Friday, April 3, 2020


একলা আধার আকাশ জুড়ে নাথ হে তুমি,
কত কথা কানে কানে উন্মুক্ত হৄদিবাতায়ন ।
মুখোশ টেনে ছিড়ি,প্রিয়তম তোমারেই নমি,
উতল হাওয়া,অধরা অশেষ, অনিমেষ নয়ন।

আজ একলা ছাদে বসে তারা গুনতে গুনতে সত্যকামের চোখ দুটো অসীম ক্লান্তিতে জুড়ে আসছে,কোন কিছুতেই আর কিছু যায় আসেনা।
দিন রাত্রির কাব্যের আর অন্ত বলে কিছু নেই।


মনপাগলের  বিচার চলছে। তার পরিনাম ঠিকঠাক । শুধু হেমলক কখন কিভাবে দেওয়া হবে সেটা অনেক ভেবে ঠিক করতে হবে । কিন্ত  পাগলতো কথা শোনেনা । হেমলক আর অমৃতের তফাৎ বোঝেনা । জীবন বড়ো সুন্দর তার কাছে ফুল যে ফুটছে পাখি যে গাইছে। পাগলমন   চলে অন্নপূর্ণার মন্ডপে পুজো হচেছ যেথায় মায়ের । বিচারে তার কি আসে যায়।

পদ্মদিঘীর গহিন টানে মন জাগে সে কোন ভোরে,
অমলতাসে মিলতে চায়, পরাণ কান্দে  মেঘমল্লারে ।
           


দরজা, জানালাগুলো সব ভেঙ্গেচুরে দেওয়ার ঢেকে দিচ্ছে সবটুকু আকাশ। শ্রাবণ একলাই ভিজছে আজ এই পড়ন্তবেলায়। সারাজীবন আকাশ থেকেই ঝরে ঝরে পড়তেই থাকলো।

আজ উদয়বেলায় পাগল মনভরে গল্পমেলায় ভরে ছিল করবীতে অতসীতো কতদিন আসেনা ।কতযে কথামালা । হাসনুহানা মত্ত হলো তালভঙ্গতায় ।নীরব ভোরের ঘুম ভাঙ্গিয়ে পাগলের কানে এলো ঢাকের আওয়াজ ।চড়কের ঝাপ শুরুর সুর ।আজ রাজা হবে ফকির ফকির রাজা ।জীবনের আরেকটা পাতা ঝরার দিন এলো যে ।মাধুকরীতে আজ সারা দিন কাটে মানুষের মন খুজে কত যে মন কত তার রকমফের ।মনপাগল দিনের বিদায়ে যখন আকাশের তারাদের খুজতে বসে ভরাচাদ,পুণি্মায় ভরাযৌবনের গানে তাকে ভিজিয়ে দেয় ভরিয়ে দেয় জীবন এতো যাতনাবিধুর । পাগল আরো পাগলামিতে নিজেকে ভরিয়ে তোলে ।মনপাখি ভোলে তার উড়ান ।

পথের শেষ কোথায় ,পাগল মন কেইবা জানে,
উজানে না ভাটায় , নাও ভাসাই  কোন পানে।
শ্রাবণ হঠাৎ যেন স্বপ্ন ভেঙে চোখ মেলে।

কালচক্র অনন্ত অব্যয়,দিন আসে দিন যায়
জীবন জুড়ে যত অনুভব মেশে ঝরাপাতায়।

প্রখর তপনতাপে মনন চিন্তন সহজিয়ার মেঠো সুর কোথায় যে ভেসে যায় ।নিজেকে আলোকেরবৃত্তে ধরে রাখার কি কঠিন সংগ্রাম । পলাশ শিমুল করবী আর তো চোখে পড়েনা । সবাইতো মুখোসের আড়ালে।একটু যদি বাউল মন অসুর থেকে সুরে ছাতিমের আদরে একটু শীতলপাটির কোমল ছোয়ায় নিজেকে ভেজাতে পারতো ।

No comments:

Post a Comment