Tuesday, July 30, 2024

 ঠিকানা?

হেঁটে চলি,

ঘর খুঁজে ফিরি,

               জন্মকাল থেকে।

দমকা হাওয়া,

বন্ধ নিঃশ্বাস জানালা খোঁজে,

ফাঁক বুঝে

            একটু নিজেকে ভালোবাসা।

ফুটপাত ভাঙাচোরা, 

                হাঁটি 

                   হাতের মুঠোয় ভালোটূকু বাসা।

ছুঁয়ে থাকি

               জীবন স্বপ্নীল।

আলো?

ভাল্লাগেনা,

নীরব অন্ধকারের সাথে সহবাস, 

                            এলোমেলো শতরন্চি।

মরি,

     সকাল বা বুড়োবেলা

                    ছুঁয়ে থাকা দ্রাঘিমা রেখা,

রেললাইন বরাবর হাঁটতে থাকি,

                     প্লাটফর্মে শ্রান্ত রেলগাড়ি।

হাই ওঠে একটানা।

   নিরুপায় লাইন ধারে কম খরচে VAT69.

জল জমে 

            ফুসফুসে ও পিচ রাস্তায়।

মানুষের ভিড়ে জীবন উল্লাস।








Monday, July 29, 2024

 বিজন ঘরে একলা ঝিঁঝিপোকার গান সব নীরবতা কোন সুরে মিলিয়ে দেয় । পথ চলতে চলতে এতো মানুষের সাথে আধো পরিচয় , সু আর কু অভিনয় । কত চেনা পথ বড়ো অচেনা বলে মনে হয় আবার অচেনা পথে হাঁটতে হাঁটতে মনে হয় এই পথে তো  কত বার এসেছি বসেছি শীতল ছায়ায় অপার মায়ায় । অবিরাম বারিধারায় প্রভু সব কালিমা মলিনতা ধুইয়ে দাও ।ছোট ছোট স্বপ্নেই তো জীবনের মালাগাঁথা,হাসিকান্নায় জীবনের কোলাজ ।ভুবনডাঙার মাঠে একলা শুয়ে আকাশ দেখা , একান্ত গোপন হৄদয়ের আশা ভালোবাসা দুঃখ বেদনা আকাশেই বিলিয়ে দেওয়া , আরো আরো বেঁচে থাকার , যে দিন যায় ফিরে পাবার কি আকুল আকুতি । বেলাশেষে গোধুলিবেলায় সময় তো হলো খেলাঘরের দুয়ার খোলার ।কতকিছু যা করার ছিল তা না করার অলসবিলাস ।মনে হয় এতো পথ পার হয়ে এসেও নবআনন্দে এই তো সবে শুরু পথচলা ।রাগ বিলাবলে কে যে নিখিল ভুবন ভরায়  ।।

 দিন পর দিন যায়,পাখি কুলায় ফেরে। আঁধার ধীরে অধীরে আকাশ থেকে নেমে আসে ভাঙা দাওয়ায়। মুখোশ সব চারিদিকে উন্মাদ নৃত্যগ্রস্ত। নিরাপত্তাহীনতায় মুখোশের দল। আকাশকুঠিতে সাপলূডোর খেলা। দাওয়ায় গল্প জুড়তে আসে সোঁদা মাটি আর সবুজ হাসনুহানা। শত আঘাতেও জীবনের ভালোবাসায় অমৃত মধুকর।দুরের চাঁদ গহিন দিঘির হৃদমাঝারে আঁকে মনছবি।জোনাক আলোয় জারূল গাছে চড়ুইবাসায় দীপাবলি।মধুময়, অন্ধকারে আলো জাগে।চোখের জল মুছে যায় বারিধারায়।মাদুরে গা এলিয়ে দেয় স্নিগ্ধ মধুকর।বাউলবনে আলো আরো আলো। সাই গানে নিদ্রা জাগে। অনিমেষ শুভ্র পথ অনন্ত। আমোদিত শাওনে সত্য জাগরূক অমলে বিমলে  রূদ্ররথে।

