Tuesday, April 30, 2024

 রাত আড়মোড়া ভাঙে, জাগে, শশা ফুলের মতো ভালো বাসা আরও জাগে।

এই জাগাজাগির মাঝে চুপকথা বলেই ফেলি,

সবাই যতটা ভালো লোক মনে করে,আমার তবিলে পাপ ঠিক সেই পরিমাণ।

যত্নে রাখি মুখোশ।

আর ভালোবাসা,

লুকিয়ে রাখি, হৃদি কুলুঙ্গির গহীন কোনে।

Confessions of a misfit.

 কাছে যেতে চেয়ে সরে যাই দুরে, অপেক্ষায়,

হারানোর ভয়?


Monday, April 29, 2024

 আমরাও বাঁচি


রোদেলা বিকেল,অনেক অনেক পথ পেরিয়ে

গ্রাম ছাড়িয়ে দুচোখ ভরে তুই আকাশপানে।

পার হয়ে গেলো একটি দুটি কতক  জীবন ,

তুই কি সেই আগের মতো আছিস, বহমান,

অনর্গল ।পায়ে হাতে ছুয়ে পাই তো শুধুই অশ্রুপাথর ।

তুই কি ওরে পাগলপারা ইছামতী ?


চাঁদেলা সাঁঝবেলা ফিসফিস কানে কানে, দে দৌড় 

দে দৌড়,একটুখানি অন্য ভুবনে আপন সুরে ,সব

হারিয়ে বকুলব্যাথা,কুল যে ভাঙে উথাল ঢেউ কষ্নকলি ।

ওই যে হোথায় ঔ সুদূরে বৄষ্টি রাঙা স্বপ্ন চর আবছা

নিথর, সব ভেসে যায়, তবু জাগতে চায় পাইন হাওয়ায় ।

তুমি নয় তো সেই বিদ্যাধরী ?


একেলা আকাশ,ছোট্ট ডিঙি, ঠায় দাড়িয়ে,কিসের খোঁজ?

আঁধার নামে,ওকুল কাঁদে,নাও ভাসায়ে ভাসা মন ।

বৈঠা হাতে ,সে হাত কাঁপে, অথৈ মাঝে ভাটিয়ালি,

খোঁজের খোঁজ, চোখের জল, ডুব সাঁতারে অমুল্যধন ।

এত শিকলেও বাঁধন টুটে আপন ধারায় অগাধ অশেষ

মরেও বাঁচিস ,অমৄতপানে শীর্ণ কোপাই ।


সরস্বতী জেগে ওঠ ,কানা নদী বয়ে চল আপন সুরে

জ্যোৎস্না ধারায় নেচে নেচে গেয়ে চল নিজের সুরে

নদী তুই জাগ , বেঁচে থাক আপন ধারায় মরিসনা ,

দিন কাল সময় বর্তমানে ভবিষ্যতে মেলে ধর ইচ্ছেডানা ,

নদী তোর অবলম্বনে আমরাও বাঁচি ।

 প্রদীপের তেল কমে আসে,

 স্তিমিত তর শিখা,

অনিবার্য মৃত্যু।

ইচ্ছেগুলোকে শ্বাসরোধ,

আজো পা টলমল,

বিদ্রুপ হাসি।


Saturday, April 27, 2024

 দিতে পারিনি কিছু, নিরাপত্তা, জীবন।

কেবল হাত পেতেছি 

,আজো,

চেয়েছি স্তিমিত রোদ্দুরে বসে থাকা, পাশাপাশি , হাতে হাত, হয়তো বা তোমার কোল,এক আঁজলা ঘুম একপশলা।

