Thursday, February 28, 2019


দুগ্গাসুতমাসু(১),

তোমাকেই,
জানো,সবসময় কাজে এবং অকাজে,
সবখানেতে খুঁজি সব কিছুরই মাঝে।
পশুখামার, মাথায় হাতুড়ির পর হাতুড়ি,শলাকাবিদ্ধ রক্তাক্ত প্রান,
কচুরীপানার জঙ্গল,ভাঙা বাঁশী,লোহিতসাগরে প্রাত্যহিক দিনাবসান।
শুন্যে বসত,আকাশ জুড়ে নদী গড়ে মধুশালা,
দৃষ্টি নিরুদ্দেশ,মরুভুমে অগ্নি ভাসায় কালভেলা।
নীরব গান জাগে নিখিলে আপনসুরে,
শেষ আর অশেষ মিলন মৃত্যুদুয়ারে।


Tuesday, February 26, 2019


সেদিন ঝড় ভিজেছিল প্রাপ্তবয়স্কা বৃষ্টিতে,
সব ভালোবাসা সারি সারি সমাধি ছিদ্র করে ভালো বাসামাঝে।
আবেগের দল জলকাঁদায় ভিজে একাকার লুটোপাটি খা্চ্ছে হায়,
তথাকথিত সততাবাবু দন্ডকারণ্যে গড়েছেন বসত।

সেদিন আলো হেসেছিল নিকষ অন্ধত্বে,
মুখোসগুলো মান্ধাতা আমলের হারমোনিয়ামে ঘুম ভাঙাচ্ছিলো গাঙচিলের।
যত আনন্দ ঝিঁঝিপোকার দলের সাথে কাঁপছে শীতপোষাকে,
পাগলামোগুলো ভোকাট্টা ইতিউতি শহরঅরণ্য।

সেদিন নদী মিলেছিল আকাশগঙ্গাতে,
জীবন রেললাইনবরাবর বিছানা পেতে ধুমধাম করে সন্ধানে একছিলিম মৃত্যুর।
ছায়া আর আবছায়ার মাঝে জাগে নয়নতারা,
মৌরিফুল মাথা উঁচিয়ে ভেঙচি কাঁটে মুচকি হাঁসে।

অবনী আর তক্তোপোষ তেলচিটে বালিশে ।

Saturday, February 23, 2019

যদি পারো দুঃখ দাও
--------শক্তি চট্টোপাধ্যায়

যদি পারো দুঃখ দাও, আমি দুঃখ পেতে ভালোবাসি
দাও দুঃখ, দুঃখ দাও – আমি দুঃখ পেতে ভালোবাসি।
তুমি সুখ নিয়ে থাকো, সুখে থাকো, দরজা হাট-খোলা।

আকাশের নিচে, ঘরে , শিমূলের সোহাগে স্তম্ভিত
আমি পদপ্রান্ত থেকে সেই স্তম্ভ নিরীক্ষণ করি।
যেভাবে বৃক্ষের নিচে দাঁড়ায় পথিক, সেইভাবে

একা একা দেখি ঐ সুন্দরের সংশ্লিষ্ট পতাকা।

ভালো হোক মন্দ হোক যায় মেঘ আকাশে ছড়িয়ে
আমাকে জড়িয়ে ধরে হাওয়া তার বন্ধনে বাহুর।
বুকে রাখে, মুখে রাখে – ‘না রাখিও সুখে প্রিয়সখি!
যদি পারো দুঃখ দাও আমি দুঃখ পেতে ভালোবাসি
দাও দুঃখ, দুঃখ দাও – আমি দুঃখ পেতে ভালোবাসি।
ভালোবাসি ফুলে কাঁটা, ভালোবাসি, ভুলে মনস্তাপ –
ভালোবাসি শুধু কূলে বসে থাকা পাথরের মতো
নদীতে অনেক জল, ভালোবাসা, নম্রনীল জল –
ভয় করে।



