Saturday, August 31, 2024

 বৃষ্টি,

থেমে গেছে 

            বেশ কয়েক দিন 

                        শুকনো খটখটে চলাচল।

দুজনে এখন বসে থাকি, 

                                  মুখোমুখি ।

নিরাপদ চাদর গায়ে জড়িয়ে ওদের পায়ের শব্দ।

একটা দীর্ঘশ্বাস 

             চলাচলে 

              এই দেওয়াল থেকে ওই দেওয়াল।

রোজ দিন 

       নিয়ম মাফিক 

           আলোছায়া দুলকি চালে 

                                দীর্ঘতর  বসে থাকা।

সময় বয়ে যায় দিনের পরে অন্য দিন,

                           থাকে না থেমে।

দেওয়াল গুলো হয় অদৃশ্য,

                   জাগে উন্মুক্ত প্রান্তর

একে একে ওরা দাঁড়ায়, 

দ্রৌপদী থেকে আজকের অনামিকা

                         বৃত্ত পথ 

     সংখ্যায় বাড়তে থাকে

                   একটাই মুখ, বাড়ে সংখ্যা।

নামের রকমফের।

পুনরাবৃত্তির দীর্ঘশ্বাস।

শকুনের দল গোটা আকাশ জুড়ে,

পুজ রক্ত

           আমার

                       তোমার

                                 সমাজের।

অসহায় হৃদয়জুড়ে সচকিত চোখের জল।

দ্রিম দ্রিম দ্রিম,,,,




          


Friday, August 30, 2024

 সময় যে তুই কোথায় পালাস,কোন আকাশের নিরুদ্দেশে,

আমায় বুঝি গেছিস ভুলে ,সকাল বলে একটু হেসে ।

দুপুর ডাকে ,বিকেল ডাকে ,অঝোর সুরে অবুঝ ধারায়, 

পাগল বাঁধা শীত আর তাপনিয়ন্ত্রিত ঘরের মায়ায় ।

সন্ধ্যা অকপট বলে একটু মিলি আয় আঁধার সাগরে,

ক্লান্ত আমি ,শ্রান্ত আমি ,দৌড়ে ফিরি আপণ নীড়ে ।

Thursday, August 29, 2024

  অদ্ভুতুরে এক আবর্ত 

                          আমাদের চলাচল।

 জানি কি

 কোনটা ঠিক বা বেঠিক?

কেন ঠিক,কেনই বা বেঠিক?

দাঁড়িয়ে সমাজ নামক বায়বীয় অনুশাসন,

 সামনে রেখে  কাজ করছি,

        খাড়া অজুহাত 

                       হয়েও বা যাচ্ছে

                                   সেটাই সঠিক ।


যে মানুষটি একবিন্দু পড়াশোনা করে নি, দেশি বিদেশি সাহিত্য, বিজ্ঞান বা আরো সব বিষয়ে কিছুই পড়েনি,শেখেনি তার জীবনবোধ কি কোন অসাধারণ জ্ঞানী বোদ্ধার থেকে কোন অংশে কম,প্রশ্ন থেকেই যায়।


 আজকের এই দিনে যখন রেলগাড়ি এগিয়ে চলে, পেরিয়ে যায় একটার পর একটা স্টেশন,জানালার ওপাশে ঔ কাশফুল আলতো হাওয়ায় শরীর হেলিয়ে দুলিয়ে যে কথা বলে ,তা বোঝার জন্য  কোন পুঁথি পড়ার তো প্রয়োজন পড়েনা।


এতো যত্ন দিয়ে দিনের পর দিন কতো যে বই পড়া তাওতো যাই ভুলে,নেভা জ্যোৎস্নায় আকাশ থেকে নেমে আসা চেনা অচেনা তারার দল যখন গল্প শোনায়, ঘুম পাড়িয়ে দেয় তখন যে আমোদিত ভালোবাসায় ভিজে যাই,সেই ভিজে ভালোবাসা সকাল হয়ে জাগে।


মনের মাঝে একটা বোধ কড়া নাড়ে, অপরিমেয় অজানার মাঝে সারাদিনের শেষে পিদিম আলোয় সেই সবুজ বেলার মাদুরে গা এলিয়ে গোবর লেপা মাটির দাওয়ায়  জীবনকে ফিরে দেখি।


