Saturday, September 13, 2025

 জীবনের আরেকটা পাতা ঝরার দিন এলো যে,

মন কাঁদে রোহিঙ্গা দেবশিশু কিছু কি খেয়েছিস ?

গাছের ফল পঁচা জল, পুলিসের মার,

এই আঙ্কা, অতীতও একদিন পালিয়ে পুড়েছিল ,

পোড়া ঘর,পোড়া বই বেঁচে শালগ্রাম,শ্মৄতি ,

ছোট্ট শহর, রেঙ্গুন, পিউ ,দিক হারানো আাখের খেত ।

বেঁচে মরে আছি ,তোর সাথে মিলি কোন অবসরে,

ভালো থাকরে ।


Friday, September 12, 2025

 রাত আধাঁর নীরবে একলা কাঁদে,

ভোরের আগমনীর বিষন্ন সংবাদে।

নবআশায় জাগে পাখী,ফোটে ফুল,

এই কুল ভাঙে ,গড়ে ওঠে ওই কুল।

 আজ সকালে হঠাৎ মেঘবালিকা ডাকে,

আকাশ কাঁদে ঝর ঝর ঝর ঝর ।

এক বুক বেদন বাঁশি বয়ে হারায়,

ঘুম ভাঙে, জাগে মনপাগল সেই মধুকর ।

 

Thursday, September 11, 2025

 হতাশ,

ভাষা হয়তো অশালীন যা সাধারণত আমি ব্যবহার করি না। কিন্তু মুখোশ পরিনা।

চলন অসংলগ্ন, কোন পথ খুঁজে পাইনা।

Wednesday, September 10, 2025

এখন বকুলতলায় ,আছি একরকম, বেশ ক মাস হলো ছেড়ে এসেছি অশোকতলা।পরিবর্তন কতটুকু হয়েছে বলা মুস্কিল।

মজার ব্যাপার হচ্ছে দুটো তলার নামকরণ যে গাছের নামে করা হয়েছিল, সব কেটেকুটে সুনশান। আমরা শিকড় কাটতে অভ্যস্ত।

তা হয়েছেটা কি,  মাঝে মাঝে অশোকতলায় ডাকতো, আর কিছু দিন পরেই শালা, বানচোদ্ বলে মার লাথি। আর আমি বোকাচোদা পাশে যে থাকে তাকে নিয়ে ভাসাই মায়ার ভেলা।

নয়নতারা কার্নিশ থেকে হেলেদুলে সবকিছু দেখতো, সাবধান করতো , কিন্তু স্বভাব যায় না মরলে, এটা কি তোর বাপের সম্পত্তি, এতো মায়া কেন বাপু?

আবার এখন বকুলতলায় উঠে পড়ে লেগেছে বাঁশ খাবার জন্য, যার যা পাওনা।আজকাল চুরি আর চুমুর মধ্যে কোন তফাৎ নেই, স্ট্যাটাস সিম্বল। বৌ বাচ্চার জীবন soothing করা, একটু লেখালেখি, বিদগ্ধ জন হিসেবে একটু নামডাক।

আলের ধারে বটের ছায়া একলা কান্দে।







Monday, September 8, 2025

 দাঁড়িয়ে আছি, প্ল্যাটফর্মের পুবসীমা, সেদিন ও দাঁড়িয়ে ছিলাম, হাতে তোমার হাত, বড়ই কঠিন দীর্ঘায়ন।

তুমি তো জানো, সুর্য উঠতে অনেক দেরি হয়ে ছিল একলব্য গ্রামে, তুমি এসেছিলে মেঘভাঙা বৃষ্টি সাথে। দাঁড়িয়েছিলে একবুক উৎকণ্ঠা সাথে নিয়ে।

আর আজ আমি আছি দাঁড়িয়ে।

একের পর এক ট্রেন , একমুখী বিদ্রুপ হাসি,পা টলমল, তবু দাঁড়িয়ে ,  তোমার মন্দাক্রান্তা চলন, আসতেই হবে কাশশিউলির আকন্ঠ তৃষ্ণা।

তুমি হাতদুটো শক্ত করে চেপে ধরেছিলে, মুছে দিয়েছিলে সময়ের শুন্যস্থান, আর ওদের চিৎকার, তফাৎ যাও। স্তব্ধ চরাচর, ট্রেনগুলো দ্বিধাবোধ করছিল, থামতে।

আজও আমাকে তাড়া করে। সিদ্ধান্ত হীনতা।

বারবার একই প্লাটফর্ম। কালভৈরব ঢেকে দেয় আমার আকাশ, দুই চোখ , গড়াগড়ি প্ল্যাটফর্মের পুবসীমা। চোখের বালি ‌।

দুলে ওঠে সাঁকো, মহাকালের মুচকি হাসি,ঝিমধরা পুরুষাকার, কুলার্নব দুগ্গা কামনা। পাদুটো শক্ত শিখলে বাঁধা, রক্ত ঝরে।

নিরাপত্তার সংঙ্গা পশু খামার।

Blind lane, হাতটা, অন্তত একটা বার, অসম্পূর্ণ জীবন। 

ট্রেন সংখ্যায় বাড়ে, একটাই প্ল্যাটফর্ম বা  ভালোবাসা, অঙ্কের সমাধানে deconstruction.