অনধিকার,

এই সমাজে কুষ্ঠ,তবু ভালোবাসা অনন্ত। 

তুমি ভালো থেকো, তোমার পৃথিবী।

স্বপ্নে বাঁচি,যতদিন পারি।

গাছ হয়ে বাঁচি, বাঁচি একপশলা আকাশ হয়ে তোমার নয়নতারায়।

 পুড়ছে জীবন, পুড়ছে ভেজা কান্না

অন্ধ আকাশজুড়ে স্বপ্নদহন, আকাশহোলি খেলছি।বুলডোজার পথ গুলো দুমড়ে মুচড়ে,

ইচ্ছেগুলো  মারছি।


কানামাছি ভোঁ ভোঁ, আজ আমি ,কাল

তুমি,ঝরাপাতায় দাবানল,জ্বলছি।


গ্যাঙর গ্যাঙ নিশির ডাকে মুখোশগুলো ছিড়ছি।


সাপলুডো যে খেলাটা এতদিন ...এখন খামারবাড়ি

খড়বিচালি নিয়মমতো খাচ্ছি।

কামারশালায় হাপর ছেড়া,মরাপাথরেই কাস্তে আমি গড়ছি।

মিডাস রাজা তোমার ছোঁয়ায় নতুন ধরা গড়ছি।


পরিযায়ী ঠোঁট, কোথায় তুমি, আমি ঐ আকাশে আগুন হয়ে উড়ছি আর পুড়ছি। 

নতুন ধরা গড়ছি।

Friday, April 26, 2024

 জনগহনের সবুজে কত অবুঝ মন।কথার মালা এতো নীরবে সরব ।পাগল সেই ভিড় ঠেলে মরা ন্যাড়া ফ্যাকাশে গাছটার তলায় বসে বসে একলা ভাবে ।তুলসীর মঞ্চটা কোথায় যে হারিয়ে গেলো ,ভাঙ্গা প্রদীপটা পড়েই আছে ।কতদিন দেখেনি পিদিমের আলোয় মায়ের ভালোবাসা ।চলতে শুরু করে অচেনা পথে ।এলোমেলো ঘুমে আকাশের কোলে গাছের সার ।মা যে কোথায় লুকিয়ে ,কতদিন যে মেলামিলি অমিল ।পথ তুমি কি মিলিয়ে হারাবে ।

Wednesday, April 24, 2024

 আবছা আকাশ  একা তালগাছটা দাড়িয়ে আছে ।পাতা ঝরছে । কয়েকটা বাবুই এর বাসা দুলছে ঝুলছে ।পাখিগুলো যে কোথায় উড়ে গেলো । ভেজা মনে দাওয়ায় শুয়ে আকাশপানে তাকিয়ে আছে পাগল ।ঘুম নেই চোখে । শুকতারার সাথে একটু যে অসুখের গান গাথবে তার জো নেই ।মেঘের চাদরে শুকতারার মন ঢেকে গেছে ।কুড়ের চালে খড়পোকাগুলো শিরশিরানি ধরিয়ে দিয়েছে ।জীবনটা কোথায় যে লুকোলো ।অবনীর বড়ো ভয় এই রাতেই জলে ভেজায় বেল জুই। শুকিয়ে না যায় ।

 জীবনের অথৈ গহনে , নিঝুমে ,নিঃশ্বব্দে ,

অসহায় পরাণ  জাগে ,ঘুনপোকা  হৃদে।


আলোতে আঁধার, খোঁজ, আঁধারে আলো, 

যুগ, সময়, কাল, রূপান্তরের বাঁশী বাজলো।


মুখোস ছিড়বেই, রক্তিমকরবী, আলোয় পৃথিবী হাসবেই, থাকি বা না থাকি আরশি নগরের মুক্তপথে। শুদ্ধ হোক মানবজমিন।সাম্যের গান বাঁধো নবারূণ। আমাদের ক্লীবসময় অলস অতিবাহনে।

 উন্মাদগ্রস্থ,

সেই পথ, 

হাতের হাত,

চুপকথা।

আঁজলা ভরে চোখের জলে।

বারবার ইচ্ছে করে, 

মরি, 

বেঁচে কি আছি?