তরতরিয়ে উঠে যাই একলা নীরব পাহাড়ের চূড়ায়, যেখানে নেই কোন পাখির কোলাহল, নীচে অথৈ সমুদ্র অনবরত ধাক্কা দিয়ে ডাকে ,আয়,আয়।ছুড়ে ফেলে দিই সব পুঁথি পড়া বিদ্যে। শুন্য হই,হই সম্পুর্ন।

 একটা অদ্ভুতুরে আবর্তে আমাদের চলাচল।কেউ জানিনা কোনটা ঠিক বা বেঠিক,কেন ঠিক,কেনই বা বেঠিক। একটি সমাজ নামক বায়বীয় অনুশাসনকে সামনে রেখে  আমরা যে কাজটি করি বা যা যা আমাদের দ্বারা হয়ে যায় সেটিকেই সঠিক প্রমান করার চেষ্টা করে যাই।


যে মানুষটি একবিন্দু পড়াশোনা করে নি, দেশি বিদেশি সাহিত্য, বিজ্ঞান বা আরো সব বিষয়ে কিছুই পড়েনি,শেখেনি তার জীবনবোধ কি কোন অসাধারণ জ্ঞানী বোদ্ধার থেকে কোন অংশে কম,প্রশ্ন থেকেই যায়।


 আজকের এই দিনে যখন রেলগাড়ি এগিয়ে চলে, পেরিয়ে যায় একটার পর একটা স্টেশন,জানালার ওপাশে ঔ কাশফুল আলতো হাওয়ায় শরীর হেলিয়ে দুলিয়ে যে কথা বলে ,তা বোঝার জন্য  কোন পুঁথি পড়ার তো প্রয়োজন পড়েনা।


এতো যত্ন দিয়ে দিনের পর দিন কতো যে বই পড়া তাওতো যাই ভুলে,নেভা জ্যোৎস্নায় আকাশ থেকে নেমে আসা চেনা অচেনা তারার দল যখন গল্প শোনায়, ঘুম পাড়িয়ে দেয় তখন যে আমোদিত ভালোবাসায় ভিজে যাই,সেই ভিজে ভালোবাসা সকাল হয়ে জাগে।


মনের মাঝে একটা বোধ কড়া নাড়ে, অপরিমেয় অজানার মাঝে সারাদিনের শেষে পিদিম আলোয় সেই সবুজ বেলার মাদুরে গা এলিয়ে গোবর লেপা মাটির দাওয়ায়  জীবনকে ফিরে দেখি।


তরতরিয়ে উঠে যাই একলা নীরব পাহাড়ের চূড়ায়, যেখানে নেই কোন পাখির কোলাহল, নীচে অথৈ সমুদ্র অনবরত ধাক্কা দিয়ে ডাকে ,আয়,আয়।ছুড়ে ফেলে দিই সব পুঁথি পড়া বিদ্যে। শুন্য হই,হই সম্পুর্ন।

 চলছি চল ,গঙ্গা অতল এই শহরপথে,

ক্লান্ত মন, জীবন দহন, ফিরি কুলাতে।

 মা তুমি, তুমি মা ,অপমান আর বর্জনের নিত্য পাওয়া নিয়েও

এনেছো আমায় এই বিপুলা ধরণী মাঝে অপার মায়ায় ।

জাগো অন্তরে জাগো ,দুর করো মা মনের আধার, 

আলো দাও ,সকাল হোক পাখির ডাকে সবুজ পাতায় ।

 ।।অন্ধ এই চিত্ত জাগরনের আশায় ।।

Wednesday, August 28, 2024

 মাঝরাত বৄষ্টি অঝোর, ভিজেই আজ এই সকাল

ঘরে ঘরে দুগ্গা চোখে তোর এতো নোনতা জল ।

পুরুষকার ,গ্রামে নগরে প্রান্তরে আমরা তালিবান,

কেবল নাটক, আছে মুখোস সব্বাই ভরা জঙ্গল ।

ক্লান্তি চোখে ,মনহারেমে দেহজুড়ে মৄত্যুমিছিল,

প্রান কোথায় ? যে দিকে তাকাই শুধুই ফসিল ।


 ভুল মানুষের অরণ্য,আকাশমন আজ সে মেঘলা ,

কায়া যায় ভিজে বারিধারায় , কিন্তু অদৃশ্য ছায়া ?

