Thursday, October 31, 2019

                  ভালোবাসা
তুমি হয়তো,হয়তো কি সত্যি সত্যি আমাকে পাগল বলবে, কিন্তু  জানো আমি ভালোবাসার মানেটা বুঝে গেছি।
তুমি হয়তো বলবে ন্যাকামি, বস্তাপচা প্যানপ্যানানি, বুড়োর ভিমরতি, কিন্তু জানো ভালোবাসা কখনও বুড়ো হয়না।
জানো আমার এক খুব কাছের কবি,যার সাথে আমি দিনরাত একলা বকবক করি, সব্বাইকে লুকিয়ে,তিনি বলেছিলেন না পাওয়াতেই ভালোবাসা হয় পরিপূর্ণ মধুময়।
তোমার মনে আছে ? আমি তোমাকে ফিসফিস করে বলেছিলাম,দেহ নয় দেহ নয় , তোমার একপশলা হাসিতে ,সে আমার জন্য নাই হোক,আমি আমিই পারি মরতে,এই মরতে চাওয়াটাই  তো ভালোবাসা,আমি প্রতি পল ভালোবাসায় মরি।
জানো, যখন তোমার সাথে এক ইছামতী কথা বলতে আমি চাতক হই, তুমি তখন আপণ আত্মবিলাসে, স্টেশন পর স্টেশন চলে যায় আমি থাকি অগ্নি দ্গ্ধ, তবু ও যখন রাগ হয়না, অবহেলার যন্ত্রণাকেই  বড় ভালোলাগে,সেটাই সেটাই ভালোবাসা।

যখন একা একলাই আধো বোঝা চোখে এক পরশ বয়ে যায়, চেতনায় সবহারানোর সুর তাল সারিতে জাগায় কম্পন তখনই  তো তুমি আমি ভালোবাসার বসবাস।

Tuesday, October 29, 2019

একটি কালো কবিতা
পথচলতি পাগলা হাওয়ায় চিতি সাপেরও আড়মোড়া ভাঙে,
নীরবতার একটা কালো কবিতা অন্ধকারেই সাজায় অবনী ।
মৄত্যুতেও শুরু হয় এক নতুন ঝরঝরে অশ্রুত রাগবাহার।
ফোঁসফোসানী শুরু করে চিতি , শিকার অথবা নিজেই শিকারী ।

আমি কে ?এই আধাঁরে কেন ,কালোতেই তো প্রতিবিম্ব সুস্পষ্ট,
কৄষ্নসাগরে ঝাঁপ দেবার আগে অবনী আর কালোচিতি এক আত্মা ।
নিস্তব্দতার কবিতা , আখরমালা সাজে আপন সুরে ফিরে মৄত্যুগহ্বর ,
হেমলক তুই এতো তরল ,এতো তীব্র আবাহন ,বড়ো নিবিড় সুনিবিড় ।

তাপচুল্লীর দরজা খোলে ক্ষনিকতরে, চোখ ধাঁধিয়ে তীব্রছটায় সুতীব্র,
এতো শীতল আবাহন , কৄষ্নসার হরিণ এই তাপে পোড়ে না পুড়েই ছাই ।
দিকহারা নিকস মধুময় প্রেমে অপ্রেমে আস্টেপিস্টে জড়িয়ে আলিঙ্গনে আঁধার,
অবনী তার উদ্দাম আবেগে বন্ধ করে সব জানালা দরজা সব সব কপাট ।

জেল সেলুলার ,আবেগ অনুভুতি হাতে পায়ে লৌহশৄঙ্খলিত জীবনচেতনা,
কালাপানির ঘুম ভেঙেছে কালোমনে এদোল ওদোল চেনা মুখের ভীড় ।
মহামিছিলে এমন নোনাচোখ, প্রবাহমান কঙ্কালে টঙ্কারে মৄত্যুগীতিকা ।
চোখ বুজে আসে ,মধু আবেশে অন্ধকার তোকে জড়িয়ে মরে বেঁচে ডুব,
কৄষ্ন সমুদ্র মরণে ভেসে চলে জীবনভেলা  ।।

Friday, October 18, 2019

ঘোলাটে আধেলা চাঁদ রে চলছেই বাউলানী  প্লাবন,
অগোছালো বনে বনে একটা কথাই ঝড় হয়ে ঘোরে আর ফেরে, আসমানী আঁচলে কান্না ভিজে রোদ পোহায়।
আলো সকাল হয়ে হাসে, আদুরী আঁধার লুকোচুরি ঐ তালসারি,পথ দেয় মখমলে ধুলোমাখা জীবনের আশা।
উদ্গত বেলাভূমে শুধাই  দুগ্গা তুমি কেমন আছো আমাকে ছেড়ে,কেমন কেমন আছো?

হয়তো তুমি পরিপূর্ণ আকাশ হয়ে পালনে আছো তারা দলকে,আছো হয়তো আপন বেলাভূমে নদীর ছোঁয়াচ এড়িয়ে,তবু কখনও কি পড়ে না মনে? যদি উজাড় করতে পারতাম তোমাতে আকন্দরাশি, যদি।

বয়ে বয়ে যায় সিঁদুর রঙা গোধূলি আলো, তুমি আমি খন্ডিত আকাশ,আজ না হয় অন্যলোকে হবেই একাকার,এখন তুমি থেকো বনবিলাসী।




Tuesday, October 8, 2019

সেই মানুষটা বছর ৬৪,আজ হয়তো ভার আর ও বছর দুয়েকের,
খুঁজলাম অনেক ঘুমের ফাঁকে ফাঁকে।শালুক জলে ভিজলাম, তুলসীতলায় ছড়িয়ে দিলাম উন্মুক্ত হৃদয়,
পথগুলো হিংসুটে আকাশ থেকে পেড়ে পেড়ে খুঁজে ও পেলাম কই ।
থামলাম না, সেই মানুষটা আর এই মানুষটা একদিন হয়তো একদিন পাগলা ছাতিমফুলের গন্ধে মাতোয়ারা হয়ে আকন্ঠ মহুয়ায়  আঁধার পরাণ ডুবিয়ে, দু চোখ বুজে পাবে তার দুগ্গা কে।
পাশে এসে দাঁড়ালেই বাতাস যাবে থেমে, আমি কলারভেলার ঝলাৎ ঝলাৎ ধুকপুকানি নিঃশ্বাসে নেব, তোমার দুগালে  একটি বার দেখবো আপনাকে।