Monday, December 31, 2018


এক ঝিলিক আসমানি রঙিন
মৌরিফুলেল ঔ হাসি সর্বনেশে।
দুরে ও কাছে,আধো রিনিঝিনি
ঘুমকাড়ারাতে রুপকল্পে অক্লেশে।
কুন্চিত পাগলি বানভাসি চুলে
হারায় জীবন আলিঙ্গন আবেশে।
উল্লাসী তুমি, আমি অন্ধচোখে
বাউলমন মরি ভালোইবেসে ।

Sunday, December 30, 2018

এমন একটা  বৃক্ষ যার ছায়ায়
নীরবতার হয় জন্ম মাঝসমুদ্রে।
এমন সেই আকাশপাখি যার
উড়ান ছায়াময়তার রুগ্নপদ‍্যে।
সেই জীবন্ত প্রান অহরহ যার
জন্ম মৃত্যু উপত্যকার নিশ্তব্দে।
সেই প্রাপ্তি কামনায় ওই পাগল
শহরবাউল আজ ও মরে কেঁদে।
শীতক্লান্ত আগুন আজ বড় বেহুঁশ
দুগ্গাকেই খোঁজে জঙ্গলের ছাদে।

Thursday, December 27, 2018

শীতলতা প্রবল থেকে প্রবলতর
নেই একটাও শীতবস্ত্র একান্ত নিজস্ব।
একটা আবরন যাতে আমি লুকিয়ে রাখতে পারি আমার কান্না,একলা বেদনা, আমার অন্ধকার,
এই সমাজে আমার অপ্রয়োজনীয়তা।
দুগ্গা আমাকে একটা ডাস্টবিন দাও ,
যেখানে আমার নষ্ট মনটাকে ফেলে রেখে
রওনা দিই অচিনপুর।
অক্টোপাস তো জড়িয়ে ধরছে আষ্টেপৃষ্ঠে,পারলে
দিও এমনকিছু যা দিয়ে ছিঁড়ে ফেলতে পারি সব
বন্ধন।

Tuesday, December 25, 2018


ভাল্লাগে তোমাকেই
উন্মুক্ত ক্রুশবিদ্ধ বায়ুতে অসহায় রক্তক্ষরণ, তবুও মৃত্যু নির্ভরশীল
এসে যায় একপলকেই কর্মকাবার । বাতাসী এসেছো, থাকো
রক্তিম হৄদপিন্ড খুঁজবেনা আর
থাকোই আর খানিকক্ষন,সুন্দর হয়ে উঠছে পৃথিবী,
অভাব নেই,আবর্জনা পরিস্কার চলছে মহাভারতের কিংবা মানবযুগ
সুচনার সময় কাল থেকেই।চুঁইয়ে চুঁইয়ে পড়ছে অনাহারে ভারাক্রান্ত
সুকান্তের দল, লক্ষ লক্ষ না তার
থেকেও বেশি খোলা আকাশ ঝরে পড়ছে আদুলগায়

প্রান্তরের গান সে তো কানামাছি খেলছে সারি সারি দেশলাই বাক্স কিংবা
নিশ্চিন্ত নিরাপদ দিনযাপনের স্বকীয় অহমিকায় ,যান্ত্রিক বাক্য সাহিত্যের
সদা আলাপচারিতায় গানের সুরটি বেশ, বারবার ভরায় বিদগ্ধ মন,  
আলপথ কতদিন আশ্রয়হীন চওড়া পিচগলা রাস্তায়।
উলঙ্গ অট্টহাসি পুর্ণচন্দ্রও লজ্জায় ছেড়াশাড়িতে মুখঢাকে,
আমার আলতো চুমু তোমাকেই,নিরাভরণ এই মরুভুমের চাঁদেলা
 অট্টহাসিতে ভেজা বোধহীনতার সুন্দরী পাহাড়গুহা
লেদমেশিনটা মাথার মধ্যমায় সগর্ব সচল উপস্থিতিতে মন্দ্রাক্রান্তা

রাজার রোগে নিরাভরণ বিষন্নআমোদে তুলসীপিদিম

Wednesday, December 19, 2018

দুগ্গা বড়ো ভীষণ মন কেমনে ভরে,
এই একান্ত আঁধারে মৌন মুখরে।

Sunday, December 16, 2018


দুগ্গাসুতমাসু,

কতকাল ধরে ভাবি লিখি দু কলম তোমাকে কল্পদুগ্গা আমার,
এতো কথা যে ভিড় করে আসে, মেঘদুত তুমি থাকো প্রতিক্ষায়।
দুগ্গা একটুখানি …, মেঘদুত জানোতো আমার ঠিকানা, আছি
লাশকাটা ঘরেই,কাটাছেড়াই তো চলছে ক্ষনের পরও ক্ষন, পুনঃ অনুরণন।
ওখানেই এসো, লোহিতহৄদসাগরমাঝেই সযতনে ক্ষরণে লবনাক্ত পত্রখানি ।

তাহলে দুগ্গা যা লিখছিলাম,একলা জীবন, একলা লড়াই,
কেউ কি কথা রাখে?রাখেনা।
বুকের মাঝে আকড়ে যে জামরুলমন, মাগো  ওই উজ্জয়িনী আকাশতারায়,
বাবা তুমিও তো আমায় শক্ত মুঠিতে ধরেছিলে, বলেছিলে আছো ছাতিম হয়ে,
গাছটা গেলো শুকিয়ে, শুকিয়েই গেলো।

সরস্বতী কৈশোর,যে শিমুলকথাগুলো ফিসফিসিয়ে শোনাতে নীলচে সবুজে কালচে
হলুদে তোমাকে খুঁজেছে,আজও আজও খুঁজে চলেছে,জনারন্যে ,
নিঝুম পথে,হংসবলাকায়,কৄষ্নকালো অতলঝিলে
অথবা একান্ত গোপন দিশাহীনতায়,তুমি পড়ছো তো, নাকি ডাস্টবিনে
তথাকথিত নিরাপত্তাহীনতা থেকে সুরক্ষা।

জানো আকাশদুগ্গা একটা জটিলতা মুক্ত,তথাকথিত আপন পৄথিবী থেকে
ক্ষণিকের অবসর নিয়ে জীবনভর খোঁজ একটুকরো সহজীয়া ভালোবাসা,
সেই শুন্য থেকে ৮ , ১৮,২৬ বা ৪৩ এমনকি পন্চাশেও অবশ্যম্ভাবী আমৄত্যু,
তুমি ,আমি , চুঁইয়ে ঝরা আকাশ,চাঁদেলা নদী, কান্ডজ্ঞানহীন সোনাঝুরি আর
আমার চুপিচুপি শঙ্খচিল মৌনমেদুর সহজীয়া ভালোবাসায়।

কালাহান্ডির কালো গহ্বর থেকে বহুতলে নিশ্চিন্ত আরামদায়ক অর্থ উপার্জন এবং
প্রতি পলে সবার কাছে এমনকি আত্মজের কাছেও হারতে হারতে মরতে মরতেও
তোমাকেই যে অনিমেষ চাওয়া।হয়তো একফালি ওয়েসিস, কোন কি দরকার আছে
এই বেঁচে থাকা,এই লাশ কাটা ঘর, বিরামহীন বিস্ফোরণ মাথার মধ্যেই ,
হিসাব মেলেনা, একপলকের বন্যাহাসি ,পড়ে পাওয়া ঘৄনা সম্বল।


