Friday, May 30, 2025

 মাঠ, ফুল , আকাশ,

স্বপ্নের উদ্ভাস,

লোকটা হতে চেয়েছিলো মানুষ।


আবেগ, অনুভব, অন্তরলোকন,

জীবনের উচ্ছাস,

লোকটা হতেই চেয়েছিলো মানুষ।


আশা, ভালোবাসা, নিবেদন,

হৃদয়ের নিঃশ্বাস,

লোকটা তো চেয়েছিলো মানুষ হতে।


সাপলুডো, গাব্বু , চোর পুলিশ,

মায়ার উপহাস,

লোক, তার কি মানুষ  হবে কোন এক গহিন অন্ধকারে? 


কোন এক দিন?


ডুবছে,

ছুঁড়ছে হৃদয়ের আর্তি, 

খুঁজে ফিরছে,

খুঁটি, 

ভালোবাসার, 

ওতেই last curtain call .


হন্যমান।

 ঝাঁকের কই,

গুটি গুটি 

আকাশ ছুঁই।


দিনের রাত,

ধিকিধিকি, 

পান্তার ভাত।


পিদিম আলো,

টিমটিমে,

মিঠে কালো।


তোমার আমি,

নড়বড়ে,

সালের তামামি।

Sunday, May 25, 2025

 পথ সোজা বা সারপেনটাইন,

দৃষ্টিহীন নিঃশ্বাস।

হাত পা ছুঁড়ে লিখতে থাকি,

বৃত্তবন্দী লেখা নিজের জন্য,

কাগজের নৌকায় বিদ্রোহী গান।

আমানি ভাতে পোকার কিলবিল,

ঝড় আসে, 

ঝাঁপিয়ে পড়ে ক্লীব স্বাপদ,

বিপ্লবের পতাকা পোড়ে।

লজ্জিত পদস্খলন বা পদলেহন,

পশ্চিম আকাশে বিকলাঙ্গ পৌরুষ।

আজ আগামী ও গতকালের ইতিহাস।



 অনেক কাল,

কোন ছায়ায় বসবাস?

মনে কি পড়ে?

মনের অনুরণন!

বৃষ্টি আসে,

চোখে বুকে মাখি,

কাল বা আজ,

হাঁফ ধরে।

 হাতের ছোঁয়ায় পৃথিবীর কাঁপুনি থেমে যেতো, চলাচলের আকাশভেলা।

আজকাল শিরায় ধরে টান, হাঁটতে থাকি,চেনা অচেনা পথ।

বেনেবৌ গানে থাকে,গাছ মরে,গাছ লাগাই,নগ্নিত যাপণ।

 পাতিহাঁসের  পাড়াবদল,

আলোকস্তম্ভের মুচকিহাসি,

খোলা জানালা,

উড়োজাহাজের কাটাকুটি,

নীল আলো,

হাসনুহানায় ইতিহাস,

স্বপ্ন মরে।




 


Sunday, May 18, 2025

 উপরে উঠি, 

নামি গহিনে,

সমানুপাতে।

একপা এগোতে পারিনি, 

অশথতলায় বিনিপয়সার চক্কর,

পচা ড্রেনে মালামাল।

মাথায় পোকাদের কিলবিল,মরছি আর মরছি ‌। হাই ওঠে,ঘুম আসেনা, একটু ঘুম দেবে?

সকাল থেকে রাত, এক পুর্ব নির্ধারিত নিয়মে চলি, ফিরি এবং মরতে থাকি।

আজকাল উপরে উঠতে গেলে কাঁপে পা এবং মন, মনে হয় ইনিংস শেষ হয়েছে, পালাতে হবে মুখ লুকিয়ে।

আবার বুক, সেও ধড়ফড়, কাউকে বলতে পারি না, আমি কি ভীতু হয়ে যাচ্ছি, এককোনে, গহিনে।