অমর্ত্য স্বপ্ন।

Sunday, July 28, 2024

 হৃদি ভিজে যায়

কান্নাগুলো আস্টেপিস্টে বাঁধে ,চলৎশক্তিহীন,

অন্যায় গুলো তান্ডবনৄত্যে, ভীষ্ম শরসজ্জ্যায়,

পৄথিবীটা এতটাই লবণাক্ত, লোহিতসাগর পায়ের তলায় ।


 

ত্রিমাত্রিক চরিত্রগুলি এত নীরব বেদনাহত, অক্ষম

জীবন তবু ধুকপুক, হৄদয় কি চোখের জলে ভেজে,

ইন্দ্রিয় সবকটা একসাথে  একসুরে সান্ধ্যকালীন কোমায় ।


অব্যক্ত বর্ণমালা, জাগতিক চলাফেরায় যান্ত্রিক পুনরাবৄত্তি,

চিত্রসৄষ্টিকল্প তো অপরিপুর্ন, বাধ্যতামুলক গণনা পাতা

ঝরায় ।মৄত্যু তিলে তিলে আজ অথবা কাল অনন্ত প্রতিক্ষায় ।


অনুভুতি সব আবদ্ধ কফিনে,চক্রব্যুহে আবদ্ধ অশ্বথ্থামা

আর শরসজ্জায়িত ভীষ্ম একাকার ।কিছুই কি করার নেই ?

বোবা কান্না গুমরে কাঁদে, সুরহীন অসীম একাকী  মন্দিরায় ।


জীবন আর মরন  তীব্র আলিঙ্গনে , টুকরো আকাশটা ছোট

হতে হতে জরাগ্রস্ত বিন্দুসীমা । ভুলভুলাইয়া জাগে অট্টহেসে,

ভালোবাসা তবু জাগে বেলাশেষে, তুমি, তোমায় , আকাশগঙ্গায় ।

Saturday, July 27, 2024

 নয়নতারা

নয়নতারা নয়নতারা নয়নেরই তারা

তুমি তো অঝোর শ্রাবন ভালোবাসার প্লাবনধারা ।

কচি ঘাস সবুজ মুক্তোকণায় ভেজা ,

নয় প্রকাশে , অনুভবে ,নয় কলরবে

স্বপনে মধুভাসে নীরবে

জীবনে প্রতি পলে তুমি নীরা ।।

তুমি কোপাই আর তুমিই তো জলঢাকা

আজ উথালপাথাল আজ বেনিয়ম বাঁধনছেড়া

আপন ভুলে চিকমিক উথাল পাথাল  সবুজতারা

চোখের কোনে  ক্লান্তিকলস তবু লড়াই জীবনভোর  

দুগ্গা দুগ্গা তুমি তো দশভুজাই রাগ নটভৈরব ।

আপন ভুলে দুয়ার খুলে অবোধ অবনী পাগল

মনে তার শক্তিকবি কাঁদে, জাগায় সুবোধ

জাগে সুনীল, শঙ্খ বাজে

পাহাড় দিয়ে নদী কেনাই তবে হলো পাকা

নিয়নের আলোয় নয় কেরোসিনের ল্যাম্পে

অবুঝ সবুজ সবুজ ছবিই আঁকা ।

 চলার পথে একাকী অনুভবই অবলম্বন,চড়াই উতরাই পেরিয়ে এক অন্তহীন খোঁজ।ষড় রিপুর দাপাদাপি। সচল,সজীব অভিনয়, সংশোধন এর কোন সুযোগ নেই।

মনে যা আসে তা নীরবে নিজেকে বলা, নিজের দেওয়ালে ছবি আঁকা। কোন ব্যাকারণ মানার প্রয়োজন বোধ করিনা,অনুভব ও তো পরিবর্তনশীল। এইভাবেই এই পৃথিবীর ক্যানভাসে তুমি আমি সব্বাই এঁকে চলেছি ,সম্বল মন তুলি আর একফালি এবরোখেবরো ভাঙা দেওয়াল।

কাল হয়তো ,হয়তো কেন, নিশ্চিতভাবেই অন্য আঁকিয়ে সাজাবে দেওয়াল।

যখন বৃষ্টি নামে,ছবিও তো মুছে যায়।

জীবন মাধুকরী।

 পুড়ছি,

ল্যাঙটা ছেলের উদোম স্বপ্ন

                        সবুজ আকাশ 

                                  নিদাগ নিঃশ্বাস 

                                                 পুড়ছে।

       

