Saturday, November 30, 2024

 পুঁজি একটি জীবন, 

একমুঠো সময়কাল।

সেই জন্মকাল থেকে আজ এই পড়ন্তবেলা, সময়ডায়রির প্রতি পাতায় কেবল কাটাকুটি খেলা।

উঁকি আলো ধিকি ধিকি,

বট পাকুরে স্থবির পারাপার।

বৃদ্ধ যৌবনের শুক সন্ধ্যাতর্পণ,

ইতিস্মৃতি তোমার আমার।

আঁকড়ে ধরে রাখা।

পিছু হটতে হটতে ক্লান্ত,পিঠ ঠেকে যায় 

বিবর্ণ হলদেটে মরা দেওয়ালে।

খোলস শামুকের, ঢুকতে ঢুকতে শেষ  প্রান্ত , 

ঠোঁট শুধু জীবনচোটই ছোঁয়ালে।


 দিন যায়,ক্ষয়ে কাঁদে ,ফিরে আসে না, 

সুখ কিংবা অসুখ পথ ভোলে,

 কোথায় হারায় ?

বছর বছর ভেসে যায় , ডুবসাতাঁর,  ভরা জ্যোৎস্নায় পরশপাথর ।

 আশ্বিন কোথায় ?

মনোময় অন্ধকার 

 ছাতিম গন্ধ পাগল,

আপনভোলা পথ,  মায়া ইছামতী ডাকে,

ভাটিয়ালী মায়াবন ।

ইচ্ছেনদী?

 মুক্তধারা পরশপাথর ।

বনফাগুন ,মনআগুন ।

কিশোরী প্রেম,কাঁপা হাত পড়তে দেওয়া,লেখাটা হয়েছে কেমন ? 

কাল বা পরের দিন অপেক্ষা অন্তহীন ।

অবসর যখন হলো........

যখন পড়া হলো....... 

অশ্রুনদী বানভাসি ,অধরা মাধুরী।

আকাশআয়না, নিশির ডাক, উড়োপ্লেন গুলোর কাঁটাকুটি

মুখটাই অদেখা, তবুও হাঁটাচলা ,হাঁতড়ে

 জাগা রাতভোর,

বিকলাঙ্গ মন , আঁধারসুরা পান, খোঁজ কোথায় ?

ঝুলিভরা পিতৄমুখে পুরাণ,উপনিষদ্,আর গোপন কিশোর শীতপ্রেম ।

অন্তহীন ঝুমুর গান।

দড়িতে ঝুলে মৃত প্রাণ কে যে কেন যে নামালো……..

Friday, November 29, 2024

 পাগলমন

মনে শীত পড়ছে, দরজা জানলা বন্ধ কপাট সব,

রুদ্ধ আলো,শৄঙ্খলিত বাতাস, নীরব কান্না কলরব ।


কুয়াসা ঘিরে ধরে কালো চশমায় প্রেতের সারি,

জগদ্দলে শিলায়িত পুরুষ, বন্ধ্যা নিজঃশ্বলা নারী ।


ইচ্ছায় জাগেনা কলম, কি এক মেঘলা অলসতা,

সব ভুলিয়ে শ্মরণে আঁধারে হারায় বোবা কথা ।


বরফে সঙ্কুচিত হাত ও পায়ের আঙুল ,শুধু দরকার তো

দুমুঠো ভাতের স্বপ্নে একটু ছাদ, বাঁচা খামারে পশুর মতো ।


মরে বাঁচা না বেঁচে মরা, বাতাস এতো ভারী এতো বিস্বাদ,

কায়াহীন কাগতাড়ুয়া দাড়িয়ে একা চারধার শুধুই অনাবাদ ।


ভালোবাসা,আবেগ,অনুভুতি,চিন্তন সবই তো বন্ধক ।

মনটাকে কোথায় যে রাখলাম?হায় রে জীবনকুহক..

পাগলরে পাগলমন কোন গহনে  ?

Wednesday, November 27, 2024

 অবসন্ন সকাল,মন আরও অবসন্ন, খুঁজে ফেরে আলপথ, বসে নিষিক্ত আকাশ মিনারে।

ঘোলাটে শ্যাওলা বাসা বাধে ধাপে ধাপে ঝাঁঝরা হয়ে যাওয়া বুকের মাঝে, অবসন্ন।

পালাতে চাই। তীব্র নীল যন্ত্রণায় যতবার বাঁচতে চাই আঘাত আসে,নিদাঘ নিঃশ্বাস।

একটি মৃত্যুতে যৌবনের কি যায় আসে, তফাৎ যাও, হারিয়ে যাও,বেশ আছি দুষিত অবগাহন।

মরেও কি থামে চলাচল? ইচ্ছে কেন বাঁচে অন্ধকারের ভাঁজে ভাঁজে? আনন্দকালের আশায় আজ ভেসে যায় অমোঘ আত্মসমর্পণে।