পার হয়ে আসা  শতেক যোজন পথ,

ঘুমচাদরে ঢেকে যায় দুই চোখ, 

ঘুঘু ডেকে চলে , 

বিরামহীন।

দিন আর রাত্তির আলগোছে যায় আর আসে।

আবেগহীন নীরব গাঁথা,

প্রত্যাখানে চাওয়া,

 দিনের পর দিন, 

বছরের পর বছর, 

জীবন কাল,

পুড়ে যায়,

মরে যায়, 

নিঃশ্বাস।

নিদ্রাহীন ফিনিক্স প্রেম,

রূপান্তরে ,অমলতাস দোলনে,

হেরেই আছি,

কাজডুবে,

আশা হাসে চালতা ফুলে।

প্রেম ভালো থেকো নিরবিচ্ছিন্ন নিরাপত্তায়।







Monday, April 22, 2024

 আজকাল সকালগুলো নোনতা, বিস্বাদ,

হারায় সমতল,ডাকে গহিন নিথর খাদ।

 জ্বলছে,জতুগৃহ, পুড়ছে শাওন,নিভছে নয়ন অশ্রুপথ,

বধ‍্যভুমি, প্রভু তোমায় নমি,ঔ আকাশে তব পুন‍্যরথ।

 অনিমেষ ভোর , আঁধার অমানিশা তবু অক্লান্ত,

পথ খালি লুকোচুরি খেলে,মনন সে দিকভ্রান্ত।


কিসের খোঁজ কেনর খোঁজ হেথা হোথা ইতিউতি,

দর্পনে শুধু আবছায়া , কেবলই অর্থহীন চরৈবতি।


সব চরিত্র স্থির, আমি আমরা যে যেখানে দাঁড়িয়ে,

অন্তরনাথ  দুয়ারে আজ মহাকালের বাঁশি বাজিয়ে।

Sunday, April 21, 2024

 ফলশাফুলে রঙ ধরেছে, হাতের পিপাসায় হাত,

কোনটা পাপ,কোনটাই বা অপাপ,দিন চাদরে রাত।

পদ্মবনে শ্যাওলা জমেছে, গহীনে আকুল গহীন,

Friday, April 19, 2024

 চলছি আর পুড়ছি, নয়নতারায় দহনকাল।

প্রখর তপনতাপে মনন, চিন্তন ,সহজিয়ার মেঠো সুর কোথায় যে ভেসে যায় ।নিজেকে আলোকেরবৃত্তে ধরে রাখার কি কঠিন সংগ্রাম । পলাশ, শিমুল, করবী আর তো চোখে পড়েনা । সবাইতো মুখোসের আড়ালে।যদি মনবাউল  অসুর থেকে সুরে, ছাতিমের আদরে একটু শীতলপাটির কোমল ছোঁয়ায় নিজেকে ভেজাতে পারতো ।

অশেষ অগ্নিআভরণ।

 কালচক্র অনন্ত অব্যয়,দিন আসে দিন যায়,

জীবন জুড়ে সব অনুভব মেশে ঝরাপাতায়।

                       তবু 

অযান্ত্রিক অনুরণনে কেবল সেই বাঁশী সুর,

ফিরে ডাকে আকুল সকাল, চেনা রোদ্দুর ।

 সময় বয়ে যায়,

তিরতির কাঁপে নারিকেল পাতা,

 অনুভব।


সময় একা হয়,

 শিরশির ঝরে ধুসর আবেগ,

বৈভব।


যেতে হয়,

ছেড়ে যায় ভালোবাসা,আত্মজন,

নীরব।


স্থিরবিন্দুতে রোজনামচা,

নিয়মের শৃঙ্খলে রক্ত ফোঁটা ফোঁটা,

অবয়ব।

Thursday, April 18, 2024

 একলা আধার আকাশ জুড়ে নাথ হে তুমি,

কত কথা কানে কানে উন্মুক্ত হৄদিবাতায়ন ।

মুখোশ টেনে ছিড়ি,প্রিয়তম তোমারেই নমি,

উতল হাওয়া,অধরা অশেষ, অনিমেষ নয়ন।

 

Tuesday, April 16, 2024

 পদ্মদিঘীর গহিন টানে মন জাগে সে কোন ভোরে,

অমলতাসে মিলতে চায়, পরাণ কান্দে  মেঘমল্লারে ।

         