 ডুবছি,

আলগোছে আঁকড়ে জীবন ভেলা

                                     ইঁদুর দৌড়

                                         জেতার চোখ    

                                                    ডুবছে।

                           

মরছি,

অধীর অতল একমুঠো অক্সিজেন 

                             নিরুদ্বেগ মঞ্চায়ন 

                                পানকৌড়ি সাপলুডো

                                                     মরছে।

দিনান্ত,  

 আলোসকাল অসময়ে গোছায় বাক্সপ্যটরা

                                      ভীরু পাতাজল

                                        রাখালিয়া বাঁশী 

                                              দিনান্তে।

১২ ফুটি অসম লড়াই।


 অথৈ অতলে  দিন পর দিন  কেবলই তলিয়ে যাওয়া,

শুধু হেরে যাওয়া, মরনসাগরে  জীবনতরী বাওয়া ।

কেন বারবার  তবু কামনা ফেরার ,অবুঝ  মন বিহ্বল ,

ডোবে নাও,অক্ষম অব্যক্ত বন্যাধারায় আঁখি ছলছল।

চোখ তবু বেঁচে, কেঁপে কেঁপে ওঠে অনুভবে অমলতাস।

মরি বার বার নিমজ্জনে লাজহীন ঘোলাটে বিষনিশ্বাস।


।হায় মনমাঝি ,ডোবারই বাজি,হেরেই হারতে রাজি ।

Friday, July 26, 2024

 রুটিন মাফিক যাই,আসি,

চা পান 

          দাঁড়িয়ে 

                     ফুটপাতে।

নিয়ম মতে ডুবি, ভাসি ,

ক্লান্তি ভরি

               অক্লেশে 

                           রোজবেলাতে।

 বাঁচি বা মরি কি আসে যায় , ক্ষতি কি তাতে , 

পৃথিবী  ক্লান্তিহীন , ঘুর্ণায়মান আপণ কক্ষপথে।

প্রশ্নের উত্তর মেলেনা, সাদাটে খালি সেই খাতা ,

অক্ষরগুলির উকিঝুকি ,অনর্থক চলমান স্তব্ধতা।

    

সকাল কি যায় না আসে নিশা অবশেষে ?

 অথৈ অতলে  দিন পর দিন  কেবলই তলিয়ে যাওয়া,

শুধু হেরে যাওয়া, মরনসাগরে  জীবনতরী বাওয়া ।

কেন বারবার  তবু কামনা ফেরার ,অবুঝ  মন বিহ্বল ,

ডোবে নাও,অক্ষম অব্যক্ত বন্যাধারায় আঁখি ছলছল।

চোখ তবু বেঁচে, কেঁপে কেঁপে ওঠে অনুভবে অমলতাস।

মরি বার বার নিমজ্জনে লাজহীন ঘোলাটে বিষনিশ্বাস।


।হায় মনমাঝি ,ডোবারই বাজি,হেরেই হারতে রাজি ।

Monday, July 22, 2024

 ভরা বৃষ্টি, মাঝে মাঝে থমকে দাঁড়িয়ে পড়ছে।

ফাঁকফোকর খুঁজে চলা।

ছাতা ,

        চাইনে।

ভিজতো বড়ো ভালো লাগে।


দুদিন ধরে পুড়ছি,

                         বৃষ্টি নেই,

                        একপশলাতেই মন ভেজে ।

থমথমে মুখ 

                      নক্সী গাঁথায় লুকোচ্ছে কান্না।


বসে আছি টেবিল জুড়ে কাজ নিয়ে,

সকাল জুড়ে,

করছি না, কোথায় হাত দুটো?

