আকাশপথে নামল এসে চুপিচুপি কখন যে মেঘবালিকা আমায় ভেজালো,
সযতনে লুকানো কান্না সব মিলে গায় ,মুখোশটাই উথাল বড়ো এলোমেলো।
।।বৄ্ষ্টি পাগল মন সাথী
ভেজা জুই মালা গাথি ।।
তুমি কি কোনদিন ভিজেছিলে?
সেই সবুজে কাদায় মাখামাখি,আমগাছটা দুই হাত বাড়িয়ে আকাশের দিকে,গলেছো বাতাসের বুকে?তুমি তখন কৈশোর ।
বৃষ্টি কখনো তোমায় ভাসিয়েছিলো ?
যখন খোলা জানালা, রেলগাড়ি,দিকশুন্যপুর,নেমে পড়া,প্ল্যাটফর্ম, শেড? নেই,বুক ভরে আকুতির বৃষ্টি, তুমি হয়তো যৌবন।
কখনো তোমার চোখের জল মিশেছিল মেঘের হৃদয়ে?
নয়নতারার পাপড়িগুলো মুছিয়ে দিচ্ছিল দুইচোখ,হাতের মুঠোয় হাত, বাসার খোঁজ,দুপা পিছিয়ে পাপ আর অপাপ,লোকে কি বলে?
কখনো হয়েছিলে বৃষ্টিতে একবুক?
তুমি আর আমি,গড়ের মাঠ, ঘোড়াগুলি ভিজছিলো, গাছগুলোও, উড়োজাহাজের কাটাকুটি খেলা,নগ্নসঙ্গম,অমৃতমৃত্যু,নিরাভরণ।
ধুসর বরিষণ।
পাগলটা একাই, হাঁটছিলো ভাবছিলো, আরও পাগল হচ্ছিলো,একলা রাস্তায়, রাস্তাতেই ঘুমিয়ে পড়লো, ধীরে ধীরে ওকে ভিজিয়ে দিলো একবৃষ্টি।ওর ঘুম কিন্তু ভাঙলো না।
বাসি মনরুটি ফুটিফাটা ,
অগ্নিস্নান বারংবার,
নয় নরম অথবা সহজপাচ্য বা সম্পুর্ন জীবানুমুক্ত।
সকাল সেতো প্রতিদিন আাসে ,
পিন্ডদানে অন্তরগয়া,
অনবরত প্রতিষেধক ,
তবু ঝরে,ঝরে পড়ে পুজরক্ত।
বুড়ো অন্ধ কাক সযতনে পালন করে দেহ পরানে,
রোগটির নাম অর্থহীন লড়াই কিংবা আদুরী মধুমেহ ।
ইতিউতি চোখ পিটপিট,
সব সবই নিকষ কালো,
অন্তহীন খোঁজ,
কোথায় মেলে আগলহীন শান্তি গেহ।
নিজের বলতে একটি ফুটিফাটা হৃদপিন্ড,
দানে পাওয়া,
অযত্নে প্ল্যটফর্মের ভাঙাবেন্চে,
বেহিসাবের হিসেব,যোগ,বিয়োগ।
নয়নতারায় ভালোবাসা বাসা বাঁধে,ব্যাতিক্রমে,অনিয়মে।
পথ অনুভূতিহীন অবধ্য ।
অমৄত কুম্ভের সন্ধানে আলোর খোজে এই মাধুকরী ।যত ভালো লাগাতে আঁধারকে নিভিয়ে আলোকময় হয়ে ওঠা ।মনে আসে সেই ছেলেটিকে সে স্নাতকোত্তর বিদ্যাভাস করার পরেও বাধ্য হয় হকারি করতে কিন্তু ফিরে আসে অসম্ভব মেধা আর মনের জোরে,করে অধ্যাপনা, ছোট্ট হয়ে মেয়ের সাথে বাংলার পাখি চেনে চেনায় আদিঅন্তহীন ইতিহাস ।মন ভরে যায় । সেই মেয়েটি যে বিচ্ছিন্ন হয়েও তীব্র আবেগে ভালোবাসায় ফিরে পায় প্রিয়জনকে ।চিত্ত বিকশিত করে দয়াময় ।