Sunday, September 30, 2018

মরণ তুমি এখন এই শহরের চাপা বনে,
হাঁসছ, বাঁধছ তোমার নিবিড় আলিঙ্গনে।
আমি তো বট হতে চাই অমর্ত্য
আগুন পাখি হয়ে বসে ঢেউ গুনব নীল নদের।
তোমায় ভাসতে দেখব , হাসতে দেখব
গাছ হয়ে শেষ অক্সিজেনটুকুও তোমার কুঞ্চিত কালোবন‍্য চুলে, এতো একটাই জীবন।

Monday, September 24, 2018


গত শনিবার আমার মতো অকেজো অপদার্থকে বাধ্যতামুলক ভাবে অফিসের কাজে যেতে হয়েছিল দীঘায় ।গোটা জীবন পাহাড়ে বন বনান্তরের বাসিন্দা এই পাগলের  তথাকথিত রিসর্টে থাকাও হয়ে গেলো বারদুয়েক।আমার দমবন্ধ হয়ে আসছিলো , নেমে এলাম সাঁঝবেলায় গলিপথে । কিছুদুর যেতে যেতে দেখি একটা চায়ের দোকানের সামনে এক শিশু ভোলানাথ ধুলি শয্যায় গড়াগড়ি দিয়ে কাঁদছে আর বলছে যে কিছুতেই সে বাড়ি যাবেনা ।এগিয়ে গেলাম আর হয়ে গেলো ইশ্বর দর্শন ।
বালকভোলা ছোট ছোট মাটির গোল্লা পাকিয়ে দুগ্গা তৈরী করছিলো, অসমাপ্ত রেখে কিছুতেই বাড়ী ফিরবেনা। দুগ্গা তৈরী হয়ে গেছে, সাথে লক্ষী ও । বাকীরা তার কল্পে । হাত লাগালাম, ফিরে গেলাম কত হাজার দিন আগের বালক বেলায়, সেই যে আমার দু চোখ না দেখতে পাওয়া ঠাকুরমা শিখিয়ে ছিলেন তার হাতের যাদু ছোঁয়ায় প্রতিমা গড়া । আমি গলে গলে বালক ভোলানাথে মিশে গেলাম । প্রেমে পুজায় এতো পথ ঘুরে আরবার আমার দুগ্গাকেই শিশুভোলানাথের হাত ধরে ফিরে পেলাম । ঈশ্বর তোমার করুণা অপার।

Sunday, September 23, 2018


লবণাক্ত সমুদ্র আর দুই চোখ তার অপারজলধারা,
আবছায়া, দুগ্গা তুমি, মৄতমনে অনর্থে কড়া নাড়া।

Wednesday, September 19, 2018


জীবন তো অনেক অনেক দিলে, এবার যেতে দাও,
বন্দরের ডাক শোনা যায়, ভাসাই সওদাগরের নাও।

Tuesday, September 18, 2018


                                          ভালোবাসি
হৄদয়ের গোপন ক্ষতস্হান ,জয়কবি তুমি তো দুরবাসী, জানলে কেমন করে ?
অবিরাম রক্তক্ষরণ, যেমন করে আজ বটের পাতা হলুদ, সবুজ থেকে ঝরে ।

বাউল মন আজ পাগল হয়ে পথভোলা, চায় যেতে এই দ্বীপ থেকে দ্বীপান্তরে,
কাঁদব আমি আগল খুলে , ভাসব আমি ,হারাব কেবলই  আমার রবিঠাকুরে।

জীবন দিল এতো কিছু , রাখি কোথায়,পাইনা ভেবে,থাকুক না অন্তরে গভীরে,
 অন্য ভুবন, আজ নয় হাজার বছর মিলব তোমায়, একবুক আপন স্বপ্ননীড়ে ।


তুমি নদী হয়ো, আমি   তোমার উথাল পাথাল,অমল আলোয়,কমল আধাঁরে,
বিবশ হবো, অবশ হবো, ওগো পরাবো মালা কচুরীপানা ফুলে, বাঁচবোই মরে……..