Saturday, July 20, 2024

 মেঘমলহার

অবনীর আজ রাগ মেঘমলহার

যে গাছে সে জল দিয়েছিলো ,খুব খুব ভালোবেসেছিলো

সেই চাঁপায় দুটো শ্বেত শুভ্র ফুল ,সুবাসে মাতাল অবনী ।

সুমনে ধারাস্নানে সিক্ত দেহ মন, এতো পাওয়ায়ও  কেন রিক্ত  ।

স্বপনেই তো জীবন ।

দিবসান্তে ঘন আধাঁরে রবি কিরণ হয় একাকার 

চায়ের দোকানে পেটরোগা বাচ্চা কুকুরের দল

বাঁচার লড়াই একটা বিস্কুট কিংবা দুটো

জানলাগুলোতো  বাইরে থেকে আটকে দিচ্ছে ওরা কারা

এই আঁধারে একটু আলো দাও ।

জলছবি, সবুজ আকাশ, তুলি আর ক্যানভাস

মন ভাসে দিন আসে রাত শেষে

জুঁইও ফুটেছে কত শত , বৄষ্টি অঝোরে ঝরে ঝরে

আকাশ আর মেঘবালিকার চিরন্তন প্রেমগাথা 

কাছে কতো তবু কতো দূরে ।

তোমরা একটু দরজা খুলতে দাও , দাও একমুঠো আকাশ

একটু বাঁচতে দাও অবনীকে,

একটাইতো জীবন , বাঁচিয়ে ভাসাও ।।

Friday, July 19, 2024

 ঘুমোতে চাইছিলাম, ব্লাড সুগার জনিত ক্লান্তি ।

একে একে ছবিগুলো ভেসে আসছিলো।

ঘুলঘুলি থেকে লাফিয়ে এলো , 

 হৃষ্টপুষ্ট  সাপটি 

         ঠিক মুখের সামনে, 

                                     বিষদাঁত, 

নির্লিপ্ত অন্ধকার।

চুম্বন,

পায়ের চুল থেকে নখ,বিষ,বিষ,

নীল নগ্নজীবন।

সারি সারি প্রেত,

চলেছি অনেকে, একসাথে, একা,

দুরে ।

নির্দায় অচেনা গাছ, 

বাতাস, আকাশ।

এতো সীমাহীন অসহায়তা।

চলে গেল,  ওরা,

অপ্রয়োজনের বাঁধা দড়ি,

                         সম্পর্ক।

ঘোড়াটা একলা, সবুজ খাচ্ছে, ছাদজুড়ে।

শব্দহীন।

সরে যাচ্ছে,

                বাড়ি,

                        বসত, জীবন।

সবুজ খাচ্ছে।

ওখানে অতৃপ্ত উল্লাস, ওখানে আগুন।

দাবানল,

পুরোনো ছেড়া পর্দায় পৎপৎ স্মৃতি,

অশালীন হাওয়া,

ডিঙি জুড়ে হতাশ উত্তেজনা ,

রামধনুর ঘুম ভাঙে

                          উথালপাথাল ভালোবাসা।

Script writer সাজায় ঘর,

ভেসে ভেসে যায়,

কচুরিপানার জড়ানো স্বপ্নশব,

গন্ধহীন।





Thursday, July 18, 2024

 মুক্ত অঙ্গনটি ঘিরে গড়ে উঠছে পাঁচিল

 দীর্ঘতর থেকে আরেকটু দীর্ঘায়িত,

ওইখানেই কাগতাড়ুয়ার সমাধিস্থ করার

 আয়োজন মোটামুটি পন্জীকৄত ।

কফিন বন্দী করা হইতেছে উড়িবার কল্পডানা ,ভাসিবার মনপাখা ইত্যাদি ,

আাকাশ  ভুমিশয্যায়  ক্লান্ত হতোদ্যম , 

তবু অবুঝ আশা বৄষ্টি পড়ে একটু যদি । 

মৃত্যুউপত্যকায়  ছোট ছোট হৃদপিন্ডগুলির সমাবেশ দুরত্ব মেনে।

নীল সকালটায় জীবন জাগুক অমৃত আনন্ত

ফ্যাতারুরা আকাশ বনে।


