Friday, June 27, 2025

 মনখারাপের জানালা দিয়ে ভালোবাসার মেঘ এসে ভিজিয়ে দেয়। মেঘজলে ভিজে যায় দৃষ্টি পথ। পাপ গ্রস্থ জীবনের অনেকটা পথ পেরিয়ে এসে থমকে দাঁড়াই, জীবন হেঁকে বলে,ওহে মাধুকরীর দিন শেষ, সমে এসে থামতেই হয়। পিছনে ফিরে তাকাই, হিসেব নিকেষের জাবদা খাতা খুলে বসি।

হেরো জীবনের চুপ কথাগুলো একে একে সামনে এসে দাড়ায়, বলে ওঠে ' আমার কথা মনে আছে, আমার কথা!' ঝাপসা মনের ধুলোঝুল মুছতে শুরু করি, কালো আলো আর ভালোর রঙমশাল।

নেশাগ্রস্ত হৃদয় শুরু থেকে শেষ অধ্যায় পর্যন্ত কেবল ভালোবাসা খুঁজে এসেছে,  শেষ নিঃশ্বাসে এই খোঁজ পুড়ে হবে ছাই। মায়ের ভালোবাসা , ভালোবাসা পরিজনের, বন্ধুর, জীবনের আর দুগ্গা নয়নতারার।

আবছায়া শিশু বেলা আর আজকের এই পোড়ো বেলা । তফাত নেই, অসহায় যাপন। নিজেকে এই তথাকথিত সভ্য সমাজে বড়ো বেমানান বলে মনে হয়। সভ্যতার নামাবলী না গায়ে জড়িয়ে উলঙ্গযাপনেই বাকি কদিনের ইচ্ছে বাঁচা।

ভুল পাঁচালী পাতা ওল্টাতে ওল্টাতে নিজেকে ল্যাঙটা করে এই সভ্য মুখোশ পরা সমাজে পেচ্ছাপ বর্ষণ। সাদা কথায় আমি একটি নোংরা মানুষ। কালি যত ধুয়ে ফেলি,কালি আরও বেরিয়ে আসে,আল্হাদি হাসি।

একলা হাসাহাসি। পিছমোড়া করে বেঁধে দিয়েছে ক্লান্ত হৃদপিন্ডটাকে। অচলায়তন, কারাগারের দরজায় ধাক্কা মারতে মারতে রক্ত ঝরে দুই হাত দিয়ে। জন্ম সেই মাদুর দাওয়ায়, চারিদিকে বাঁশ দিয়ে ঘেরা, গড়াতাম, এদিক আর ওদিকে, আবার ফিরে আসতাম, ওটাও তো পশু খামার এটাও,,,

তফাত নেই।

 ‌

 গোল গম্বুজের কাছাকাছি,

চুকিতকিত না কানামাছি।

এক পেয়ালায় টকমিঠে, 

হারজিতে সব ঘোলাটে।

বিক্রি নেই শিরেরদাঁড়া,

ভুল আকাশে নেড়াপোড়া।

উড়ছে আওয়াজ মাঝবুকে,

মুখ লুকানো নীলশামুকে।

আমার তুমি হৃদয়জুড়ে,

তোমায় বাঁচা হৃদসমুদ্দুরে।

ভালোয়বাসায় আমার জিত,

কানামাছি নয় চুকিতকিত।

  এই ভরা বর্ষায় ফ্যাতারুরা কি উড়ছে?

 হিসু দিয়ে সমাজ সাফ সেকি হচ্ছে? 

Tuesday, June 24, 2025

 সাঁকোটি বাঁশের

পাশ কাটিয়ে এগিয়ে যাই

 ঢালাই ব্রীজ পার হয়ে 

চেনা প্ল্যাটফর্ম , ট্রেন, চেনামুখ, অফিস।

ভেলাটি স্বপ্নের 

মায়া কাটিয়ে পিদিম নেভাই

নেভা রাতের ভালোবাসা এড়িয়ে 

নোনা টেবিল, বোকা কলম,  নকল নভিস।



Sunday, June 22, 2025

 ১

খাটতলায়  স্তূপ আবর্জনার, দুনম্বরী পুরুষ এপাশ ওপাশ ফেরে এবং চেষ্টা করে ফেরারী ফৌজে সামিল হতে।

আবর্জনার মধ্যে থেকে কেউ বলে ওঠে ' হেই সামালো', পুরুষটি গামছার গিঁটটা আরেকটু আঁটোসাঁটো করে।

৩ 

মন দিয়ে মাদুর কাঠি জুড়তে থাকে, প্রায় তিরিশ বছর কয়েকটি পোকা ও কাঠির সাথে সহাবস্থান।

