Wednesday, June 26, 2019


ছোট বড়ো পাথরগুলো সব বুকের মাঝে,
জলজ বেদনাগুলো হোথা আশ্রয় খোঁজে।

শিউলি দুগ্গা বড্ডো তারাতারি,না জানিয়েই ,
সামনে অচিন পাহাড়, কঠিন ভালো থাকাই।

শিকল ছেঁড়া, আগল ভাঙা পাগল উজান,
সওদাগর নাও ভাসাও,নিঝুম নীল সাম্পান।

বাত‍্যজন এই সভ‍্যসমাজ নয় তোমার বাসভুমি,
যাও পালাও, নিশিডাকে আবাদ শেষের জমি।

দিনের শেষে   আকাশচাঁদ , মেঘ নয়নতারা।
পরাণ জাগে, কাঁপে, হাসে হেসে  বেদন হারা।

অসন্মানের বন‍্যা ভুলতে চাওয়া নিঝুম রাতে,
আলগোছে ভেসে  যাই অদৃশ‍্য নদীর বানেতে।

একতারা একাই চলে কোন পথে পাগল রাজা,
ভালো থেকো, পাহাড় কোলে কেন হৃদয় খোঁজা।



            

Sunday, June 23, 2019

    আজ ও


মৃত্যু উপত্যকায় আকাশ ঢাকে কালোপাহাড়,বিষবাস্প শরীর জুড়ে, ইতিউতি শকুনখামার আরও উঠেছে ফুলে ফেঁপে । নবারুণ তোমার বসত আজ কোথায়?
বৃষ্টি আজ হৃদরক্তকণিকা ঝরে ঝরে রক্তাক্ত বনভূমি,সেলোটেপ চেতনপাখির ঠোঁটে।
শোষণযন্ত্র উন্মাদ প্রান্তরের প্রতিটি মরা ঘাসে ,নিঃশ্বাস এখানে উৎকোচের মহাভোজে।

এই উপত্যকায় বিশ্বাস ক্ষয়রোগে,
মানুষের রক্ত পানেই মানুষের তৃষ্ণা নিবারণ,এখানে  পিরানহা দিনভর এই ঘর থেকে ওই ঘরে,খেলা করে,হা হা অট্টহাসি উঠান জুড়ে।
আবদ্ধ চোখ,সারি সারি দৄশ্যপট ভাসে আপন খেয়ালে,
ভারাক্রান্ত একটু আলো,আধারে অন্ধকার ডানা মেলে ।

আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধা,চলো নিয়মমতে ,হাতুড়ি ক্লান্তি হীন মস্তিষ্কে অনবরত ঘা মারে, খেটে খাও, খুঁটে খাও ,মন দিয়ে শেখো সুরে তোষামোদি গান,কালাপানি ডাকে করূন স্বরে।কেবল পিছিয়ে চলা,লুঠ বিবেক,চেতনা ,মানবিকতা,স্বাপদের আস্ফালন প্রতিটি সবুজ পাতায়, মৃত্যুর ই উপত্যকা।

           

         

Thursday, June 20, 2019

      কেন?
হে সভ‍্য সমাজ এমন কেন বার বার ঘটে?

এই ক‍্যাবলা,রাম ভ‍্য্যবলা কেমন মজা দেখ,

মেয়েটি তিন তিনবার ধর্ষিত হয়েছিল,কেউ বিশ্বাস করেনি,ওর তো চরিত্রের দোষ,ওই মনে হয় যতো কান্ড ঘটিয়েছিল।জজ সাহেব ও লোকগুলোর দোষ দেখেননি,বেকসুর খালাস পেয়েছিল নিরীহ গোবেচারা মানুষ গুলো।

এই যে হাঁদা,মাথায় কাদা কেমন সাজা দেখ,

মেয়েটি আত্মহত্যা করে বেঁচে ছিল,এই কালপুরুষ এতবার মরে মরেই আছে,ঘরে দরজা,জানালা এমনকি ঘুলঘুলি ও নেই,বুক ফাটে,চোখ ভেজে এতবার ধর্ষিত এই কালো পুরূষ।আমরণ কারাদন্ডিত ,পাথেয় কেবল পথের ধুলো।

এই যে বুক ঝিমঝিম , তপ্ত হিম,দেখ দেখ,

পাগল সে যে অমলকান্তির মতো রোদ্দুর হতে চেয়েছিল, হলো না।
পাগল চেয়েছিল একতাল মাটি দিয়ে গড়তে দেবী প্রতিমা ,পারলোনা।
একমুঠো আকাশ হৃদি মাঝে রাখতে চেয়েছিল সঙ্গোপনে,ছলনা।
জীবন ভর নয়নতারায় দুগ্গা খোঁজ,অবসানে তাও হারাল মিলল না।

এতবার ধর্ষিত হতে হতে এই কাপুরূষ বড়োই ক্লান্ত, অবসন্ন, আত্মসমর্পণে,
কেউ আর খোঁজ রাখে না অমল বাড়িতে আছে না মরছে একটি কেঁচোর জীবন নিয়ে।
রোদ্দুর আর হওয়া হল না।










Sunday, June 16, 2019

     বাউল একাদশী

কত দশক পারাপার,
কোথায় এসে ভিজে ইচ্ছেসব গোল পাকাচ্ছে,
মন্দ বারাণসী?