The musk itself with a mission, ভয়ের ঘুম ভাঙে।

Sunday, September 7, 2025

 মা গৌরী 

  

আছি অপার আয়োজনে, মা আসছেন করতে হবে আবাহন,

তুমি তো শিবের সাধিকে ,তোমার পুজা,

তোমাকে তোমারই শরণ্যে ত্রম্বকে গৌরী নারায়ণী নমস্তুতে ।

তবু শ্রাবন্তী  দুগ্গা হলিনা,চলে গেলি,গৌরী মা তোমাকেও আমরা

লঙ্কাসুরের দল কোন অথৈ জলে ভাসিয়ে দিলাম,পুজো তো

মাকে করতেই হবে, বিপুল বিপুল আয়োজনে মা তোমায়,

,কোটি টাকার সোনার শাড়ি পরাব মা,এসি গাড়িতে বসে সিরাজের

বিরিয়ানি আর গোলবাড়ির কসা মাংস খেতে খেতে তোমায় মা

প্রণামে ভরবো,ম্যাডক্স স্কোয়ারে ক্লান্তি ঝেড়ে ফেলে তরল করে মা

তোমার কল্পচিত্র আঁকবো ,গৌরী মা তোমারই পুজায় আবাহনে

বিপুলা পৃথিবী, তোমায় সাজাব যতনে গৌরী মা ।

আসবি আর ভেসেই চলে যাবি গঙ্গায় বা কোন আরবসাগরে

আমরাই দেবো ভাসিয়ে চোখের জলে।

এই পৃথিবী, এই বিপুলা পৃথিবী ,সত্যিই  তুমি পৃথুলা ।।


।এই সকালটা শুধু মা গৌরী তোমার জন্য ।

 রাগ মরে, আবেগ , অনুভূতি, ভালোবাসা সহযাত্রী,

মরন মিছিল , কি জানি কি লাভ,অবশ পুর্ন বিরতি।


সবুজে স্বপ্নদহন,মরচেধরা একা চিন্তন,অন্ধসারথি,

মেঘ, বৃষ্টি, আলো আঁধার, মহাশুন্য পথে চরৈবতি।

 জীবন মানে একলা চলা,

মনরে তোর জানলা খোলা ।

একটু চলা একটু পাশে,

দিন ভরে যায় সেই সুবাসে।

মনপাগলের এই কথামালা,

দুখসাগরে সুখের ভেলা।

চল ভেসে পার অরুপ সাগর,

আবার সকাল নতুন ভোর।

চলরে জীবনপথে চল মধুকর,

অমৄতলোকে, যুগ থেকে যুগান্তর ।


Friday, September 5, 2025

 সুশান্তপ্রেম  হেসোনা

সুবোধদা, অন্ধ চোখেও জাগে ভালোবাসা,

মারণঝড়ে ভাঙেযখন জীবন গড়ার আশা।


মুক্তঅঙ্গন অযতন ভরে বুনোলতা আগাছায়,

বুলবুলি ও তুলতুলি , হেসেই মরে আদুল গায়।


আকাশ টা যখন নিরুদ্দেশে যায় হারিয়ে,

ভালোবাসাই দেয় নিসঙ্কোচ হাত বাড়িয়ে।


ভাঙাবাড়ি. ছাদ, কার্নিশ জুড়ে  নয়নতারা,

গঙ্গাফড়িং একলা অবুঝ ,ছৌ নাচের মহড়া।


দরজাগুলো সব বন্ধ যখন নিষেধ প্রবেশে,

তুমি ওগো স্বপ্ন ভালোবাসা দাড়াও হেসে।


মেঘবালিকা লুকিয়ে ভেজায়  শহিদমিনার,

বয়সের সমানুপাতে বাড়ে প্রেম পাজি নচ্ছার ।


দৄষ্টি যখন ঝাপসা এবং দুই পা ওহ টলমল,

পানকৌড়ি ভালোবাসা সত্যি  অথৈ অতল।


তেলিনিপাড়া ঘাটে ইলিশ কেন,কিসের লাফ?