Saturday, May 17, 2025

 দিনরাত্রির কাব্য


পথ একলাই রোদ  পোহায় আলসেমি  গোটা শরীর জুড়ে।


গাছগুলো হেলেদুলে মাথা নামায়,যদি একটু গল্পগাছা।


বায়ু ফিসফিস করে অবিশ্বাসী অথচ অমোঘ মৃত্যুর বোল তোলে।


গলার মধ্যে ফাঁসটা হয়ে ওঠে আরও কঠিন, তীব্র শীতল।


উইঙ্কেলের ঘুম ভাঙে, চোখ খোলে , ভিজে যায় ফোঁটা ফোঁটা মৃত্যু বৃষ্টি জলে।


 চোখ মেলে,বেনেবউ  মুচকি হাসে,চিল শকুন আর্তনাদে আকাশ জুড়ে।


ভাবনাগুলো সব পচে মরে, শ্বাস তালাবন্দী,

দায়বদ্ধ চেতনা ,মানবতা জমে আস্তাকুঁড়ে সযতনে।


অপঘাতে মৃত্যু  নাগরিক সমাজের ,ভাইরাস সে কান্না মোছে, দ্বিধা হীন।

সে  ও সব্বাই আয়েস ভরে ঠান্ডা ঘরে অখন্ড অবসরে।


লেখনীতে অমর কাব‍্যগাথা, ইতিহাস অতীত  খোলাখাতায়।


উৎসবের মৌতাত পলপল পেটপুরে, মুখোস খোলে মুখোসের সব আবরণ।


বসতবাড়ি আড়মোড়া ভাঙে ,সবই গত প্রায়, অন্তর্জলী অতল মহাসাগরে।


এক পা অন্য পা,পথের অনন্ত আকন্ঠ মদ্যপান একমুঠো ভাঙা চুড়ি,মহাকাল হাত বাঁধে,চোখও বাঁধে নাগরদোলার ছেড়া দড়ি দিয়ে,ডাকে অন্যভুবন।


দিকশুন্যপুরে একা উইঙ্কেল সব দ্বিধা ভুলে হাত ধরে পথের পায়ে পায়ে এগিয়ে যায়, বসত, জমিন,জীবন, মৃত্যু, মৃত্যু তো অন্য ভুবন।


হায়


যদি সত্যি সত্যি একটু পাগল হতে পারতেম। চলার পথে এই জনঅরন্যে কেবলই মুখোসগুলি হাঁটছে ,চলছে ,ফিরছে  , অন্তহীন অক্লান্ত অভিনয় ।আমি আমি আমি শুধু আমি, আমার সুখ, আমার পরিবার ,ছোট সুখী পরিবার, আর.. আরে আর তো কিছুর দরকার নেই ভাই ।তোমাকে ঠকাতে পারলেই আরেকটু বেশী সুখ ।তোমাকে টেনে পিছনে ফেলে আমি আরেকটু এগোই্। নিজেরই বিজ্ঞাপন প্রতি পল, আমিই সবথেকে উপাদেয় , অতীত- বর্তমান -আগামী  একটু কি অন্যরকম হতে পারেনা ? 

সারাদিনের একই অভিনয়ের পুনঃ মন্চউপস্থাপন । নিজের ভুমিকা নিয়েই বড়ো চিন্তা ।সাঁঝবেলায় একান্ত আপন উঠান ডাকে অপার মধু সুরে ।আঁধার আকাশের সাথে গভীর গোপন ভালোবাসা, অশেষ কথামালা , রোহিনী, কৄত্তিকা, অনুরাধা, মৄগশিরা নেমে আসে রাত মজলিসে প্রেম বন্যাধারাস্নান । ভিজে যাই, সাথে চিরসখা রবিবাউল আমার ইশ্বর, জীবন এতো মধুর লাগে । সব পাওয়া না পাওয়া একাকার হয়ে যায় । দিনভোর যে মাধুকরী,রাতআঁধারে ঝোলা উপচে পড়ে ।রাতজোনাকআলোয় নিজের সব পাপ ধুয়ে যায় ।বেল জুই কামিনী আর হাসনুহানায় আমি মরে বেঁচে জাগি অপলকে।নিশি আকাশ জুড়ে আমার দুগ্গা হাসিমুখে ।

কখন যে ভোর হয়ে আসে ,জীবন বয়ে চলে, আজ আছি , কাল তো নেই ।


নীলকন্ঠ তুমি অচিন  বোবা সবুজ বনে ,

করাত কলে এখন শুধুই ডানা কাটছেই। 

উড়ে কি আর পারবে পৌছুতে তীরে রঙ্গিত,

হাজার হাজার মাইল হাঁটা ক্লান্ত নিশ্বাস।

বন্দী মন চায়ের কাপে খোঁজে রুঢ় উত্তাপ,

লিখতে পারিনা ,তবু দেওয়ালে কাটি  কেবলই আকিবুকি।


অসহায় উদ্বাস্তু সময়কাল, ওরা গড়ে ওরাই মরে এই যুগ সেই যুগ , যুগান্তরে, আমরা মানুষ আকাশের নীল ছবি আঁকি।