Tuesday, November 26, 2024

 কিছুই তো হলো না ,

 জীবন ঝরে শুন‍্যতায়।

দিন রাত্রির কাব‍্যগাথা,

অর্থহীনে ছেঁড়া খাতায়।

রোজদিন ভাঙে ঘুম ,

অবুঝ ভোরের প্রতিক্ষায় ,

চলা ফেরা, 

ফিরে দেখা,

বেলা বয়ে যায়।

 হেমন্তের দরজা ভেঙে এসে বসে পাশে বৃত্তাকার অন্ধকার।

Thursday, November 21, 2024

 ঝিম ধরা হেমন্ত, বিষন্ন সকাল,খোলা জানালা,বসি চেয়ারে, কার্নিশ নয়নতারা দোলে।

বুজে আসে চোখ,রবি বাউলের গান,একলা চরাচর, ফিরে দেখা,ওপেন টি সত্যি না বায়োস্কোপ।

সে...…. ক্ষয়িষ্ণু স্মৃতি, নিরাপত্তা,রোগ ডিমেনশিয়া,সময় বের করে এসো,খেলি সাপলুডো।

টিক্ টিক্,সময়,ব্যস্ত ঘন্টাঘর, নিয়মমাফিক সকাল বা সন্ধ্যা,কাল অন্য চরাচর।

যাবো সব মুছে, অন্য ভুবন, নিয়ে যাবো বুকে  কেবল হেমন্ত আকাশ।

Tuesday, November 19, 2024

 আঁধারসুরা পানে পুরো পাগল, চলা পথে দিকহারা 

আলো নয়, সকাল নয় ,থাকো তুমি  আকাশতারা ।

চুপিচুপি মনজানলা খুলি, 

শুরু হোক না কথাকলি ।

ভাসিয়ে ভুলি লড়াই হারজিত. হাসি কান্না,হয়ে যাই আপনহারা 

আলো নয়, সকাল নয় ,আজ থাকো তুমিই জীবনের  নয়নতারা ।

আমার আকাশতারা।

Monday, November 18, 2024

কারখানাটা ভালোই চলছে,

উৎপাদিত হচ্ছে আদর্শ স্বপ্ন, আবেগ, অনুভূতি এবং তথাকথিত ভালোবাসা।

সবই সঠিক পরিমাপে ,যার যা প্রাপ্য, উল্লসিত গোটা জীবকুল।

কেবল কারাগারে অথবা মৃত্যু দুয়ারে কয়েকটি কীটের অনাবশ্যক আদিখ্যেতা।

মেকি শুভ কামনায় নিজ নিজ দিন আরামসে অতিবাহন।

মনকুষ্ঠ ভালবাসার,

নীল নগ্ন ছায়াময়তা ছিল, আছে ,থাকবে,

মুখোস স্বার্থপরতার, 

কবি পুর্ণিমার চাঁদে জীবনের ছবি আঁকবে।

আঁকবেই।

আর আমি, আমি বাপু নিজের মুখোশে পলেস্তারা লাগাতেই থাকবো।

কারখানার ভো কি আর বাজে?

নিঃশব্দ শব্দময়তা।

Sunday, November 17, 2024

 হাজার দুয়ারী মন,এইপথ সেইপথ  বানভাসি চলন,

ফিরে যে আসে ছায়াপথ ,নির্মোহে  পরমে নিবেদন।

 আঁধারে আগল খুলে সীমারেখা মুছে যায় ।

এদিক আর ওদিক উড়োজাহাজের লুকোচুরি

আকাশ জুড়ে ।কোথায় রাখি সুখ  অসুখ ?

এক ফুঃ মোমআলোও নিভে যায় ।

Saturday, November 16, 2024

 ক‍্যানেস্তারা বাজছেই সভ‍্য সুধী সমাজ উন্নততর,

একটু শীত ক্রীমের প্রতিক্ষায় ভোর থেকেই কালো চামচিকে এবং একটু বৃহদাকার বাদুরের দল।

সময় হয়েছে ,একজোট হও ঝরাপাতার দল,

আশু প্রয়োজন একটি দেশলাই কাঠি উত্তাপ,

সারপেনটাইন লেন,পথঢলতি অভ‍্যাস কাব‍্যবিলাস আব‍্যশিক ।

কিছু কি যায় আসে?