অন্তর ভরে এতো কালি ,বৄষ্টি আয় দুইএক পশলা ,

ভিজে যাক,সিক্ত হোক,রিক্ত হোক  নিভে যাওয়া। ।


  

 স্বপ্নময়  একটু সবুজ,একটু মুক্তির পথবাউলানী,

 আলগা বেড়ী,তরী বাঁধন হারা,অভ্যাসে দিন গুনি।

 ভুল মানুষের অরণ্য,আকাশমন তুই মেঘলা ,

কায়া যায় ভিজে বারিধারায় , কিন্তু ছায়া ।

অন্তর ভরে এতো কালি ,বৄষ্টি আয় এক পশলা ,

ভিজে যাক,সিক্ত হোক,রিক্ত হোক এ গান গাওয়া ।

 

 ওরে পাগলেরা কেন তোরা ঘুমে অচেতন,

বয়ে  যায় অবহেলে জীবনবেলা, দিনক্ষণ।

Tuesday, August 27, 2024

 প্ল্যাটফর্ম 

এসেই গেছি ,

বেশ খানিকটা আগে 

               থাকবো অপেক্ষায় 

অনেক পথ এখনো চলা বাকি।

বসে বসে দেখবো 

     একটার পর একটা ট্রেনের থামা,চলা

                 ওরা উঠবে,নামবে

অপেক্ষা করবো,

           এক চিলতে ফাঁকা শুন্য স্থানে,

সরব 

      নীরব  

              মায়া মৃদঙ্গ।

আগেই এসেছি,

               সমাপনে প্রাত্যাহিক নিত্যকর্ম 

                                  থেকে যাবো।

একদিন তোমার ও সব কাজ হবে সারা,

               অপ্রয়োজনীয় অতিরিক্ততা,

স্লথ পায়ে আসবে, একসাথে সুর্য স্নান।

                        

                    আমাকে বাঁচতে হবেই একটা হাতেহাত সকালের নীলকন্ঠ কামনায়।

 বিপুলা ধরণী ,আলো আঁধারের জীবনপথে,তোমার ছোয়া পথের বাঁকে,

অপার মায়ায়,স্নিগ্ধ ভালোবাসায় ,মাটির ধুলায়,পাখির ডাকে ।

তোমার ছোয়া উদার আকাশে,মধুর সুবাসে, গাছের সবুজে ,ফুলে ফুলে,

তবুও কেন যে মিছেই কাঁদাই,সব হারাই ,হারাই আপন ভুলে ।

Sunday, August 25, 2024

 মাথায় অনেক কিছু পোকার মত কিলবিল করছে।এই সভ্য সমাজে মানুষটা বড়ো বেমানান, সত্যি বললেই ঘৃনা,চোখের কালো 