মুখ উঁচু করে আকাশে চাঁদ দেখে এবং কিলবিল করা কেন্নোগুলো নাভিমূলে জড়ো করে।

৫ 

তেলচিটে বালিশ একটু ছাড়ে ও সরু গলি মন্দিরে যায় দেবীর প্রসাদ ছুঁতে।

মুষড়ে না পড়ে অম্বুবাচীর কটাদিন কাস্তে,কোদাল কীটনাশক দিয়ে মোছে এবং পিটিয়ে মিহি করার চেষ্টায় থাকে।

অস্পর্শ দিনে পাঁচিল টপকে সাহেববাগানে ঢোকে আর গোলাপের কাঁটা দিয়ে দাঁত খুঁটতে খুঁটতে তারা নেভায়।

সন্ধ্যে হলেই কোলবালিশ জাপটে ধরে খাটতলায় ঘর্ষণ শক্তির পরীক্ষা দেয় এবং আগামীকালের পোশাক উত্তপ্ত করে।

নির্বাপনী সভায় কে যেন হ্যাজাক জ্বালিয়ে কেটে পড়ে , চানঘরে জীবনের চিৎকার।

১০

দুকান চেপে দুনম্বরী পুরুষ নিজেকে ঢেকে দেয় অবৈধ আবর্জনার স্তূপে।

১১

ওরা মাল্টিপ্লেক্সে বসে জীবনমুখী সিনেমা দেখে, সিনেমার নাম ' আপিস' ।

Thursday, June 19, 2025

 রক্তে শুন্যতার পরিমাণ গেছে বেড়ে,

হে ত্রিকালদর্শী তুমি তো সব জানো,

কেবল কর্ণের কথা মনে পড়ে।

কর্ণের শেষ সম্বল ছিল জেদ,

গুরু অবহেলা পুঁজি করে  সহস্র যোজন প্রতিরোধ ভেঙে ছিল।

 বাসি মনরুটি ফুটিফাটা ,অগ্নিস্নান  বারংবার,

 নয় নরম অথবা সহজপাচ্য এবং  সম্পুর্ন জীবানুমুক্ত।

সকাল সেতো প্রতিদিন আাসে ,পিন্ডদানে অন্তরগয়া,

অনবরত প্রতিষেধক ,তবু ঝরে,ঝরে পড়ে পুজরক্ত।

বুড়ো অন্ধ কাক সযতনে পালন করে  দেহ পরানে,

রোগটির নাম অর্থহীন লড়াই কিংবা আদুরী মধুমেহ ।

ইতিউতি চোখ পিটপিট,সব সবই  নিকষ কালো,

অন্তহীন খোঁজ, কোথায় মেলে আগলহীন শান্তি গেহ।

নিজের বলতে একটি ফুটিফাটা হৃদপিন্ড,দানে পাওয়া,অযত্নে  প্ল্যটফর্মের ভাঙাবেন্চে,বেহিসাবের হিসেব,যোগ,বিয়োগ। অনুভূতিহীন দেখায় সকালটাই কেবল অবধ্য ,মিঠে।

Monday, June 16, 2025

 বুড়ো শিব ছাড়ে উদভ্রান্ত নিঃশ্বাস,

আজকাল জানালা দিয়ে তাকিয়ে থাকে,

সর্বশ্রান্ত দৃষ্টি।

কিছু মনে থাকেনা, 

তালপুকুরের পানকৌড়ি ডাকে সুযোগসন্ধানী ইশারা।

এই চক্র, ওই চক্রে শ্রান্ত কথামালা।

দূগ্গাকে আঁকড়ে অন্ধ সন্ন্যাস।

অযোগ্যতা প্রমানিত।

বুড়ো শিব হতে চায় মাতাল,

জায়গা খোঁজে।




Tuesday, June 10, 2025

 তারিখগুলো পাল্টে যায়। 

দাওয়া থেকে নেমে টলতে টলতে আলপথ,

এখানে কেউটের সাথে সহবাস।

কখনও বা মোরাম রাস্তায় বৃষ্টির হারিকিরি,

কখনও বা হারিকেনের টিমটিমে হাসি।

নিয়মিত খাচ্ছি হোঁচট।

ভুল সময়বেলা,

বেচার লেখা, ভাষা চচ্চড়ি।

বৃদ্ধ ভাবনাখেলা,

বলির রেখা, অতঃ হারিকিরি।

পথগুলো সব এসে জড়ো হয় ভাঙা জানালার ধারে, বিড়বিড়, বিহ্বল।

শব্দগুলো আপনা থেকে এসে বলে ,

আমাকে জায়গা দিতে হবে, নিয়ম মানেনা, অসংলগ্নতা প্রাণের লক্ষণ ।

মেঝেতে পড়ে লোকটা, মাথাটা কিন্তু এখনও উঁচু, বিসদৃশ হলেও ডুবে আছে আকন্ঠ প্রেমে, একলব্য।