লতাপাতাহীন ছালচামড়া উঠে যাওয়া ঘেও প্রানীটিও তো ঝর্নায় ভিজে শিউলিকফিনে
বাহাত্তুরে তুতানখামেনন বা নিদেনপক্ষে মৄতনিঃশ্বাসে পাথরমুর্তি হয়ে স্থবিরে তোমার
টলটলে হাসি দেখতে চায়। জানোতো অনেক শীত বসন্তশেষে আশা, ভালোবাসা, আবেগ
ফুরোতে ফুরোতে নিজের জন্য রাগটুকুই জমিয়ে রাখছি ওই উতালপাথাল কুরচি বেহুসমোহনায়।
আচ্ছা তোমার চুলে এখনো অমলতাস দেয়তো বিলি কেটে ।

ছিড়ে ফেলোনা এই পদ্যাবলী মাধুকরী ,মনে হতে পারে এতো সেই চেনা প্যানপেনে কবিতাবিলাপ,
তবু মনের মাঝে তো অহরহ একটা স্বপ্ন খেলা করে, সব পারিপাশ্বিকতা ভুলে মায়াআবিলতায়।
চলতি পথে এক একটি অসম্পুর্ন পান্ডুর জীবনপত্র, তারই মাঝে অন্ধ অবসরে তোমার
একফালি হাসিতে দর্পণে আপনাকেই দেখা ,দুগ্গা তোমারই কোমল গান্ধারীআলোয়।
আমার এক আকাশ উদ্দাম পাগল বেদনবিহ্বল দুগ্গা তোমায়।

পাওয়া চিরজীবি অখন্ড শুন্যতা।দুগ্গা ভালো থেকো। 
                       ইতির একনিষ্ঠ অপেক্ষায়
          


Friday, December 14, 2018

কোডারমা নয় কোলকাতায়
করলেই তো তুমি  পথ ভুল।
পাহাড় ছেড়ে এই সমতলে
ফুটলে  পৌষালী মৌরিফুল।

দে দৌড় দেয় দৌড় মৌরি
আগুন নাকি হলুদ সবুজ।
শুকনো মাঠেও বৃষ্টি নামে
স্বপ্ন সে তো সত্যি অবুঝ।

Wednesday, December 12, 2018

আজ যখন তমলুক থেকে  ফেরার সময় আমার পুরোনো উলুবেড়িয়া সাবডিভিশন এর পথগুলো পার হচ্ছি মনে হচ্ছে আবার যদি ফিরতে পারতাম,আমি ভিজে যাচ্ছি, আমার খুব শীত করছে।

Monday, December 10, 2018

দুগ্গা প্রতি রাত জাগা শুধু সকালের প্রতিক্ষায়  সকাল আর আসে কই, নীরব কালো রাতের সাথে অন্তহীন সখ‍্যতা।
 দুগ্গা ,হেরো মানুষটা মনফানুসে চড়ে যেতে চায় ওই আকাশ তারামেলায় যেখানে  মা আর বাবা রোদ পোহায়।
দুগ্গা, একে একে সব ইচ্ছাই মরে যায়, শুধু সাধ জাগে রবি বাউলের গান শুনতে শুনতে যদি যেতে পারি চির নিদ্রায়,সবার ভালো থাকার স্বপ্ন মনে মেখে, দুগ্গা চির নিদ্রায় যদি পারি।

Friday, December 7, 2018

           ইতি অন্যান্য

মরিচঝাপির  নয়া আবাদ  ফসল মরা ঘাস,
ঘোলাটে সন্ধ্যায় সেজে উঠেছে রিসর্ট, বাংলায় অনুবাদ করলে মনে হয় একটু নিরূদ্বেগ আশ্রয়ে নিজেকে বিপনণ।ভাঙা রাস্তায় চাঁদোয়া সাজিয়ে সর্বরোগ নিরাময়ের নিলামজারি।

মুঠো মুঠো পলির মাঝে ভাঙা নৌকায় আটকে আছে সবটুকু  আবেগ অনুভূতি এমনকি পাগল ভালোবাসাও
পুর্ণগাভি জোয়ারের অক্ষম অপেক্ষায়,সান্ধ‍্য জলসায় বাধ‍্যতামুলক অনাবৃত উপস্থিতি।

আমিটাকে , আমার সেই আমিটাকে রম‍্য সরোবরের পাশের মরা শিমুলগাছে ঝুলিয়ে রাখা , খোলা জানালা দিয়ে উঁকি মারে প্রেতাত্মা,জোনাক আলোয় স্বপ্ন সন্ধানী ভিজে কিশোরী শামুকমেঘ।

Wednesday, December 5, 2018

আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি,অন্তত মেয়ে টাকে একটু দাঁড় করিয়ে,,, মনে হয় আর হবেনা,,,চক্রব‍্যুহ  ,দুগ্গা,,, কি হবে,,,, তোমাকেই  ,,

Tuesday, December 4, 2018

জীবন মানেই পুজা মরনের প্রতি পলে
সব হারায়ে  মরেই বাঁচি রবি বাউলে।
বড়ো বেদনায় নীল হয়ে যায় সমস্ত চেতনা। চারপাশে অসীম শুন‍্যতা। আমি অনুভূতি হীন হয়ে পড়ছি,কেন আছি কেন? আমি মনে হয় সত‍্যিই পাগল হয়ে যাচ্ছি,দুগ্গা তুমি কোথায় ,পথ দেখাও পথ দেখাও। এই দিকহারা মরূভুমে আমাকে মৃত্যু পথ দেখাও। আমি তো হেরেই গেছি এই জীবনের কাছে।

Monday, December 3, 2018

বরাহ শিকারের  একটি পদ্ধতি হলো একটি বৃত্ত রচনা করে শিকারী দ্বারা বল্লম জাতীয় অস্ত্র দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মারা।যেদিকে পালাতে যাবে সেদিক দিয়েই খোঁচা মেরে যন্ত্রণা বিদ্ধ করে মারা। পালানোর কোন উপায় থাকে না। বাঁচার কোন পথ খোলা থাকে না।
 মনে হয় আমাদের সভ‍্য মানব সমাজেও এই নিয়ম বলবৎ।

Saturday, December 1, 2018

মনে হয় মন নামক বস্তুটি বড়োই আত্মকেন্দ্রিক। কেবল নিজের কথাই ভাবে। এই ভাবতে ভাবতেই মনের আঁধার এই দেহটা কখন যে ঘুমিয়ে পড়ে। এই যেমন আমি নামক দেহটি। আজকাল মাঝে মাঝেই যেন দমবন্ধ হয়ে আসে। সবার থেকে অনেক অনেক দুরে একটু অক্সিজেন পেতে ইচ্ছে করে। মনটাকে নিয়ে অন‍্যভুবনে যেতে বড়ো বাসনা জাগে। নিজেকে অতিরিক্ত বলে মনে হয়। চোখের জল বাঁধা মানেনা। জানি না আর কতো দিন এই বাধ‍্যতামুলক দিন কাটাতে হবে,নাথ হে তুমি কোথায় লুকিয়ে আছো ? বড়ো বেদনায় নীল হয়ে যাচ্ছি। অনেক দিন ভালো করে ঘুমাইনি। ঠাকুর আমায় একটু সবভোলানো ঘুম দাও আমার চুলে মায়ের মতো বিলি কেটে দাও আমি ঘুমাই।।।

