Monday, March 31, 2025

 ইচ্ছে চড়ুই সেদিন 


রোদ  দুপুরে  উঠান ভরে

ছোট্ট  চড়ুই কান্না জোরে, 

সব কেড়েছে ঐ ছাতারে।


আকাশ ছোঁয়া, উপায় নেই

দিচ্ছে উড়ান চিল শালিকেই,

ঘরের কোণেই   লুকিয়ে  রই ।


 আদুরী পুকুর ভরা , ডুব সাঁতার,

মাছরাঙা আছে ঐ চৌকিদার, 

অভ‍্যাসে তাই  বাধ‍্য অনাহার।


কাব‍্যে আমার ভারি মজা

পোষাক ছেঁড়া,রাজা সাজা,

মাদল ওরে জোরসে বাজা।


আঁধার নামে চুপে আলগোছে,

চড়ুই  সবজান্তা  সবই বোঝে, 

সাপলুডো জীবন তাতেই মজে।


ইচ্ছে চড়ুই  বেশ কিছু দিন পর 


ইচ্ছে চড়ুই ক্লান্তি পোষে,

অসহায় বোধে আকাশ ভাসে, 

রোদ্দুর বেয়াক্কেলে মুচকি হাসে।


রোজনামচায় জাগে সন্ধ্যা সকাল,

চলতি পথে জাগছে দেওয়াল,

উপায়হীনে শরীরবনে জমে জন্জাল।


দিনের শেষে সন্ধ্যা নামে,

ক্লান্ত চড়ুই একলা থামে,

পিদিম আলো তৃতীয় যামে।


ভাবতে বসে হিসেব নিকেষ,

চৈতি হাওয়ার আলতো রেশ,

মরা সবুজে বছর শেষ।


উথাল পাথাল হৃদয় ঝড়,

চুপের কথায় স্তব্ধ চর,

কালের ডাকে নতুন বছর।


আজ

ভাঙা কার্নিশে চোখের জল,

শেষের শুরু নদীর ছল,

ভাব বিলাসে বোধ অতল।


আপন মুঠোয় এক পৃথিবী,

কাড়বি কে?  নিজের ছবি,

কষ্টে কল্প নয়কো আজগুবি।


কাল দিন , আলোর আঁধার,

থাকবো না ,মন কারাগার,

ভুলবে সবাই, দিনের ওপার।








Sunday, March 30, 2025

 ভরা রাতের আলোয়, ক্লান্ত দিনে,

পাগল মাদল মাতাল, আদুল ভীড়ে।


নিঝুম নদীর  ছায়ায় , বৃন্দ গানে,

জলের ছবি ভুলভুলাইয়া, বৃষ্টি ঝরে ।  


আকাশ  শব্দে হারায়, চন্দ্র বনে,

বৃহন্নলা মুহ‍্যমান, রূগ্ন বোধের ভারে।


নীলকন্ঠ আবর্তনে চক্রাকারে।

এ কে?এ কে?প্রশ্ন হৃদয় জুড়ে।

Saturday, March 29, 2025

 ইঁদুর 

ছুটতে গিয়ে নিরন্ন কামড়,

বহতি সময়,,,

ঝরছে , রক্ত।

 ধীরে চলি,

 এখন, 

তাকাই ইতিউতি।

ইঁদুরটার সাথে পরিচিতি বেড়েছে, নিয়মিত আসে, কামড়ে ফিরে যায় তার বাসায়,

রক্ত ঝরতে থাকে আর,,,   

হাল দিয়েছি ছেড়ে,

 ডান হাতটাও,

পুঁজ রক্ত মুছতেই কেটে যায় অনেকটা সময়।

শুভমস্তু।


 বিড়াল 

বিড়াল আর আমি, শুয়ে আছি , 

মেঝেতে, সকাল আর নিভন্ত বিকাল।

চিকেগোল্লার উড়োজাহাজ শিষ দিয়ে পালায়, 

তারাদের লুকোচুরি।

আগামীকালের জলছবি আঁকার চেষ্টা দুজনের ,  

সন্ধ্যা নামে।

অন্ধকারের চাদর মুড়ি দিয়ে শুরু করি স্বপ্নিল চলাচল।

দিন গুজরান নিয়মমাফিক।



Thursday, March 27, 2025

 পেঁয়াজের খোসা ছাড়াতে ছাড়াতে অবশিষ্ট থাকে প্রয়োজন ভিত্তিক সহাবস্থান।





Wednesday, March 26, 2025

