Thursday, August 8, 2024

  শাওন

ওরা

 বসে আছে

এখানে।


ওইখানে

চারিধারে

               দ্বিতীয়া রাতের আঁধার

                           জেগে আছে অনিমেষ।


চোখগুলো দল বেঁধে জ্বলছে মৃতপ্রায় জোনাকির দহন মেখে।


আর


মধ্যিখানে

 ঘুনধরা কাঠের টুলটা,

আদিকাল থেকে

                         বসে আছি

টুলটাতে,

 নদীর ছোঁয়া পাওয়া যায়না।


একের পর এক প্রশ্ন,

উত্তর নেই বুকের কুলুঙ্গিতে,

পাপী মন।


ওরা উঠে দাঁড়িয়ে পড়ছে একের পর এক,


মিহি সুর করে ওরা জীবনমুখী কবিতা করছে উচ্চারণ।


টুলে বসা লোকটা  বেশ অনেকখানি বধির,


রিনরিনে শব্দে ওরা কি বলে চলেছে?


বোঝার চেষ্টা

                 সব একরকম মনে হয়।


অনন্যোপায়

টুল ছেড়ে

রাস্তা দিয়ে হাঁটতে থাকি,

ঝিরি ঝিরি মেঘগলা জল ঝরতে থাকে।


আমি একা নই,

ফুটপাতে শুয়ে থাকা ওই বুড়োটে লোকটাও,

ভিজে যাচ্ছে একটু একটু করে

ঘুমিয়েই থাকে,

হয়তো বা সেও দেখছে স্বপ্ন,

একা 

        সীমাহীন  সবুজে 

                          গাছগাছালির মাঝে,


 রবি ঠাকুর ফিসফিসিয়ে কি যেন বলে চলেছেন!


দাড়িয়ে আছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে,


ওতোটা উঁচুতে।


ওরা, আমি, 


কাকতালীয় দোষে এক আবর্তে

ভাঙাদেউলে মহাকাল,


পিদিমের আলো ছড়িয়ে পড়ছে দেউল থেকে খোলা সবুজ মাঠে ,


ঘুম ভাঙছে

                ভালোবাসার,

যুক্তি তক্কো

         নদীর বাঁক ছুঁয়ে যায় আলতো ঠোঁট।


চেয়ে নিই হাতদুটো,

                          মুঠোয় ধরি ।


রবি বাউল গাইছেন

উন্মুক্ত 

আকন্ঠ 

জীবনের গান।


হেঁটে চলি, দুজনে,

নন্দিন হাসে খিলখিলিয়ে,

আকাশ সাজে

 রক্তকরবী আলো।


ওরা সব একসাথে হাত পা ছুড়ে করছে চিৎকার,

টুলটা কেঁপে কেঁপে ওঠে

ঘুনপোকাদের মহাভোজ।


একা আঁধার

             ঘুম নেই।

পৃথিবীর গর্ভাবস্থা।


No comments:

Post a Comment