Wednesday, May 29, 2019

তৄষ্না অপরিমেয় ,মুছে  যায়  দিবা রাত্রির সীমারেখা,
 নিদ্রামধুর জাগরণে,শ্যাম সম মরণে এসো  পরাণসখা।

   আধপাগলা বুড়োটা

হচ্ছে না ,বুড়ো বেতো ঘাসগুলো মরেও মরছে না।
একটু কান্না জল,এক আঁজলা আধঘুম আকাশ আর
ঝরা পাতার ঝিরিঝিরি গানে আবার বারবার জাগছে।

নীরবকান্ত ঝড় জলে এখন ভিজে কাঁচুমাচু, পাগল জ্বর আসে মাঝে মাঝেই। ফিরে যায় বনতুলসীর জঙ্গলে আঘ্রাণে পিদিম জ্বেলে শুনতে চায় ফিরে দেখার পালাগান।

এখন লুকিয়েচুরিয়ে একটু আধটু লেখে,
ভীষণশাসন,ইতিউতি ফিরে ফিরে জাগে ,ঝাপসা নয়ন,ভাঙা হাট,দিকশুন্যপুর,সুরে সাধে শিবরন্জনী ।

নির্বাসনের বাতাস লাগছে আদুল গায়ে, বাত‍্য জীবন,একার কোণঠাসা লড়াই।কাঠের বেন্চ একটু বসি বারবার ফোটানো চায়ের তিতকুটে গন্ধ আমিষ রাস্তায়।

পাতা ওড়ে হাওয়ায়, ভীড়াক্রান্ত এই  মাঝদুপুরে দ্বীপ নির্জন,এক চিলতে বুড়ো লোকটা কেবল পশলা ভর  আলো খুঁজে বেড়ায়।মুঠো মুঠো আঁধার তীব্র আলিঙ্গন আশ্লেষে।

অর্থের পলায়ন কোন্ অভিধানে,আজও যখন একমনে পথে চলি, রোদ্দুরে ভিজি, একটুকরো গরম রূটির গন্ধে সব ভুলে নীল নকশা গাঁথা সাজাতে বসি,বাউল বাঁশী হেমলক হয়ে হৃদপিন্ড বিঁধে দেয় বিষভালোবাসায়।

নীরব কান্ত আজ সত্যিই নীরব,হেরে গেছে,একলা,ছেঁড়া  চটি, এই জীবন থেকে অন্য জীবন,ফিরে ফিরে অতীত নক্সী গাঁথায় ক্লান্ত গান গায় নিজের মাঝেই, কিচ্ছুটি আর চায় না।

নীরব কান্ত একফালি আকাশ নিয়ে একমুঠো উঠোনে মনতুলসী পিদিম জ্বালাতে চেয়েছিল।
                            

Sunday, May 26, 2019

পথের ধুলায়  সমুদ্র স্নান  ক্ষণে ক্ষণ নাথ হে আকন্ঠ সমর্পণ।

নয়নতারা

আগুন আজ ভিজছে বড়ো, শীতকাতুরে বিদ‍্যেধরী,
অনন্ত অভিসার,স্বপ্ন জাগে বাউল সুর মিঠেআদুরী।

নয়নতারায় নয়ন হাসে, আঁজলা ভরে আগুন পাখি,
হোক না কল্পে বিলাস,দৃগ্গা মন রে তোরে হৃদে রাখি।

ক্ষনে ক্ষনে মরেই বাঁচা, অন্তর গ্লানিময়,দৄষ্টি মলিন,
 ছিন্ন সুর, ভাঙা হাট, তবু জাগে আহ্লাদী জীবনবীণ।

 আকাশজুড়ে, ভুবনভরে , ধুলিধরাতলে কর্ণফুলী
অতলের ডাক,তোমাকেই চাই , শেষ পর্যন্ত  সব ভুলি।
     



Thursday, May 23, 2019

সব চেতনা অবলোপে, যাচ্ছি সব ভুলে,
কলম করে লুকোচুরি, সুর্য পথের ধুলে।

বারবার যাই,তবু ফিরে আসি রূদ্ধ দ্বারে,
এতবার মরি, বেঁচেই ফিরি কৃষ্ণ নিথরে।

জোনাক আলো মায়া মরিচীকা খিলখিল,
খরা চাতকের চোখে হনন অখন্ড স্বপ্নীল।

দিবানিশি নজরদারি, নিষিদ্ধ সব ভাবনা,
রূদ্ধ দুয়ার মাথা খুঁড়ে মরি,শুন‍্য দ‍্যোতনা।

অযোগ্য,অযোগ‍্য,সত‍্যিই সমাজে অযোগ্য ,
অক্ষম আকুতি,কাল রোগ অন্ধ দুরারোগ্য।

পথ কোথায়?