Wednesday, November 28, 2018

নাথ হে একটা কোন দাও আমায় থাকি অন্তরালে,
ক্লান্ত পথিক,বাত‍্য জন যাই কোন গহিন জঙ্গলে।
চাঁদ গো আলো নয় আলেয়া
কালপুরুষ
সব চেতনা ঘুমন্ত
আকাশ ঘুমিয়ে পড়ো না , বুকের  ব‍্যাথা একটু সামলে  রাতভর তুমি আর আমি , সব মুখোশ  ছিঁড়ে ফেলে।
যতো রাত বাড়ে,যন্ত্রণা কেন এতো জোরে চিৎকার করে,
আমি তো উন্মাদ হয়ে যাচ্ছি,সবাই হাসছে আমাকে দেখে,
আমাকে দুগ্গা পথ দেখাও,একটিবার দেখা দাও নিঝুম ভোরে।
নাহলে আমাকে দাও চিরনির্বাসন,পাঠিয়ে দাও আমায় পশুখামারে।
অথবা ঐ আকাশে কালপুরুষ  করে।

Tuesday, November 27, 2018

এক পেগ নাকি দুমুঠো কালাহান্ডি দুধসাদা ভাত,
কেড়ে নেওয়া অক্সিজেন নাকি প্রত‍্যশাহীন ভালোবাসা,
আমার যত অভিমান পৃথিবী  তোমার কাছেই।
আমাকে পৃথি তুমি আমার মতো করে বুঝতে পারলেনা,
হায় এই অপাঙক্তেয় ব‍্যর্থ জীবন।
পৃথিবীর ঘুম ভাঙাবে কে?

রাত যত হয় গভীর থেকে গভীরতর,
ফাঁসটা অট্টহাসে,বলে মরে মর ,মরো।

ডানা কাটা, অবরুদ্ধ সব পথ,নির্বাক চলনে
 দিশাহারা ইচ্ছার অপমৃত্যু প্রতি ক্ষণে ক্ষণে।

Sunday, November 25, 2018

আকাশটা কেন জানি না  বড্ডো ঘোলাটে,
পথগুলো হাজারদুয়ারী দিশা পাইনা মোটে।

বোবা ল‍্যাম্পপোষ্টকেই হায় কান্না দিয়ে বাঁধি,
বুকের ডানদিকের চিনচিনে ব্যাথায় মরা নদী।

আঁধার নামে,তুই চাঁদ সে ও তো বড়ই ম্রিয়মান,
কৃষ্নকলায়  আপনারে লুকাই  উলঙ্গ আখ‍্যান ।

Friday, November 23, 2018

নদী তুমি যাচ্ছ হারিয়ে,বুক ভরা জল হায় মরূভুমে,
সুর,তার,লয় ভুলে গান পরাণের, মেলে কোন সমে ?

হয়তো সেই হাজার বছর পরে আমি আর আমার নদী,
বেলা শেষের অখন্ড অবসরে একাকারে হবেই আবাদি।

স্বপ্নেই বাঁচা,কাল তো যেতেই হবে সে কোন অন্ধকারে,
জীবন নাও ভাসাই আমি, নোঙর তিনভুবনের ওপারে।

 দুগ্গা ,ঘৃণা  নয়, আমায় দিও আঁজলাভরে ভালোবাসা,
মনজানালা রাখব খুলে ওই ভুবনে কথামালায় মধুনেশা।

কার ও তো কোন ক্ষতি চাই না সবার স্বপ্ন হোক সফল ,
কাল কে জানে,চিতায় সব শেষ, মাধুকরীই অন্তে সম্বল।

Wednesday, November 21, 2018

যতটা অক্সিজেন, চলছে অবিরাম একলা লড়াই,
যাই করি যেদিক পানে চাই, প্রাপ্তি  কেবল  ধাক্কাই।
দেওয়াল গুলান ভেঙে পড়ে,
অবাধ্য ইচ্ছে চড়ুই উঁকি মারে।

অযোগ্য প্রান তবু অলীক আশা,
মরেই তো আছি তবু বাঁচার নেশা।

মুখোশ পড়ে আছি পাপ মনে,
আকাশ প্রদীপ হৃদের কোনে।

চলছে তো চলছেই বুলডোজার,
অবিরাম নিজে নিজেকে চুরমার।

থাকো নিশ্চিতে আলোয় অমলে,
আমি শামুকখোলায় অন্ত অতলে।

মায়া আশাবরী যদি বাঁজে মোহনবাশী,
একটিবার হায় এলোমেলো দুগ্গা হাসি।

নাথ হে  করো পাগলমধুকরে ছায়াময়,
থাকি অন্তরালে, পৃথিবী  মধুআলোয়।

স্বপ্ন নাও, মাগো  তুমি কোন সাগরে?
নিও আমায়  ওগো ভুলোনা আমারে।



Monday, November 19, 2018

অনেক সময় এই ব্লগটাকে মনে হয় দিনলিপি,একটু নিজের সঙ্গে কথা বলা,  কারো কাছে কিছু চাওয়ার নেই।অনুভব একান্তই আমার।কেউ ভুল বুঝবেন না।
সন্তান এর পিতা, নিজের পায়ে দাঁড়াতে সাহায্য করার জন্য যেটুকু সময় দরকার ইশ্বর ওইটুকু দিও আর কিছু নয়,সবাই ভালো থাকুক, পৃথিবী হোক সুন্দর।
এতো ঘৃণা আমার জন্য

Sunday, November 18, 2018

ঘরটার আছে শুধু একটা ঘুলঘুলি, জানালা দরজা সব গেঁথে দেওয়া হয়েছে, অবরোধ সবখানেই।
ভাল্লাগেনা আর কিছু বলতে কাউকে,চলতে কোনখানে,
শুধু নিজেকেই দেখা, নির্জনে একাকি আনমনে।
নির্বাক পাগল, দীর্ঘায়িত জীবন ,কর্তব‍্যপালন।‌
স্বান্তনা,
আর
মনটা আরও ভারি
হে প্রতিবাদ এই পৃথিবী তোমার জন‍্য নয়,স্বপ্ন দেখা নিষিদ্ধ, দেখোনা, ,সুধী রাষ্টে সুনাগরিকের
আধিক‍্য।

Saturday, November 17, 2018

কার্বন ডাই অক্সাইড বাড়ছে পরিমাণে,
সমানুপাতিক হারে কমছে আগুন আমার
কমছে বাকস্বাধীনতা হায়  ছায়াজীবন।

Monday, November 12, 2018

আধো চাঁদ শোনো আর তো পারিনে,
গিয়েছি হেরে এই অন্ধ মানবজীবনে।

নব সুবাসের ছাতিম দেখো একটি বার ,
পিদিম আলো একলা এ নিবিড় আঁধার।

 হে সমাজ, পারলাম না  সুরে মিলতে,
অক্ষম আমি নাথ হে নাও তোমাতে।

বন‍্যাধারায় ভেসে যায়  দুটি আঁখি মোর,
ক্ষম আমায় আমি শৃংখলিত বন্ধনডোর।

মাফ চাই আর তো চলেনা ,বলেনা কলম,
সবাই ভালো থেকো,চিতায় মৃত মন জঙ্গম।



Wednesday, November 7, 2018

কেউ কি কথা রাখে?রাখেনা,রাখেনি।
তবু কেন নিজেকে রাখা, কেবলই লবনাক্ত লোহিত সাগর।
পিতা,মাতা,স্বপ্ন আমার দুগ্গা,  সব সব ছেড়ে চলে যায়।
পদ্মে খেলে শঙ্খচুড় মৌমাছি মায়ায়।

