কাম্য একটি শামুক জীবন,

খোলসের মাঝে নিজেকে লুকিয়ে রাখা ।

ভিজে থাকা যাবে অবিরত চোখের জলে,

একটুকরো আড়ালে অনিমেষ ,প্রত্যাশা

ওই যে অন্ধকুপ, গহিন গভীর ।

না , যখন খুব চেনা কেউ নিতান্ত অচেনার মতো উপেক্ষা করে , নিজেকে নিতান্ত অস্পৄশ্য বলে মনে হয়।

যে যন্ত্রনা বোধ হৄদয় ভিজিয়ে দেয় তা জীবনকে মরনের আরো কাছাকাছি পৌছে দেয় , এগিয়ে দেয় মধুর সঙ্গম পথে । এসো হে মরণ দুত, এই খেয়াঘাট থেকে নিয়ে চলো তোমার রাজ্যে । অনেকতো হলো মাধুকরী ।

যখন পড়বে না মোর পায়ের চিন্হ........

তোমরা ভালো থাকো, সুখে থাকো, থাকো সদা আনন্দে ,

প্রভু হে ,তব করুণাধারায় প্রতিটি প্রাণ ভাসুক জীবনছন্দে।

অর্থ হীন

মোম জ্যোৎস্না কাল রাতে শুধু তুমি আর আমি,

গলে গলে ঝরে পড়ছিলে ,আমাকে ভিজিয়ে দিয়ে

বাঁধছিলে সুগভীর আলিঙ্গনে ।

                  

আমাকে কানে কানে ফিস ফিস করে বলছিলে ,

তুমি আজ চোখ ঢেকোনা এক্কেবারে,আমাকে

নাও একান্ত সঙ্গোপনে ।

আমার সব রিক্ততা তুমি নীরব ভালোবাসায়

মুছিয়ে দিয়ে বলছিলে, হে প্রিয় তুমি রহো সাথে

এই মধু জ্যোৎস্নাবনে ।

মরন সাগরে একফালি জীবন ভেলা দিলে, তুমি

একটুকরো আশাবৈঠা দিয়ে বললে , সবহারা হে

বাঁচো তোমারই স্বপনে ।

পলে পলে কখন যে রাত হয় গভীর, ভোর দেয়

উঁকি ।নেমে আসে মেঘ বালিকা,নয়নতারা ভিজে

কাঁদে কেন কে জানে।

চলতে তো হয়ই। প্রত্যেক প্রান নিজের কথা ভাবে , ভাবতে হয় ।আমরা সব্বাই  খুঁজে ফিরি সেই পরশপাথর যার ছোঁয়ায় সব বেদনবোধ সুখসাগরে যায় ভেসে ।মেলে না । তবু খুঁজেই  ফেরা জীবনভোর।মায়ামৄদঙ্গ বেজেই চলে ।থেমে থাকেনা । জীবন পৌছোয় অসম্পুর্ন পুর্নবিরতিতে । হায় রে জীবন ।

নাও ভেসে চলে উথাল পাথাল কুল মেলেনা ,

পাগল মন ওরে,  ঠাই জোটেনা রে জোটেনা ।

একতারা কি সুরে বাজে ,হায় নিজেই জানেনা,

বাউলমনরে জল অথৈ ,সম্বল কেবল ইচ্ছেডানা।

মধুশালা

ধীরে ধীরে ওই  এক পা থেকে আরেক পা,

এগিয়ে চলা,সবভোলা, কান্না পাথরচাপা ।

আয়না ভেঙে চুরে একাকার কেমনে দেখা.

ডুবসাঁতারেই  জলঢাকা থেকে সুবর্নরেখা।

আশা. আলো, জীবন নিমজ্জনে বালুকাবেলা,

বাঁশী বাজে,বাজে বীণ,সাঙ্গ হয়ে এলো খেলা।

মরন উপত্যকায়  একা বাউল আর একতারা,

শাওন মেলে পৌষালী শীতে,অন্তে রিক্ত মন্দিরা ।

আমার ছিলো একটুকরো একলা আকাশ আর একফালি উঠোন । আকাশ জুড়ে ছিলো একান্ত আপনার দুগ্গা। এখনো অভ্যাসে বাঁচার ইচ্ছাটুকু খুঁজতে আকাশপানে চাই ।আকাশটাই কোথায় হারিয়ে গেছে । দুগ্গা ও মনে হয় এই পাপ কে ত্যাগ করেছে ।এই জীবনতো পঁচাগলা পুতিগন্ধ ময় , দৄষ্টি হয়ে আসছে ঝাপসা ,দুটি পা আর ভার বইতে পারেনা ,করে টলমল।শেষ কোথায় ? কোন ক্ষণে ?