সব তারা অমৄতপথে নবজীবন নবসৄষ্টি আকন্ঠ অরুণিমায়,
শহরবাউল একলা আকাশ, একমুঠো চাঁদ হৄদি
ভেসে যায় ।
                

Sunday, May 19, 2019


পথ

একলা লড়াই, কতদিন তুমি মেঘে ঢাকা,দেখিনে আকাশ ভেলায়।
সব সবুজ কঠিন দাবদাহে পাড়ি দিয়েছে মৌসিনরাম ,হয়তো বা জল ঝরবে পদ্ম নয় শালুক পাতায় চুপিচুপি।
আলগা হাওয়ায় কেঁপে কেঁপে ওঠে দৃশ্য পট,চালি ভরে শুধু ছবি তোমার পাশে থাকা ,জলঙ্গী অনন্ত বিশ্রামের মোহনায়।
পথ ডেকেই চলে একটানা নির্মম ইশারায়,ফটিক জল কোথা ফটিক জল, তৃষ্ণা আকন্ঠ,অবরূদ্ধ কৃত্তিবাস,চলা
অশেষ, অহরহ পদস্খলন,বার বার ছুটে ছুটে লুকিয়ে আকাশপানে,নিরুদ্দেশ দুগ্গা ছবি।
পরতে পরতে মরণের আস্তরণ,পলি জমে জমে জীবন পৃথিবীর অন্তস্থলে তরল অথবা কঠিন, আমার অ দামী জীবন বা মরণ ঠোক্কর খায় ভাঙা ফুটপাতে।


আমার পাগল লিখেছেন

মানুষ যেভাবে কাঁদে
-- শক্তি চট্টোপাধ্যায়

মানুষ যেভাবে কাঁদে, তেমনি কি কাঁদে পশুপাখি?
একা থাকি বড়ো একা থাকি।
ভিতরে ভিতরে একা, অরণ্যের মধ্যিখানে একা
ঘরে ও বাহিরে একা, দিনে-রাতে, দুঃখে ও সুখে
ছায়া নেই, মায়া নেই, ফুলের বাগানে নেই ফুল
ঝর্নার মতন ঢাল---পিঠ জুড়ে আছে এলোচুল
মেঘের সম্ভার আছে, জল নেই, জলজ উৎসব---
ধান নেই, টান নেই---আছে খড় শুষ্ক সন্নিপাতী
পাতার, গাছের নিচে পদতলে ভাঙনের মতো
এইসব শূন্য আছে এই দেশ পরিপূর্ণ করে।

তবুও মানুষ বাঁচে, মৃত্যু আছে বলে বেঁচে থাকে
মৃত্যু তো জীবন নয়, ধারাবাহিকতা নয় কোনো।
ভিড়ে বাঁচে, একা বাঁচে, মানুষের সমভিব্যাহারে
বাঁচে, বেঁচে থাকে---এই বাঁচতে হবে বলে থাকে বেঁচে---
মানুষ যেভাবে কাঁদে, তেমনি কি কাঁদে পশুপাখি?
একা থাকি, তবু একা থাকি!