Monday, April 15, 2024

 পথের শেষ কোথায় ,পাগল মন কেইবা জানে,

উজানে না ভাটায় , নাও ভাসাই  কোন পানে।

Sunday, April 14, 2024

 আজ চৈতি হাওয়ায় আমার জানালায় নিমফুল তার শাখায় শাখায় হেসে হেসে ভালোবেসে ফিসফিস করে জানান দিয়ে যাচ্ছে নতুনের আগমনী গান । লেবু ফুলের গন্ধে আমোদিত পাগলমন।একলা টলোমলো পায়ে যে মাধুকরীর শুরু আজও নব নব পথে মানবসাগরে বহমান তৄষ্না নিবারণের অন্তহীন আকাঙ্খায় বহমান ।আজ নীড়ে ফেরার গান,ঝরা পাতার গান মনকে বড়ো ভিজিয়ে দিচ্ছে,কাঁদিয়ে দিচ্ছে ।জীবনভোর কিসের খোঁজ,কেন যে এই পথ চলা ? নিজেকে চিনতে চিনতেই তো প্রদীপের তেল শেষ হয়ে যায় ।এতো মায়া এই ভুবনজুড়ে। মানুষতো একে একে সব্বাইকে ছেড়ে কেবল নিজের জন্যই বাঁচে ।ছোট আর কিশোরবেলায় এমনকি কিছুটা বড়োবেলায়ও তো মায়ের গন্ধ ছাড়া তো ঘুম আসতো না  । এখন কিন্তু দিব্যি টিকে আছি ।সেই সব সাথী যাদের ছেড়ে দিন কাটতো না সময়ের বাদলধারায় তাদের ছেড়ে পথ এগিয়েই চলেছে ।দুটো ভাতের দানার জন্য কি অর্থহীন কুৎসিত লড়াই । আজ আছি কাল নেই তবু তবুও ।জান্তব লালসা কত ফুল যে অকালে ঝরায় । কোন প্রাণ যে ফেরাতে পারিনা, এতো এতো অসহায় ।  সততা ,ভালোবাসা ঝরে পড়ে,আঁধারে হারায় । যে মায়ামৄদঙ্গ মন মাতাল করে দেয় সেই সুরও কোন সুদুরে কোন অস্তাচলে মিলায় ।তবুও যে পথে হাজার বছর আগে কোনো পাগল হেঁটেছিল আজ হাঁটে এই শহর বাউল ,একলা হাতে একা একতারা, কোন্ সুরে যে বাজে ।কাল হাঁটবে অন্য কেউ ।জীবনে কত পাপ, কত অন্যায়,কত ভুল এ জীবনে একটা ভালোমানুষ হওয়া হলোনা। কোনও কোনও পল আসে , যখন ফিরে দেখা ছাড়া কিছুই করার থাকেনা ।তবু স্বপ্নমন ইচ্ছেডানায় ভর করে ইতিউতি কেবলই ঘোরে সে কোন মধুমরীচিকায়, একে তো “BLOCK” করা যায়না ।

সবেরই তো একটা বিরতি বা অন্ত আছে । আজ চৈত্রশেষে এই “WALL” এ নিজের ঢাক নিজে পেটানোর জন্য একটু মাফ চেয়ে নেওয়া। নতুন বাংলা বছরে সব্বাই ভালো থাকুন ।এই ভিজে অন্ধকারে আপনারা সবাই জেগে একটু ঘরে ঘরে দুর্গাদের আপনকথামালায় বাঁচতে দিন ।ঘরে ঘরে অপু দুর্গারা প্রস্ফুটিত হোক,বিকশিত হোক ।  আমি একটু আমার দুগ্গার পুজোর মন্ত্রোউচ্চারনে নিজেকে ভেজাই ।সওদাগর নাও ভাসাও , ওই কুল যে ডাকে ।

 ।।শুভ নববর্ষ।।

 শুধু যাওয়া আর আসা ।জীবন সময় কাল ।সহজে জটিলে জটিলে সহজে বেচে থাকার মানে খোঁজা ।বিদায়ে আবাহনের গান ।ভেসে চলে জীবন ।


           হৃদয়ে দূরগামী ব্যথার মাঝে  শহরবাউলের ঘুম ভাঙে। তার সব আগল খোলা ।মাধবীলতা তার সুবাসে মনে পড়িয়ে দেয় কত মোহন বাশিঁর সুর । শুভকামনা শুভচিন্তনের মালা গাঁথার গান ভেসে আসে  । শহরবাউল জাগে, কাঁদে ।


সকাল অন্য সুরে বাজে,গাছের দোলায়, মাটির মায়ায় জীবন জাগে।

 কালু রায় ঘাড় বেঁকিয়ে ডাকে, মন্দিরের কোলে,সবুজ ঘাস, জীবনের গান।থমকে দাঁড়াই।কালের পুজো।ঢাকের আওয়াজ ,কাল তো ঝাপ ছিল, নিরাপত্তার খোঁজে অনিশ্চিতে ঝাঁপ তো প্রতি পলে।বিষবাস্পে হৃদয় ঢেকে যায়।