(এই সাইবার দুনিয়ার অনেক অপছন্দের মধ্যেও এই মাধ্যমে অনেক শুকতারা দেখেছি , যারা আত্ম প্রচার চায়না, নিজের ঢাক না পেটালেও যাদের দিন চলে যায় এক অসহ্য অসহায় কষ্ট পায় অনুভবে। যখন জীবনবোধে আঘাত লাগে ,তখন বেদনবোধ তাদের সাথে ভাগ করে নিতে ইচ্ছা জাগে ।কোন জ্ঞ্যান বা নীতিকথা নয়, কোন তথাকথিত লাইকের কামনায় নয়, এই প্রলাপ আমার সেই সব অংশীদারদের কাছে একটু আত্মকথন মাত্র।)

Wednesday, May 14, 2025

 একলহমায় সন্ধ্যা নামে,

বুকের মাঝে আগাছার দাপাদাপি।

একপশলায় বৃষ্টি থামে,

ভুল জামাটা পরার মাপামাপি।

মনের মধ্যে আগুন জ্বলতে থাকে, ভেঙে চুরে এক নতুন আকাশ গড়ার পিপাসা।

চোখে বড়ো ক্লান্তি,কাল লিখি!

সকালটা বড়ো মেঘলা,অনেকটা রোদ শ্রান্ত গোলাপের পাতার মতো, বাঁচার লড়াই।

কেঁচোর মতো যাপনে হাত, পা, হৃদয় বড়ো দুর্বল আর নড়বড়ে ।

ভালোবাসার দাবি জানাতে অপারগ, হারতে হারতে, ছাড়তে ছাড়তে, ভাসতে ভাসতে মাদুর দাওয়া কোথায় যে গেলো?

এখন চুপ থাকতে ভালো লাগে, একা কান্না ফিরে ফিরে আসে, কাল কোথায় থাকবো?

নিজেকে ঠকাতে ঠকাতে সকাল যায়, সন্ধ্যা নামে, সবুজ মরে,কেন স্পর্শে আজ ও রামকুমারীয় আগমনী ? 

আমি কি ক্ষুধার্ত? কবে নাগিন লেকের কোলপাহাড়ে সুর্য ডুববে? 

মেঘবেলা।

ইস্, হয়তো সব লন্ডভন্ড হয়ে যাবে, এখন একটু কাজে বসি, বেতনভুক কন্ঠিধারী!

কলম চলবে পরে, চুপিসারে।

সন্ধ্যা সাথে নিয়ে আসে আসমানী ক্লান্তি, কঠিন মেঝেতে মুখ গুঁজি।

Saturday, May 10, 2025

 ৫৬তে ক্ষরণ না বিস্মরণ,

ট্রেন ছেড়ে যায় প্ল্যাটফর্ম, 

নারী তুমি সহবাসী,

টিমটিমে আলোয় বাসন মাজতে থাকি।

এলোচুল থেকে লালা ঝরে,

নীলঘন্টায়  ঢং ঢং,

অভিনয়ের জন্য বরাদ্দকৃত সময়ে কাটছাঁট।

সকালের ঘুম ভাঙে।

 আলগোছে নিভিয়ে দিলে বৃষ্টি নামে,

ভিজে হৃদয় মুছি বাসি রুমালে,

ল্যাম্পপোস্টের হাত ধরে বিশ্বাস থাকে প্রতিক্ষায়।

ভিড় জমে ট্রাপিজের মেঠো চিৎকারে,

ডায়াবেটিক আকর্ষণ, মরে না কোন ওষুধে।

ডোবা জলে ডুব দিয়ে জানালা খুঁজি।

কালো না সাদা?