 ছায়া আবছায়ায় প্রতিবিম্বে মরে বাঁচা,মায়ামৃদঙ্গ,

মন মরিচীকায় অন্বেষণে অচলায়তন, কৃষ্ণতরঙ্গ।

Friday, August 23, 2024

 ইসরাত

রাত আঁধারে সাঁঝবেলায় ফুটলো ক্যাকটাসে ফুল সাদা ,

এতো সাদা এতো আলো ,রুপসাগরে মা তুমি ।

বেতো ঘোড়াটা তাই দেখি গড়িয়াহাটে ব্রিজের নীচে 

বসে দাড়িয়ে বোড়ে দিয়েই রাজাকে করছে মাত ।


ইসরাত তুমি কেমন করে নাড়িয়ে কাঁপিয়ে দিলে,

জগদ্দল পাথরটা ,ভাঙাচোরা দুঃখগুলো,প্রতিদিনের মৄত্যুগুলো,

মায়ের আবাহনে কি সুরে তুমি ভরিয়ে নিলে ।

কৌশিকিতে রাত সবুজ অবুঝ জোয়ারে ভাঙলে অচলায়তন ।


রেসের মাঠে আজ তো মখমলে ঘাসের আদুরে চাদর,

মনখোলা বাণভাসি দেবশিশু যখন মাকে মায়ায় ভরে বাঁধছে,

বুড়ো পেটমোটা মনিটারে লেখাগুলো যখন একেবারেই ঝাপসা,

অন্ধকার মন এই ভাঙা মসজিদের দালানে দাড়িয়ে,

 অন্ধকার মন তোকে তালাক,তালাক,তালাক ।


ধুয়ে যাচ্ছে 

                স্বপ্নময় যাপন 

                                     বেশ কিছু,

অসহায় স্খলন 

                      বেপথু চলন 

                                        পিছু পিছু।

Thursday, August 22, 2024

 শরৎ সাজে গাছের পাতায়,

ফুলের মায়ায় পাখির গানে ।

আকাশ সাজে মধুর আলোয়,

প্রভু ধায় যেন মন তোমা পানে ।

 

 নীলার্ত হৃদিলেখ আঁকে কৃষ্ণাকাশ আর অনন্তসাগরের সঙ্গমকথা,

দেউল ভাঙে ,পিদিম নেভে একে একে , সাক্ষী অক্ষম আদুরী স্থবিরতা।

Tuesday, August 20, 2024

 এই সকালে আকাশ অকপট,

ফুলে ফুলে নিবিড় তুমি ঈশ্বর ।

সত্য হই ,অপার হই,সুন্দর হই,

এলো যে নতুন ভোর ।।

 এক্রোপলিস মল থেকে উদয়ন


এক্রোপলিস সামনে বট,

অদ্ভুতুরে এক চিত্রপট ।

রঙবেরঙের মোহিনী মায়া 

মনের কি আছে ছায়া ?

আকাশ ঝরে ঝিরি ঝিরি,

পথ যে এগোয় তারাতারি ।

উল্টোদিকে চিনি কম

ফুটপাথেই পুরি ,আলুর দম ।

ভিজেই বসে সবুজ পাখি

ভাঙা ফোনেই ছবি আঁকি ।

একলা পথে বন্ধ খাম,

কিইবা আছে কোন সে নাম ।

সেকেন্ড ওয়াইফ দাড়িয়ে ডাকে

বিরিয়ানির গন্ধ নাকে ।

ঝোপের মাঝেই নয়নতারা,

কোন সে ডাক আকুলকরা ।

মুখ ঢেকে দেয় ধুসর ধোঁয়া

রমনী তুমি কি সে কায়া।

ভালোবাসার ব্যাকআপ,

মাথায় আসে প্রচুর চাপ ।

হঠাৎ পথে সোমেশদাদা,

কবিতা আমার ঘুমিয়ে কাদা ।

Sunday, August 18, 2024

তিলে তিলে মরতে মরতে এখন  মমি হয়ে আছি,

          গায়ে, গোটা দেহে কিসের প্রলেপ,

                           নিজস্ব কিছু ?          

                                         অনুভুতি হীন।

বসে আছি 

               বারান্দায়,                

                বৃষ্টি চলছে ঘ্যানঘ্যানে শব্দে।


মরা মানুষের চোখে রাস্তার ঘোলা জলের বিবস্ত্র স্খলন।

     ল্যাম্পপোস্টে পাশ করার সহজ উপায়।

এক জীবন

                 মৃত্যু 

    মমি,

          লাফ জোড়পায়ে

                            জল ছলছল 

                                   জল ফড়িং 

                                              উড়বে ?

অনুভুতি হীন 

                    অপলক

                              বারান্দায় 

                                       ঘোলা জল।


 

Saturday, August 17, 2024

 যে  স্বপ্নগুলো রুয়েছিলাম পা ডুবিয়ে ভেজা বুকে,

আজ ডাকে নতুন করে ছিন্নমূল আধো আলোকে।


মনে হয় হয়তো বছর হাজার,

যে পথে হেটেছিলাম,

যে সুন্দরের ছায়ে

হয়েছিলাম শীতল সেই তো এই

আবার ফিরে এলাম ।

আবার যেন সকাল হলাম।

 যেও না তুমি অঝোর শ্রাবণ,

হৃদমাঝারে থাকো ।

অমৃত পথভোলা এই মধুকর

সঙ্গে তোমার রাখো ।


Thursday, August 15, 2024

 হাজিপুরে জ্বলে না সন্ধ্যা প্রদীপ, হয়তো বাজেনা শাখ।

মুক্ত অঙ্গনে ভাঙে মন,কেউ শোনেনা অথৈ গহিনের ডাক।

 প্রতিদিন মরা,প্রতিদিন বাঁচা,

জীবনের এই বন্ধনডোর ।

আঁধার শেষে আলো ফুটুক

হোক আমাদের মনের ভোর ।


Wednesday, August 14, 2024

 মাফ 

জং ধরে গেছে সবকটা অনু আর পরমাণুতে,পারছিনা,আকন্ঠ উদাসীন।

কিছুতেই ছিটকিনিটা খুলছেনা ,কেন যে?