সাক্ষী পেটমোটা চাঁদ ,
 রোজদিনই তো ভেজাভিজি আষাঢ় ও বেঁচে,
খুকখুক কাশি।

মিঠা ঝুটা পদাবলী,
কানে কানে এই সত‍্যিটাই চিৎকারে বা নীরবে,
নিজেকেই ভালোবাসি।

ভয় হয় মানতে তবু,
অকারণ ঝরা রোদে পুড়ছে,শিকলগুলো গাইছে,
দর্পণে মুচকি হাসি।

হাতল ভাঙা চায়ের কাপ,
ছেঁড়া থলে কাছে কাছে অবিরাম ঘুর ঘুর চক্কর,
চলাটাই বাণভাসি।

দেয়ালগুলো ভাঙা চুরমার,
আধখানা চাঁদে আঁধার, দর্পন  অবয়বহীন প্রতিকৃতি,
তেলচিটে বালিশ উদাসী।

চোখ অস্পষ্ট কায়াহীন
এলোমেলো ওড়ে ভোকাট্টা,লাটাই ঠোঁটে গাঙচিল,
যাই নাহলে এইবার আসি?

যাই।


   

Tuesday, June 11, 2019

অফিসে বসে এতো বছর পরে কাজে ফাঁকি দিতে শিখে যাচ্ছি বড্ডো ঝটপট।


শব্দগুলো  প্রচন্ড জীবনদাহে মৃতপ্রায়,আসছে ভিড়ে ঠাসা একলা দুপুর,ভাসিয়ে দিচ্ছি এক এক করে সব ইচ্ছে নৌকো গুলো আকাশ সাগরে।
যে হাত বাড়িয়ে ,গাছ হয়ে শাখামৃগ সাথে ঝরাস্বপ্নপাতার ঝিরিঝিরি গান আকন্ঠ, আজ তো কেবল গহ্বর নিস্তবতার,আজ কাল এবং গল্পকথা ।

সারি সারি ছায়ানারী আর অবয়বহীন পুরূষ ,চিৎকারে রাতপ্রহরী, চুপিচুপি দুগ্গা ঝরছে আনমনে, ভালো নেই কেন?

শ‍্যাওলা ধরা বিছানা,বালিশ ভিজিয়ে ছাদ  ছাপিয়ে তোমার আসা, বিসর্জন দিই একে একে তথাকথিত আমার আভরণ,হাত,পা এমনকি মাথাটাও শুধু বুঝতে পারিনা,ধুকপুক হৃদপিন্ড টাকে কোথায় রাখি ? যদি কোথাও রাখো অবহেলার ঝরা কুঠুরি মাঝে ,যেতেই তো পারি মধ‍্য অমাবস্যায়।

মুক্তাঙ্গন সে চুপিসারে নদীর গভীরে ,মৃত্যু অঙ্গন ইশারায় ডাকে।

Tuesday, June 4, 2019

 নিজেকে তো এই সমাজের উপযুক্ত বলে মনে করিনা, মানুষ হওয়া তো বহুদুর। এখন তো মনে হয় অক্টোপাস তার হাজার হাজার বাহু দিয়ে এমনভাবে বেঁধে ফেলেছে যে এক ঝলক অক্সিজেন ও পাইনা, মাইলের পর মাইল পথ চলি আরও চলি আর নিজের সাথে কথা বলি।আর লুকিয়ে চুরিয়ে দু এক কলম লেখা, এছাড়া তো বাঁচতে পারিনে। আমি নিতান্তই নগণ্য একজন,আবছায়া ঝরা পাতা,ধুলায় ভিজে টিকে থাকি,জর্জ বাবু আর শেষের মান্না দে কে বড়ো মনে পড়ে। আসলে সব পাখিই শিকলে বাঁধা,কেউবা ব‍্যর্থ ডানা ঝাপটায়,অন‍্য কেউ ও শিকলটাকেই আদর করে নিজেকে ভোলায়,শুনতে চায় সেই শিকল ভাঙার গান।
।।যাইনা চলে রঙিন ইচ্ছে ঘুড়ি,
আপন খেয়াল আপনি উড়ি।।


অশ্বমেধের ঘোড়া ব‍্যস্ত বড়ো  ঘুমায় খালি
লুকায়  হোথায় ব‍্যাকুল করে বেণুবন।
রাখাল বালক মাথায় পালক আপণ ভোলে,
বাঁশীর সুরে কোন্ আদরে উদাম মন।

ভ্রান্ত তারা রূগ্ন জরা ,নগ্নপায়ে গল্প জোড়ে ,
ভালুক হাসে শালুক ফুলে ইস্তাহারে এলোচুল।
রাতদুপুরে মাঝপুকুরে, ঝরঝরিয়ে হল্লাবোল,
ঐ বিলাসী হায় উদাসী বারের বার মন্দ ভুল।

তাসের দেশ রাজার বেশ ,কলম সব ধর্মঘটে,
রূদ্র পলাশ কিসের আশ হাসনুহানায় উঁকিঝুঁকি।
ছেঁড়া ঠোঁট বাঁধলো জোট, গালের টোল অহঙ্কারী,
তালেরপাতায় বাবুই ঘুমায় স্বপ্নটাকে জিইয়ে রাখি।