Wednesday, May 15, 2019

দিনরাত্রির কাব্য
যদি সত্যি সত্যি একটু পাগল হতে পারতেম। চলার পথে এই জনঅরন্যে কেবলই মুখোসগুলি হাঁটছে ,চলছে ,ফিরছে  , অন্তহীন অক্লান্ত অভিনয় ।আমি আমি আমি শুধু আমি, আমার সুখ, আমার পরিবার ,ছোট সুখী পরিবার, আর.. আরে আর তো কিছুর দরকার নেই ভাই ।তোমাকে ঠকাতে পারলেই আরেকটু বেশী সুখ ।তোমাকে টেনে পিছনে ফেলে আমি আরেকটু এগোই্। নিজেরই বিজ্ঞাপন প্রতি পল, আমিই সবথেকে উপাদেয় , অতীত- বর্তমান -আগামী  একটু কি অন্যরকম হতে পারেনা ?
সারাদিনের একই অভিনয়ের পুনঃ মন্চউপস্থাপন । নিজের ভুমিকা নিয়েই বড়ো চিন্তা ।সাঁঝবেলায় একান্ত আপন উঠান ডাকে অপার মধু সুরে ।আঁধার আকাশের সাথে গভীর গোপন ভালোবাসা, অশেষ কথামালা , রোহিনী, কৄত্তিকা, অনুরাধা, মৄগশিরা নেমে আসে রাত মজলিসে প্রেম বন্যাধারাস্নান । ভিজে যাই, সাথে চিরসখা রবিবাউল আমার ইশ্বর, জীবন এতো মধুর লাগে । সব পাওয়া না পাওয়া একাকার হয়ে যায় । দিনভোর যে মাধুকরী,রাতআঁধারে ঝোলা উপচে পড়ে ।রাতজোনাকআলোয় নিজের সব পাপ ধুয়ে যায় ।বেল জুই কামিনী আর হাসনুহানায় আমি মরে বেঁচে জাগি অপলকে।নিশি আকাশ জুড়ে আমার দুগ্গা হাসিমুখে ।
কখন যে ভোর হয়ে আসে ,জীবন বয়ে চলে, আজ আছি , কাল তো নেই ।নাথ হে আবার ফিরে ডেকো তোমামাঝে , ভুলোনা , ভুলোনা , ভুলোনা .......

নীলকন্ঠ তুমি অচিন  বোবা সবুজ বনে ,
করাত কলে এখন শুধুই ডানা কাটছেই।
উড়ে কি আর পারবে পৌছুতে তীরে রঙ্গিত,
হাজার হাজার মাইল হাঁটা ক্লান্ত নিশ্বাস।
বন্দী মন চায়ের কাপে খোঁজে রুঢ় উত্তাপ,
লিখতে পারিনা ,তবু দেওয়ালে কাটি  কেবলই আকিবুকি।

শক্তি পাগল কে  প্রতি দিন রাত অহরহ হৃদি মাঝে রাখি, তার এক লেখা

আমি যাকে ভালোবাসি
- শক্তি চট্টোপাধ্যায়

আমি যাকে ভালোবাসি সে অন্তত আমাকে গোপনে মেরেছে সহস্রবার
কিন্তু আমি মরিনি একাকী
দৃশ্যত নিস্তব্ধ হয়ে, তাকেও মুখর করে রাখি
ক্রন্দনে, মরিনি বলে তাকেও মুখর করে রাখি!
যেভাবে মানুষ থাকে, পাথর ইটের মতো নয়;

অঙ্গে অঙ্গে লেগে থাকতো শাঁড়াশির মতন মাথুর।
সহসা কি ঝড়ে হলে নিরুদ্দেশ? এই লুকোচুরি
খেলার প্রধান কাল ছেড়ে একি দুঃসময়ে, দূরে...
মানুষের মধ্যে আছো? নাকি স্থির গাছের ভিতরে?


#সুখে_থাকো

#শক্তি_চট্টোপাধ্যায়


চক্রাকারে বসেছি পাঁচজনে
মাঠে, পিছনে পড়ছে আলো
অন্ধকার সন্ধ্যা নামে বিড়ালের মতো ধীর পায়ে
তুমি এসে বসেছো আসনে অকস্মাৎ।
হঠাৎই পথে ঘুরতে-ঘুরতে কীভাবে এসেছো
একেবারে পাশে,
তোমার গায়ের গন্ধ নাকে এসে লাগে
বৃদ্ধের রোমাঞ্চ হয়!
খুব ভালো আছো?
অন্তত এখন, তুমি?
তুমি ঠিক আছো?
না থাকার মানে হয়
বিশেষত যখন এসেছো
কৃপা করে।
কৃপা বাক্যবন্ধ তুমি কিছুতে ছাড়বে না!
ছাড়া যায়?
কিছুক্ষণ আছো?
হ্যাঁ, হাতে সময় আছে
তাই, পায়ে পায়ে
এখানে এসেছি চলে।
শুনেছি, সন্ধ্যার আড্ডা তোমার এখানে
যদি ভাগ্য ভালো হয়, দেখা পেয়ে যাবো,
ভাগ্য ভালো।
এমনই এসেছি,
তোমাকে দেখার জন্য আজ কটি দিন
কী ইচ্ছা করছিলো।
জানালে যেতাম।
কিছুতে যেতে না।