জানলার ওধারে ওরা ডাকছে ,একজোট, মাৎস্যন্যায়,কেন যে এমন হয় ?

সব থামে নির্বিকল্প  স্থবিরতায় ।


আয়নার সামনে, মানুষবেচার হাটে অথবা সময়ের  কাঠগড়ায়,কিংবা  অবোধ হৃদকালকুঠুরীতে,

রাতআলোর অস্পষ্টতায় ,বুড়োটে ছানিধরা চোখে, চারিপাশে অগুনতি মুখোশের ভিড়ে,এক আঁজলা সুখের খোঁজে মনটা কোথায় কোন ডাস্টবিনে নাকি  মরা আদিগঙ্গায়? এক আবর্তে ঘুরপাক।


স্বাধীন ভারত ১৫ই আগষ্ট,১,২,৭৫,,,

একটু দমদার সেলিব্রেসান বা মহা উৎসব ।

বিজ্ঞাপনের চিৎকারটা এতোটাই , দিনের পর দিন যা ঘটে চলেছে,অভিনয় খোলতাই হচ্ছেনা,প্রম্পটারটা যে কোথায়  ? বোকা চড়ুইটা ভিজেই চলেছে,একের পর এক নিম্নচাপ।


কেরোসিন লন্ঠন বা হ্যাজাক জ্বালাও, জংটাও যদি হয় পুড়ে ছাই। নাভির মতো স্বপ্ন ও কি পোড়ে না?

টিকিটের লাইনে সেই ছেড়া মেয়েটা, কোলে শিশু কান্নাভেজা মোনালিসা,কোথায় নয়াবসত ? কোন স্টেশন?

পালিয়ে যাওয়া শেষশ্রাবণ ,৭৫ বছর পেরিয়ে এলাম, জমিয়ে পালন,এতো আলো, জমজমাট, দেশ স্বাধীন ।দ্বেষও স্বাধীন, তুমি আশাবরী আর একান্তই আমি বেসুরো বক।

Tuesday, August 13, 2024

 পথ চলেছে আপন  খেয়াল,

মুক্তাঙ্গনে উঠেছে দীর্ঘ দেয়াল।

হঠাৎ দেখা বটের ছায়ে,

ইতিউতি রঙমিলান্তি ডাইনে বায়ে।

মুখোস খুলে দুএক কথা

শিকল বাঁধা সামাল ব্যাথা।

চলতে হবে অন্য ভোর,

অন্য সকাল, সকাল তোর।

হয়তো আবার অন্য দিন,

বটের ছায়ে নিদ্রা হীন।

অমোঘ চক্র,পথের ডাক,

থেমেই চলা ,যাওয়াই যাক।

Monday, August 12, 2024

 ভোরের ডাক ওই শোনা যায়,

জীবন খোঁজে নতুন আশা আর আলো ।

অনন্তআলোক পথ ওই দেখা যায়,

পাগলমন তোমার অন্তরনয়ন খোলো ।

Sunday, August 11, 2024

 ওই শোনা যায় ওই যে হোথায় বন্দরের গান,

সওদাগর নাও ভাসাও জাগুক অমৃত প্রাণ।

Saturday, August 10, 2024

 শ্রাবন্তী ,তুই কেন দুগ্গা হলিনা ।

আমরা তো ক্লীব, তাদের কাছেই,

তুই তাদের কাছেই হেরে গেলি 

একলা লড়াই জিততে পারলিনা ।


আমরা তো মুখোশ পরে ঘুরে ফিরি,

সু কথার বন্যা ভাসাই,

ভালো মানুষের নাটক করি ,নাটকটা

তুই তুইরে কেন ধরতে পারলিনা।


এতো বড়ো খোলা আকাশ,

আদিম এই জঙ্গল,এই ঘন জঙ্গল

ছেড়ে তোর ডানা মেলে কেন

কেন রে তুই উড়ে গেলিনা ?