Monday, September 17, 2018

রাত ক্রমশ গভীরতর,ব্যস্ত চলনে জোনাকি মন,
শির শির পাগল তালসারি, মধুর স্বপ্ন সম্মেলন।

Saturday, September 15, 2018


কাল সকালে পথ চলতে কানে এলো একটি শিশু কন্ঠ “ মাগো আজ সকালে কি খাবো ,মা ?”  মা তাকে মুড়ি খেতে বলায় বালিকা কেঁদে বলে “ মা রোজ সকালে আর তো মুড়ি খেতে ভালো লাগেনা ,অন্য কিছু দাওনা।” মা তাকে বোঝানোর চেষ্টা করে, বলে পয়সা জোগাড় করে ভালো কিছু ঠিক কিনে দেবে । সারা টা দিন মনে আগুন জ্বলতেই থাকলো ।
আর আজ সকালে আমার হরিয়ানার মেয়েটির উপর পাশবিক অত্যাচারের যে খবর পড়তে হলো, আমি অন্তর থেকে এই কামনা করতে থাকলাম, “ প্রভু অন্তত আমার বোধের মৄত্যু ঘটাও, আমাকে অন্তত পাগল হতে দাও, মুক্তি দাও এই তথাকথিত সভ্য সমাজ থেকে, যে সমাজ প্রতি পলে আমার দুর্গাকে ছিড়ে খাচ্ছে।”

Thursday, September 13, 2018


মৄত্যু উপত্যকায় একাকী আমরা
নীরা তোমায় দিলাম  আমার ভালোবাসা একবুক উথাল,
যে নদী হও তুমি ,ভোর হয়ে বেঁচো আমি তো পড়ন্ত বিকাল  

মাঠ আকুল সবুজ, দে দোল দোলরে মেতে উন্মনা ঝিঙেফুল,
হাসি যে পাগলাঝোরা, ভিজে গলে যাই,  দুগ্গা প্রেমে আকুল।

নিত্য আঘাতের চক্রজালে, হৄদসমুদ্র  যখন  লবনাক্ত টাইগ্রিস,
একপশলা শামুকখোলা ,কুল ছাপিয়ে অতলান্ত ভালোবাসিস।

মনযমুনায় স্বপন নাও ,ভাটিয়ালী গানে গোপন গাভীনয়ন,
রুপ নয়,যৌবন তাও নয় ,বেদনস্নানে  চিরজাগ্রত মধুমিলন।

Tuesday, September 11, 2018


নীরা তোমায় দিলাম  আমার ভালোবাসা একবুক উথাল,
যে নদী হও তুমি ,ভোর হয়ে বেঁচো আমি তো পড়ন্ত বিকাল ।

Monday, September 10, 2018


অনবরত অবিরাম অন্তরক্ষরণ ।এতো যন্ত্রনায় নীলকন্ঠ  কালপুরুষ । বাঁচে কি করে ? এই ভুবনডাঙায় কোন এক ভরা শ্রাবণের রাত গভীরে যে চলাতে পথশুরু শেষ কোথায় নাথ হে, হে মুর্শিদ আমার । কিসের যে খোঁজ সে তো নিজেরই অজানা । রাঙা পথের ধুলায় মিশে আকাশ দেখার বড়ো সাধ । একে একে সবাই তো যে যার আপণ পথে । দয়া নয়, করুণা নয়, প্রত্যাশা হীন।শেষের অচীন অমোঘ বাঁশীর যে আবাহন কানে ভেসে আসে বড়ো আপনার ,বড়ো মধুর সোহাগে অক্ষয় আলিঙ্গনে ভরিয়ে তোলে।ভার যে বড়ো বিষম বলে মনে হয় । মন্দিরা মনমন্দিরে সদাই বাজে।
একটাই কামনা ।এই সাদা কালো অর্থহীন জীবন সায়ান্হে এই অস্পৄশ্য এই অছ্যুৎ শুধু তার পুজায়, তার সাধনায়, তার আরাধনায় তার দুগ্গাকে দেখতে চায় । হায় রে সে তো তার আকাশ , তার দুগ্গা থেকে বহু বহু যোজন দুরের দ্বীপে নির্বাসিত । ঢেউ গোনাই সার । ঘৄণা, উপেক্ষা আর অবহেলাই একান্ত অলঙ্কার। বেদনব্যাথায় দেখা দাও ,পথ দেখাও , স্বপ্নে , কল্পে , দুগ্গা দুগ্গা আমার । দুরে কোথায় কোন সুদুরে , কোন সে অচীনপুরে ? মিলব কতদিনে ,এই জীবন না অন্য ভুবনে ?জানিনে জানিনে ।

Sunday, September 9, 2018


অনিবার্য্যতা
সেতুগুলো একের পরে এক মিলিয়ে যাচ্ছে, সব সব,
বহিরঙ্গে প্রলেপ  মনোময় , তান্ডবনৃত্যে রুদ্রভৈরব।

ঘুনপোকার অতীব প্রিয় খাদ্য হিসাবে তথাকথিত সততা,
মেরুদন্ড সোজা রাখার অপচেষ্টা ,সু্ন্দর পৄথিবী দেখার অলীক
স্বপ্নকে গণ্য করা যেতেই পারে ।