            মনরে

সবই তো ছাড়তে চাইলাম,

ওরে প্রেম তোকে ছাড়া গেলো না।

এতো গেরুয়া রঙ মাখলাম,

নাথহে মন তো বাউল হলো না।

আকাশ গঙ্গায় নাও ভাসালাম,

হায় দরিয়া তোর খোঁজ মেলেনা ।

পথে পথে ঘুরেই বেড়ালাম,

প্রভু আপনার তুমি দেখা দিলেনা ।

জনে জনে কাছে টানলাম,

পাগল মন আমার সাথী পেলামনা।

এতো গেরুয়া রঙ মাখলাম,

নাথহে মন তো বাউল হলো না।

সবই তো ছাড়তে চাইলাম,

ওরে প্রেম তোকে ছাড়া গেলো না।

এতো গেরুয়া রঙ মাখলাম,

নাথহে মন তো বাউল হলো না।

একলা ভোরে আজএকটা কথা বারবার মনে হচ্ছে, আগেও মনে হয়েচে । যখন জন্মেছিলাম তখন তো কথা বলতে পারতমনা , শুধু পারতাম চিৎকার করে কাঁদতে । আজ যখন শেষের বাঁশী  বাঁশীওয়ালা বাজাতে শুরু করেছে তখনও
কথা যায় হারিয়ে , নীরব কান্না গুলো হতে চায় মৌনমুখর । প্রভুহে এই কদিন আমাকে একলা কাঁদার একটা কান্নাঘর দিও যেখানে আমার বলে ভাবা সব আভরন একে একে ত্যাগ করে পারি ভেসে যেতে পারি দুচোখের বন্যাধারায় ।