Friday, November 15, 2024

 কান্ড ঘটেছে বটে ,

প্ল্যাটফর্মে সেই মানুষটা,

                    একটু বুড়োটে,

                              শ্রান্ত মধুমেহী,

মনে এবং হৃদয়ের  প্রতিটি কোণে নীলের আধিক্যে ভোগে।

এখনও আছে দাঁড়িয়ে,

কত যে হাজার বছর।


আশে ও পাশে কাশের বন,

           তাকেও ছাড়িয়েছে,

দু চারটে কাশফুল আজ ও শীতেলা দরজায়।

রাসুরে চাঁদ ফুটি ফুটি ধরেছে বৃন্দগান।

এখনও দাড়িয়ে ,

এই লাইনে বহুদিন হলো ট্রেন ভুলেছে তার চলাচল।

দ্বিধান্বিত জ্যোৎস্না এখানে নামমাত্র দেখা দিয়ে এগিয়ে যায় একে একে সুখী ও ক্ষুধার্ত জানালায় ।


Tuesday, November 12, 2024

 কি চোখে দেখি? সাদা না কালো?

আলো আর অন্ধকার কোনটা প্রিয়?

ভালোবাসা কি স্থান পরিবর্তন করে?

পেয়ে না হারিয়ে হৃদয় হয় শান্ত?

সব ছাড়ার কি কোন বয়স আছে?

এক নারীর প্রতি বিশ্বস্ত থেকেও কি দ্বিতীয় নারীর প্রতি স্বার্থহীন ভালোবাসা থাকতে পারে?

Sunday, November 10, 2024

 রোবট গুলো ভিড় করে আছে প্রতিটি শুন‍্যশ্থান,

মনন নেই, চেতনা মরূভুমে, ভালো কি সেটাই তো অচিনপুর, ভালোবাসা ভোকাট্টা, কেবল ই নিজেকে দর্পণে দেখা।

কাগতাড়ুয়া তুমি তো পুড়ছো,ভিজছো, এতো আলোয় চোখ তো ঝাপসা,  

কফি হাউসটা তো ও বন্ধ‍্যা, 

তুমি চোখ বুজে জাগো কাছিম উন্মাদনায়,

শ্বার্থপর জীবন তো একটাই।


Thursday, November 7, 2024

 যখন ভালোবাসা নামে উদ্বাহু নিভে যাওয়া প্রান্তরে ,

 অমৃত আবাহনে স্তব্ধ সময় নীল যমুনার দু চোখ জুড়ে ।

ঝিরিঝিরি নারিকেল ভিজে পাতা একে চলে আদুরে ছায়াছবি,

তুমি আমি লুকোচুরি একাকী স্নানের ঘাটে জ্বলি আর নিভি। 


Monday, November 4, 2024

 আঁধার ভুলে ঘাসের মাথায় জমছে শিশির মুক্তোকণা,

 হারিয়ে হাসি চোখের জলের ভিড় বন্যাচাঁদে ,

 এতো ভিজেও রাসের পথে কৄষ্ন না রাধে ।

 প্রিয়সখাহে

প্রিয়সখাহে তোর সাথেই গেছোপ্রেম, 

তোর কাছেই উজার আমিটুকু ।

বন্ধু কতদিন তোর সাথে অদেখা 

প্রিয়তম বন্ধু তুই যে আমার ।

বাবার হাত ধরে প্রথম পরিচয়,

বোধনের সন্ধ্যা পিদিমের আলোয়,

দুগ্গার চরণ এই ধুলিধরায় ।

চোখের জলের বাঁধ ভেঙে যায় বন্যাধারা

দিন পর দিন ভাসায় ,পালিয়ে হারায় ।

কত সাঁঝবেলায় তুই আমাকে বাঁচিয়ে তোর ছায়ায়,

তোর আলিঙ্গনের ফল্গুভালোবাসায়,কত গোপন কথা

তোর সাথেই ,সকাল আর এই শেষবেলায় রবির আলো

সেই কথা মনে করায়, কত অন্যায় কত ভুলে স্বীকারোক্তি ।

সেই মাঠ, আমের গাছ ,পুকুরে ঝাঁপ,শসার ক্ষেত ,দৌড় দৌড়

বন্ধু কতদিন তোর সাথে দেখা নেই ।

যখন তুই আমাকে পাশে রাখতিস ,অনন্ত অবসর

আজ আর ফুল ফোঁটেনা ,বুনো ঝোপ ,কোথায় কোথায়

বড়ো একা লাগে. তোকে ছুঁতে বড্ডো ইচ্ছা করে,

দেখতে মন লাগে পিদিমের আলোয় ধুপশিখায় ।

ভাঙাচোরা দুখরাশি এই দুর কংক্রিটে জঙ্গলে

ঘন্টার আওয়াজ কানে আসে ,ভাগ করে

সব তোর সাথে জীবনসখাহে,

কানে কানে,প্রিয়সখাহে আমার ভালোবাসা মন্দলাগার

ভালো থাকিস ভালোবেসে

আমার আপন একান্ত প্রেম শিশু ভোলার বেলেরগাছ ।

আজ এই পথভোলা বুড়ো বয়সেও তোকে…….