সওদাগরের নাও ভেসে চলে। কুলের ডাক।ছলাৎ ছলাৎ সুরে মন ভিজে যায়। রাখালিয়া বাঁশী মুছে দেয় ক্লান্ত অনুভব।একটাই জীবন।


নব আনন্দে জাগি।


শুভ নববর্ষ। শুভ কামনা।

Saturday, April 13, 2024

 কালু রায় ঘাড় বেঁকিয়ে ডাকছিলো, মন্দিরের কোলে,সবুজ ঘাস।থমকে দাঁড়ালাম।কালের পুজো।ঢাকের আওয়াজ 

Thursday, April 11, 2024

 অব্যক্ত কথামালা


সুর্য মধ্যগগনে স্থিত, আরেকটু সঠিকভাবে

বলতে গেলে মনে হয় হেলছে পশ্চিমপানে ।

উন্মুক্ত প্রান্তর, একলা দাড়িয়ে চারিদিক শুন্য

কোথাও কোনোখানে কেউ নেই,আকাশটাও

বড়ো একলা ।


মেঘ নেই ,বাতাস বড়ো শুকনো ,সবইতো দহিত

ঝলসে পুড়ে খাক হয়ে যাচ্ছে ।একলাই দাড়িয়ে 

নির্জনতম কান্নাগুলো শুধুই বাস্পায়িত, সেই 

মেঠো মন আগুন হাওয়ায়  সেই পাহাড়ের খোঁজে

আগলখোলা ।


সেই ন্যাংটা ছেলেটা টলোমলো পায়ে সেই গাছটা

খুঁজছিল, যেটা সে নিজের হাতে লাগিয়েছিল ,যাতে

আবার টলোমলো পায়ে একটু আরাম করে যখন  চিতায়

শুতে যাবে তখন যেন কাঠের অভাব না হয় একেবারেই

উড়ানখাটোলা ।


সব শীতলতাই তো একটু আমোদিত রোদ্দুর ফিরে ফিরে

চায়,কিন্তু  যে একলা দাড়িয়ে অন্তহীন উন্মুক্ত প্রান্তরে ,

 জেগে আছেতো ? খানিক আগে তো পালিয়ে মহুয়াবনে 

আজলা ভরে মহুয়াফুল গন্ধে আস্বাদনে, ফিরতে তো হবেই

অণ্নিমধুশালা ।


চিল শকুনের দল উড়ছে ,ঠুকরে খাচ্ছে সততা,বিশ্বাস,

তীব্র দাবদাহে পবিত্র প্রত্যাশাহীন নীরব অনুভুতি গুলো

আড়াল খুঁজছে,তীব্রতর না মনে হয় তীব্রতম না পাওয়ার

অনন্ত কাব্যবিলাস। একলাই দাড়িয়ে ,পথভ্রষ্ট, কেউ নেই। ,

অব্যক্ত কথামালা ।

 চলো যন্ত্রমতে


 মৃত্যুর চোখেও জল আসে, স্তব্ধ নিম বনে বাউল গান,


একলাই মুখোমুখি একটি বুলেট,আমি তো গাঁথি মালা।


আগুন পোড়ায় আমানির সাদা ভাত,ভ্রূণ স্বপ্ন দেখে,


কাল সোহাগে আজ বিকেলে কবন্ধ হাটে দুলকি চালে।


অন্ধ যুগ,নিরূত্তাপ আকাশে ওড়ে এক ক্লান্ত প্রজাপতি,


তুমি আমি,কৃষ্ন উপত্যকা জুড়ে নিবিড় কঙ্কাল সমাবেশ।


শব্দশব সারি সারি উৎপাদন ও তালমদিরা উৎসবনির্বাপন।


শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে ভদকাচুম্বন আর আবাহন বিপ্লবের।