                  নারী তুমি

চাই চাই গো তোমাকেই চাই. প্রেমে অপ্রেমে

বনফুলে আর পাতাঝরা গোধুলির  বর্ণমালায়,

একলা আঁধার যখন নয়নতারায় জাগে সমে

তোমাকেই চাই হৄদয়মাঝে, অঝোর বন্যাধারায়।

সকল  গাছের পাতায় নদী মাটি আকাশজুড়ে,

চাই মেধায় , মননে চিন্তনে অগ্নিশ্নাত তিস্তায়।

এই কংক্রিটের জঙ্গলে ,জনঅরণ্যের মরুশহরে

তোমাকেই তো চাই ভালোবাসার ছাতিমতলায়।

সত্যিটা সত্যি করে লেখনীতে ,বৈদ্যুতিক ঝলকে

একটা সুন্দর পৄথিবীর স্বপ্নে গৌরী লঙ্কেশ তোমায়

চাই মাতৄছায়ায়, বেঁচে বাঁচতে  অনিমেষ অপলকে

যখন একলা কান্না চিৎকার করে তোমাতে হারায়।

নিজের মতো বাঁচতে ক্লান্ত ক্লীব পথচলায়, নির্জনে

লবণাক্ত সমুদ্রে ইশরাত মালালায় অখন্ড রঙে রামধনু।

মেরুদন্ডে কাঠিন্যে ,নিত্য লড়াইএর প্রত্যেকটি দিনে

চাই চাই তোমাকে , পাপে অহংকারে হয়ে নতজানু।

তোমাকে চাই পথে প্রান্তরে ,গোলাপী লড়াই গভীর

সব হারানো নিদ্রাহীন দুইচোখের পাতায়  দুগ্গা তুমি।

নদী,নারী, মা , সাগর. কন্যা, প্রেম ,আকাশ নিবিড়

হৄদস্পদন ফুৎকার,  জীবনজলছবি তোমাকেই প্রনমি।

চুপি চুপি নিভৄত সঙ্গোপনে তোমাকেই চাই কবীরে,

চাই সুমনে তোমায় চায়ের কাপে , অর্থহীন প্রলাপে,

তোমাকে চাই আবছা আবেগে আবদ্ধ রুদ্ধ কারাগারে,

ফিরে ফিরে চাই বানভাসি,  একাই নিদারুন উত্তাপে।

               চাওয়া তোমাকেই ।

সতীশ.http://satishacharya2018.blogspot.com/

আমার বাইশে শ্রাবন আমি একান্ত অন্তরালে একলা কাটাতে চেয়েছি , চেয়েছি আমার একলা চোখের জলে আমার বেদনা ,ব্যাথা , আমার অসম্পুর্নতাকে নিজের  সাথে ভাগ করে নিতে।এই  নিতান্ত অকর্মন্য অতিরিক্ত মানুষটা অনবরত ঘুরে বেড়ায় আপন খেয়ালে ,মাধুকরীতে  দিন কাটায়, কিসের যে খোঁজ নিজেই তো জানেনা । তবু চরৈবতি ।
এই বাইশে শ্রাবনে আমার যত পাপ যত অন্যায় যত ভুল সবটুকুর জন্য সবার কাছে আমার মাথা নত করে দাও হে । সব্বাই যদি আমার কালো ভুলে সাদাটুকু, যদি কিছু থাকে ,মনে রেখো, তাহলেই আমার মানবজনম সার্থক ্।
এই বছর এই দিন টা আমার দুখের ঝুলি ভরে দিয়েছে , আমি পরিপুর্ন । এই দিনে আমার মেঘদুত কে দিলাম আমার খুব কাছের আমার একলা আপনার  দুগ্গাকে অন্জলি শিউলি ফুলে।দুগ্গা ভালো থেকো।
                    আর
   সব্বাইকে বাঁধি মিলাই আপন সুরে
  স্বপ্নে কল্পে থেকো কাছে ,নয়কো দুরে ।
  আপন খেয়ালে গাই যে আমার গান,
  আহা  মরনরে তুহু মম শ্যাম সমান ।

সতীশ,satishacharya2018.blogspot.com

অনুভুতি মৄত্যুহীন

ঘুমগুলো সব কেঁপে কেঁপে ওঠে, জেগেই থাকে

রাতজাগা ল্যাম্পপোষ্টগুলো সহমরনে ,নিতান্তই অকারণে।

বিচ্ছিন্ন এক একটি দ্বীপ, বাবধানের খাদ গভীর থেকে গভীরতর,

এক শুন্য থেকে আরেক শুন্য, শুন্যমালায় ওড়ে শঙ্খচিল ।

 আবেগগুলো  পাগলের মতো গরাদ সব সবকটাই নাড়তে থাকে,

সেলুলার জেল হাতে পায়ে শিকল সহক্রন্দনে, কেন কে জানে?

নীরব নিস্ফলা বিষ্ফোরন অনবরত, অর্থহীন একটানা একই সুর,

সব্বাই দিব্বি আছে, কাকতালীয়ভাবে গোটা হিসেবটাই গরমিল।

কন্ঠ রুদ্ধ চিৎকার করে জানতে চায় তুমি কোন আগুনে জ্বলে বাঁচো?

কিন্তু এ ক্যানসার দুরারোগ্য , এই পৄথিবী নিজেই তো আশ্রয়হীন,

স্বপ্ন দেখা পুরোপুরি নিষিদ্ধ, হৄদয় টুকু শুধু বিদ্রোহ করে নিষেধ নিরুত্তর

ঘরঘর শব্দে পাখাটা ঘুরতেই থাকে ,ভালোবাসা শ্থবির তিল তিল।

আকাশগঙ্গা ঝরে ঝরে পড়ে , দুচোখের অঝোরে মিলে কিসের বেসাতি?

কোন পথের গোলকধাঁধায় বেলা বয়েই যায় ,সুতীব্র সুনিবিড় মৄত্যুবাসনা,

ভাষা হারায় বেদনবাঁশী ভেঙে ভেঙে জোনাক আলোয় মিলিয়ে যায়,

মাথার ভিতর সব বোধগুলো অন্ধ, কেন্নো প্রাণ আর আর শবের মিছিল ।

খুব খুব চেনা বায়বীয়. সযতনে লুকানো ভালোবাসা একান্ত আপন

ভালোবাসার ভালোবাসা হঠাৎ যেন বাস্পীভুত, একটি ফুৎকারে 

সবটুকু দেয় নিভিয়ে দেয় ,  ফিরে এসো ফিরে এসো  একলা আঁধারে

 হৄদসাগরে জাগো হে, সবটুকুই যে মিলায় ,নিকষে বেদনব্যথাতুর নিখিল।

 গোপনে অস্থির চেতনা জাগে দিনরাত পথের ধুলায়  ভেজে চোখের জল

বেষ্টনে প্রাচীর দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর, আকাশটুকু ও যেন ঢেকে যায়, চোখে

কেবলই স্বপ্নের অপ অথবা চির মৄত্যু , কোন কারুবাসনায় একতারায়

ছেড়াসুর , খেলাঘরে জমা মুখোসের পর মুখোস মরণ অনুরনণে আবিল ।

অভয়ারণ্য নয় ভয়ারণ‍্য,তুমি আমি আর একলা আকাশ,

চলা ফেরা সব ই তো পুতুল নাচের ইতিকথা , ভাবনার  শেষ নিঃশ্বাস।