Saturday, November 3, 2018

সব চরিত্র অপরিচিত,কি নাটক উপস্থাপন হবে সেটির পুর্ব পরিকল্পনা করা হয়ে ওঠেনি।
যদিও লাটাইতে সুতো বাঁধা আছে তবু ও পেটকাটি আর চাঁদিয়াল চেষ্টায় আছে উড়তে নিজের মতো করে।
ভবঘুরে পাগলটা আপন মনে  শিশির সিন্ধু কুড়াতেই প্রতিজ্ঞা বদ্ধ, আর তালি দেওয়া , দিতেই হবে।
নাট‍্যকারের চিন্তা বেজায় ভিজে গেছে, একটুকরো সবুজ রোদ্দুর নিয়ে খাটিয়ায় বসতে হবে।
বিন্দু বিন্দু আলো গুলোকে একজোট করে বৃত্তে বেঁধে
মন্চে  মাচায় দাঁড় করিয়ে,বাকি পর্দা সেলাই।
অকারনেই পাগলের চোখের লবনাক্ত জল, তেলচিটে বালিশের অন্ধ পরিনয়ে।
এখনো পর্যন্ত নাটক এর নাম ঠিক করা গেছে ,বিরিন্চিবাতাসের ঘরস্থাপনা।
চরিত্ররা পর পর নিজেদের নিয়ে এসে চালি সাজাবে একে একে।


Thursday, November 1, 2018

ছাদপাখাটার ঘ‍্যানঘেনে ঘড় ঘড়,বেটা আমার মতোই জাগছে, হাঁক দিচ্ছে তফাৎ যাও, তফাৎ যাও।
সভ‍্যতা কেবল সুখনিদ্রায় ,পলেস্তরা ঝরে ঝরে পড়ছে।
হাজার বছর বা তার ও বেশি পুরোনো আগুন টা আরব সাগরে একটি নৌকায় বসে আগ্নেয়গিরির আমন্ত্রণের অপেক্ষায় ।রাতের শেষে হয়তো জম্পেশ শীত নামবে।
রাত হচ্ছে গভীর ,পথ সে ও ঘুম চোখে কোথায় যে যাবে তাই বোবা ল‍্যাম্পপোষ্টকেই শুধোচ্ছে।

Tuesday, October 30, 2018

       অতল কামনা
একলা চড়ুই দিকহারা ,একতারাতে  একই সুর বাঁধে,
দিন আসে দিন যায়, সব হারিয়ে পাগল বুঝি কাঁদে।

বাত‍্য চেতনা, খুঁজে ফেরে   নির্জনতম  দ্বীপ উন্মুখ,
শালুক মন ছেড়ে পদ্ম বন ,অতল সাগরে চির সুখ।

মরেই তো বাঁচতে চাওয়া, কুষ্ঠ সর্ব অঙ্গে অপলক,
নাথ  হে নাও এই চড়ুই জীবন দাও দাও হেমলক।

দুটো চোখ কতকাল যে ঘৃমহীন, অথৈ বেদনবাসর,
অন্ধ কান্না মরন পিয়াসী ,অনুভূতি হীন কালান্তর।

মরণ যে তুহু মম শ‍্যাম সমান,এই তো  এই জীবনের শেষ কথা,কেউ তো চায় না, প্রত‍্যেকেই নিজের নিজের বৃত্তে আবদ্ধ, ভালো থাকুক সব্বাই, আমার মতো
অতিরিক্ত যাক স্মৃতির অতলে যাক,
থাক একলা লড়াই।




একলা চড়ুই দিকহারা ,একতারাতে  একই সুর বাঁধে,
দিন আসে দিন যায়, সব হারিয়ে পাগল বুঝি কাঁদে।

বাত‍্য চেতনা, খুঁজে ফেরে   নির্জনতম  দ্বীপ উন্মুখ,
শালুক মন ছেড়ে পদ্ম বন ,অতল সাগরে চির সুখ।

মরেই তো বাঁচতে চাওয়া, কুষ্ঠ সর্ব অঙ্গে অপলক,
নাথ  হে নাও এই চড়ুই জীবন দাও দাও হেমলক।

দুটো চোখ কতকাল যে ঘৃমহীন, অথৈ বেদনবাসর,
অন্ধ কান্না মরন পিয়াসী ,অনুভূতি হীন কালান্তর।

মরণ যে তুহু মম শ‍্যাম সমান




Monday, October 29, 2018

বটগাছটার তো অনেক অনেক বয়স ,দেহ ও মনে সুস্পষ্ট বয়সের ছাপ।
মারা যাবার পর তাকে ভাসিয়ে দেওয়া হয় গঙ্গায়,ভাগ‍্যি ভালো পোড়ানো হয়নি।
ভাসতে ভাসতে একুল ওই কুল ধাক্কা খেতে খেতে সে আপাতত কাদাপানির  ও পারে নির্বাসিত।
আপদ বিদায় হয়েছে তাই বনে এখন বিরাজমান অখন্ড শান্তি।

বুড়োটা এখন সাগরপাড়ে বসে বসেই দিন কাটাচ্ছে,
ঢেউ গুনতে গুনতে অনেকটুকু সময় বয়ে যায়।
এতো কথা,এতো অদ্ভুতুড়ে চিন্তা ভিড় করে আসে যে অনেক গান কোথায় লুকিয়ে পরে।
ভাবে আর অবাক হয়, কি করে যে মরে যাবার পরও তার অনুভূতি গুলো এখনো জীবিত।
মাকে বড়ো মনে পড়ে, আর দুগ্গা যে তাকে ত‍্যাগ দিয়ে দুর আকাশে , মরা বুড়ো একাই মৃত্যু লড়াই কতকাল?

Saturday, October 27, 2018

আমি  শুয়েই আছি ভাঙা তক্তোপোশে ঘন্টার পর ঘণ্টা,
মশারিটা খুলিইনা, এতে মনে হয় যন্ত্রণাদায়ক,বেদনাউৎপাদক মশাগুলো ,দুরে কি রাখা যায়?
বুকের ডানদিকে যে ব‍্যথাটা কিছুতেই পিছু ছাড়েনা, তাকেও হয়তো আটকে রাখা যায়,মশারির ভিতরেই।
বাতাস ছেড়ে চলে গিয়েছে আরব সাগরে, এখানে গাছগুলো সব নিথর কবর,
আকাশে স্বপ্ন ফানুষ ধাক্কা খায় যান্ত্রিকতার উড়োজাহাজে ।
ঝিঁঝিঁ পোকাগুলো মাঝে মাঝে কেবল দেখা করতে আসে, কদাচিৎ,
মাঝে মাঝে এসো,জোনাক আলোয় রাতভর আকাশের তারা গুনবো তুমি আর আমি।
অখন্ড অনিমেষ প্রতিক্ষা, এই জীবনে নয় তো অন‍্য ভুবন।