 আবছায়া পায়ে অন্তর দহন,

রহো তুমি হে উদাসীন জীবন।

 রেলের গাড়ি,বুকঝিম ছেড়ে যাওয়া,ডাকে চেনা জানালা ।


তালাজুড়ে মরচে,মরা ঘাসের কান্না, এলোকেশী ভুবনডাঙার মাঠ।


মৃত্যুর প্রকারভেদ, দুলকি চালে হাসি,বৃত্তসীমায় উপহাসে মনপাহারা।


ছেঁড়াতারে বাউলানী,ওদের কথা  থামেনা।পলাশঝরা পথের লালমাটি।


আজ আর ভুবনডাঙায় চাঁদ হাসে না।

ধুসরযাপন।

Sunday, March 23, 2025

 অদরকারে

কাটিয়ে দিলাম অনেক কটা বছর ,

কালকের অপেক্ষা,

চলাফেরার অবসরে কি যে সব আঁকিবুঁকি কেটে গেলাম একলা স্লেটে।

এখন কিছু লিখতে গেলে ঝিমুনি আসে, চোখ আসে বুঁজে,

কিছু কিছু কথা মনে আসে না,

চলে গেলেও পৃথিবী ঘুরবে, জীবন জন্মাবে, এবং অবশ্যই মরবে।

আমি কবে যে ?



 আলো

হ্যাজাক আলোয় নেভা মুখ,

ছিদ্র দিয়ে ঝরে পড়ে filtered চরিত্র।

অস্তিত্বের আকাল শুরু বেশ কিছু দিন,

পিদিম আলোয় কেঁপে কেঁপে ওঠে দেহাতি অসুখ।

কতদিন যে দেখিনি তোমায়, ভালোবাসা!

Thursday, March 20, 2025

 ইচ্ছে করে,


তোমায় আমি, এক বুক ইষ্টিকুটুম ভালোবাসি,

ভরা আকাশ, তারই মাঝে একটু পাশাপাশি ।


কালের খাতা,হলুদ ঝড়ে বেহিসাবে মনমরা,

বেতাল সুর,দিন অন্তরে আগলছেঁড়া কড়ানাড়া।


ইচ্ছে করে,


ভিজে ফাগুন,জ্বালাই চৈতি আগুন একপেয়ালা,

উজান বুক,কলকলানি ঝড়ে পাগলি ভেলা।

কাছের দুর,মনঝিম লেখঅলেখে স্মৃতির গাঁথা,

উলঙ্গ আলো, আদুলছন্দে যতি মাত্রার কথকতা।


ইচ্ছে করে,


মাঝ দরিয়া,সব হারিয়ে হাতের ছোঁয়া,

স্বপ্ন ফানুস, ব্যর্থ পথে চিতার ধোঁয়া।

রক্ত জমাট , চটজলদি শামুকখেলায় জল তরঙ্গ,

একলা হুতাশ,দহন বেলায় পুড়ছে সর্বাঙ্গ।


ইচ্ছে মরে,

পথের বাঁকে ভেজা চোখে দিক নিশানা,

সিঁড়ির ধাপে শ্যাওলা বন, গল্প শোনা।

বোজা চোখে নিমেষ জুড়ে স্বপ্ন মরে,

মরে বাঁচি, বেঁচে মরি, জীবন শীতকাতুরে।


মাধুকরী করে যে পাগল সেতো চাওয়া পাওয়ার হিসেব করেনা । ঝোলা তার ভরে দেয় কতভাবে  কতজনে। পাগলভোলা চলে আপন খেয়ালে । ভবসাগরে কত মণিমাণিক্য শেয নেই পথচলার ,পথভোলার ।


একলা সাম্পাণ এগিয়ে চলে,মনে ভয়, ওদের চলার পথে বিঘ্ন হয়ে দাঁড়ানোর ভয়, বেহিসাবি কিছু চেয়ে ফেলার ভয়,উপহাসিত হবার ভয়।পাশ কাটিয়ে চলতে চলতে চোখ ভিজে যায় নোনা জলে।ওই পার নয় বেশি দুর।


এক জীবনে কত যে চাওয়া। অব্যক্ত আশা নিরাশা শব্দের আকারে সেজেগুজে পাশাপাশি এসে বসে। বড়োই আগোছালো।কিছু চুপকথা গহীন খোঁজে,দেয় অন্তডুব।ওইপারের মহীরুহে আশ্রয় নেয় হাজার হাজার না বলা পথভোলা ছায়াময় কবিতা।


