে যায় এক অসহ্য অসহায় কষ্ট পায় অনুভবে। যখন জীবনবোধে আঘাত লাগে ,তখন বেদনবোধ তাদের সাথে ভাগ করে নিতে ইচ্ছা জাগে ।কোন জ্ঞ্যান বা নীতিকথা নয়, কোন তথাকথিত লাইকের কামনায় নয়, এই প্রলাপ আমার সেই সব অংশীদারদের কাছে একটু আত্মকথন মাত্র।)
গাছে এক শালিক আর তার চারটি ছানা ।ঝড়ে ভাঙ্গা বাসা নতুন করে গড়ে তোলা । কি মমতা আর ভালোবাসা ।প্রতিদিন প্রতি পল ।পাগল মা খোঁজে আকাশের তারায় , গাছের নবসবুজ পাতায় , কাটা ধানের সোনায়,ঐ শালিকের ভালোবাসায় । মনেরতো ছবি আকা যায়না ।এতো ছোট জীবন তাও মা কোথায় লুকিয়ে ফেরে ।ঐ আকাশের তারায় ,এই ধরণীর ধুলিকণায় ।ঠাকুরমার ঝুলি খুলে সোনার কাঠি দিয়ে জাগাও মা সব পাগলের তুমি ঘুম ভাঙ্গাও ।একটু গল্পে ভুলি কল্পে চলি ।
একে একে চারিধার নগ্নতর। অপরিমেয় আঁধার। কথা অশেষ। নিজের সাথে।
নয়নতারা এসেছিল আকাশ জুড়ে,ওইধার ,এইধার , মেঘের বালিকা,প্রত্যেক মুহুর্ত মনের মাঝে ধ্বনিত প্রতি ধ্বনিত হয়,চোখ দুটো জেগে থাকে।
সবসময় একবুক অস্থিরতা, লিখতে গিয়েও থেমে যাই, মাথার মধ্যে পোকাঘুড়ির উড়ান।প্রেম মৃত্যু হীন।
উদভ্রান্ত রিক্ত নিঃশ্বাস, ঘুরে বেড়াই,পা ফাটে,রক্ত ঝরে। নিষ্ঠা ভরে কর্তব্য পালন করি।সুর্য ওঠে,ডোবে নিয়মমাফিক।
অনাহুত, বেমানান এই সমাজে, ভুলের পর ভুল করে বোকা মানুষটি আবার করল ভুল,পারল কই নয়নতারার বাড়ানো হাত।
বারবার হারিয়ে যায় চশমা, আবছা চোখে হেঁটে চলি, ছুঁতে চাই কার্ণিশের মৃদু হাসিতে ভরা নয়নের তারা।
এই মানবসাগর ।কত মন, কত যাওয়া আর আসা ।কত জন্ম আর ভেসে যাওয়া ।দুই নিরাসক্ত বুড়ো । সবার মাঝে থেকেও কত অন্য ভুবনপুরে ।সব দিয়েও এতো ফিরে পাওয়া তাদের।জ্যোৎস্না আলোয় জগৎ সিক্ত নিত্যদিন ।পাগল অবাক হয়ে ভাবে এই বিপূলা পৃথিবীতে এই তাসের দেশে মনের জানালা খোলা মানা,আলোতে আধাঁরে মুখোশের আবডালেই মিছেই জীবনের মিছে জয়গান গাওয়া । হাসিতে ভরে যায় দুই বুড়োর মুখ,কোপাইতে জল কোথায় ?পরিনিরবাণ নয় নবজন্মে আলোকিত করো । আলো দাও আরো আরো আলো ।পাগলকে আরো পাগল করো করুণাময় ।