জীবন জাগুক ভয়হীনে, শুভ্রমনে।

 মুক্ত অঙ্গনটি ঘিরে গড়ে উঠছে পাঁচিল,

দীর্ঘতর থেকে আরেকটু দীর্ঘায়িত, 

বিছুটি আর চাঁপার চুপকথা।


ওইখানেই কাগতাড়ুয়ার সমাধিস্থ করার আয়োজন মোটামুটি পন্জীকৄত ।


কফিন বন্দী করা হইতেছে উড়িবার কল্পডানা ,

ভাসিবার মনপাখা ইত্যাদি ,


আাকাশ  ভুমিশয্যায় ,

 ক্লান্ত হতোদ্যম , 

তবু অবুঝ আশা বৄষ্টি পড়ে একটু যদি । 


মৃত্যুউপত্যকায়  ছোট ছোট হৃদপিন্ডগুলির সমাবেশ দুরত্ব মেনে।

নীল সকালটায় জীবনের অমৃত সোয়াদ।


ফ্যাতারুরা আকাশ বনে , 

উড়তেই থাকে, 

মোটামুটি চারিপাশ একগুঁয়ে কচুরিপানায় গেছে ভরে,

পা ফেলার জায়গা নেই।


কে কোথায় যে দাঁড়াবে?

 স্বপ্নের কালঘুম শেষে আশাগুলো পথের মিছিলের গোলকধাঁধায়।


সমাজের মালিকানা স্বত্ব কার এই চিন্তায় মাথা হচ্ছে আরও সাদা।

আপসের ছানি জমে দুই চোখে।

Wednesday, July 17, 2024

 দ্রিম, দ্রিম, দ্রিম,

বাজতেই থাকে,

আর্তনাদ।

হাত,পা ছুড়ি, এগিয়ে যাই, পিছনে তাকাই,

চারিদিকে আকাশ ছোঁয়া পাঁচিল,

আ-বৃত্ত পথ।

আকাশ থেকে ঝরে পড়ছে, 

আগুন, 

চোখের জল, 

যন্ত্রণা,

মুঠো মুঠো দিশাহীন পথচলা।

তুমি ভিজছো,

আমিও ভিজছি ,

ধাক্কা মেরে চলেছি,

সন্দিহান হৃদয়ে।

ফুড়িয়ে আসছে সময়,

আকাশ ছোঁয়া হাজার বছরের বুড়ো গাছগুলো,

গায়ে গা লাগিয়ে বিদ্রুপ।

ফ্যাৎ ফ্যাৎ,সাই সাই,

পাঁচিল আরও বাড়ে, 

দৈর্ঘ্যে ও প্রস্থে ,

সব দলছুট, বৃষ্টি ঝরতে থাকে।

কিসের অদৃশ্যমান খোঁজ,

নিজেকে ভাঙচুর, 

তবু স্বপ্ন দেখি, 

দুচোখ অনিমেষ।

দ্রিম দ্রিম দ্রিম।

লবণাক্ত জলে ডুব দেয় মুক্ত অঙ্গন।

তুমি জাগো,

আমি জাগি, 

নিঝুম দিন ।

অস্থির শ্রাবণ।



Sunday, July 14, 2024

 উপহাস,সে তো করতেই পারো,

আমি লিখে যাব,

হোক না monotonous,boring.

অহরহ অস্থিরতা,না পারা।

লিখে রাখব,

চলে যাবার আগে মুছে দেব,

শুন্য চালি।

 আমার তোমার ঘরের বাড়ি,

জাগছে রাজা,তার নজরদারি।


ভাঙছে রথ,চলার পথ ,উল্লাস,

নেভে আগুন,মনফাগুন, উদ্ভাস।


অন্ধ বন, বিভীষণ, আলগোছে,

বড্ড সুখ,মুখোস মুখ, ছোঁয়াচে।


বিলাসী বালা,গোরের মালা,ভাসে,

কানামাছি, মরে বাঁচি,রাজা হাসে।


হাজার হাত,একসাথ,ভাতের দানা,

কাব্যি লিখি,কত শিখি,রাজঘরানা।


জয় হোক।

কার?

Saturday, July 13, 2024

 আকাশ জুড়ে আগুন জ্বলে ,

অথৈ সাগর মুচকি হাসে,

আজ এই বেলাশেষে,

বায়ুবনে জাগছে ঝড়,

স্বপ্ননীড় কাঁপছে থরথর,

 কি জানি কোন তরাসে !