Wednesday, October 24, 2018

                          অনুভুতি
 প্রশ্ন,বার বার ফিরে ফিরে আসে, কি জানি হয়তো অলস মস্তিষ্ক,ইডিয়ট গোছের লোক বলেই হয়তো।
১.ঘৃনা
আমি যাকে ঘৃণা করি ,খুব খুব ঘৃণা, সে যখন সামনে আসে, তখন আমি কি তাকে এড়িয়ে যাব,অপমানে ভাসাবো,ভেজাবো উপেক্ষায় ?
২.কল্পনা
স্বপ্নেই তো বাঁচা, চাওয়া তো অশেষ,নব নব রূপে,কল্পনায় বিলাসপুরে বসবাস,অসম্ভবের তরে ঘোড়দৌড়,তবুও অচিনপাখি।
৩.বেদনা
আঘাত পেতে পেতে যিশু, ফিরে চাওয়া ছাড়া অবলম্বন হীন, শুধু নকল বুঁদির গড়,টলমল চেতনা,বিকল্পহীন কান্নার অঝোর শ্রাবণ।
৪ আনন্দ
কাউকে তো দিতে পারলাম না একচিলতে খুশি,পেলাম কলসি ভরা অপুর্নতা,বৃদ্ধ বট ইচ্ছামৃত‍্যুর কোনো কি সুযোগ মধুপুর।
৫ ভালোবাসায় শুরু ও শেষ
 কি  তা বুঝতে  বূঝতেই শেষ স্টেশন,দেহ নয় , গভীরে যদি কোন আরশীনগর, দিন দিন বিবর্তন ,অভিযোজন   শেষে তোমার হাত, নরম চুলে ফিসফিস।
৬ স্বীকারোক্তি
আমি আসলে নিজে নিজেকে ঠকাই,যে মুখোস আমি পরে আছি , সেই আমি আর গেন্জির নীচে যে ফ‍্যাকাসে হৃদয় অন‍্যপুর।
৭ অন্তরদর্শন
বুঝতে পারলাম না ,পারিনা নিজেকে চিনতে, মনে হয় বয়সের সাথে সমানুপাতে একা শহীদ মিনার আরো বড়ো ,ভাঙার অপেক্ষা।
৮ সুপ্ত বাসনা
এতো অদ্ভুতুড়ে মনটা সব সময় কেন কেন চায় হলদে সবুজ সরষে বন,মুক্ত অঙ্গন, সপাটে নিজে নিজেকেই অভিসম্পাত
৯ কামনা
তোমরা গড়ে তোলো সুন্দর পৃথিবী তিল তিল ,আমি দেখবো আকাশ গঙ্গায়  ভেসে , আঁকড়ে ধরে মায়ের কোল ,তোমরা হাসিতে উজান।
নিতান্তই অপ্রয়োজনীয়  এই ব‍্যক্তি  সভ‍্য সমাজে,
কেবলই একলা লড়াই সকালে, দুপুরে আর সাঝে।
রাত, একলা আঁধার,বড়ো কাছের তুমি আমার,
তুমি আমার কথাকলি,তোমার সাথেই নদী পার।

Tuesday, October 23, 2018

আলপথের মেঠো জীবন বন্দী চার দেওয়ালে,
কি করি কি বলি এমনকি কি বলি সব ই তাসের দেশের নিয়মেই ,শ্থবির মন স্মৃতি হারানোর কালরোগে।
এ সমাজে একেবারেই অনাহুততার আবেষ্টন,রাধারানী অনেক দিন কীর্তন গান শুনিনি।
এসো আমার খোলা জানালা, আমার কাঁপা হাতটা একটু ধরো, আমার দম যে বন্ধ হয়ে আসছে,আমায় একটু অক্সিজেন দাও,আমায় একটু অন্য দ্বীপে নিয়ে চলো। একটু নিজের আকাশে ভাসাই ভেলা।

Monday, October 22, 2018

সকাল আজ, ঝরে ঝলমল মিঠে রোদ্দুর,
নাও ভাসাই ,চলো পেরোই সাত সমুদ্দুর।

স্বপ্নের কোন অবরোধ নেই।
দুগ্গা আজ এই মোমের মত জ‍্যোৎস্নাধারায় তোমাকে তোমাকেই হাসিতে আলোতে দেখছি আর গলে যাচ্ছি। আজ কোন ঘুম নয়। সারারাত আমি তুমি আর আমার ঈশ্বর আমার রবি বাউল। সারারাত দুগ্গা চন্দ্রিমায় সুরে আকাশ ভেলায়।
দরজা বন্ধ, জানি না অবনী বাড়ি আছো কিনা,তবু এই  যে পাগল পথে  পথে মাধুকরী করে বেড়ায় ,সেই অতিরিক্ত লোকটি মন থেকে সব্বার   সু    কামনা    করে। নিজের মতো করে ভালো থেকো,আলোয় রেখো।

Sunday, October 21, 2018

চোখেই বিষ,কি অনিমেষ,তাকাই যখন যেদিক পানে,
মরূ নেয় জন্ম ,সবের শেষ , অসীম শুন‍্য এই ভুবনে।
বাউল মন অবুঝ,কেন  মনের মানুষ খুঁজেই ফেরে ,
আবর্তনে ঘুরেই মরা,বারবার জন্ম থেকে জন্মান্তরে।
ঝরা শ্বাস কিসের আশে রচেই চলিস  পথ পাঁচালী,
একলা লড়াই,ও কিসের তরে, অন্তে এই কথা কলি।

Saturday, October 20, 2018

কাঠের বেঞ্চ,আমি, সুমন আর চার বাচ্চা কুকুর , লড়াই,
দুটো একটা বিস্কুট কি বাঁচাবে নাকি,রাস্তার বিপরীত কালো কোটের মিছিল,জয় আরোপিত সত‍্যের।
ঠিক দুপুর,সুর্য নেশাতুর,ফিরে কি আসে শিমুল রক্তিম,
বুড়ি টা একই ভঙ্গিতে ফিসফিসিয়ে খাওয়ায় জন্য তিনটে টাকা বারবার রোজদিন।
আমি তুমি সবাই হাত পেতে, কি যে চাওয়া, কেবল অভিনয় যবনিকা তো আসছেই।
একটা বাচ্চা গেছে,এখন খাবার একটু বেশি, জ্বরটা মাথা থেকে নামছে নিচের দিকে।
কিছু রোগের একটি ই ওষুধ,অন‍্য ভুবন , আঁধার আলোয় উদ্ভাসিত বনভোজন।
বাচ্চা গুলো গেছে কোথায়,একলা গেলাস,সাথী দেড়শো দুই বা একটি।
বিচার চলছে, কালো কোট আরেকটু কালচে,বুকটা বড়ো ধরফর।
ইছামতি তে এখনও ঢেউ অনেক।।

Friday, October 19, 2018

এই তো সেদিন এই সেদিন। মা গো তোমার হাত ধরে হাফ প্যান্ট, দুর্গা মা তোমায় দেখা , হাজার আলোর রোশনাই তে।এতো আলো তোমার মুখে।আগে তুমি তারপর অসুর ঠাকুর, অসুর ও ঠাকুর তাই না। এরপর সিংহ আর সব্বাই।আজ মনে হয় এই তো সেদিন এই সেদিন।ফিরে দেখা, এখন তো ফিরে দেখাই একমাত্র অবলম্বন।আজকের দিনে বড়োদের সবাই কে প্রনাম,আর খাতায় একশো আটবার শ্রী দুগ্গায় নমঃ
আজ একলা বেলায়  আবছা বেলায় মা মাগো,,,
দিন যায় দিন আসে,আমি যাবো আসবে নবজীবন। এই পাগল যতদিন বাঁচি, দুগ্গা তুমি হ্দ মাঝারে থেকো ছেড়ে যেওনা।
আকাশ সবাই কে সুন্দর করো। শুভ হোক সবার।