‘কাল আসবো’ বলে তুমি পালিয়ে এসেছো
সেই কাল কবে হবে? ভেবেছি তোমার
সময় অত্যন্ত কম,
আমি নিজে আসি।
আমার সময় আছে…দীর্ঘ অবসর!
চক্রাকারে বসেছি পাঁচজনে।
পাঁচজনের মধ্যে থেকে একা একা একান্ত দুজন,
পাঁচজন বুঝেছে সবই
নিচুস্বরে কথা চালাচলি করে যাচ্ছে অহেতুক শ্লথ,
পাঁচজনের মধ্যে থেকে একা একা একান্ত দুজন
অকস্মাৎ।

ধীরে ধীরে রাত বেড়ে যায়।
সন্ধ্যার আঁচলে মুড়ে করতল অন্য পাতে পায়–
করস্পর্শ।
পাখির পালক হাত খেলা করে কর্কশ মুঠিতে,
পাঁচজনে সমস্ত দেখে ধীরে ধীরে কোথা উঠে যায়
একাকী দুজনে রেখে।
চলো পৌঁছে দিয়ে আসি তোমার বাড়িতে।
যাবে?
কেন নয়।
চলো।

একগাড়ি আঁধার আজ দক্ষিণে দৌড়ায়
দ্রুত।
মনে হয়, গতি বড় দ্রুত বিদ্যুতের মতো!
কথা বলো।
কী কথা বলার?
আছে।
কাছে আছো, এ যথেষ্ট নয়?
যথেষ্ট যথেষ্ট। আজ দিন বড় বেশি কিছু দিল।
সত্যি একে দেওয়া বলো এখনো তুমিও।

না বলার সাধ্য আছে?
বহুদিনই ভাবি, হঠাৎ চলেই যাই, গিয়ে দেখে আসি–
আছোটা কেমন?
কিন্তু বড়ো ভয় করে
যদি তুমি কিছু ভাবো?
অন্যের সংসারে ও কেন হঠাৎ আসে?
সেই জন্যে ভয়,
জড়িয়ে যাবার ভয়,
মন্দ ভাগ্যে ভয়!
বড়ো দ্রুত যাচ্ছে গাড়ি সমূহ দক্ষিণে

গাড়ির আঁধার হলো হাসিতে উজ্জ্বল
এবং মধুর গন্ধ ছড়ালো বাতাসে।
আবাল্য তোমার কিছু পাওনা রয়ে গেলো।
আমি বলি শোধ হয়ে গেছে।
আজি, এইমাত্র, এই এতো কাছে পেয়ে
জীবনে এতোটা কাছে তোমাকে পাইনি,
একা বহুক্ষণ ধরে গাড়ির ভিতরে।

গাড়ি বাঁয়ে চলো, গাড়ি এখন দক্ষিণে
কিশোর প্রেমের মতো অত্যন্ত রঞ্জিত
এই সুসময় আজ দিনশেষে কেন!

মূর্ছার ভিতরে নেমে, দু’কদম গিয়ে
ফিরে এসেছিলে…
আজ নয়, অন্য একদিন।
আর দরজা থেকে একা ক্লান্ত ফিরে যাও,
দুর্বলতা গলা টিপে আছে,
আজ নয়, অন্য কোনদিন
আমার সর্বস্ব নিও।
আজ নয়, অন্য কোদিন…
তুমি হাত দুটি ধরে মুখমণ্ডলের
উপরে আগ্নেয় পাত কেন বা ঘটালে?
সর্বস্ব পেয়েছি আমি আজই, অকস্মাৎ।
সুখে থাকো, আমি ফিরে যাই

একা একা।


আর এই পাগল



Thursday, May 9, 2019

শেষ রেলগাড়ি টাও চলে গেছে,একা প্ল‍্যাটফর্মে দাড়িয়েই আছি,আমি আর আমার হৃদসিন্দুকে রবিবাউল আর শক্তি পাগল, গোপনে, তোমাদের ছেড়ে তো চলেনা এই মাধুকরী।ফিরে ফিরে বারবার আরবার ফিরে ফিরে এসে দাঁড়াই এই সবহারানো একলা প্ল‍্যাটফর্মে,নিজেকেই খুঁজি আকাশের আয়নায়।