ন্যাঙটা ইঁদুরের দলের কুটে কুটে খাওয়া চেতনা, আস্ফালন,


 দরজা জানালা বন্ধ রেখে নিলামে  ভদ্রাসন ও অভদ্রাসন।


দিন যায় দিন আসে ,রোয়া জমিন

 ,সবুজ মরে দীর্ঘশ্বাসে।

 আজ উদয়বেলায় পাগল মনভরে গল্পমেলায় ভরে ছিল করবীতে অতসীতো কতদিন আসেনা ।কতযে কথামালা । হাসনুহানা মত্ত হলো তালভঙ্গতায় ।নীরব ভোরের ঘুম ভাঙ্গিয়ে পাগলের কানে এলো ঢাকের আওয়াজ ।চড়কের ঝাপ শুরুর সুর ।আজ রাজা হবে ফকির ফকির রাজা ।জীবনের আরেকটা পাতা ঝরার দিন এলো যে ।মাধুকরীতে আজ সারা দিন কাটে মানুষের মন খুজে কত যে মন কত তার রকমফের ।মনপাগল দিনের বিদায়ে যখন আকাশের তারাদের খুজতে বসে ভরাচাদ,পুণি্মায় ভরাযৌবনের গানে তাকে ভিজিয়ে দেয় ভরিয়ে দেয় জীবন এতো যাতনাবিধুর । পাগল আরো পাগলামিতে নিজেকে ভরিয়ে তোলে ।মনপাখি ভোলে তার উড়ান ।

Wednesday, April 10, 2024

 বহু যুগ পর, বসেছিলাম,

পাশাপাশি, তুমি আর আমি,

বলে চলেছিলাম কথা, অনেক।

শান্ত নদী, ইট কাঠ, টেবিল,চেয়ার , আলমারি পাশ কাটিয়ে থেমেছিল, তোমার পায়ের ঝিমধরা আঙ্গুলগুলো যেখানে চুপটি করে বিন্দু বিন্দু অনুচ্চারন গুনে রাখছিল, ঠিক তার কাছটিতে।

যে কথাগুলো বলে চলেছিলাম, একটি শব্দ ও বলতে চাইনি।

তোমার হৃদয়ের এক কোনে খালি কোণ, ফিরছিলো, জ্বলছিলো ,নিভছিলো আমার না বলা কথা মালা।

তুমি তো জানো, কতটা পথ ঘুরে ফিরেছি, হাজার বছর,মেঘের পাহাড়, বিদ্রুপ হাহাকার।

ওখানে  ঔ ওরা খেলা করে।

তোমার চুলের বাতাসি গন্ধে  আমার উন্মাদ জীবন পাগলি জাগছিল।

মনে পড়ে?

হাতে হাত, হাঁটছিলাম,আতঙ্ক পথ যদি শেষ হয়ে যায়,আহা জীবন!

 ভুলে সব ব্যাকারণ, অনুভবে তোমার নিঃশ্বাস, 

কতবার যে তোমার উন্মুখ বুকে মাথাখানি রাখলাম,

আমি মরলাম।




Tuesday, April 9, 2024

 বিশ্বাস, রাখি সযতনে,

 আধারে আলো তুমি পারিজাত।

যেও না থেকো কাছে,

হৃদয় মাঝে ,,আসুক না যত আঘাত।

স্বপ্ন

Monday, April 8, 2024

 জিনে কে লিয়ে জড়ুড়ৎ হ্যায় হিম্মৎ কি,মরনেকে লিয়ে কৌই এক বাহানা।


চলনেকে লিয়ে জড়ুড়ৎ হ্যায় রাস্তে কি, গিরনেকে লিয়ে না কোই নজরানা।


পাগলী তুই এলোমেলো, আকাশগঙ্গায় ভৈরবী,


ডুবছি .কাঁদছি অমৃতসুখে ,ভিজে হৃদিজলছবি।


জাগছি  . গলছি ,হারিয়ে যাচ্ছে আমার সবই।


“The winds blow…


The lightning’s fall


The space overflows.


আবর্ত আগুপিছু,

জ্যোৎস্না খেলা করে ক্লান্ত মাঠে,

গাব্বুখেলায় ফিকে হয় লাল স্বপ্ন,সবকটা জানালায় শিক আঁকড়ে ধরা মনকোলাজ। মৃতদেহটি আবেগহীন চোখদুটো মুঠিহাতে ধরে, এগিয়ে চলে এক পা,দুইপা,

 দিনে আর রাতে,

মুখ আর মুখোশের বেলাগাম প্রেমগাথা।

Sunday, April 7, 2024

 রাতসোহাগ

মৃত্যুকে রাখি ঢেকে , মদির আবছায়ায়,


  মায়া মরিচীকা,  ছেড়াজীবনের চাঁদর,


টুকরো টুকরো কাপড়ে মোড়া গড়াভাঙায়


রঙিন বেপথু আলখাল্লা , কেমন ওস্তাগর?