গুনীজন সুধীমন, ভালোবাসায় সবটাই মাফ।


https://satishacharya2018.blogspot.com

 পাগলমন মরেও চায় বাঁচতে,

হারায় তবু চায় ফিরে পেতে।

 আরেকটু বাঁচি বাঁচার আনন্দে,

তোমার মধুহাসিতে, মধুর ছন্দে ।

নিজের সুরে আপন মায়ায় , 

বনপলাশের স্বপ্নছায়ায় ,

জ্যোৎস্নাবনে আকাশতারায়,

ভোরের আলোয় এই ধরায় ।

আরেকটু বাঁচি....

এক কল্পলোকে চলাফেরা।

যত পথ চলি না কেন মনে হয় এক বিন্দু এগোতে পারিনি। অঘোর আধার। পথচলতি নিরাপত্তাহীনতা।

চাহিদা আর যোগানের অসমান্তরাল জলযাপণ। অসহায় চেতনা।

আমার মতো জানালার ওপাশে নারিকেল পাতার একালসেরে কাক। মন বোঝে দুজনের মিলগাথা। দুঃসহযাত্রী।

ছান্দসিক কান্দে। দহন গা সওয়া হয়ে গেছে। একটা ফেরার টিকিট খুঁজি, ছেলেবেলা।

সময়ের পাতা উল্টেপাল্টে বসে পড়ি ধপ করে। কি করি, কেন করি বুঝতে পারিনা। ছেলেমেয়ে বড়ো হোক নিজের মতো করে।বাবা মাকে ছেড়ে আমিইতো দিব্য আছি।

মানচিত্র দেখি, বারবার, এখনও শিখে উঠতে পারিনি। মন বেহিসাবি। দহনে দহনে ঝাপ গোটানোর সময় এসে যায়।

সময়ের সাথে সাথে অধিকার হারাতে থাকি,যা নিয়ে বেঁচে আছি, সেই ভালোবাসা ও। মৃত্যুর অধিকার অন্তত থাকুক।



  

 এক টুকরো খোলা আকাশ আর এক ফালি উঠোন

দিয়েছো আমায় তুমি দয়াময় , তোমার করুণা অপার ।

আাকাশে চাঁদ হাসে ,নীলে মেলে কাছে আসে সবুজ গাছ,

উঠোনে পাখি ডাকে, গান শোনায়,কেড়ে নেয় মনের ভার ।


 

 বিচ্ছেদে মাতৃজঠর ,

 ছিন্নমূল প্রাণ,

সম্বল টুকরো খোলা আকাশ আর  চিলতে ভর শ্রাবণ উঠোন।

নয়নতারায় ধিকিধিকি পিদিম জ্বলে আর নেভে,

পথ ইছামতী ,

বিনিসুতো মনঘুড়ি,

কান্না  সঙ্গোপন।

Wednesday, September 3, 2025

 ছায়া আবছায়া  নীল উদভ্রান্ত আধো আঁধারে,

এই আকাশের নীচে নিজেকে চেনা ।

আরশিনগরে এই অবসরে দেখা ফিরে ফিরে

দিন পর দিন, ভাঙাচোরা মন আয়না ।

 মন নদীর মাঝে এতো নীল উদার 

এই আকাশের নীচে নিজেকে চেনা ।

আরশিনগরে এই অবসরে দেখা ফিরে ফিরে

দিন পর দিন ভাঙাচোরা এই আয়না ।

 

Monday, September 1, 2025

 হা করলেই বুঝে ফেলি,

কথা কোয়ো নাকো।

রসদ আমার অগাধ অশেষ,

আমার ক্যারিসমা দেখো।

এক ঝটকায় সব সমাধান,

আমার কাছে শেখো।

আমার তুমি শিষ্য হবে?

কথাটা মাথায় রেখো।

দিনকে রাত, রাতকে দিন,

 জাদু  ছবি এঁকো।



 চিঠি, নয়নতারা তোমায়

রোজ লিখি, সময়ে অসময়ে, কাজে আর অকাজে, সুন্দর কথামালার কোলাজ নয়, এলোচুলের উথালপাথাল। 

হাঁটতে হাঁটতে টলোমলো পথে তোমায় আঁকড়ে ধরে বসে পড়ি কনকদুগ্গার বুড়ো বটের ছায়ায়। অগোছালো ধুলো পা ঢাকে,মন ও।

সেই মাঝস্কুল থেকে, সুর্য এসে মুখ ঢাকে দিঘির শ্যাওলা সবুজ পিছল ধাপে, কথাগুলো আসে আর যায়, অবয়ব হীন।

তোমায় ছুঁতে পারি কই ? কতো দিন? লখিন্দরের ভেলায় চড়ে বন্দর থেকে বন্দরে, কিসের খোঁজে, নিজেও অবুঝ।