বোধ, সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা,স্বপ্ন ,সব গাড়িগুলোই তো ছেড়ে গেছে, দিঘির জলে কেবল ঝরা অমলতাস।মাকড়সার জাল পথকে রাখে অবরোধে, অসহায় অভিযোজন।উপান্তে জড়ো হয় ছায়াময় ভাবনা দল নির্লজ্জ চাঁপা বনে।

মাঝে মাঝে যখন পুড়তে পুড়তে ঝলসে যাই তীব্র লবণাক্ত কান্নায়,পুরূষ তুমি কাঁদো ? মেঘের ওপার থেকে এক পশলা পাথর দৌড়ে এসে ভাঙা বুকে সজোরে আঘাত করে,দম বন্ধ হয়ে আসে, আজকাল তো কবিতাও লিখতে হয় একান্ত গোপনে, সবাই যে উপহাসে গলা টিপে ধরে।

আপাত শান্ত সুগভীর রাতের ছায়ায় মাথার মধ‍্যেকার অবিরাম বিস্ফোরণে জেগে থাকি ,উড়ি,পুড়ি,স্বার্থপর ভিজে চোখে,বাদুড় আর চামচিকে জীবন হাতে নিয়ে।
ভুল মানুষের অরণ‍্যে পথ সব লুকিয়ে পড়ে,এই গাছতলা ওই গাছতলা ,পায়ের তলার মাটি উপহাস করে,বলে,ব‍্যাটা তুই এখনও আছিস কেন?, তবু হঠাৎ করে একলা শিশু চিৎকার করে কেঁদে ওঠে,আমিও,আর তো কিছুই পারিনা।

দাঁড়িয়েই থাকি একা প্ল‍্যাটফর্মে, সকাল ঝরে, দুপুর সে ও মরে,বিকেল ইতি উতি ঘুরতে থাকে কেন কে জানে, নিশি গভীর ,ঝাপসা দুই চোখ তাকিয়ে থাকে, যদি অভ‍্যাসবশত ভুল করে কোন রেলগাড়ি চলে আসে, কেবল কান ভরিয়ে দেয় পাগল আর বাউলের যুগলবন্দী,মরণ, শ‍্যাম আমার এসো পুর্ণগর্ভা গাভীর অপার ভালোবাসায়, আমি যে শেষ পর্যন্ত তোমাকেই চাই।চাই গো।




যা মনে আসে তাই লিখি সবার আড়ালে নিজেকে যে চিনিনে।

এই মানবসাগর ।কত মন, কত যাওয়া আর আসা ।কত জন্ম আর ভেসে যাওয়া ।দুই নিরাসক্ত বুড়ো । সবার মাঝে থেকেও কত অন্য ভুবনপুরে ।সব দিয়েও এতো ফিরে পাওয়া তাদের।জ্যোৎস্না আলোয় জগৎ সিক্ত নিত্যদিন ।পাগল অবাক হয়ে ভাবে এই বিপূলা পৃথিবীতে এই তাসের দেশে মনের জানালা খোলা মানা,আলোতে আধাঁরে মুখোশের আবডালেই মিছেই জীবনের মিছে জয়গান গাওয়া । হাসিতে ভরে যায় দুই বুড়োর মুখ,কোপাইতে জল কোথায় ?পরিনিরবাণ নয় নবজন্মে আলোকিত করো । আলো দাও আরো আরো আলো ।পাগলকে আরো পাগল করো করুণাময় ।

গাছে এক শালিক আর তার চারটি ছানা ।ঝড়ে ভাঙ্গা বাসা নতুন করে গড়ে তোলা । কি মমতা আর ভালোবাসা ।প্রতিদিন প্রতি পল ।পাগল মা খোজে আকাশের তারায় , গাছের নবসবুজ পাতায় , কাটা ধানের সোনায়,ঐ শালিকের ভালোবাসায় । মনেরতো ছবি আকা যায়না ।এতো ছোট জীবন তাও মা কোথায় লুকিয়ে ফেরে ।ঐ আকাশের তারায় ,এই ধরণীর ধুলিকণায় ।ঠাকুরমার ঝুলি খুলে সোনার কাঠি দিয়ে জাগাও মা সব পাগলের তুমি ঘুম ভাঙ্গাও ।একটু গল্পে ভুলি কল্পে চলি ।