Sunday, November 3, 2024

 পাঁচালী 

মৃত মানুষটার চলাফেরা আগোছালো,

চোখে প্রতিবিম্বের এলোপাথাড়ি চলন।


চলতে চলতে কেবলই পিছন ফিরে দেখা,এক অন্তহীন আবছায়া সামনে দাঁড়িয়ে বিদ্রুপের হাসি ছড়ায়।শুন্যর সাথে শুন্য যোগ করে যাপনবেলা অ-সমে এসে থামে।

অব্যক্ত মন কারাগার

                       কিসের খোঁজ,

জীবন শ্রোত অন্তহীন,

                            অবিরাম ।

জন অরন্য ,

                অহেতুক বিকিকিনি,

ঝরে যায় প্রত্যেকে,

                        বড় বেশী দাম।


তখন সেই ন্যাঙটো বেলা, বাড়ির পাশেই ধাইমার বাড়ি,নিকোনো দাওয়া, বাঁশের বেড়ার ঘেরাটোপে আমার দিনের অনেকটা কেটে যেতো। দুটি মৃত সন্তান যোগ করলে আমি নবম জন। ভিড়ের চাপে একপেশে সহবাস। হামাগুড়ি জীবন।

তখন এবং এখন।

ক্লান্ত শরীর, 

            শৄঙ্খলিত মন ।

দেখি,আদুরে রোদ্দুর, সন্ধ্যা নামতেই এসে বসে একলা শ্মশানমন্দিরের মরাচাতালে। সহযাত্রী।ঐ একজায়গাতে মনে হয় আমার মতো চরিত্রহীন মানুষটি একটু স্বাধীন স্বেচ্ছাচারের জায়গা খুঁজে পায়,নীল জ্যোৎস্না।কে যেন সব বাঁধন,আগল দেয় খুলে। শান্তিতে মরি। মৃত মানুষ।

সবার কাছে নিতান্তই অপ্রয়োজনীয় , শিশুকাল থেকে  কাউকেই তো খুশি করতে পারলাম না, আমার না পারা সক্ষমতা,দোষ, স্খলন সবার খাতায় কেবল আঁকিবুঁকি কেটে গেল।

উত্তুরে হাওয়ায় ক্লান্ত ভোরের এজমালি রেওয়াজ।

কলোসিয়াম ভরা দৃষ্টি, দুই টলোমলো পা ভেজে নিষিদ্ধ পল্লীর কেনা বীর্য পতনে।

ওরা দেখছে, হাসছে, সশব্দে।

ঘেন্না নিজেকে, খড়ের চালা ভেজে,পচে,কেন্নো ঝরে টুপটুপ, দাওয়া জুড়ে এখন রূদ্রপলাশ।

উত্তাপহীন সমুদ্রে উথাল পাথালের আনাগোনা। আমার থাকা বা না থাকা পৃথিবীর ঘূর্ণনকে কোনভাবে প্রভাবিত করে না। বৃত্ত বাইরে গেলে ভুলে যায় বৃত্ত গ্রামের বাসিন্দারা, তবু মৃতচলন।

আবছা  উদাম আকাশ, 

বাতাস কাঁপছে  শীতেলা কান্নায়,,

আমি কেন, কোথায় ,

হৃদমাঝারে পানকৌড়ি আদুল গায়।

প্রাইমারীর টালির চাল টিপ টিপ ভিজে বেন্চ,মরা তো প্রতি নিঃশ্বাসে, এরপর আর তো প্রথম বা দ্বিতীয় হওয়া, হলো না কোন জীবন পরীক্ষায়। মাস্টার্সে পন্চম, ওইটুকুই। Obviously স্বপ্নসন্ধানে আমি ভোরের পাখি। আর কিছু পারি বা না পারি।

অ-বোঝা , 

অনিমেষ আকাঙ্ক্ষা,

আকাশ মিনারের খোলা জানালায় নিঃশ্বাস।

নিজের মতো ভাবার স্বাধীনতা নিয়ে গলাকাটা মুরগির মতো কাটিয়ে দেবো মৃতজীবন, কাটিয়ে দেবো, বাঁচিয়ে রাখবো হাজার বছর ভালোবাসার চোখদুটো আমার নাভি কেন্দ্র।নিরাপদ কুঠিবাড়ির বসবাস আমার নয়।

দাঁড়িয়ে আছি একা প্ল্যাটফর্মে,ট্রেন ওড়ায় ধুলো,মুখ ঢাকি তেলচিটে বালিশে।

ঢোল কলমী বনে নিরুদ্বেগ বেহুলা গাঁথে মালা। 

সন্ধ্যা আর সকাল মুখোমুখি।