Wednesday, October 17, 2018

 ভয় পেয়োনা, সবুজ সকাল,  আর চাইবো না কিছুই
পদ্মপাতায় যতই কেঁপে ওঠা কান্না,আনমনা সব ঢেউ।

অন্তহীন নীরব পাতার ঝরে পড়া, একলা হাঁটা আলপথ,
ভয় পেয়োনা তোমায়  ভেজাবো না , আমি যে ভগ্নরথ।

দিশাহারা  পান্থপথে ইচ্ছেডানা প্রস্তরীভুত , বুড়ো বট,
অসুর নিধনে তুমি দুগ্গার ভালো থাকা ,মরছে ছায়ানট।

একটি দিন ,আমার নাথ হে কেবল তুমি দাও ফিরিয়ে
শান্ত মায়ায় , ভালো বাসায় মায়ের বুকে যাই ঘুমিয়ে। 

Tuesday, October 16, 2018

সন্ধিপূজা জীবন আর মরণের, বাঁজে  ঢাক,
চামচিকের দিন, আলোতেই  আঁধার  সবাক।
ম‍্যানহোলেই আছি,কেন তা নিতান্তই অজানা,
আবর্তেই কঙ্কাল সার, মুক্তির পথ , ভগ্নডানা ।
ভুবনেশ্বর  সব চাওয়া, খাঁক ছাই বন‍্যায় ওড়ে,
ভাঙা বেঞ্চ অসম্পূর্ণতায়, মন কেমনেই ভরে।
সবাই ভালো থাকুক নাওভাসি সবুজ মায়ায়,
নিমজ্জনে শঙ্খচিলে ডুবসাঁতার নততপস্যায়।


Monday, October 15, 2018

আকাশ ,বাতাস ,ভুবনজুড়ে দুর্গা  ধরাধামে,
কোন অবগুন্ঠনে  প্রানের পরশ দুগ্গা আমার?
মন ভিজছে সাদা পাতায়,শুন‍্য যে পর্যায়ক্রমে,
সব পথ অমর্তলোকে,পাপী জীবন অন্ধকার।

পাগল ফুসফুস ভরে কার্বন ড়াই অক্সাইড এবং
এবং শেষ স্টেশনে একলা ,দুগ্গা নেই , অবক্ষরন।
লবণাম্বু ছিন্নমূল, ভাঙা দেউল শুন‍্যতায় সব রং
স্বাদ বিহীন কালচে চোখের জল, স্মৃতি বিস্মরণ।





Saturday, October 13, 2018

কাল দিন,আজ দিন ,সুমন গানওয়ালা শোন,
রোজ দিন ই যে বড়ো কঠিন, নিঝুম দিশাহারা।
রাত পর রাত শুধু ই তফাৎ যাওয়া ,কোনঠাসা,
ধুকপুক করে কি পরান মাঝে মরা একতারা?

অনুভুতির শবযাত্রা,,,অশেষ,,, অন্তহীন।।।।


Friday, October 12, 2018

 দম যে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, ডানা মেলছে মরুভূমি,
কঠিন লড়াই একলাই , দুগ্গা দেখছো তো তুমি?

Thursday, October 11, 2018

তিতলি আজ সত্যি লড়াই একুল অকুল আবর্তে  ভালো বাসার মনছবি,
আর সাঁঝ বনে জোনাক আলোয় আল্লারাখায় মধুকর আর রবি কবি।
আজ সারারাত আমি আর রবি কবি,ঘুম তুই নিঝুমে মিলিয়েই যা।
মাতাল রাত টলোমলে কেঁপে যায়, তুই আয়,দুগ্গা নিজেকে সাজা।

Wednesday, October 10, 2018

কার্নিশ চিলেকোঠা নয়নতারা,ক্লান্ত দীর্ঘায়িত বন‍্যামেঘ,
তিতলি তুমি এসো ভালোবাসায়,তিতাস  বস্তা আবেগ।
  পাগলী তুমি কুন্দফুল,কোন ভুবনে আর তো পারি না,
পথ দেখাও, বাঁধন  ছিড়ি, অন‍্য জীবন স্বপ্ন ইচ্ছে ডানা।
চোখ মুদে আসে, ক্লান্তি দেহপটে পাগল মন  মানে না,
মায়া মৃদঙ্গে মধুবন্তী, নয়নতারায় তুমি তুমিই হাসনুহানা।

Tuesday, October 9, 2018

বড়ো কাছে ঝরা পাতার আলতো ছোঁয়ায় দুগ্গা আমার কল্পে ,
আকাশ তো মেঘের পরে মেঘ , শালুক মন আঘাত মালায় নীরব একলা হাসনুহানা।
একলা লড়াই তে অক্সিজেনের অনটনে।

ভাঙা নুড়ি পাথর একটুকরো ফুসফুস ,চোরপুলিসে রাগ বেহাগ না মেঘমল্লার।
ক্ষয় রোগে মরছে সবটুকু ভালোবাসা তবু তুমি শিউলি দুগ্গা,ভালোই থেকো।
একলা লড়াই তে আত্মমন্থন।

সময় তো  পানকৌড়ি দে ডুব , না পাবার আশায় অভ‍্যাসবশত।
দুগ্গা তো  অভয়নগর, ভালো রোখো আকাশ আর হলুদসবুজ মন।
একলা লড়াই তে আসবেই বিসর্জন।

দুগ্গা তুমি আমত‍্যু ভালোবাসার ভালোবাসায়।।
মরণ ভেলায় ভাসছে জীবন,
একটুকু অন্ধমনে কেবল আশ,
যদি পাই একটি বার আকাশ
জুড়ে দুগ্গা হাসি অমলতাস।


Monday, October 8, 2018

 রাগ নেই, নেই অভিমান,অন‍্য পারে ডাকে কোন পাখি?
বড়ো সাধ জাগে ওই পারে, অন‍্য আঁধারে মরণরে দেখি।

সব পথ মিলেছে উন্মুক্ত অথৈ  মরুসাগর,
 কোন বাঁকে মা গো তুমি, আকাশ গঙ্গায় ?
দেহ জুড়ে পচন,হৃদয় যে অনুভবে পাথর,
জোনাক আলোয় জাগি শুধু রাতকান্নায়।
মুক্ত অঙ্গন আজ রুদ্ধ  মৌন কারাগার,
সাগরের ডাক ,কাছে নাও এই নিরালায়।
শুনতে যে পাই, কেবল গান ঘরে ফেরার
 কাছে নাও, নাও মোরে জাগি কামনায়।।

Sunday, October 7, 2018

এই পাড়ায় ডিমনেশিয়া বাড়ছে, পুরানো ক‍্যানভাস গুলো কোথায় যে রাখলাম মন পাড়ছেনা মনে করতে,
এই তক্তোপোশটায় যে ঘুমোতো আজ আর জাগে না পাগল আজ নয়া ভাড়াটে,পোড়ে তাপদাহে ধুসর হন‍্যতে।
সব দ্বার হয় রুদ্ধ, কেউ তো খোঁজ নেয়না অবনী আছে কি,একটা ভাঙা প্লেটে আত্ম তর্পণ কথা ঘোলাটে রাতে ।
দিন যায় আসেও আবার,এক সমুদ্র স্বপ্ন বারবার জোয়ার আর ভাটায় শেষ হয় শুকনো একমুঠো ভাতে।