Thursday, July 11, 2024

 আলেয়ায় অন্যকাল

বাত্যমন একান্ত নির্জন, পাগল চিন্তন ,সুরে স্থবিরতা, পথ কিন্তু বৄত্তাকার ,

আপাদমস্তক মহাপ্লাবন,শঙ্খচিল,তটরেখা স্ত্রৈন উত্তাপে পায় শীতলতা ।

কফিনবন্দী গোলাপগুলো নিরুদ্দেশে কাঁটাগুলোর সাথে ঝগড়ার ব্যস্ততা,

শামুকজীবন উকিঝুকি ,বারবার ফিরে চাওয়া, অনন্ত লাল রক্ত রডোডেনড্রন ।


লেদমেশিন একই যান্ত্রিক ঘট্ঘট, অবদমনে  সুতীব্র অনাহার, তবুও কম্পমান

হৄদয়পিন্ড, অগ্রদানে মাথার ভিতর কেন্নো খোঁজ  চোরাগলি অনিমন্ত্রিত স্বপ্নসন্ধান

না স্বপ্নদহন. ধীর অথচ সুনিশ্চিত হেমলকে কালপুরুষের ছিন্ন কোমরবন্ধন.

স্মৄতিভষ্ট্র ধাপসিড়ি, দুর্বোধ্য বাক্যবিন্যাসে মোমজোছনায় চুম্বিত বিচ্ছিন্ন স্পর্শ অতল ।


সুদীর্ঘ অপরিচিত সহযাত্রিক অন্তপথ দিখন্ডিত,নিঝুমপাতার নৌকা নিতান্ত অপ্রয়োজনীয়

বিদায় সম্ভাসন ,মনহনণে নিঃশব্দ পুনরাবৄত্ত পরলৌকিক ক্রন্দিত উৎসব উদযাপনের

দীর্ঘ প্রস্তুতি, তবু বাধ্যতামুলক জীবনযাপন ।তবু রোদ্দুর আমোদিত সেই একই চেয়ারে

দৄষ্টি পুবে ও অন্য পশ্চিমে , জোনাকআলোয়  পুনঃশ্চ শেষরজনীর মহড়ার রুটিনমাফিক 

যবনিকাপতন।

তবু একটি জীবন বাঁচা ।

 ভোরাই আঁধার, 

লাঠির ঠক্ঠক,

রাতপ্রহরীর বাঁশী ,

নিশির ডাক,

 তফাৎ যাও, তফাৎ ষাও,

অনেক তো হলো, 

দিনাবসানে ডাকে অসীম ,

কোন অকুল?

অনটনে আশাপাখি,

মধু সওদাগর নাও ভাসাও।

 আলেয়ায় অন্যকাল

বাত্যমন একান্ত নির্জন, পাগল চিন্তন ,সুরে স্থবিরতা, পথ কিন্তু বৄত্তাকার ,

আপাদমস্তক মহাপ্লাবন,শঙ্খচিল,তটরেখা স্ত্রৈন উত্তাপে পায় শীতলতা ।

কফিনবন্দী গোলাপগুলো নিরুদ্দেশে কাঁটাগুলোর সাথে ঝগড়ার ব্যস্ততা,

শামুকজীবন উকিঝুকি ,বারবার ফিরে চাওয়া, অনন্ত লাল রক্ত রডোডেনড্রন ।


লেদমেশিন একই যান্ত্রিক ঘট্ঘট, অবদমনে  সুতীব্র অনাহার, তবুও কম্পমান

হৄদয়পিন্ড, অগ্রদানে মাথার ভিতর কেন্নো খোঁজ  চোরাগলি অনিমন্ত্রিত স্বপ্নসন্ধান

না স্বপ্নদহন. ধীর অথচ সুনিশ্চিত হেমলকে কালপুরুষের ছিন্ন কোমরবন্ধন.

স্মৄতিভষ্ট্র ধাপসিড়ি, দুর্বোধ্য বাক্যবিন্যাসে মোমজোছনায় চুম্বিত বিচ্ছিন্ন স্পর্শ অতল ।


সুদীর্ঘ অপরিচিত সহযাত্রিক অন্তপথ দিখন্ডিত,নিঝুমপাতার নৌকা নিতান্ত অপ্রয়োজনীয়

বিদায় সম্ভাসন ,মনহনণে নিঃশব্দ পুনরাবৄত্ত পরলৌকিক ক্রন্দিত উৎসব উদযাপনের

দীর্ঘ প্রস্তুতি, তবু বাধ্যতামুলক জীবনযাপন ।তবু রোদ্দুর আমোদিত সেই একই চেয়ারে

দৄষ্টি পুবে ও অন্য পশ্চিমে , জোনাকআলোয়  পুনঃশ্চ শেষরজনীর মহড়ার রুটিনমাফিক 

যবনিকাপতন।

তবু একটি জীবন বাঁচা ।

Wednesday, July 10, 2024

 একতারা, তারটি তোমার কেন যায় ছিড়ে বারবার  ফিরে ফিরে  ?

