অব্যক্ত কথামালা
সুর্য মধ্যগগনে স্থিত, আরেকটু সঠিকভাবে
বলতে গেলে মনে হয় হেলছে পশ্চিমপানে ।
উন্মুক্ত প্রান্তর, একলা দাড়িয়ে চারিদিক শুন্য
কোথাও কোনোখানে কেউ নেই,আকাশটাও
বড়ো একলা ।
মেঘ নেই ,বাতাস বড়ো শুকনো ,সবইতো দহিত
ঝলসে পুড়ে খাক হয়ে যাচ্ছে ।একলাই দাড়িয়ে
নির্জনতম কান্নাগুলো শুধুই বাস্পায়িত, সেই
মেঠো মন আগুন হাওয়ায় সেই পাহাড়ের খোঁজে
আগলখোলা ।
সেই ন্যাংটা ছেলেটা টলোমলো পায়ে সেই গাছটা
খুঁজছিল, যেটা সে নিজের হাতে লাগিয়েছিল ,যাতে
আবার টলোমলো পায়ে একটু আরাম করে যখন চিতায়
শুতে যাবে তখন যেন কাঠের অভাব না হয় একেবারেই
উড়ানখাটোলা ।
সব শীতলতাই তো একটু আমোদিত রোদ্দুর ফিরে ফিরে
চায়,কিন্তু যে একলা দাড়িয়ে অন্তহীন উন্মুক্ত প্রান্তরে ,
জেগে আছেতো ? খানিক আগে তো পালিয়ে মহুয়াবনে
আজলা ভরে মহুয়াফুল গন্ধে আস্বাদনে, ফিরতে তো হবেই
অণ্নিমধুশালা ।
চিল শকুনের দল উড়ছে ,ঠুকরে খাচ্ছে সততা,বিশ্বাস,
তীব্র দাবদাহে পবিত্র প্রত্যাশাহীন নীরব অনুভুতি গুলো
আড়াল খুঁজছে,তীব্রতর না মনে হয় তীব্রতম না পাওয়ার
অনন্ত কাব্যবিলাস। একলাই দাড়িয়ে পথভ্রষ্ট কেউ নেই ,
অব্যক্ত কথামালা ।
No comments:
Post a Comment