Saturday, May 4, 2019

লাল মোরামের পথ পাগলী এই বৈশাখের  আগুন লালে মিলতে চায় আকাশের সীমায় ।পাগলের পলক পড়েনা ।রাধাচূড়ার মোহমায়ায় ভেজা রক্তকৃষ্ণচুড়ায়।অবাক পাগল ঠাকুরদালানে বসে দেখে আর শুনে আকুল হয় উদাস বাউলের গানে ।মরণরে তুহু মম শ্যাম সমান । কেন এই গান ?  দিনের শেষে অচিন সবুজ পাখি বাড়ি ফেরার চাওয়ায় হারায় গহিন গহনে ।

শক্তি ,কে  এই বন্দীজীবন দিল ?
চলি ফিরি,আকাশ পাইনা খুঁজে, চোখের আলোতে গোধুলি বেলা।
রাত যখন তোমার নাভির মতো গভীর,আমার মশারি ঢাকা তক্তোপোষ সুদীর্ঘ দিন শেষে আমাকে দেয় অসহায় স্বাধীনতা।
উত্তুরে জানালার অলিগলি দিয়ে উর্দ্ধশ্বাসে উদাম হাওয়া এসে আমায় ডেকে দেয়, ঝিরিঝিরি গানে আমি শুনতে পাই তোমার হাসি সন্তুরের জলতরঙ্গে।
আর তো কিছুই পারিনা,অসহায় আত্মসমর্পণ, আমার অবশেষ কামনা,একটু মাটি আর জল দাও, আমি একটা সবুজ গাছ লাগাবো,ওই গাছ আমায় মনে রাখবে বহুকাল, গাছের পাতা ভরে থাকবে জীবনের কবিতা,কেই যদি কোন দিন হৃদয়ে নেয় সেই ঝর্ণাধারা।
পথভোলা  সাঁঝ আকাশে  ঝরাতারা আর মরা পাতার চুপকথা, যেতে তো হবেই,তার সময় ,কাল আর পরিপ্রেক্ষিতের অন্বেষণ, দুগ্গা কোন অবসন্ন অবসরে, চুঁইয়ে পড়া রোদ্দুরে নীরবতা গান শুনো,আমি হয়তো বা মহাশুন‍্য কালপুরুষে।


 নিজেকে জানা এক জীবনে শেষ হবেনা এই পাগলের ।বিপুলা ধরণী । জনঅরন্য ।আপণ গন্ডি ছেড়ে কজনা মানবমেলায় নিজেকে হারাতে পারে ?আলো আধারের জীবনপথে নিজেকে এতো অচেনা লাগে ।পাগলতো বাইশে শ্রাবণ, পঁচিশে বৈশাখ কতদুর ।

Thursday, May 2, 2019

টকে,ঝালে,ঝোলে আর একটু অম্বলে,
আছিই তো বেশ এই ছেঁড়া কাঁথা সম্বলে।

অকালে ,সকালে বা মাঝরাতে কানামাছি,
প্রেমে ও অপ্রেমে,আদি আর অন্তেও আছি।

পথ চলি, রোদ ভুলি ,ধুলোতেই গড়াগড়ি,
ক্ষণে ক্ষণে প্রাণপণে খালি বাঁচি আর মরি।

ভাঙা বাঁশী, মন একতারা, আকুল বাউল,
ধর্মেরতলা, পাগল ভোলা খোঁজে নদী কুল।

বেশি বেশি,বেশ আছি মাঝ রাতে দুস্টুমি,
জেগে স্বপ্ন,হৃদি ভগ্ন,ভিমরতি  তুমি আমি।

বুড়ো বেলা ছেলে খেলা,লিখি ভুলভাল,
নিশি ডাকে,দেখি তোমাকে,এ কলিকাল।

নয়নতারা,শিউলি, হলুদ সবুজ মৌরিফুল,
ভাঙা হাটে আজও ফোটে,সোহাগে আকুল।

ধিকি ধিকি চিকিমিকি মোমআলো  পিদিম,
বেশ আছি,  কাছাকাছি, হোক দুর অসীম।

চেনা বৄত্ত, তৄষ্না অপার,মালকোষে খোঁজা।
নাগরদোলা, আঁধার বেলা নিজেকেই বোঝা।