Saturday, October 6, 2018

আসমানী চোখে আজ বাঁধ ভেঙেছে ভাবনাগুলো হিজিবিজি নীলকষ্ট,
ঘোলাটে আকাশে নামছে আঁধার, তীব্র দহনান্ত বেদন,দর্শন অস্পষ্ট।

Thursday, October 4, 2018

বিশ্বাস ভুগছে অপরিমেয় নিরাপত্তা হীনতায়,
হৃদয় তুমি কেন জেগে আছো ,যাও কোমায়।
চরৈবতি।চলছি আর চলছি। কালপুরুষ অনুভব। চারিদিকে সব্বাই এর কাছ থেকে কেবলই অফুরান অবহেলা আর এড়িয়ে চলা। আমার তো অনন্ত অভিসাপ ই একমাত্র অবলম্বন। আছি, মনে হয় আছি,পালাতে পালাতে অন্ধ গলি আর তো সরে সরার  মতো জায়গা ও পাচ্ছি না। আকাশ দুগ্গা তুমি কোথায়, খুঁজে  পাইনা কোত্থাও । একলা লড়াই লড়তে লড়তে দিনাবসান ই একমাত্র কেবলমাত্র কামনা,বুকঝিম বেদনাই হ্দিবিলাস। কাল রোগ এসো তোমাকেই শুধু তোমাকেই ভালোতে বাসি।

Wednesday, October 3, 2018

রুদ্ধ দুয়ার,এই জীবনে নয় তো অন‍্য,অন‍্য ভুবনে,
ফিরে আমি আসবোই, এই মরণ শেষে পুনঃ মরণে।
সব সবটুকু দিয়ে দুগ্গা তোমার পুজায় এই মধুকর,
বিষবাস্পেই নীলকন্ঠ বাউল আমি, স্বপ্নই  অমর।
শীত তাপ নিয়ন্ত্রণে, তবু প্রশ্ন জাগে, সবুজ বনে ফোটেতো হলুদ ফুল,
পাশের ছাদে জাগে সবুজ,সকাল রোদে পুড়ে ছাই নয়নতারায় দুগ্গা ঠিক না ভুল।

Tuesday, October 2, 2018

অচেনা আগুন্তক, পিরামিড মিশরে কে কে ঘুমন্ত সেপ্টেম্বরে,
এই ঘোলাটে আকাশে কেবল যন্ত্র দানবতন্ত্র করে আনাগোনা।
ইস্টিশন এর শেষ গাড়িটিও স্বপ্ন দেখত একটু বিরতির।
কেন মরিচিকা আশায় ফিরে ফিরে আসে অঝোর অচেনা তালসারি আবার ও সেপ্টেম্বরেই।

Monday, October 1, 2018

আজ ও সেই ছেলে বেলার  আধেক চাঁদ
উঁকি জানালা যেখানেই যাই।
একটু নীল গরল,আমাকে মাতাল করো, আমি দু চোখে আরশিনগরের গলি গলির আগুন পাখির খোঁজে মরি।


Sunday, September 30, 2018

মরণ তুমি এখন এই শহরের চাপা বনে,
হাঁসছ, বাঁধছ তোমার নিবিড় আলিঙ্গনে।
আমি তো বট হতে চাই অমর্ত্য
আগুন পাখি হয়ে বসে ঢেউ গুনব নীল নদের।
তোমায় ভাসতে দেখব , হাসতে দেখব
গাছ হয়ে শেষ অক্সিজেনটুকুও তোমার কুঞ্চিত কালোবন‍্য চুলে, এতো একটাই জীবন।

Monday, September 24, 2018


গত শনিবার আমার মতো অকেজো অপদার্থকে বাধ্যতামুলক ভাবে অফিসের কাজে যেতে হয়েছিল দীঘায় ।গোটা জীবন পাহাড়ে বন বনান্তরের বাসিন্দা এই পাগলের  তথাকথিত রিসর্টে থাকাও হয়ে গেলো বারদুয়েক।আমার দমবন্ধ হয়ে আসছিলো , নেমে এলাম সাঁঝবেলায় গলিপথে । কিছুদুর যেতে যেতে দেখি একটা চায়ের দোকানের সামনে এক শিশু ভোলানাথ ধুলি শয্যায় গড়াগড়ি দিয়ে কাঁদছে আর বলছে যে কিছুতেই সে বাড়ি যাবেনা ।এগিয়ে গেলাম আর হয়ে গেলো ইশ্বর দর্শন ।
বালকভোলা ছোট ছোট মাটির গোল্লা পাকিয়ে দুগ্গা তৈরী করছিলো, অসমাপ্ত রেখে কিছুতেই বাড়ী ফিরবেনা। দুগ্গা তৈরী হয়ে গেছে, সাথে লক্ষী ও । বাকীরা তার কল্পে । হাত লাগালাম, ফিরে গেলাম কত হাজার দিন আগের বালক বেলায়, সেই যে আমার দু চোখ না দেখতে পাওয়া ঠাকুরমা শিখিয়ে ছিলেন তার হাতের যাদু ছোঁয়ায় প্রতিমা গড়া । আমি গলে গলে বালক ভোলানাথে মিশে গেলাম । প্রেমে পুজায় এতো পথ ঘুরে আরবার আমার দুগ্গাকেই শিশুভোলানাথের হাত ধরে ফিরে পেলাম । ঈশ্বর তোমার করুণা অপার।

Sunday, September 23, 2018


লবণাক্ত সমুদ্র আর দুই চোখ তার অপারজলধারা,
আবছায়া, দুগ্গা তুমি, মৄতমনে অনর্থে কড়া নাড়া।

Wednesday, September 19, 2018


জীবন তো অনেক অনেক দিলে, এবার যেতে দাও,
বন্দরের ডাক শোনা যায়, ভাসাই সওদাগরের নাও।

Tuesday, September 18, 2018


                                          ভালোবাসি
হৄদয়ের গোপন ক্ষতস্হান ,জয়কবি তুমি তো দুরবাসী, জানলে কেমন করে ?
অবিরাম রক্তক্ষরণ, যেমন করে আজ বটের পাতা হলুদ, সবুজ থেকে ঝরে ।

বাউল মন আজ পাগল হয়ে পথভোলা, চায় যেতে এই দ্বীপ থেকে দ্বীপান্তরে,
কাঁদব আমি আগল খুলে , ভাসব আমি ,হারাব কেবলই  আমার রবিঠাকুরে।

জীবন দিল এতো কিছু , রাখি কোথায়,পাইনা ভেবে,থাকুক না অন্তরে গভীরে,
 অন্য ভুবন, আজ নয় হাজার বছর মিলব তোমায়, একবুক আপন স্বপ্ননীড়ে ।


তুমি নদী হয়ো, আমি   তোমার উথাল পাথাল,অমল আলোয়,কমল আধাঁরে,
বিবশ হবো, অবশ হবো, ওগো পরাবো মালা কচুরীপানা ফুলে, বাঁচবোই মরে……..