কত দিন কত বছর যে লাগে মৃত্যুর খুন


লাশকাটা ঘরে ,পোড়া স্বপ্ন আর ক্লান্ত স্বাধীনতা।


দম দেওয়া পুতুল বন্ধ শ্বাস,চলে ফেরে,ভাসে,


আরামকেদারায় চুমুকে অনাহারের ছেঁড়া খাতা।


বিপন্ন বিপ্লবআগুন মহাসিন্ধুর গভীরে অতলে,


দীর্ঘায়ু কাপুরুষে জাগে ক্লীব সুশীতল কামনা।


এলো ধানমাঠে সুযৌবন আড়মোড়া ভাঙে


এটো চা,ভাগে বিড়ি,পুড়ছে মুখোশ , কালোকান্না।


চাইনা চাইনা,ভরপেট ঘুম চাই উদোম বটতলায় 

অবসন্ন একলা চড়াই উৎরাই।

 ভাঙাচোরা চোখে বলিরেখা, 

পিদিম আলো টিমটিম, তুমি হাসছো?

ঘাম জ্যাবজেবে হাতের উত্তাপ,

ঘরঘরে যান্ত্রিক হৃদয়ের পিন্ড, আগুন ঘুমুচ্ছো?

বস্তাবন্দি সময়ের ঘ্যানঘ্যান,

অনুভুতিহীন পুঁজ রক্ত,রিক্সার চাকা ঘুরছো ?

এক চুমুক বিপ্লব,

কিলবিলে মাথার ঘুণপোকা, তুমি  সুর সাধছো?



 আগুনের একেবারে মাঝখানে  এসে দাঁড়াই

আর আগুন পোড়ায় না ।

মাঝসমুদ্রে জল  করে খেলা,

ঢেউ পাগলামো ভোলে, মাঝিকে ছাড়েনা  ।

বাসা যায় পাল্টে, সময়ের রকমফের,

ঠিকানার তল মেলেনা।

সিদ্বান্ত পথ ভোলে,ভেসে যায় নিঃশ্বাস,

ভাঙে আলোর আয়না।




Friday, April 5, 2024

 পাখি ডাকুক, ফুল ফুটুক,ওরে আমার

মোমজোছনা থাকো তুমি আরেকটু কাছে।

কানে কানে আপন মনে এই পাগলের

অনেককথা  বেদনব‍্যাথা বলার আছে।



 আমার উঠোন ভরে আঁধার ঝরে পড়ে অন্তরে,

সুখতারা তুই আয়রে কাছে থাকিসনা ঔ সুদুরে ।

মনের মেলায় মায়ার খেলায় পরাণভরে গল্প করি,

হৄদকাননে মধুপবনে বেয়েই চলি অমৄত স্বপনতরী।

  

Wednesday, April 3, 2024

 অনুভব একা জাগে। তক্তপোষে হৃদস্পন্দন অভ্যাসজনিত আড়মোড়া ভাঙে। টুকরো টুকরো অচেতনতার মাঝখানে অনিবার্য শুন্যস্থান পুরণ। খাজাঞ্চিমন ছেঁড়া খাতায় হিসেবনিকেশ করে চলে।হিসেব মেলেনা।


 কমফোর্ট জোনে নদীর কলকল,ছলছলানি অসহায়।উদ্বাস্তু শিবিরে ভিড় বাড়ে। একে একে চায়ের বেন্চের ভিড় কমতে থাকে, নিরাপত্তা কমে, আলো কমে, ভালো কমে। নিস্তরঙ্গ মৃত মানুষের যাতায়াত বৃদ্ধি পায়।


পিচগলা রাস্তায় লেপ্টে থাকে বাঁধনছেড়া হৃদয়। দুরে সরে যায় ছায়া।উত্তাপ বাড়ে। অবলম্বনহীন। সেই দুটি হাত এসে থামে হাতের উপর। শীতল আচ্ছাদন।প্রাণ ধিকি ধিকি মরেও বাঁচতেই থাকে।


