সবজেটে সকাল
খুব সক্কাল ,
পুরোনো ইমারতকে আঁকড়ে নয়নতারা,
যুক্তি আর মুক্তির দড়িটানাটানি।
স্বপ্ন দৌড়ে এসে বসে নয়ানজুলীর পারে,
ছলাৎ ছলাৎ আবেগ ভালোবাসার পিদিম জ্বালে।
রঙমিলান্তি পাগলি আকাশ।
তখন দুপুর
যখন হাঁটা একাকী অরণ্যে,
পাদুটো কাঁপতে থাকে অনাবৃত আতঙ্কে,
হৃদয়ের কোন এক কোণ থেকে মৃত্যুর তীব্র কামনা অবশ করে শরীরের অনুভূতির কেন্দ্রগুলি।
বসে পড়ি সেই খুব চেনা বুড়োগাছটার গোড়ায়।
এখন বাতাসে আগুন।
আশেপাশের বুড়ো শালগাছগুলো উল্লাসে ওড়ায় পাতা ধুসর।
ঢেকে দেয়,মুখ লুকায় বুড়ো কালপুরুষ।
ভালোবাসা মুচকি হেসে এগিয়ে যায় ইচ্ছানদীর ঘাটে।
কুঁড়ে বিকাল
উত্তাপ সব চারিদিক থেকে এসে জমা হয় দুখের স্তুপে,
পোড়ায়।
ছাই ওড়ে,
বাতাস ভাসায় এই বন থেকে ওই বনে,
সব পাখি আজ দ্বীপান্তরে,
আলোছায়ায় জাগে মায়াবী মৃদঙ্গ,নয়ানজুলির কচুরিপানার ঘুম ভাঙে।
বেঁচে না আছি মরে?
আঁধার সাঁঝবেলা
যত আঁধার ঘনীভূত হয়,
আকাশ নেমে আসে হৃদয়বনে,
পাখিদল বটবাসায়।
কান পেতে দিই মেঝের বুকে,
আগুন এখনও ধিকিধিকি জাগে
অন্তে ভালোবাসাতে মরি।
No comments:
Post a Comment