রক্তে শুন্যতার পরিমাণ গেছে বেড়ে,
হে ত্রিকালদর্শী তুমি তো সব জানো,
কেবল কর্ণের কথা মনে পড়ে।
কর্ণের শেষ সম্বল ছিল জেদ,
গুরু অবহেলা পুঁজি করে সহস্র যোজন প্রতিরোধ ভেঙে ছিল।
বাসি মনরুটি ফুটিফাটা ,অগ্নিস্নান বারংবার,
নয় নরম অথবা সহজপাচ্য এবং সম্পুর্ন জীবানুমুক্ত।
সকাল সেতো প্রতিদিন আাসে ,পিন্ডদানে অন্তরগয়া,
অনবরত প্রতিষেধক ,তবু ঝরে,ঝরে পড়ে পুজরক্ত।
বুড়ো অন্ধ কাক সযতনে পালন করে দেহ পরানে,
রোগটির নাম অর্থহীন লড়াই কিংবা আদুরী মধুমেহ ।
ইতিউতি চোখ পিটপিট,সব সবই নিকষ কালো,
অন্তহীন খোঁজ, কোথায় মেলে আগলহীন শান্তি গেহ।
নিজের বলতে একটি ফুটিফাটা হৃদপিন্ড,দানে পাওয়া,অযত্নে প্ল্যটফর্মের ভাঙাবেন্চে,বেহিসাবের হিসেব,যোগ,বিয়োগ। অনুভূতিহীন দেখায় সকালটাই কেবল অবধ্য ,মিঠে।
তারিখগুলো পাল্টে যায়।
দাওয়া থেকে নেমে টলতে টলতে আলপথ,
এখানে কেউটের সাথে সহবাস।
কখনও বা মোরাম রাস্তায় বৃষ্টির হারিকিরি,
কখনও বা হারিকেনের টিমটিমে হাসি।
নিয়মিত খাচ্ছি হোঁচট।
ভুল সময়বেলা,
বেচার লেখা, ভাষা চচ্চড়ি।
বৃদ্ধ ভাবনাখেলা,
বলির রেখা, অতঃ হারিকিরি।
পথগুলো সব এসে জড়ো হয় ভাঙা জানালার ধারে, বিড়বিড়, বিহ্বল।
শব্দগুলো আপনা থেকে এসে বলে ,
আমাকে জায়গা দিতে হবে, নিয়ম মানেনা, অসংলগ্নতা প্রাণের লক্ষণ ।
মেঝেতে পড়ে লোকটা, মাথাটা কিন্তু এখনও উঁচু, বিসদৃশ হলেও ডুবে আছে আকন্ঠ প্রেমে, একলব্য।
অস্টিওপোরোসিস একেবারে জাপটে ধরেছে, চুমুক ভালোবাসায় বাকি জীবন।
মাথাটুকু থাক।
জলদুপুর ও ভাঙা রাত্রি
আকাশ আসে,
তারারা আসে,
এদিক ওদিক থেকে দুচারটে জোনাকিও,
আলো নিয়ে।
অন্ধকার বুকে কাঁপন ধরে,
জানালার পাশের নারিকেল গাছের চুল খোলা পাতাগুলোয় শিরশির।
তেলচিটে বালিশে মাথা রেখে এপাশ আর ওপাশ, লড়াই,
স্বপ্নসব এক এক করে ভেসে মরে,
শ্রান্ত বুদবুদের মতো জাগা আর মরা।
সময় পাশ কাটিয়ে এগিয়ে যায়,
বসে ঘামে কালপুরুষ,
সকাল যেন আসতে ভোলে।
সঙ্গতিহীন।
রোজনামচায় দুপুর ক্লান্তি,
ঢোলকলমিতে সময় ফুলবসন্তের।
ওরা আমায় বেঁধে রেখেছে,
ট্রাপিজ না কুমিরডাঙা।
বামুনের ঘরে জন্ম,
ছেলেবেলার বাপের লাঠি আর ঠাকুরঘর শিখিয়েছিল তদ্ সবিতুবরেণ্যঙ,,
তা ব্যাটা যখন যাই করতে যায়,সুর্য্যি ঠাকুর দেয় ব্যাগরা।
তবু করে কম্মে দিন যায়, রাত্তিরবেলায় সব নজরদারি এড়িয়ে অন্ধকারের সাথে জড়াজড়ি, ল্যাপ্টালেপ্টি, যাপণ।
ঝোলা নিজে বয়ে নিয়ে চলি, যেখানে যা পাই,কলাটা, মুলোটা আর ভাগ্য কখনও সুপ্রসন্ন হলে, মূল্য ধরে ভালাবাসাটা।
চেষ্টায় থাকি দাও মারার, আসল সত্যিটা হলো তোমার দুর্বলতা ভাঙিয়ে আমার আয় আমি সঞ্জয়।
দিন চলে, সুয্যি ঠাকুর নিজেকে একটু মেঘে ঢাকো। আমি একটু করে কম্মে,,
ঠাকুর দালানে বসি, খেরোর খাতায় হিসেবনিকেশ, আগে পরে শুন্যময়।
বেণু আজকাল ভেড়া চরায়,
শহীদ মিনারের তলায়, এখানে জমে আছে সিমেন্ট,বালি, সবুজ ঘাসের শ্বাসরোধ, এখানে ভেড়া চরে।
বেণু আজকাল ভেড়াদের সাথে চরে,
একটা টুল জুটেছে,বসে মাঝে মাঝে,এদিক ওদিক তাকায়, হুস হাস আওয়াজ করে, নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে।
বেণু ভেড়াদের সাথে থাকে গভীর আলোচনায়।
এককালে বইটই পড়তো, এখন মোবাইল ফোনটাই চলে, ভেড়াদের রোগব্যারাম হলে ওষুধ দেয়,নিজেও খেয়ে নেয়।
বেণুর কেন জানি মনে হয়, সেও ধীরে ধীরে মানুষ থেকে ভেড়া তারপর শেষমেশ খচ্চর হয়ে যাচ্ছে।