Thursday, January 30, 2025

অনুভব পায়ের চাপে মরে,সময় দেয় উপহাস।

এগিয়ে চলে ফেরিওয়ালা, মাঘের শেষে দিন পাতা ঝরার।

ঝোলাতে কুড়িয়ে নেওয়া, পাতার রং ধুসর, জীবনের রং সে ধুসরতর।

ক্রিস ক্রস লেনে সাপ খেলা, ডমরু তালে হিস হিসিয়ে নেতিয়ে পড়া।

ভুল ট্রামলাইনে আজ পিচের প্রলেপ, মরে যাওয়া শব্দের ঘড়ঘড়।

অহেতুক চলাচল,বৃত্তপথ।

ওদের খোলা আকাশ,এলো পা।

আজ নয় অন্য কাল,

হয়তো আবার কোন আল্হাদী সকাল নিয়ে আসবে শিউলি ভোর।

থাকা না থাকা নিতান্তই আপেক্ষিক।


Wednesday, January 29, 2025

 জ্যোৎস্না বনে আজ ট্রাফিক জ্যাম,

সবার হাতে মোবাইল বা হ্যান্ডিক্যাম।

নব্য কবিদল, ভরপেট কাব্যবিলাস,

লজ্জালাল চাঁদ রঙ্গিন মোমআকাশ।

শহরবাউল বাক্যহারা সাথে রবিপাগল,

এই শীত বসন্তে খুলি না বাঁধি মনআগল ?



 একটুকরো ভালোবাসা আর কয়েকটুকরো মন্দবাসা,

জীবনগান বাজে তার আপন সুরে,নিকট কিংবা দুরে।

দিন পর দিন পথ চলা অন্তহীন, প্রেমঅপ্রেমের কোলাজ,

ধ্বংসের মাঝেই নবপ্রানের নবসৄষ্টি প্রতিপলে প্রতিভোরে।


  

Tuesday, January 28, 2025

 জীবনের গন্ধ ভেসে আসছে dump yard এর এক কোন থেকে।

পেটা পরোটা থেকে যেমনটি বেরোয়, যখন উত্তপ্ত কড়াই থেকে তুলে চড় থাপ্পরে।


কাঠের মাচায় বসে দখলদারির সকাল।


শকুনের দল কোন এক কারণে কমছে ধীরে , রিপ্লেসমেন্ট,আমি রা!


বাজারের ব্যাগ,মুখোসের রকমফের।


জীবন, একাকে ভাঙা,বলা,লেখা, চিৎকার,মেলা,জগায় খিচুড়ি।

চুপ, বেয়াদপ !