জীবনভর এত পাপ, এত পদশ্খলন নিজেরে লুকাই কোন গভীরে ।

পরমপ্রিয় প্রভু হে  রহো সাথে.........

 একটুকরো আকাশ, দুগ্গা তুমি থাকো , জাগো, তোমাতেই বেঁচে থাকা ,

অলীক তবু জুই স্বপ্নে শিউলি কল্পে কাছে ভাসো, ফিনিক্সের নবউড়ান ,

পত্রলেখা তোমারই লেখনীমায়ায়,,,,,

।।হৄদি ভিজে যায় আধারআকুলতায়।।

 একটু ভালো লাগা অনেকটা মন্দ লাগা নিয়ে এই জীবন ।সুখমন্দাকিনীর খোঁজে ছুটে চলা ।জীবনের আনন্দ হতাশার গোলকধাঁধায় ,ভালোবাসায় ,মায়ায়, বিরাগে, অনুরাগে মালা গাঁথা ।আকাশের অশ্রুধারায় হৃদয়কাননে প্রাণ ফেরে নব নব রুপে ।বারিধারায় নবসবুজে কৄষ্ণকলি জেগে ওঠে ।ও চাঁদ তুমি মেঘের আড়াল ঠেলে সরিয়ে একটু হাসোতো ।সব কালিমা ভুলে একটু জাগি অনেকটা বাঁচি । পান্চজন্য মৄত্যু নিনাদে নয় জীবনের জয়গানে নিজেকে এই মানবসাগরকে মন্দ্রিত করো । সকাল এসো।

Tuesday, July 9, 2024

 লবনাক্ত জলঢেউ সামুদ্রিক, 

তটভুমিতে ঠাঁই খুঁজে ফেরে যুগযুগান্তর ।

মেলেনা,

 কেন চেষ্টা অবিরাম,

কিসের খোঁজ?

 অমৃত কুম্ভ না পরশপাথর ?

মনমরীচিকা,

 চোখ ভিজে যায়……

রাত স্বপ্ন আর রোদ্দুর হোঁচটের সোঁদা গন্ধে খোলা জানালা।

Monday, July 8, 2024

 বৃষ্টি তার ডিউটি সেরে ফেলে, রোয়াকে বসে, মৌতাত চা পানে,

ভিজে বাতাস  গা মুখ মোছে,

মন দেয় বৈকালিক নাম গানে।


আমি তুমি চলার পথে, এখানে, ওখানে।

 হৃদয় ভরে  মৄত্যুর সাথে জীবনের অমোঘ আলিঙ্গনে,

পান করি আবেশে , মধুর বড়ো নীল এই  দিনযাপন ।

   দিনরাতের সীমারেখা মুছে যায়।

 কালপুরুষেও উথাল পাথাল ঢেউ ,জীবনের রঙ কাছিম ঘোলাটে.

বিষ নিঃশ্বাস, জোনাকিও আলো হারায়. পাতা ঝরে শুকনো বটে।

মুখোশ গোটা দেহ মুখে ছাড়িসনা ,আকড়ে ধর জোরে শক্ত করে,

নবজীবন , রুপান্তরিত স্বপ্ন , জাগুক আপন পথে শুদ্ধ সত্য অন্তরে।

            যদি পারিস চোখটাকেও কর আবরিত. 

             দৄষ্টি  অভিশাপ. কান্না অতীব লবনাক্ত।

                     মঙ্গল শঙ্খে অমৄতপ্রান হাসে.