তুই ভালো ছিলিনা,

গুমরে গুমরে কাঁদছিলি

কেন কাঁদলি,কেন কাঁদলি?

কঠিন হয়ে খাঁচা কেন ভাঙতে পারলিনা ??

দুগ্গা দুগ্গারে...

Thursday, August 8, 2024

 ভরা বাদরে অঝোর ধারায়,

এই পৃথিবীর অপার মায়ায় ।

মন কেমন করা বাইশে শ্রাবণ,

প্রভু তোমায় আমায় মধুমিলন 

মাধুকরীতেই পথ চলা ,

বড় সুধাময় এই মানবমেলা । 


সতীশ আপ্লুত এতো ভালোবাসায়

  শাওন

ওরা

 বসে আছে

এখানে।


ওইখানে

চারিধারে

               দ্বিতীয়া রাতের আঁধার

                           জেগে আছে অনিমেষ।


চোখগুলো দল বেঁধে জ্বলছে মৃতপ্রায় জোনাকির দহন মেখে।


আর


মধ্যিখানে

 ঘুনধরা কাঠের টুলটা,

আদিকাল থেকে

                         বসে আছি

টুলটাতে,

 নদীর ছোঁয়া পাওয়া যায়না।


একের পর এক প্রশ্ন,

উত্তর নেই বুকের কুলুঙ্গিতে,

পাপী মন।


ওরা উঠে দাঁড়িয়ে পড়ছে একের পর এক,


মিহি সুর করে ওরা জীবনমুখী কবিতা করছে উচ্চারণ।


টুলে বসা লোকটা  বেশ অনেকখানি বধির,


রিনরিনে শব্দে ওরা কি বলে চলেছে?


বোঝার চেষ্টা

                 সব একরকম মনে হয়।


অনন্যোপায়

টুল ছেড়ে

রাস্তা দিয়ে হাঁটতে থাকি,

ঝিরি ঝিরি মেঘগলা জল ঝরতে থাকে।


আমি একা নই,

ফুটপাতে শুয়ে থাকা ওই বুড়োটে লোকটাও,

ভিজে যাচ্ছে একটু একটু করে

ঘুমিয়েই থাকে,

হয়তো বা সেও দেখছে স্বপ্ন,

একা 

        সীমাহীন  সবুজে 

                          গাছগাছালির মাঝে,


 রবি ঠাকুর ফিসফিসিয়ে কি যেন বলে চলেছেন!


দাড়িয়ে আছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে,


ওতোটা উঁচুতে।


ওরা, আমি, 


কাকতালীয় দোষে এক আবর্তে

ভাঙাদেউলে মহাকাল,


পিদিমের আলো ছড়িয়ে পড়ছে দেউল থেকে খোলা সবুজ মাঠে ,


ঘুম ভাঙছে

                ভালোবাসার,

যুক্তি তক্কো

         নদীর বাঁক ছুঁয়ে যায় আলতো ঠোঁট।


চেয়ে নিই হাতদুটো,

                          মুঠোয় ধরি ।


রবি বাউল গাইছেন

উন্মুক্ত 

আকন্ঠ 

জীবনের গান।


হেঁটে চলি, দুজনে,

নন্দিন হাসে খিলখিলিয়ে,

আকাশ সাজে

 রক্তকরবী আলো।


ওরা সব একসাথে হাত পা ছুড়ে করছে চিৎকার,

টুলটা কেঁপে কেঁপে ওঠে

ঘুনপোকাদের মহাভোজ।


একা আঁধার

             ঘুম নেই।

পৃথিবীর গর্ভাবস্থা।


 খান তিনেক,

নিমগাছ বাড়ছে 

তরতরিয়ে।

মাটি আছে 

               আছে জল ।

বুড়োচ্ছি

জোগাড়ের কাঠকুঠো

নেই কিছু পাওয়ার।

নিমসুখে এখন পড়ন্তবেলা।




Tuesday, August 6, 2024

 দুগ্গা রাতে

এক পশলা শ্রাবণ ভিজিয়ে দেয়  ভালোবাসার মাধুকরী।চলার পথে কুড়িয়ে নেওয়া আলোগুলি ভরে দেয় ঝোলা। দুগ্গা রাতে ক্লান্ত জোছনা আলোয় তক্তোপোসে বসে দেখি ঝোলা উপছে  টুকরো টুকরো আলোগুলি হাসছে খিলখিলিয়ে,যেন পদ্মবনে টলটলে মুক্তোধারা।সব হিসেব মেলে গরমিলে।রবিপ্লাবনে ভেসে যায় সবটুকু বেদনভার।মিলে মিশে একাকার। এইভাবেই তো উত্তরণে এক জীবন থেকে অন্যজীবন, মৃত্যু হীন। 