আড়মোড়া ভেঙে সংস্কৃতি জাগছে ।

 অবধ্য


মৄত্যু উপত্যকায় মহামিছিলে সামিল সব্বাই,

একের পর এক তালসারি ,একলা বট পা টলমল।

ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরিতে পিদিম জ্বলে লেলিহান,পথ 

খোঁজে লাভাশ্রোত,তোমায় অমোঘ প্রেমআলিঙ্গন ।


ভালোবাসাপাতাগুলান বট ছেড়ে ধুলিমায়ায়।

আকাশঘরে ন্যাড়া লাভাস্নান, অনিবার অপলক

সময় কোন জ্যোৎস্নাবনে শীতকালীন রাগজলসায়।


অক্ষমকান্না তীব্রউত্তাপে পুড়ে ছাই নিরালম্ব বট,

যক্ষারোগও মুক্তি পায় আদিম লালসায়  সুনিবিঢ়।

মাথাবটে তারাগুলোর ঝরে পড়া আঁধার উল্কাপাত,

কতশত বছর রবিবাউল গানভেলায় নদীউড়ান।


বটের শিরা উপশিরায় সুতীব্র মাইগ্রেণ অপেক্ষায়

মদির অমর মরন। মরু দুগ্গাঝড়ে বিদায় শীতলতা।

লাভা বন্যাপ্লাবন আত্মা জাগে কোথাও নবরুপে ।

 দহিত সময়কাল, রিক্ত উদ্বাস্তু পথ,

মৃত্যু অমৃতময়, আকন্ঠ লড়াইশপথ।


আকন্ঠ তৃষ্ণা, কানাগলি, কারাগার,

হিমায়িত মন, চতুদেওয়াল রূদ্ধদ্বার।


বন্ধ্যাচর, ইচ্ছে নৌকো সাগরলোহিতে,

পিছু হটছি,হারছি,ভাসছি করালশ্রোতে।


আজ,কাল গত বা আগামী কৃষ্ণসঙ্গম,

ধুকপুক অন্ধবুক,জীবনগাড়ি ঝমঝম্।


উন্মাদ দুটি চোখ, আগুন উত্তাপ খোঁজ,

নিশ্চিত বন গহণ,দুখের নিভৃত বোঝ।


ঝরতি মেলা পিদিম মনোহারী ,ক্লান্ত রথ,

চরৈবতি,জীয়নবাতি,আকন্ঠ লড়াইশপথ।


লড়াইশপথ।

Sunday, January 26, 2025

 ঘাটে নৌকা একলা কাঁদে।তির তির, ঝিরি ঝিরি পথচলা যে বাঁধা পরে আছে।মহাজনী সুদ গেছে আসল ছাড়িয়ে। সওদাগর রোজনামচার হিসেবের খাতায় কেবল আঁকিবুঁকি কাটতে থাকে। ঘাটের ধাপে ধাপে শ্যাওলামন বাসা বাঁধে।শুকায়, মরে,ভেজে, জাগে।সাদা চাদরের আবরনে হৃদস্পন্দন, ধুকপুক,মনডুব।

Friday, January 24, 2025

 ভাঙা দুচারটে অগোছালো স্বপ্ন।

আগে পরে সাজানো অসংলগ্ন শব্দ, মনে হলো,বা! আমি ও অন্য অনেকের মতো কবি, হ্যাঁ কবি।

এটা বলা যায় নেশা, নিজেকে এলিট সমাজের সদস্য মনে করা,আসলে মালটা ভুষি।

ওরা একটু পিঠ চাপড়ে,বেশ,বেশ।

জীবনের ক্লাউন।ব্যাকারণ না শিখে বাক্য রচনা।লবন্চুস, ডায়াবেটিকের লাগে ভালো।

একটা কবিতার বই 'একলা রাতে দুগ্গা পথে',মলাট ছবি, স্বপ্নের সহজাত মৃত্যু।

পুরোনো,সেকেলে।

যা কিছু দেওয়াল জুড়ে,দেওয়ালের পলেস্তারা ঝরে,মরে।

এই আছি বেশ।

পাগলের রকমফের।

জীবন যেখানে নিয়ে যেতে চায়,চাই কি?

আজ চোখ বুজি,কাল ভাবা যাবে, অন্ধকারের ডাক।

কালো চলাচল।


Thursday, January 23, 2025

 পূবপারের ত্রয়োদশী চাঁদ ডাকে,মনে মনে।


পশ্চিম বাগানের ডুবতে যাওয়া রবির মনে এক অদ্ভুতুড়ে অস্থিরতা,অনেকটা যৌবনকালের ফিঙে পাখি ।


মৌরিফুল দুলতে চলতে মুচকি হাসে,পৌষ হেঁকে বলে,যাই গো যাই।


গোমড়া মুখো আকাশ বলে,এ কি অনাচার?এখন তো বাপু চোখ কান খুলে বান্দোয়ান বা জয়পুরের জঙ্গলে কাঠ আর শুকনো শাল পাতা বস্তাবন্দি করার সময়।


বেলা যে পড়ে এলো,বেচারা বুঝতে নারে।


ভাঙা চাঁদা দিয়ে ত্রিভুজের কোণ মাপার চেষ্টায় ব্যস্ত হয়, বিদ্রুপের গান ধরে বসন্তবৌরি।


কি যে হচ্ছে, কেনই বা হচ্ছে , ইচ্ছে চড়ুই এর কিচ্ছুটি যায় আসে না, ফুটপাতের ছেড়া পলিথিনের ছাওয়া ছেড়ে নেমে আসে,বড়রাস্তায়।


এপার,ওপার ,

শতেক যোজন,

হোক্ না।


মিলনযাপন।


সতীশ আচার্য্য

Wednesday, January 22, 2025

 নিভৄত ইশারায় পন্চমী চাঁদের মায়ায় সারারাত,

কি অপার আবেশে হৃদয়নদে নাও ছলাৎ ছলাৎ।

মধুকলিতে আরোহ, কলাবতী ভেসে মেলে আশাবরী,

অরুপসাগরে জোয়ারভাটায় মধুকরের এই জীবনতরী।

        

 বৃষ্টি যখন পড়ে, বিন্দু বিন্দু ঝরে খেয়ালি আর্তনাদ,

গরাদ ফাঁকে,আনমনা দুচোখে  রুপান্তরের সংবাদ।

Tuesday, January 21, 2025

 থমকে দাঁড়াই, জীবনের আনন্দে ট্রামটা আসছে নিজস্ব আবেগে। রাস্তার ওপারে ওই নারী,চুল,ব্যাগ, শাড়ি,সাদা একেবারে সাদা। পাশে ঝরে পড়া ইতিহাস গড়ে তুলেছে বটছাদ বাগান।

পেরোনো যাবে?