                     কালপুরুষ শামুক খোলসে।

                         ধৄতরাষ্টীয় জীবন,

                         অক্ষম অন্তরদহন।

                             ধারাশ্নান,

                             মৄতপ্রাণ।

Sunday, July 7, 2024

 কাল হঠাৎ এলো বুলবুলের ভাঙাগান রাতসকালে।

 কোন এক দিন ছিল,

 সকালে ভরা,

বাঙ্ময় সকাল।

কবিতা ছিল,

প্রেম ছিল, 

জীবন আলো ছায়াময়।


আকাশ নীল অথবা ঘোলাটে,

 মরিচিকায়,

 মেঘবালিকার উথাল দূই হাত

ভিড় কাটিয়ে পথের চলাচল।

সংখ্যা ৩৪,৪৫ বা ৫২,

এগিয়ে চলে অস্বীকারে, 

ঘুম ভাঙ্গার ২০১৫,১৬ এবং শ্রাবণ।

যেতে হবে তো একা।


চেনা ঘর,

 হারিয়ে যায়,

কড়া নাড়তে থাকি,

আনমনা বৃষ্টি,

শব্দহীন,

পাপবিদ্ধ,

একা।

রক্তের মাঝে এখন ভালোবাসা মুচকি হেসে স্থির,

মরেনি,

পারাপারের গান,

ছলাত ছলাত ,

আগুন জ্বলে।





Saturday, July 6, 2024

 নিরাপত্তাহীনতায় ল্যাম্পপোস্ট,

 আলো ক্ষয়মান,

ফোঁটা ফোঁটা ভিজে যাওয়া,

রুটিন মাফিক সকাল,

নিভে চাওয়া আবরিত এক আশ্রয়,

 নিথর ।


আনন্দ ,

 বেদনা ,

অপমান, 

একান্ত অহঙ্কার, 

সবটুকু ভেসে  যায়,

কামনায়  একান্ত আপণ কৄষ্নগহ্বর।

 একলা পায়ে চলন,

ভিজে গাছসব এসে দাঁড়ায় পাশে,

গড়ে ওঠে রুদ্র পথ।


অবয়বে আমি তুমি জীবন,

কোলাজে টুকরো টুকরো পাঠশালা,

এক পেয়ালা চুমুকে নিঃশ্ব রথ।


মধুপুর।

Wednesday, July 3, 2024

 থাকে থাকে সারি সারি দুঃখ, আঘাত, বেদনা,একটু যন্ত্রনা ইত্যাদি ইত্যাদি

আরো আছে দু এক টুকরো ভালোবসা বা সুখ জীবনগৄহে,তিরতির হৄদয়নদী ।

 ।।রাতপাখি এসো গানে ভাসি।।

 ভগ্নপ্রান মনদালান,বার্ধ্ক্যজনিত স্মৄতিবিভ্রম,চেনা পথ এত নীরব অচেনা,

দিন আকাশেপানে দৄষ্টি খোজে বাতিঘর,চলৎশক্প্তিহীন প্রভু তোমা বিনা ।

        

 অধরা মাধুরী


আকাশের নীলে আকাশের বাসায় ভুল তারা

ইচ্ছেমন মন্দাকিনীর খোজে আকাশগঙ্গায় দেয় 

ডুবসাতার ।

আর পাঁচু মন দিয়ে বাসন মাজে ,ঘর সাফ করে, 

বন্ধ করে খোলা জানালা উড়ে না যায়

 বন আর মনপাখি।

অচিনপুরের সবুজপাখি  দিক ভেসে হারায় অঝোর ধারায়

আগুনপাহাড় জ্বলে পোড়ায় পাতা ,পাইনবন, অন্ধমন খোঁজে মানসসরোবরে

বহ্মকমল ।

কি করে যে অবনী ভুলভুলাইয়ায় ঘুরে মরে

দরজাগুলো দমাস্ করে বন্ধ হয়ে যায় আলোআধারে কাঁদায় নিকসকালো

জীবনরেখা ।

তবু জীবন হাসে ।

রাত যায় দিন আসে ।

অধরা মাধুরী ।।

Monday, July 1, 2024

 অভ্যাসের দাসত্ব কিংবা  অভাবে ভেঙে জমা কান্নাপাহাড়,

উপায়ান্তরের বাধ্যত্ব অথবা আঁধারে রচিত নবসুরসম্ভার।


রাতবেহাগে টুপটাপ সকালের ভিজে নিঃশ্বাস।

কাল সব যাবে মুছে, চিলেকোঠায় নীল উল্লাস।