              একলা পথে


আমার একলা বাইশ একচিলতে ভেজা শ্রাবন,

মরণবানে অট্টহেসে অকুলহারা জীবন প্লাবণ।


পরাণ নাচে,ডাক ইশারায় হৃদিবাউল উথালঝরে,

চলার পথে , দিনেরাতে রবির আলো সকলজুড়ে।


নয়নতারায় আপণসুরে বাজে কৃষ্নায় নীরবগান,

ইছামতী বাইতে ডাকে উদাস জলে মন সাম্পান।


চুপকথাতেই সবকথা,তোমায় থাকি হৃদি আধার,

শামুকখোলায় অনিমেষ,মনদিঘীতেই সব উজাড়।


পলাশবনে আগুন নামে,নয়নধারায় ভানুপদাবলী,

সোনাঝুরির ভাঙামেলা, খুঁজে ফেরা অন্ধরঙতুলি।


        রহো সাথে


বারবার  আকন্ঠ শ্নান ভিজে রিক্ত শিক্ত পানকৌড়ি বাইশে শ্রাবন,


সেই কোন চাঁদ জোছনার মিলন মেলায় খোলা আধেক উঠানে জল ছলছল,


ফিরে ফিরে আাসা, টলমলে শুরু আবার সেই শ্খলিত পদশ্খলন, জলেই ছবি ।


এতো এতো মানুষের ভিড়ে , একটা বোধ কেবলই দেয় ঝাঁকুনি ,তফাৎ যাও, 


এই জীবন , এই সমাজ, নিতান্তই বেমানান ,একলা ভিজে পথ করে ইশারা, 


এ পথ, সেই পথ , অন্য পথ, অনেক অনেক দুরের বল্লভপুর ,তান্ডবে মালকোষ ।


দিনে দিনে অপরিচয়ের আভরন শৄঙ্খলাকারে আষ্টেপিষ্টে সোহাগগলা দিন পরের দিন,


বিন্দু বিন্দু স্তুপাকৄত শেষ চিঠি, জীবন আর মরণের তীব্র নরম মোমগলা প্রেম,


মনে পড়া, ভুলে যাওয়া অপরিমেয় শুন্যে অর্থহীনতায় শ্রাবন জাগে রাতের পর রাত ।


আটপৌরে আবছা আকাশ , সুর্যাস্তের পর সুর্যাস্ত, শ্যামসুন্দর আপন হোরিখেলায়


ছাতিমের সবকটা ডাল করাতকলে কাটা, সবুজ ঘুমায়, ভাঙা কাপের তিতকুটে


স্বাদে তবুও জাগে রডোডেনড্রন আর পাগলী রঙনে তবুও আমি ,আমার বাইশে শ্রাবন ।


চিরসখা, আমার সবখানে, চিরস্নানে . বন্দরের গান

আমার মরন আমার জীবন ,আমার বাইশে সাম্পাণ  ...