মেঘের দেশে মেঘের আলতো পাগলী চাদরে নিজেকে জড়িয়ে এক পা এক পা করে অন্য পৃথিবী, আঁধারে আলো ফিসফিসিয়ে বলে তুই একটা অন্যপাগল,কেউ তোকে বোঝে না,তুই বা কাকে বুঝিস ? পরমাত্মা কানে কানে বলে এই আকাশছোঁয়া পাইনকে আঁকড়ে ধর, আমার ছোঁয়া পাবি,ওই যে সাদা ফুল আকাশ থেকে ঝরে পড়ছে,ওতেই রচিত শান্তি শয্যা। ওর কাছে বোস, ভিজে ঘাসে পাবি তোর পানকৌড়ি ভালবাসা। বসি, হাঁটি,গল্প গাঁথি,সময় থেমে যায়। আমি আর মহাকাল। নগণ্য জীবন অজানা মনকেমন করা অচীন পাখির গানে জেগে ওঠে। মনে এক অনুভব মালা গেঁথে যায়, মনে হয় হাজার বছর আগে এইখানেই তো বসে আকাশ খুঁজেছিলাম। আকাশ হয়েছিলাম।
আজ সকালে ভাবছিলাম
ইচ্ছে চড়ুই তুই দিলি উঁকি
আধো আলোয় ঝিকিমিকি।
আকাশে আজ পলাশবেলা
মন মাঝি চল ভাসাই বেলা।
শিউলি সকাল মুচকি হাসে
মুক্তধারা, পৃথি স্বেতউদ্ভাসে।
হলোনা, পারলাম না নিজেকে ঠকাতে।
একটা অবিশ্রান্ত আক্রান্ত বেদনা ঝরছে বিন্দু বিন্দু,
ভালো লাগেনা,ভাল্লাগে না, দরজা, জানালা বন্ধ হয়ে আসছে, অন্ধকার নামছে ,
পরিযায়ী রুটিগুলো এখনও লুট হয়নি,কেউ তো
পেতে পারে দুদিনের জীবন।
হে বিদগ্ধ সভ্যতা তুমি হাসছো ? একমুঠো মাটি দাও শুধু,একটু রোপণ করবো সবুজ, আমার একান্তই আমার,একটু পথ দাও চোখ বুজবো মাদুরদাওয়ার সোঁদা গন্ধে।
প্রনাম,স্মরণ, নিবেদন, আরও তারস্বরে, রথের চাকাও ঘুরবে, বাড়বে আরও বাড়বে মদের লাইন, অন্তহীন সুখী অবসরে শিল্পের নবজাগরণ। হে দেশ হচ্ছেতো জন নিয়ন্ত্রণ,বিষে মারো,উৎপাটনে অনাহারে মারো, আমি সুরে ধরি একটা নীলরঙা গান ।
কেউ একটা চাবুক দাও, আমাকে রক্তাক্ত করো,মারো মারো,সুধী সভ্য সমাজ, আর এক অবসরে তাকাও শহীদ মিনারের চুড়োয়,দেখো তো কোন কি তফাৎ আছে গোলগাল হৃষ্টপুষ্ট চাঁদ আর পরিযায়ী রূটিতে।
Don't worry, কাল তো নিরাপদ নতুন সকাল। রবি ঠাকুর ভালো থেকো হৃদে থেকো প্রতিপল,ভুল বুঝোনা, তুমি তো অন্তর্যামী। বাইশে শ্রাবণ সেও আসবে।
শুধু সেই বালিকা খুঁজেই চলবে তার গ্রামের রাঙামাটির পথ,আর কত দূর?