সেই পাগল যে জীবন দিয়ে সব ভুলে রবিঠাকুরে নিজেকে করে বিমোহন ।আর সেই মেয়েটি যে কত বড়ো আমলা তবু সে গোপালপ্রিয়া ।মধুময় এ জীবন । সেই পাগল যে কিনা সারা দুনিয়া ঘুরেও ফেরে , বাগবাজারের বাড়ির মেঝেতে শুয়ে শীতল হয় ।ভবসাগরে এতো শান্তি । পথ এগিয়ে চলে ।ঔ যে দুহিতা যে সন্তানের দুরে থাকার বেদনা ভোলে অসহায় কত জীবনের আলোকবত্তিকা হয়ে উঠে ।মহামানবসাগর ।বিপুলাপৄথিবীতে ওই দেবী যে তার সৄষ্টিকে মনের মতো অপরূপ করে গোটা জীবনভোর জবাব দেয় বিশ্বাসহীনতার । এই জীবনে না পাওয়ার মাঝেও এতো এতো পাওয়া. ঝোলা যে ভরে উপচে ওঠে প্রভু ।
বাসি মনরুটি ফুটিফাটা ,অগ্নিস্নান বারংবার,
নয় নরম অথবা সহজপাচ্য এবং সম্পুর্ন জীবানুমুক্ত।
সকাল সেতো প্রতিদিন আাসে ,পিন্ডদানে অন্তরগয়া,
অনবরত প্রতিষেধক ,তবু ঝরে,ঝরে পড়ে পুজরক্ত।
বুড়ো অন্ধ কাক সযতনে পালন করে দেহ পরানে,
রোগটির নাম অর্থহীন লড়াই কিংবা আদুরী মধুমেহ ।
ইতিউতি চোখ পিটপিট,সব সবই নিকষ কালো,
অন্তহীন খোঁজ, কোথায় মেলে আগলহীন শান্তি গেহ।
নিজের বলতে একটি ফুটিফাটা হৃদপিন্ড,দানে পাওয়া,অযত্নে প্ল্যটফর্মের ভাঙাবেন্চে,বেহিসাবের হিসেব,যোগ,বিয়োগ। অনুভূতিহীন দেখায় সকালটাই কেবল অবধ্য ,মিঠে।
বাউল একাদশী
কত দশক পারাপার,
কোথায় এসে ভিজে ইচ্ছেসব গোল পাকাচ্ছে,
মন্দ বারাণসী?
সাক্ষী পেটমোটা চাঁদ ,
রোজদিনই তো ভেজাভিজি আষাঢ় ও বেঁচে,
খুকখুক কাশি।
মিঠা ঝুটা পদাবলী,
কানে কানে এই সত্যিটাই চিৎকারে বা নীরবে,
নিজেকেই ভালোবাসি।
ভয় হয় মানতে তবু,
অকারণ ঝরা রোদে পুড়ছে,শিকলগুলো গাইছে,
দর্পণে মুচকি হাসি।
হাতল ভাঙা চায়ের কাপ,
ছেঁড়া থলে কাছে কাছে অবিরাম ঘুর ঘুর চক্কর,
চলাটাই বাণভাসি।
দেয়ালগুলো ভাঙা চুরমার,
আধখানা চাঁদে আঁধার, দর্পন অবয়বহীন প্রতিকৃতি,
তেলচিটে বালিশ উদাসী।
চোখ অস্পষ্ট কায়াহীন
এলোমেলো ওড়ে ভোকাট্টা,লাটাই ঠোঁটে গাঙচিল,
যাই নাহলে এইবার আসি?
যাই।
জোনাকি
আশাগুলো কি আসে যায়ও কি
কত পিদিম তো ইচ্ছেনদীতে ভাসে
আলো আঁধারে কেউটে তার এলেবেলে বিষ ছড়ায় ।
বোকা ভবঘুরের সকাল বিকেল আর সবুজ রাত আকাশটাকে
সবুজ দুব্বোতে ভরিয়ে পাকদন্ডিতে পথ হারায় ।
কোঁচকায় চামড়া, শিরা ফুলে ওঠে,কালো সাদা ছবিটা
আরো কি নীল ?