অমৃতময় ইচ্ছে কবিতা,ওই পারে,সাম্পান তিরতির।


একটি ছাপোষা জীবন।


 চরৈবতি।

Monday, March 17, 2025

 পুকুর 

খোলা চানে অমোঘ আকর্ষণ,

প্রখর উত্তাপে শীতল হস্ত মৈথুন।

নিরুদ্দেশ কৈশোর সুদ কষে।

ঝরে যাওয়া সকালে বিদগ্ধ চিন্তার বরাহ চলন ।

Sunday, March 16, 2025

 পাঁচিল 

মশামারা ধুপ জ্বালাই, ঘুমিয়ে আছে রাত।

পাঁচিলের উপর বসে প্রেম খুঁজছি।

বয়সজনিত কারণে চোখে আবছা ছবি।

কাছে ও দুরে একপশলা মেঘ।

 কোমর

ব্যাথাটা জাঁকিয়ে বসেছে, 

এখানেই বসবাস।

গড়ের মাঠে মালিক খেদানো গাধা মাথা হেঁট করে চুমুতে ভরিয়ে দিচ্ছে, কোমর নাড়িয়ে,

সবুজ ঘাস।




 নীল 

সকালে আকাশ নীল জামাটা পরে,

বন্দুক আজ পানের দোকানে,

বাসন্তী হাওয়ায় আঁচল ওড়ে,

জীবন না অজীবন?

Saturday, March 15, 2025

 চেনা পথ হয় গভীর অচেনা,

সুরে জাগে রাগ তিলক কামোদ।


অসমাপ্ত দিনের ব্যাকুল তারাণা,

দুচোখ ভরে এক চিলতে রোদ।


আর


পৃথিবী উত্তাপহীন ঘুর্ণনে,

উল্লাসের জীবন ও মরণে।

 রক্ত 

পা জুড়ে বাসা বাঁধছে রক্ত ও মৃত্যু।

একটা হাড় মুখ তুলে ধরতে চাইছে ডানহাত।

মৃত্যুকালে স্বগতোক্তি ।

টলমলে চলাচল।

 জামা

কালো জামাটা আজ ও পরি,এখন রংটা গেছে চটে, পানকৌড়ির বন্ধ যাতায়াত।

এখন দিঘী জুড়ে বেতবন,যত্নের ছাপ।

 ভার্চুয়াল 

১০০০ বা তার বেশি, কিলোমিটার বা মাইল,

বাড়ির বিধিনিষেধ,

ঝিলের ধারে মেয়েটি, ঘাসের রঙ কালো,

মোবাইলের আলোয় সূর্যের উদয়,

পায়ে পায়ে পঞ্চাশ।

 মশা 

কামনার কামড় এবং প্রবল অনুরণন,

কাল থেকে আজ অব্দি সময় দুস্তর,

 মশারী টাঙ্গানো।

স্যাঁতসেঁতে সিঁড়িতে মশাদের ভীড়।

 নিবৃত্তি 

দোলায়মান নিতম্বে আলোআঁধারি,

মুখোশের আড়ালে খিদে,

মৃত্যুর আগে কবিতা লেখা আবশ্যিক।

আহারও প্রয়োজন।


 আলোচনা 

নানাবিধ মত মাথার মাঝে ঘুরপাক খাচ্ছে,

ভাড়ে এক কাপ চা,

পথের ধুলায় ক্লান্ত বুড়োটা ট্রাম,

ঢলানে গ্লাস ভর্তি সিদ্ধি,

কাছেই সিদ্ধিলাভ।

Friday, March 14, 2025

বসন্তের আলতো হাওয়া,

পথ করে নেয় মৃত্যু বনের ঝরা পাতায়।

সবুজ থেকে আরো কালো,

রক্ত ঝরতে থাকে, উলঙ্গ পাতা,তার হৃদয়।

আবিরে মেশানো রঙ আত্মপ্রকাশ করে,

 লালে ভেজা তরল বা বায়ুতে।

মাঠকড়াই আজ প্যাকেট বন্দী ও দুর্লভ।

খুঁজি অন্তহীন সঙ্গম মৃত্যু বনের জলন্ত অন্ধকারে,

স্তনবৃন্তে অমোঘ ভুলভুলাইয়া,

আজ ও।

পিছনে ফিরি,

ভালোবাসা ও উত্তেজনার কামড়াকামড়ি,

পাপ দগ্ধ আকাঙ্খা।


Monday, March 10, 2025

         এও একপ্রকারের যাপন 

মেঘলা আলোয় বাসা বোনে মৌটুসী,

জানালা খুলে চোখে মুখে বৃষ্টি মাখি,মাখি নীরবতার গান।

স্বপ্নময় মৃত্যুর অনিবার্য হাতছানি সরিয়ে রেখে সারা রাতের জমে থাকা যৌন উত্তেজনার গায়ে জল ঢালি, ধুয়ে মুছে সাফ।

ভেঙে যায় চৌকাঠ, পথ দেয় টিটকারী, চোখ বুজে ঈশ্বরের কাছে কামনা করি নিমজ্জন। উপহাসের হাসি কানে আসে। কোথা থেকে? 