ফিরে যাই, গ্রামের বাড়ি, আমার জন্ম, জীবন এখনও সেই ছোট্ট একলা ঘরের বিষন্ন লাল মেঝের মায়ায়, ভালোবাসায়। ফিরতে ফিরতে একদিন ঠিক পৌঁছে যাব ,ঠিকানা খুঁজে নেবো।মাঠ,বন, ধানখেত পার হয়ে সেই আলপথ ধরে দৌড় দৌড়।
'গ্রাম ছাড়া ঐ রাঙা মাটির পথ আমার মন ভোলায় রে'
মাইলের পর মাইল,ধানের খেত, ভোরের আলো সারা গায়ে মুখে মেখে,দৌড় শেষ হতো হার্জি চন্ডির মাঠ পেরিয়ে রেললাইনের বুকে এসে।নির্বাসিত মন্দিরে রাখা বাতাসা খেয়ে সেই দৌড়।শিকল ভাঙ্গা দৌড়, পিপাসা ভরা দুই চোখ,আবর্ত ছিড়ে অলীক উজানের ছোঁয়া পাওয়ার দৌড়,রূদ্র তপস্যা।
'নিভৃত প্রাণের দেবতা যেখানে জাগেন একা,ভক্ত,সেথায় খোলো দ্বার-আজ লব তার দেখা'
বুনো কুল খেয়ে কি এক অনাবিল আনন্দ,আজ ও অনুভবের আবেশে মন ভিজে যায়।কান পেতে দিতাম রেললাইনে ,কখন আসবে ঝমঝম,কু ঝিকঝিক,দশ পয়সা পেতে রাখতাম রেললাইনে, চুপটি করে বসে থাকতাম,আজ যেমন জেগে বসে থাকি রাতের গভীরতায়।
'আজি নাহি নাহি নিদ্রা আঁখি পাতে।তোমার ভবনতলে হেরি প্রদীপ জ্বলে, দূরে বাহিরে তিমিরে আমি জাগি। জোড়হাতে'
সকাল স্কুল,ভাঙাটালির চাল,মেজদা মাস্টারমশাই,স্কুল পালিয়ে চন্ডিতলা,রেলের লাইন। ফেরাটা এতো সহজ ছিল না। শশা আর তরমুজ খেত ইশারায় ডাকতো, সকাল গড়িয়ে বিকেল,টুসটুসে লাল সুর্য,সেও লুকিয়ে পড়তো আমাকে ফেলে।
"দিনান্তবেলায় শেষের ফসল নিলেম তরী পরে,এ পারে কৃষি হলো সারা,যাব ও পারের ঘাটে '
ছাদ উঠোনে মাদুর পাতি লুকিয়ে,তাসের দেশের নিয়মের বেড়ার ফাঁক গলে। এখনও আকাশ পানে তাকিয়ে থাকি,দখিন থেকে উত্তুরে মেঘের চলাচল,পাতা ওল্টাতে থাকি, ফিরে আসে আলোছায়াময় পাপগ্রস্ত জীবন।
'সুখে আছি,সুখে আছি,সখা আপনমনে। কিছু চেয়ো না, দুরে যেয়ো না, শুধু চেয়ে দেখো, শুধু ঘিরে থাকো কাছাকাছি।'
তুমি যাও
মৃত্যুময়তা আজ টপ টপ করে সকাল থেকেই,
পিছল করে দিচ্ছে জীবনের ট্রামলাইন।
বুড়ো শালিক আহামরি আনন্দে,এখন ও টিকে তো আছে,দানাপানি জুটছে দুটো,চারটে বা একটা।
ঝড়ে কলাগাছের পাতাগুলো ফালা ফালা হয়েছে,
একটা ফ্যাৎ ফ্যাৎ আওয়াজ কখনও জোরে কখন ও বা ঘুমঘোরে।
মেঘলা মুখে ভোর, দুপুর বা বিকেল সব একাকার লাগে। সবাই কোথায় যে ঘাপটি মেরে বসে আছে, শব্দ মিলছে শবদেহে।
উৎসুক নদীমন , অন্ধকার আবহমান।হোলি খেলছি,রঙে সাজছি , কানাগলিতে ভাঙাচোরা বেন্চ, চলৎশক্তিহীন শায়িত বুদ্ধ, নিজেকেই ঠকানো হাতদুটো মুখ ঢাকছে ভাঙা জ্যোৎস্নায়।
চটজলদি জীবনদায়ী গান তারস্বরে, আরও একটু আমাকে বাঁচন বারি দাও, ঠোঁট লুকিয়ে জুঁই ছায়ায় একান্তই স্বার্থপর, প্রজাতিটির নাম হোমো স্যেপিয়েন্স।