দুগ্গা রাতে
এক পশলা শ্রাবণ ভিজিয়ে দেয় ভালোবাসার মাধুকরী।চলার পথে কুড়িয়ে নেওয়া আলোগুলি ভরে দেয় ঝোলা। দুগ্গা রাতে ক্লান্ত জোছনা আলোয় তক্তোপোসে বসে দেখি ঝোলা উপছে টুকরো টুকরো আলোগুলি হাসছে খিলখিলিয়ে,যেন পদ্মবনে টলটলে মুক্তোধারা।সব হিসেব মেলে গরমিলে।রবিপ্লাবনে ভেসে যায় সবটুকু বেদনভার।মিলে মিশে একাকার। এইভাবেই তো উত্তরণে এক জীবন থেকে অন্যজীবন, মৃত্যু হীন।
একলা পথে
আমার একলা বাইশ একচিলতে ভেজা শ্রাবন,
মরণবানে অট্টহেসে অকুলহারা জীবন প্লাবণ।
পরাণ নাচে,ডাক ইশারায় হৃদিবাউল উথালঝরে,
চলার পথে , দিনেরাতে রবির আলো সকলজুড়ে।
নয়নতারায় আপণসুরে বাজে কৃষ্নায় নীরবগান,
ইছামতী বাইতে ডাকে উদাস জলে মন সাম্পান।
চুপকথাতেই সবকথা,তোমায় থাকি হৃদি আধার,
শামুকখোলায় অনিমেষ,মনদিঘীতেই সব উজাড়।
পলাশবনে আগুন নামে,নয়নধারায় ভানুপদাবলী,
সোনাঝুরির ভাঙামেলা, খুঁজে ফেরা অন্ধরঙতুলি।
রহো সাথে
বারবার আকন্ঠ শ্নান ভিজে রিক্ত শিক্ত পানকৌড়ি বাইশে শ্রাবন,
সেই কোন চাঁদ জোছনার মিলন মেলায় খোলা আধেক উঠানে জল ছলছল,
ফিরে ফিরে আাসা, টলমলে শুরু আবার সেই শ্খলিত পদশ্খলন, জলেই ছবি ।
এতো এতো মানুষের ভিড়ে , একটা বোধ কেবলই দেয় ঝাঁকুনি ,তফাৎ যাও,
এই জীবন , এই সমাজ, নিতান্তই বেমানান ,একলা ভিজে পথ করে ইশারা,
এ পথ, সেই পথ , অন্য পথ, অনেক অনেক দুরের বল্লভপুর ,তান্ডবে মালকোষ ।
দিনে দিনে অপরিচয়ের আভরন শৄঙ্খলাকারে আষ্টেপিষ্টে সোহাগগলা দিন পরের দিন,
বিন্দু বিন্দু স্তুপাকৄত শেষ চিঠি, জীবন আর মরণের তীব্র নরম মোমগলা প্রেম,
মনে পড়া, ভুলে যাওয়া অপরিমেয় শুন্যে অর্থহীনতায় শ্রাবন জাগে রাতের পর রাত ।
আটপৌরে আবছা আকাশ , সুর্যাস্তের পর সুর্যাস্ত, শ্যামসুন্দর আপন হোরিখেলায়
ছাতিমের সবকটা ডাল করাতকলে কাটা, সবুজ ঘুমায়, ভাঙা কাপের তিতকুটে
স্বাদে তবুও জাগে রডোডেনড্রন আর পাগলী রঙনে তবুও আমি ,আমার বাইশে শ্রাবন ।
চিরসখা, আমার সবখানে, চিরস্নানে . বন্দরের গান
আমার মরন আমার জীবন ,আমার বাইশে সাম্পাণ ...