Monday, September 17, 2018

রাত ক্রমশ গভীরতর,ব্যস্ত চলনে জোনাকি মন,
শির শির পাগল তালসারি, মধুর স্বপ্ন সম্মেলন।

Saturday, September 15, 2018


কাল সকালে পথ চলতে কানে এলো একটি শিশু কন্ঠ “ মাগো আজ সকালে কি খাবো ,মা ?”  মা তাকে মুড়ি খেতে বলায় বালিকা কেঁদে বলে “ মা রোজ সকালে আর তো মুড়ি খেতে ভালো লাগেনা ,অন্য কিছু দাওনা।” মা তাকে বোঝানোর চেষ্টা করে, বলে পয়সা জোগাড় করে ভালো কিছু ঠিক কিনে দেবে । সারা টা দিন মনে আগুন জ্বলতেই থাকলো ।
আর আজ সকালে আমার হরিয়ানার মেয়েটির উপর পাশবিক অত্যাচারের যে খবর পড়তে হলো, আমি অন্তর থেকে এই কামনা করতে থাকলাম, “ প্রভু অন্তত আমার বোধের মৄত্যু ঘটাও, আমাকে অন্তত পাগল হতে দাও, মুক্তি দাও এই তথাকথিত সভ্য সমাজ থেকে, যে সমাজ প্রতি পলে আমার দুর্গাকে ছিড়ে খাচ্ছে।”

Thursday, September 13, 2018


মৄত্যু উপত্যকায় একাকী আমরা
নীরা তোমায় দিলাম  আমার ভালোবাসা একবুক উথাল,
যে নদী হও তুমি ,ভোর হয়ে বেঁচো আমি তো পড়ন্ত বিকাল  

মাঠ আকুল সবুজ, দে দোল দোলরে মেতে উন্মনা ঝিঙেফুল,
হাসি যে পাগলাঝোরা, ভিজে গলে যাই,  দুগ্গা প্রেমে আকুল।

নিত্য আঘাতের চক্রজালে, হৄদসমুদ্র  যখন  লবনাক্ত টাইগ্রিস,
একপশলা শামুকখোলা ,কুল ছাপিয়ে অতলান্ত ভালোবাসিস।

মনযমুনায় স্বপন নাও ,ভাটিয়ালী গানে গোপন গাভীনয়ন,
রুপ নয়,যৌবন তাও নয় ,বেদনস্নানে  চিরজাগ্রত মধুমিলন।

Tuesday, September 11, 2018


নীরা তোমায় দিলাম  আমার ভালোবাসা একবুক উথাল,
যে নদী হও তুমি ,ভোর হয়ে বেঁচো আমি তো পড়ন্ত বিকাল ।

Monday, September 10, 2018


অনবরত অবিরাম অন্তরক্ষরণ ।এতো যন্ত্রনায় নীলকন্ঠ  কালপুরুষ । বাঁচে কি করে ? এই ভুবনডাঙায় কোন এক ভরা শ্রাবণের রাত গভীরে যে চলাতে পথশুরু শেষ কোথায় নাথ হে, হে মুর্শিদ আমার । কিসের যে খোঁজ সে তো নিজেরই অজানা । রাঙা পথের ধুলায় মিশে আকাশ দেখার বড়ো সাধ । একে একে সবাই তো যে যার আপণ পথে । দয়া নয়, করুণা নয়, প্রত্যাশা হীন।শেষের অচীন অমোঘ বাঁশীর যে আবাহন কানে ভেসে আসে বড়ো আপনার ,বড়ো মধুর সোহাগে অক্ষয় আলিঙ্গনে ভরিয়ে তোলে।ভার যে বড়ো বিষম বলে মনে হয় । মন্দিরা মনমন্দিরে সদাই বাজে।
একটাই কামনা ।এই সাদা কালো অর্থহীন জীবন সায়ান্হে এই অস্পৄশ্য এই অছ্যুৎ শুধু তার পুজায়, তার সাধনায়, তার আরাধনায় তার দুগ্গাকে দেখতে চায় । হায় রে সে তো তার আকাশ , তার দুগ্গা থেকে বহু বহু যোজন দুরের দ্বীপে নির্বাসিত । ঢেউ গোনাই সার । ঘৄণা, উপেক্ষা আর অবহেলাই একান্ত অলঙ্কার। বেদনব্যাথায় দেখা দাও ,পথ দেখাও , স্বপ্নে , কল্পে , দুগ্গা দুগ্গা আমার । দুরে কোথায় কোন সুদুরে , কোন সে অচীনপুরে ? মিলব কতদিনে ,এই জীবন না অন্য ভুবনে ?জানিনে জানিনে ।

Sunday, September 9, 2018


অনিবার্য্যতা
সেতুগুলো একের পরে এক মিলিয়ে যাচ্ছে, সব সব,
বহিরঙ্গে প্রলেপ  মনোময় , তান্ডবনৃত্যে রুদ্রভৈরব।

ঘুনপোকার অতীব প্রিয় খাদ্য হিসাবে তথাকথিত সততা,
মেরুদন্ড সোজা রাখার অপচেষ্টা ,সু্ন্দর পৄথিবী দেখার অলীক
স্বপ্নকে গণ্য করা যেতেই পারে ।

পথগুলো ভাঙছে তো ভাঙছেই, নামতে হবে মাঠ ডাকে,
যতোই দেওয়া জোড়াতালি, দৄশ্যমান কেবল অগ্নিবৈভব।

সুখী জীবন , বাঁধনহারা প্রেম-ভালোবাসা তো ক্ষয়রোগে আক্রান্ত,
সমাজ, নগরজীবন, প্রত্যেকটি ব্যাক্তিগত অন্তদহনকে বিনাদ্বিধায়
এক একটি মাজুলি বলে মনে হতেই পারে ।

ইতিহাস  উইপোকা তো খাচ্ছেই, অবনমনে  গোপন গভীরতা,
নবীন প্রান বন্চিত  জমিন আসমান, ধর্ষিত সমস্ত অনুভব।

কক্ষচ্যুত গ্রহ অনিবার্য পরিনতি , অসীম অনন্ত কৄষ্ন গহ্বর আকুল
আাকর্ষন অনিবার , তুমি আমি  কনফারেন্স রুম প্রবেশ বাধ্যতামুলক
তুতানখামেনের বসন্ত প্রতিক্ষা উত্তপ্ত আরবসাগরে ।


Wednesday, September 5, 2018


সুশান্তপ্রেম  হেসোনা
সুবোধদা, অন্ধ চোখেও জাগে ভালোবাসা,
মারণঝড়ে ভাঙেযখন জীবন গড়ার আশা।

মুক্তঅঙ্গন অযতন ভরে বুনোলতা আগাছায়,
বুলবুলি ও তুলতুলি , হেসেই মরে আদুল গায়।

আকাশ টা যখন নিরুদ্দেশে যায় হারিয়ে,
ভালোবাসাই দেয় নিসঙ্কোচ হাত বাড়িয়ে।

ভাঙাবাড়ি. ছাদ, কার্নিশ জুড়ে  নয়নতারা,
গঙ্গাফড়িং একলা অবুঝ ,ছৌ নাচের মহড়া।

দরজাগুলো সব বন্ধ যখন নিষেধ প্রবেশে,
তুমি ওগো স্বপ্ন ভালোবাসা দাড়াও হেসে।

মেঘবালিকা  লুকিয়ে ভেজায়  শহিদমিনার,
বয়সের সমানুপাতে বাড়ে প্রেম পাজি নচ্ছার ।

দৄষ্টি যখন ঝাপসা এবং দুই পা ওহ টলমল,
পানকৌড়ি ভালোবাসা সত্যি  অথৈ অতল।

তেলিনিপাড়া ঘাটে ইলিশ কেন,কিসের লাফ?
গুনীজন সুধীমন, ভালোবাসায় সবটাই মাফ।