Monday, January 20, 2025

 নিঠুর দেবতা ,সেই তো মোছে  আঁধার নয়নতারায়,

নবরুপে মানবজমিন উদ্ভাসে মেলে আকাশগঙ্গায়।

 জীবন জাগে আনন্দে আবেগে ভালবেসে,

  তির তির মনতিস্তায় হেসে, ভেসে ভেসে।

 নিরন্তর খুঁজে ফেরা এক অবলম্বন। দীর্ঘায়িত প্রাচীর, সীমাবদ্ধ চলাফেরা। চিৎকার করি,কোথায় অবাধ উন্মুক্ত জীবনপ্রান্তর?

একটু সবুজঘাসে হৃদয় ছুঁইয়ে মাটির গন্ধ নিতে নিতে যদি একটা সকাল পেতাম, পুর্ন আকাশ হতাম।

স্বপ্ন অক্সিজেন।

স্বপ্ন সবটুকু নিঃশ্বাসে।

Saturday, January 18, 2025

 ইস্টিশন মা

প্রতিদিনই দেখা হয়,যখন দৌড়, 

যদি পালায় সোনারপুর লোকাল।

পাগলিটা পয়সা নেয়না, দেখতে

পেলেই এককাপ চায়ের সওয়াল।


পাগলের সংজ্ঞা সেটা কি তোমার জানা ?


এতো নোংরা ছেড়া ছবি তবু

যখন চায়ের কাপটা ধরাই,

মা মা গন্ধটা এতো মিঠে

শরীর জুড়াই মন,বুক ভরাই ।


পাগলের মতো আছে কি তোমার ইচ্ছেডানা ?


নিমতলায় কেনা সশ্তায় কোট, 

শীতলতা প্রতিরোধক,পুরো কালো।

উস্কো খুস্কো পাকা বেশী কাঁচা কম

মুখ ঢাকে মুখোশে এতো আলো  ।


পাগলের কি তোমার মুখোসের দরকার পড়েনা ?


দেওয়ার আগেই পাগলীর হাতে

গরম চা দিয়েছে আজ অন্য কেউ।

আমায় বলে তুই হয়েছিস পুরো ভদ্রলোক,

মুখভরা তার অমলিন হাসির ঢেউ।


পাগলীরে কেন  তোর মতো রে হাসতে পারিনা ?


ঘরভোলা ঘর হারায় দিন দিন,

অনিমেষ অহরহ অবুঝ শীতলতা ।

অসীমে অক্লান্ত চলন, দেশ অচীন,

মৌডুংড়ী ইচ্ছে বসত চুপ চুপকথা।


পাগলীমা কেন রে বল্ পালিয়ে হারাই উথালকান্না ?

তোর কোলেই আমি ঝাপাই করিসনে করিসনে মানা।

Friday, January 17, 2025

  অনুভব একা জাগে। তক্তপোষে হৃদস্পন্দন অভ্যাসজনিত আড়মোড়া ভাঙে। টুকরো টুকরো অচেতনতার মাঝখানে অনিবার্য শুন্যস্থান পুরণ। খাজাঞ্চিমন ছেঁড়া খাতায় হিসেবনিকেশ করে চলে।হিসেব মেলেনা।

 কমফোর্ট জোনে নদীর কলকল,ছলছলানি অসহায়।উদ্বাস্তু শিবিরে ভিড় বাড়ে। একে একে চায়ের বেন্চের ভিড় কমতে থাকে, নিরাপত্তা কমে, আলো কমে, ভালো কমে। নিস্তরঙ্গ মৃত মানুষের যাতায়াত বৃদ্ধি পায়।

পিচগলা রাস্তায় লেপ্টে থাকে বাঁধনছেড়া হৃদয়। দুরে সরে যায় ছায়া।উত্তাপ বাড়ে। অবলম্বনহীন। সেই দুটি হাত এসে থামে হাতের উপর। শীতল আচ্ছাদন।প্রাণ ধিকি ধিকি মরেও বাঁচতেই থাকে।

অনন্ত জীবন প্রবাহে প্রতিটি একলা মানুষ খুঁজে ফেরে , আপন  নক্সী কাঁথা মেলে রৌদ্রের ওম নিতে। সেই কারণেই অতি দুঃসাহসে এই প্রলাপগাথা।

Monday, January 13, 2025

ঝড় বয়ে যাচ্ছিলো, বিপজ্জনক, নীরবতার বাঁধন ছিঁড়ে একাকার। আজলা ভরে, বহুবিধ।সব রকম পরীক্ষায় ফেল করা ছাত্রের যেটা সহজাত প্রাপ্য।