কেরোসিনের ল্যাম্প জ্বলে নিভতে চায় ,
ফাঁদটা পাতাই তো আছে,সব মুখগুলো এক হয়ে যায় ।
জোনাকি হয়ে জীবনটা জ্বলে নিভেও জ্বলে ।
ঝাপসা দুপুর আদুর গায়ে অবোধ ছেলে
হঠাৎ শিরশির করে কাঁদে দুখি মন ,
জোয়ারে ছোট ছোট ঝিনুক পরাণ
ভেসে যায় ধরে হারায় একমুঠো সুখ ।
ইতিউতি ঘুম যায় আর আসে,
ভাঙে, পড়ে যখন আকাশ কোনে আধখানা চাঁদ আর বেহিসেবী তারা ব্যস্ত হয় গহিন আলাপে।
দুচারটে বেয়াক্কেলে কাক আর উলটপালট কথামালা, যাকে আমিই কেবল কবিতা বলে মানি, ইশারায় ডাকে।
বুকের একলাকোনে যে অনুভব রোজদিন জমা হয় ছায়াঢাকা রোদ্দুরে, খুঁজে পায় খোলা উঠোন।
নিজের আয়নায় নিজেকে দেখতে দেখতে রাত হয় আরও গভীর,নারিকেলপাতার রিনিঝিনি দোলায় কি গান যে জমা হয় স্মৃতির ডাস্টবিনে।
সকাল হয় উন্মুক্ত সবুজ মাঠের অন্তবৃত্তে।কেউ কেউ মুছে যায়।
মন রাখা থাকে তালাবন্ধ,অকারনের ঝাপসা চোখ।
পারছি কই
কেউ কি পারো,যদি পাও, দাও না আমায় একমুঠো অন্য ধরার খোঁজ,
যাই না চলে সব ছাড়িয়ে,ভুলভুলাইয়া, যে পথে যাই রোজের পরে রোজ।
নব্য যুবক আমায় বলে হে জরাশক্ত অন্য কিছু দেখো ,অন্য কিছু ভাবো,
মাঝ বয়েসে কাঁপ ধরিয়ে জীবন বলে তোমায় আমি অন্য ভুবন দেবো ।
চালসে চোখ,সেই যে কবে ছেড়ে এলাম আরশিনগর, ভুবনডাঙার মাঠ,
সেই পলাশবন ,সাহেববাগান ,লুকিয়ে চুরি , বাঁশীর সুর , বন্ধ আজ কপাট।
দে দৌড় দৌড়,মাঠ পেরিয়ে,গ্রাম ছাড়িয়ে ,শসার ক্ষেত,রেললাইনে কানপাতা,
কিশোর প্রেম পাঁকা কুলে,কুন্দফুলে স্বপ্নময় কতই যে আবেশ মনমালা গাঁথা।
স্কুল পালিয়ে, এদিক ওদিক ইচ্ছে পাগলামি, বায়োস্কোপের পর্দায় উকিঝুকি,
বাবার গল্পগাথা,গুরুর শাসন,এখন তো জলতুলিতে শুধু সাদা ছবিই আঁকি।
সব পেরিয়ে মনসবুজ ,দিনেরশেষে নীর ভালবাসা অপার , মায়ের বুকে ঘুম,
কোথায় সেই প্রানের পরশ, শুন্য সবই, অন্ধ কলম ,রাত একা বড়োই নিঝুম ।
নিকষ কালো অন্ধকারে এখন শুধুই আঁধার কামনা, আঁধারমৄত্যু ভালোবাসি,
ডুবেই যাই বন্যাধারায়, প্রানের পরে কি যে হাতরাই ,জীবনটাই বানভাসি ।
মুখোস পরি , চলি ফিরি, চিন্তন সে তো মৄত, রঙ্গমন্চে কেবলই মিথ্যা অভিনয়,
কি পাইনি তারই হিসাব,সবই গরমিল ,অঙ্ক মেলেনা কেন যে ,শবদেহ গদ্যময়।
নব্য যুবা প্রশ্ন তোমার , খোঁজ অন্তহীন, অচীন পাখী কোন গহিনে ,উত্তর অজানা,
ইতিকথা ঝরাপাতায়,ঘুরেই ফিরি ,কোথায় যে পাই হায় সেই সকালের ইচ্ছে ডানা।
জীবন পোড়ে ছাই হয়ে যায় উধাও আকাশনীল,নিরুদ্দেশে সুজনস্বজন স্বপ্ন হৄদয়পুর,
পথ দেখাও দাও না দিশা, ভাবনা এখন বিগত যৌবন, সেই মধুপুর কোন সে সুদুর।
নব্য যুবা কঠিন প্রশ্ন তোমার....
চলছি মৄতপ্রান বইছি দায়ভার