অনন্ত জীবনপ্রবাহ।

 মনপাগলের বিচার চলছে। তার পরিনাম ঠিকঠাক । শুধু হেমলক কখন কিভাবে দেওয়া হবে সেটা অনেক ভেবে ঠিক করতে হবে । কিন্ত  পাগলতো কথা শোনেনা । হেমলক আর অমৃতের তফাৎ বোঝেনা । জীবন বড়ো সুন্দর তার কাছে ফুল যে ফুটছে পাখি যে গাইছে। পাগলমন   চলে অন্নপূর্ণার মন্ডপে পুজো হচেছ যেথায় মায়ের । বিচারে তার কি আসে যায়।

Tuesday, April 2, 2024

  তুমি বাড়িয়ে দিয়েছিলে তোমার জীবন,

তোমার হাত দুখানি,

বড়ো কোমল ভালোবাসা।

আমি দেখলাম দিন, আমি গুনলাম সময়,কাল,

আমি মরলাম। আমি আমার আকাশকে ভুললাম,

কত্তো দুর, জীবন।


 আদুল গায়ে একলা পাহাড়, 

ডাকছে সিদ্দত, 

আলুথালু নারী,

উড়ানে কৃষ্নমেঘভেলা। 

বিষন্ন পুরুষ ছবি আঁকে পাহাড় জুড়ে। 

ভাঙনের নাও নিরাপদ স্বপ্নগূলো ছড়ায়,

বৃদ্ধজমিন, 

ফসলের আশা নেভে না,

শিকড়ের সন্ধানে নিরন্ন দুটি চোখ,

রুদালীতে আসমান।


আদুল পাহাড়মুলে দুটি চারটি পলাশ, শিউলির মুখোমুখি, 

কিসের লড়াই? 

পশুপতির‌ ঝুড়ি, , হরেক আনাজ,

ভন্ড পুরুষ  ছবি আঁকে আর ছিঁড়তে থাকে।

কাল আর আজ ,দুরত্ব  হাজার যোজন,

একটি ঢোড়া সাপ আলপথে, নিশ্চিত মরণের ওম ।


নারী , পুরুষ আর আদুল পাহাড় গল্পকথা জোড়ে।শিকল ছেড়া গান বাঁধে ভোলা নদী  ,

একফালি শীতলকুচি ঘাট সুর সাধে,

 আদুল পাহাড়ে সুর্য ডোবা রঙ। 

পচা মানুষের  মেহফিল, 

বৃহন্নলা মন, চৈত্র শেষে আভরণের আচ্ছাদনে।


এক অবয়বে সবকটা এপিটাফ।

 বসত

অনেক সাধে গড়েছি ঘর আপনার

এক দেওয়ালে ইচ্ছানদী,আরেকধারে

ছোট্ট আকাশ,স্বপ্ন পাহাড় অন্যপানে,

বাকিটাতো দরজা জানালা মিলেমিশে 

সব একাকার ।


মনভেলাতে ভেসে বেড়াই,হেথায় হোথায়

যেথায় খুশি ।আপন সুরে আপন

ভোরে নিজেই কাঁদি, ইচ্ছে হলে খানিক

হাসি ।আঘাত,বেদনা,যাতনা সবইতো

অরুপ অলংকার ।


ঘরের মাঝে গহিনবন সে মায়াকানন,

আশাতরু যে গল্পগাথে অতসীতে আর

মাধবীলতায়।স্বপনমুলে ,সুখশাখে ওই

আলোছায়ায় আঁধারতলে বাজাই

বাঁশী চৌরাসিয়ার ।


সবুজ সুরে গাই যে গান নীরার

কথায়,নয়নতারায় ।দুগ্গা আরাধনা ,

উপাসনায় আহা পরম ভালোবাসায়।

শিউলিপ্রেম আবিরে ,দখিনা সমীরে

খোলা হৄদয়দুয়ার ।


বাউলানী ঐ মাধুকরীর মোমজোছনা

লুকিয়ে রাখি অন্তরগৄহকোণে।পথ চলি

দিক ভুলি তবু নীরে ফিরি ।মেঘবালিকা

চিত্ত ভেজায় চুপকথায়,শহরবাউল একাই

আকুল ছিন্নতার ।