পথগুলো ভাঙছে তো ভাঙছেই, নামতে হবে মাঠ ডাকে,
যতোই দেওয়া জোড়াতালি, দৄশ্যমান কেবল অগ্নিবৈভব।

সুখী জীবন , বাঁধনহারা প্রেম-ভালোবাসা তো ক্ষয়রোগে আক্রান্ত,
সমাজ, নগরজীবন, প্রত্যেকটি ব্যাক্তিগত অন্তদহনকে বিনাদ্বিধায়
এক একটি মাজুলি বলে মনে হতেই পারে ।

ইতিহাস  উইপোকা তো খাচ্ছেই, অবনমনে  গোপন গভীরতা,
নবীন প্রান বন্চিত  জমিন আসমান, ধর্ষিত সমস্ত অনুভব।

কক্ষচ্যুত গ্রহ অনিবার্য পরিনতি , অসীম অনন্ত কৄষ্ন গহ্বর আকুল
আাকর্ষন অনিবার , তুমি আমি  কনফারেন্স রুম প্রবেশ বাধ্যতামুলক
তুতানখামেনের বসন্ত প্রতিক্ষা উত্তপ্ত আরবসাগরে ।


Wednesday, September 5, 2018


সুশান্তপ্রেম  হেসোনা
সুবোধদা, অন্ধ চোখেও জাগে ভালোবাসা,
মারণঝড়ে ভাঙেযখন জীবন গড়ার আশা।

মুক্তঅঙ্গন অযতন ভরে বুনোলতা আগাছায়,
বুলবুলি ও তুলতুলি , হেসেই মরে আদুল গায়।

আকাশ টা যখন নিরুদ্দেশে যায় হারিয়ে,
ভালোবাসাই দেয় নিসঙ্কোচ হাত বাড়িয়ে।

ভাঙাবাড়ি. ছাদ, কার্নিশ জুড়ে  নয়নতারা,
গঙ্গাফড়িং একলা অবুঝ ,ছৌ নাচের মহড়া।

দরজাগুলো সব বন্ধ যখন নিষেধ প্রবেশে,
তুমি ওগো স্বপ্ন ভালোবাসা দাড়াও হেসে।

মেঘবালিকা  লুকিয়ে ভেজায়  শহিদমিনার,
বয়সের সমানুপাতে বাড়ে প্রেম পাজি নচ্ছার ।

দৄষ্টি যখন ঝাপসা এবং দুই পা ওহ টলমল,
পানকৌড়ি ভালোবাসা সত্যি  অথৈ অতল।

তেলিনিপাড়া ঘাটে ইলিশ কেন,কিসের লাফ?
গুনীজন সুধীমন, ভালোবাসায় সবটাই মাফ।


Monday, September 3, 2018


                   ছাই
তুমি এবং অথবা আমি আপণ কক্ষপথে,
আমার টুকু সাজাতে অসীম ব্যস্ততা।
এমনকি উল্কাও বিচ্যুত কৄষ্নপথ ,তারাগুলি
মিটিমিটি হাসে ।
আকাশ আর মাটির মধ্যকার অসীম দুরত্ব,
ভাবনা সবই বায়বীয়, নিদ্রাতুর মন্চ একাডেমীতে
রাত গভীর  
কুশীলব সব তাল তাল কাঁদা,
দেবেশদা তুমি এতো কাব্যিক রুপায়ন করো
কি করে ?
আমি ও তুমিকে ছাই-উল্কা চরিত্র হিসেবে
দাওনা উড়িয়ে এক ফুঁয়ে ।
আমরা একটু আকাশ হই ।

Saturday, September 1, 2018


একই তারা
বুক জুড়ে এক পশলা উদাসী নদী,
উথাল পাগল , লুকোচুরি নিদ্রাতুর আপনমনে,
কালাহান্ডিতে খোঁজ কন্দমুল ।
একটি জীবনে এতো কিছু, বেদনবিলাস ,
নিতান্তই অপ্রয়োজনীয় জন্মান্তর
ক্ষত ক্রমবর্ধমান মধুমেহ ।
কাম্য একটি শামুক জীবন,
খোলসের মাঝে নিজেকে লুকিয়ে রাখা ।
ভিজে থাকা যাবে অবিরত চোখের জলে,
একটুকরো আড়ালে অনিমেষ ,প্রত্যাশা
ওই যে অন্ধকুপ, গহিন গভীর ।
একতারা সযতনে নিরাপদ লৌহসিন্দুক
মরচে পরিমানে বাড়ছে অবিরাম ।
মজা নদী শালুক নাও,
নকল বুঁদি , ভিজে বাবুই বাসা ।
নিজেকে অচেনা দেখা ।