গত শনিবার আমার মতো অকেজো অপদার্থকে বাধ্যতামুলক
ভাবে অফিসের কাজে যেতে হয়েছিল দীঘায় ।গোটা জীবন পাহাড়ে বন বনান্তরের বাসিন্দা এই পাগলের তথাকথিত রিসর্টে থাকাও হয়ে গেলো বারদুয়েক।আমার দমবন্ধ
হয়ে আসছিলো , নেমে এলাম সাঁঝবেলায় গলিপথে । কিছুদুর যেতে যেতে দেখি একটা চায়ের দোকানের
সামনে এক শিশু ভোলানাথ ধুলি শয্যায় গড়াগড়ি দিয়ে কাঁদছে আর বলছে যে কিছুতেই সে বাড়ি
যাবেনা ।এগিয়ে গেলাম আর হয়ে গেলো ইশ্বর দর্শন ।
বালকভোলা ছোট ছোট মাটির গোল্লা পাকিয়ে দুগ্গা
তৈরী করছিলো, অসমাপ্ত রেখে কিছুতেই বাড়ী ফিরবেনা। দুগ্গা তৈরী হয়ে গেছে, সাথে লক্ষী
ও । বাকীরা তার কল্পে । হাত লাগালাম, ফিরে গেলাম কত হাজার দিন আগের বালক বেলায়, সেই
যে আমার দু চোখ না দেখতে পাওয়া ঠাকুরমা শিখিয়ে ছিলেন তার হাতের যাদু ছোঁয়ায় প্রতিমা
গড়া । আমি গলে গলে বালক ভোলানাথে মিশে গেলাম । প্রেমে পুজায় এতো পথ ঘুরে আরবার আমার
দুগ্গাকেই শিশুভোলানাথের হাত ধরে ফিরে পেলাম । ঈশ্বর তোমার করুণা অপার।
No comments:
Post a Comment