 পালিয়ে এসেছি,

অফিসের নিয়মমাফিক কাজ,

দুচোখ জুড়ে এখন ও নীলকন্ঠী উড়ান।

যেতে যদি পারি,

ঘুমোতে চাই তোমার কোলের নিষিদ্ধ উষ্ণতায়।

নাকি জেগে থাকা কফি হাউসের কালো কফি আর তোমার ডানহাতি শিরশিরানি।

টস,হেড না টেল।

Wednesday, May 7, 2025

 আজ সকালে ভাবছিলাম


ইচ্ছে চড়ুই  তুই দিলি উঁকি

আধো আলোয় ঝিকিমিকি।


আকাশে  আজ পলাশবেলা

মন মাঝি চল ভাসাই বেলা।


শিউলি সকাল মুচকি হাসে

মুক্তধারা, পৃথি স্বেতউদ্ভাসে।


হলোনা, পারলাম না নিজেকে ঠকাতে।


একটা অবিশ্রান্ত আক্রান্ত বেদনা ঝরছে বিন্দু বিন্দু,

ভালো লাগেনা,ভাল্লাগে না,  দরজা, জানালা বন্ধ হয়ে আসছে, অন্ধকার নামছে , 

পরিযায়ী রুটিগুলো এখনও লুট হয়নি,কেউ তো

 পেতে পারে দুদিনের জীবন।


হে বিদগ্ধ সভ্যতা তুমি হাসছো ?  একমুঠো মাটি দাও শুধু,একটু রোপণ করবো সবুজ, আমার একান্তই আমার,একটু পথ দাও চোখ বুজবো মাদুরদাওয়ার সোঁদা গন্ধে।


প্রনাম,স্মরণ, নিবেদন, আরও তারস্বরে, রথের চাকাও ঘুরবে, বাড়বে আরও বাড়বে মদের লাইন, অন্তহীন সুখী অবসরে শিল্পের নবজাগরণ। হে দেশ হচ্ছেতো জন নিয়ন্ত্রণ,বিষে মারো,উৎপাটনে অনাহারে মারো, আমি সুরে ধরি একটা নীলরঙা গান ।


কেউ একটা চাবুক দাও, আমাকে রক্তাক্ত করো,মারো মারো,সুধী সভ্য সমাজ, আর এক অবসরে তাকাও শহীদ মিনারের চুড়োয়,দেখো তো কোন কি তফাৎ আছে গোলগাল হৃষ্টপুষ্ট চাঁদ আর পরিযায়ী রূটিতে।


Don't worry, কাল তো নিরাপদ নতুন সকাল। রবি ঠাকুর ভালো থেকো হৃদে থেকো প্রতিপল,ভুল বুঝোনা, তুমি তো অন্তর্যামী। বাইশে শ্রাবণ সেও আসবে।

 শুধু সেই বালিকা খুঁজেই চলবে তার গ্রামের রাঙামাটির পথ,আর কত দূর?

 নয়নতারায় এলো গান, দিক হারানিয়া ,

শুন্যমনে নিদ্রাহারা ,আসা আর যাওয়া।


আকাশ খোঁজ,শ্রান্ত পায়ে স্তব্ধ বিষান,

যেতেই হবে,অথ  শৃন্বন্ত,অমোঘ উড়ান।

Sunday, May 4, 2025

 তুমি যাও

মৃত্যুময়তা আজ  টপ টপ করে সকাল থেকেই,

পিছল করে দিচ্ছে জীবনের ট্রামলাইন।

বুড়ো শালিক আহামরি আনন্দে,এখন ও টিকে তো আছে,


দানাপানি জুটছে দুটো,চারটে বা একটা।

ঝড়ে কলাগাছের পাতাগুলো ফালা ফালা হয়েছে,

একটা ফ্যাৎ ফ্যাৎ আওয়াজ কখনও জোরে কখন ও বা ঘুমঘোরে।


মেঘলা মুখে  ভোর, দুপুর বা বিকেল সব একাকার লাগে। সবাই কোথায় যে ঘাপটি মেরে বসে আছে, শব্দ মিলছে শবদেহে।


উৎসুক নদীমন , অন্ধকার আবহমান।হোলি খেলছি,রঙে সাজছি , কানাগলিতে ভাঙাচোরা বেন্চ,  চলৎশক্তিহীন শায়িত বুদ্ধ, নিজেকেই ঠকানো হাতদুটো মুখ ঢাকছে ভাঙা জ্যোৎস্নায়।


চটজলদি জীবনদায়ী গান তারস্বরে, আরও একটু আমাকে বাঁচন বারি দাও, ঠোঁট লুকিয়ে জুঁই ছায়ায় একান্তই স্বার্থপর, প্রজাতিটির নাম হোমো স্যেপিয়েন্স।