খুঁজি।

পোয়াতি স্বামী পরিত্যক্তা বিড়ালটা একটানা সুরে খাওয়ার চাইতে থাকে, বসেই থাকে ভাঙা চৌকাঠে। পাঁচ টাকা দামের হরলিক্স বিস্কুট। পাল্টায় নি তার আর এই অধমের বাজার দর ।

কাঁচের ব্যোয়ামগুলোর মধ্যে থেকে একটা মোটামুটি ফিটফাট সচ্চরিত্র মুখোশ পড়ে ফেলি।বেশ্যাগলি পাশ কাটিয়ে এগিয়ে চলি। ওখানে সামিয়ানা।

ভাবনাগুলোর বুড়োটে চেহারা ফুটে ওঠে। টানা রিক্সায় টুং টুং টুং টুং.. নিত্যকর্ম। বারোয়ারী যাপন।

সন্ধ্যা নামে কফি হাউসের সিড়িতে। দুষিত চরিত্র।






Sunday, March 9, 2025

 মনের মাঝে মহুলবন,

চিল শকুনের উড্ডয়ন।

Saturday, March 8, 2025

 হিজড়ে তোমার আদর মন্দির, মসজিদ আর রেলের কম্পার্টমেন্টে,

নারী বা পুরুষ,রাগাশ্রয়ে গান,কোমর ভাঙে দ্বন্দের সেটেলমেন্টে।

হাফ কাপ চা, পেটমোটা লেড়ো বিস্কুটে আসক্ত ঠোট।

মৃত্যু ও সঙ্গম ,মন পসন্দ স্বাধীনতায় বন্ধন ও মুন্ডনের জোট।

Friday, March 7, 2025

 অকর্মক ক্রিয়ায়  জীয়ন কাঠি পোড়ে,

ভাঙা দেউল অক্ষম ধোঁয়ায় ভরে ।

মৃতদেহটি আড়মোড়া ভেঙে ছেড়ে গোলাপ,

মুখোসের আড়

Wednesday, March 5, 2025

 পুরোনো তক্তোপোষে তেলচিটে বালিশ,

দিনেরাতে প্রেমিক ছারপোকার শিষ।

ভাঙা প্ল্যান সাবোটাজ প্ল্যাটফর্মে,

দিন গুজরান টেনেটুনে বকধর্মে।

Monday, March 3, 2025

  ভাবছি,

এটাই চেয়েছিলাম,আমি?

একটা সময় ছিল যখন সকাল আর বিকাল ছড়াতো আলো, সাইকেলের প্যাডেলে পা দিয়ে দৌড়োতাম।

ভাবতাম ওদের মতো ,কেউ, আমাকেও হয়তো ভালো বাসবে, সিনেমা,ফুচকা, পাশাপাশি হাঁটতে গিয়ে একটু রিনরিণে ছোয়া।

কল্পনায় ভেজাতাম তক্তোপোষ, বেসুরো গলায় গাইতাম গান,গিটার ও কিনেছিলাম একটা ,  টুংটাং।

কিন্তু হলো যেটা,কোন ও ভাবেই হলো না, সেটা হলো প্রেম। নিরামিষী সরসত্তী পুজোয় কেটে যেতো বছর,পরের বছর।

হাসুলী বাঁক থেকে নভোকভীয় লোলিতা ,বাদ যেতো না কোনকিছু। উত্তেজিত করতো সুনীলের কবিতা।

মাঝে মাঝে ছবির রং হয়ে যেতো নীল।

ভাবছি,

পৌঁছাতে চেয়েছিলাম কোন উজানে ? আজ কোথায়?


Sunday, March 2, 2025

কেজো চেয়ারে উল্লম্ব ছায়ার অমিয় হাতছানি,

মৃত উত্তাপে বোকা জানালার প্রহর গুনি।

 আমি হাবুল, আমার ভালো নাম ঋভু,বয়স ১৩, যদিও সবাই আমাকে ৮-৯ বছরের ছেলে বলে ভুল করে। ছোটখাটো চেহারা নিয়ে হেলতে দুলতে এগিয়ে চলি।

সবাই আমাকে হাবাগোবা বলে অবহেলা করে আর আমি আমার মগজাস্ত্র খাটাতে থাকি। আমি যে কতখানি বুদ্ধি ধরি সেটা তো কাউকে বুঝতে দেওয়া চলবে না।

আগে আমরা বহরমপুরে থাকতাম। কখনও কখনও দাদু আমাকে গড়িয়া নিয়ে আসতো, এখন তো আমরা গড়িয়াতে পাকাপাকি চলে এসেছি।

Saturday, March 1, 2025

 জীবন ভর রঙের খোঁজ,না পাই বা পেয়ে হারাই,

স্বপ্ন দিয়েই গাঁথা মালা ,অথৈ গাঙ, নাও ভাসাই।