Sunday, August 4, 2024

 শুভলক্ষী মনে রেখো

জীবন তো এক ছোট নদী

চলতে পথে মাধুকরী,

পরাণ ভরে সাগরপানে চাওয়া ।

আকাশ কেমন ময়লা রঙা,

 তারই মাঝে ভালোবাসাকে

 এতো আর কতো ভালোবাসা । 

বাতাস কেমন মুখভার তবু 

 নীল দিনে অন্য মনে,

বেদনে রোদনে এই শ্রাবণ

 শুকায় ,আবার পরাণও জুড়ায়। 

 সবুজ পাতায় বৄষ্টিকণায় ,

মন হারায় হয়তো বা 

কন্যামায়ের চাওয়া পাওয়ায় ,

ভালোবাসা মেলে ভালোবাসায় । 

চলতে চলতে জীবনভোর 

মেলে মন পিতার স্নেহে মায়ের মায়ায়

স্নিগ্ধ শীতল কোন ছাওয়ায় 

মেলে যেখানে পথ মেলে আকাশে

  সে কোন পাগল পথ হারায়

 তার তারই দুগ্গায় । 

কঠিন কথায় আঘাতে বেদনভারেও 

জীবন জাগে নতুন করে 

পথে প্রান্তরে নগরে কুটিরে

ভালোবাসার ভালোবাসায় 

শুভলক্ষী তুমি না ভুলে

  বুঝো কিন্তু অপার মায়ায়।

Friday, August 2, 2024

 লিখবো কোন অন্যদিনে


তুমি বলেছিলে, তুমিই তো বলেছিলে

আমাকে নিয়ে একটা কবিতা লিখো,লিখোই,

লিখো কিন্তু , শুধুই একান্ত তোমার আমার,

শুধু তোমার আমার ভালোবাসার 

ভরা শাওন ভরন্ত আষার ।


দুঃখ নয়, বেদন সে তো নয়ই, আঘাত

নয়, নয় কান্নাধারা. কেবল কম্পিত হাসনুহানায় 

ঝিরি ঝিরি হৄদয়ের গান, দুয়ে মিলে বসন্তরাগ,

যে যাই বলুক , অসীমে মিলাক সীমার রেখা,

সম্পু্র্না  আকাশ, অমৄত আধার ।


হলো যেটা,যখনই লিখতে যাই, টুকরো টুকরো মধু 

হাসিগুলো,ছোট্ট ছোট্ট তোমার রিনি ঝিনি কথাগুলো,

তোমার পাগলপারা এলোচুলের দুষ্টুমি সব টুকু,

তোমার গায়ের আগোছালো গন্ধের আকুলতায় ,উন্মনে আমি 

সব ভুলি,কিভাবে সাজাই,সব একাকার।


একটা কোলাজে সাজানোর, একই তারে বাঁধার চেষ্টাতেই

বেলা  যায় বয়ে, লেখনী খেলে লুকোচুরি , পালিয়ে বেড়ায় ,

দুই হাতে বুকের মাঝে যখনই আঁকড়ে  ধরতে চাই ,ঠিক সেই

বেলাতেই দিন পর দিন , যুগ থেকে যুগান্তর , সব ভুলে যাই,

তোমাতেই ,অথৈ দুই আঁখি তোমার।


তবু আমি চেষ্টাতেই আছি , বসে কিংবা দাড়িয়ে তোমার খুব খুব

কাছে থেকে , সব টুকু তোমাকে নিয়ে , আমাদের এক্কেবারে অন্য

ব্যাকারনের ভালো টুকু বাসার,  প্রেমের কবিতাটা লিখবোই , কোন এক 

উজানে একলা আমোদিত ভালোবাসায় ,চুইয়ে পড়া পড়ন্তবেলায়, পড়ো অবশ্যই

আমার অদৄশ্যময়তায়,মনে গেঁথো আমার কথা রাখার ..... 

 ভালোই তো বাসি ভালোবেসে।

Thursday, August 1, 2024

 নিশীথে গহিনে, ,মোহনবাশি বাজে,

রুপে  অরুপে, কৄষ্নকলি জাগে ।

 নয়নে মগনে,  সঘনে সলাজে,

 ভুবন  উথালে, মধুবন্তী বেহাগে।

 জীয়নে মরণে,  কঠিনে সহজে,

 প্রানে অপ্রানে, অনন্ত আবেগে ।

                       মোহনবাশি বাজে।


 আবেশে আলোতে ,শ্রাবণ অবুঝে,

 নতুনে জাগরনে, আশায় সোহাগে,

 পরশে আকুলে , অমৃতঅনন্ত মাঝে

  নির্জনে প্লাবনে,জীবনদহন ত্যাগে।

 ঝরে অঝোরে, অঙ্কুরে  সবুজে

  মরণমাঝারে অব্যয়ে, নবপ্রাণ জাগে।

                             অমৃতঅনন্ত মাঝে।

   


।তারারা ডাকে চাঁদেলা আঁধারে

মেঘেলা আকাশ ভোরের মধুরে ।