Friday, January 10, 2025

 শীতেল হাওয়ায় আবরণ ঝরে, একাকান্না তোমারই জন্য,

নিজেকেই খোঁজা,নিজের জন্য ভাবা,এই গহিন জনঅরন্য।

সবের সবকিছুর শেষ আঁধারে ঘুরে মরে,

একুল কিংবা  ওকুল দ্বীপ থেকে দ্বীপান্তরে।

একলা পথে শুরু, প্রভু হে একলাতেই প্রানে জাগে শহরবাউল,

আশায় ,ভালোবাসায়,আছেতো ছোট্টচাতাল আর ভাঙা দেউল।

Tuesday, January 7, 2025

পৌষালী মন গা এলিয়ে আলগোছে মাদুরছোয়ায়।

শীত আসি আসি করেও বসে থাকে রোদমাখা ভাঙা বেন্চে।

আলতো চুমুকে জীবনের চু কিতকিত।

 আঁকে বাঁকে মোরাম লালপথ, অভ্যাসের রোজকার চলাচল।

আগুন পাখি খুঁটে খুঁটে খায় রেশনের মরা চাল।

ফিরতে চাই পুকুর ধারে ভারাক্রান্ত জামরুল তলায় একটি বার।

সারি সারি মৃত স্বপ্ন পার হয়ে, ঝাপসা চোখে একটি বার আলের পথে।

এই জীবনে রিক্ত ঘুঘুর তরল চোখ, আলো নেভে, কালো চাদর নিই দেহ জুড়ে।



Monday, January 6, 2025

                 চিঠি

নৌকার হাল গেছে হারিয়ে, নদীর ও এখন গ্রীষ্মকাল।

শুয়ে আছি, কোথাও পৌঁছনোর কোন তাড়া নেই।

ভেসে চলেছি বৃত্ত ছাড়িয়ে, চোখ জুড়ে ঘুম এক আকাশ।

তুমি চেষ্টা করছো, ঘরবাড়ি জানালা দরজা মুছে ঝকঝকে।

কথা বলা,গত সনের ধান রোয়ার সময় থেকেই সে তো বন্ধ।

কাল হঠাৎ মুখোমুখি, দেখলাম তোমার আহত নাকে বিন্দু বিন্দু ব্যথা।

ডাকবাক্স ওরা তুলে নিয়ে গেছে, একটু যে জানবো!

আছো কেমন?

অন্য যাপনের সময়।

 আমি অবশ্য নয়নতারা কার্নিশ থেকে এনে আমার যে কাজের টেবিল, রেখেছি ওখানে, দুচোখ ভরে দেখি আর খুলে রাখি জানালা।

ইচ্ছে চড়ুই যদি আসে।

Sunday, January 5, 2025

 বেসাতি মৃত্যুর,

স্বপ্ন,

সত্য মরে,

কুড়াই অক্লেশে, 

ভরে ঝুড়ি,

পথে পথে সে পথ হোক লালমাটির বা পাথুরে,

চলতেই থাকি,

হেকে চলি,

নেবে গো আজকের বাস্তব, মরা,শুকিয়ে যাওয়া মানবতা।


সুধীসমাজ,

কবির দল,

কত সুকথা অনবদ্য প্রকাশে,

শীতেও চলে জীবনের বিশ্লেষণ কফির কাপে আর মৃত সত্যস্বপ্ন চলতে থাকে জীবনের কাঁধে চেপে,

কালাহান্ডি থেকে জলপাইগুড়ি মসৃণ রাস্তা।


সকাল হয়,

রোদ ওঠে, 

নবারুণ আলো জাগে না,

মরচে ধরা কোদাল,বেলচা, তীব্র কালো নিঃশর্ত সুবাস, এখানে ওখানে ফেলে যাওয়া সাপের খোলস,

একটু অক্সিজেন,

 বুলডোজারের নিদারুণ আবশ্যকতা।


হতাশ নিঃশ্বাস কাজে লেগে পড়ে,

 নিরর্থক জীবনের ছবি আঁকে,বীজ বোনে বোকাটে আশার,

 মানুষের ভিড়,

অনুভবগুলোকে কেটে করে টুকরো টুকরো , কান্নাগুলোকে দেয় অন্তের উষ্ণতা।


মন্দিরের ঘন্টা বেজে ওঠে সঠিক সময়ে।


কার কি এসে যায়?

 রুটিন মাফিক পৃথিবী ঘুরতে থাকে।


 Contrdiction and confusion walk together hand in hand.


satishacharya2018.blogspot.com