অস্টিওপোরোসিস একেবারে জাপটে ধরেছে, চুমুক ভালোবাসায় বাকি জীবন।

মাথাটুকু থাক‌।



Thursday, June 5, 2025

 ইঁদুর 

খুটে নেয়, কেটে খায় আর মাঝেমধ্যে বেটেও ঢোকায় পেট নামক গহ্বরে।

দিন ও রাত চলে নিজ মহিমায়।

সে জানে কোন ফুঁটো দিয়ে ঢুকবে এবং বেরোবে।

কিন্তু যারা ইঁদুরনভিস, 

হাঁসফাঁস করে, পথ লুকিয়ে যায় ঝরা শিরীষের আস্তরণে।

ভুল করে,গাল খায়, তবুও চেষ্টার গান জোড়ে।



 জলদুপুর ও ভাঙা রাত্রি 


আকাশ আসে,

তারারা আসে, 

এদিক ওদিক থেকে দুচারটে জোনাকিও, 

আলো নিয়ে।


অন্ধকার বুকে কাঁপন ধরে,

জানালার পাশের নারিকেল গাছের চুল খোলা পাতাগুলোয় শিরশির।


তেলচিটে বালিশে মাথা রেখে এপাশ আর ওপাশ, লড়াই, 

স্বপ্নসব এক এক করে ভেসে মরে, 

শ্রান্ত বুদবুদের মতো জাগা আর মরা।


সময় পাশ কাটিয়ে এগিয়ে যায়,

বসে ঘামে কালপুরুষ,

সকাল যেন আসতে ভোলে।


সঙ্গতিহীন।


রোজনামচায় দুপুর ক্লান্তি,

ঢোলকলমিতে সময় ফুলবসন্তের।


ওরা আমায় বেঁধে রেখেছে,

ট্রাপিজ না কুমিরডাঙা।

Wednesday, June 4, 2025

 বামুনের ঘরে জন্ম,

ছেলেবেলার বাপের লাঠি আর ঠাকুরঘর শিখিয়েছিল তদ্ সবিতুবরেণ্যঙ,,

তা ব্যাটা যখন যাই করতে যায়,সুর্য্যি ঠাকুর দেয় ব্যাগরা।

তবু করে কম্মে দিন যায়, রাত্তিরবেলায় সব নজরদারি এড়িয়ে অন্ধকারের সাথে জড়াজড়ি, ল্যাপ্টালেপ্টি, যাপণ।

ঝোলা নিজে বয়ে নিয়ে চলি, যেখানে যা পাই,কলাটা, মুলোটা আর ভাগ্য কখনও সুপ্রসন্ন হলে, মূল্য ধরে ভালাবাসাটা।

চেষ্টায় থাকি দাও মারার, আসল সত্যিটা হলো তোমার দুর্বলতা ভাঙিয়ে আমার আয় আমি সঞ্জয়।

দিন চলে, সুয্যি ঠাকুর নিজেকে একটু মেঘে ঢাকো। আমি একটু করে কম্মে,,

ঠাকুর দালানে বসি, খেরোর খাতায় হিসেবনিকেশ, আগে পরে শুন্যময়।


 তোমার আমার ভ্রান্তি যখন সমে,

এসো নামি,থামি  অন্ধ প্ল্যাটফর্মে।

Tuesday, June 3, 2025

 বেণু আজকাল ভেড়া চরায়,

শহীদ মিনারের তলায়, এখানে জমে আছে সিমেন্ট,বালি, সবুজ ঘাসের শ্বাসরোধ, এখানে ভেড়া চরে।

বেণু আজকাল ভেড়াদের সাথে চরে,

একটা টুল জুটেছে,বসে মাঝে মাঝে,এদিক  ওদিক তাকায়, হুস হাস আওয়াজ করে, নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে।

বেণু ভেড়াদের সাথে থাকে গভীর আলোচনায়।

এককালে বইটই পড়তো, এখন মোবাইল ফোনটাই চলে, ভেড়াদের রোগব্যারাম হলে ওষুধ দেয়,নিজেও খেয়ে নেয়।

বেণুর কেন জানি মনে হয়, সেও ধীরে ধীরে মানুষ থেকে ভেড়া তারপর শেষমেশ খচ্চর হয়ে যাচ্ছে।


Sunday, June 1, 2025

 আদুরী আঁধারে প্রানে সুরে ভাবে গলাগলি,

লক্ষণ কেবল আঁকে বক্ররৈখিক চন্চলতা।

আলো খেলে লুকোচুরি,খন্ড খন্ড পদাবলী,

ঘাসফুল আর মেঘেলা আকাশে চুপকথা।