আমার পাগল কবিকে মনে হয় বড়ো নিজের

এই পৃথী তুমি সবাই কে রেখো সুখে,
আগল রেখেছি খুলে, দুঃখ থেকো
নিশ্চিন্তে একলা আধো উজানী বুকে।
বয়ে যায় দিন,কাল সময়,নদী তুমিও চুপিচুপি আমাকে ফেলে পালিয়ে গেছো,তবু আমি আছি,সবটুকু ঝড়ের নিবিড় নীল আলিঙ্গনে।
থেকো সুখে, তোমার  আগুন হাসি আমার ভেজা বুকে।
কথায় থেকো,থেকো নক্সীগাথায়, আমি নেড়া পাহাড়টাকে আগলে রাখবো নিভৃত অন্তরালে, যেদিন আমি পুড়লো,জ্বলবো আর নিভবো, তুমি একটিবার এসো ,আগুন হাসিতে হেসো। আমি তোমাকে একবন‍্যা কথামালা উজাড় করে দিয়ে ফিসফিসিয়ে দেবো একদৌড়,আমার কথা বলতে যে এখন বড্ডো ভয় করে।


Friday, February 22, 2019


কদিন ধরে একটাই ভাবনা মাথায় পিট্টু খেলছে ,
কেন  এসেছি, প্রয়োজন তো নেই ,ঘড়ির কাঁটা টিক টিক বাজছেই।
অর্থের সন্ধানে অভিধানের পাতার পর পাতা, বাসন্তিক কথার অপলাপ।
রঙচটা মুখোশটা পরে মুকাভিনয়, কান্নাগুলো ভেজাচ্ছে মরা গাছের পাদমুল।
জলঙ্গীতে কচুরিপানাগুলো জোট বাঁধছে ফুল ফুটবে এবং শুকোবেও একদিন,
ক্ষনস্থায়ী বৈ তো নয়।
                সব সীমানা ছাড়িয়ে,
পাহাড় নদীর পায়ের কাছে বসে আলাপচারিতায়, হিংসুটে মনে কালসিটে ,
আস্থাহীনতার জঙ্মম, বিশ্বাস নিরূদ্দেশযাত্রায়।
 কোথায় তুমি আব্বুলিশ
উড়নচন্ডী পায়ের মল, 
কোথায় তুই সত্যি বল
শব্দে তোর জুড়ুক প্রান,
অস্তাচলে অনন্ত আখ্যান
ভেসে আসে পাঁড় মাতালের  অবসন্ন মালকোষ
পাঁড় ই তো।

Monday, February 18, 2019

নতুন প্রাণে ,জাগে উড়ানের গানে  আমার চিলেকোঠা,
বাজে বীণ,উছলায় জীবননদ,মাঝি হে ধরো আগুনবৈঠা
             স্বেতবসনা

ঘুম যায় শহীদ মিনার, কলকাতা দেখতে,
উদ্বাস্তু হৃদয় অনিমেষ , আনমনা নিশীথে।
নগরকীত্তনে বেরোয় চেতনা একতারাতে,
কোলাহলে কফিতে চুমুক তোমায় মনেতে।

ক‍্যাকটাসে কান্না ফুল ,রাখো  দৃঢ় আলিঙ্গনে,
তুমি ও আমি কানে কান খেয়ালী সম্মোহনে।
রঙিনরঙে পলাশ শিমুল মাতে রডোডেনড্রনে,
তুলসী পিদিমে পিরীতি কি গানে মাঝ উঠানে।

আলপথ এঁকে বেঁকে বাজায় গো মনমন্দিরা,
অথ পাগল কথা শোনে বা যদি নয়নের তারা।
জলঙ্গী ডাকে ইশারায়, সাদাশালুকেই তো ভরা,
 স্বেতমায়াতে  আমার বাঁচা এবং নিশ্চিন্তে মরা।
 রাতটা আজ সাদা হোক।



Sunday, February 17, 2019

                       কে তুমি একলা আধো বনজ‍্যোৎস্না
                       বাঁশী বাজে, সুর সাজে,তানমোহনা।
                     

অন্ধ ভল্গা নীরা
আগুনপাখি দ্বীপান্তরে ,সাদায় কালো ,আলোয় অন্ধকার,
খাই পড়ি বয়সে বড়ো হই, পরিবার ,সন্তান , বড়ো করার চেষ্টা ,
এরপর  কাছেই দুর , চোখে চালসে, পথ বৃত্তাকার ,শেষেই শুরু তুমি আমি সব্বার
জীবন দেয় ,নেয়  যুগ যুগান্তরে অশ্বমেধের ঘোড়া অমরত্বে।

নীরা , সবই হারায় ,তবু ভালোবাসা জেগেই থাকে চন্ডিদাসে, রবিবাউলে আর আমার
পরমাত্মীয় শক্তি ,সুনীলে। দিনান্তে যখন এবড়ো খেবড়ো  সন্ধ্যা আসে রুপকথার গল্প
শোনাতে , কত শত কবিতা খ্যাত অখ্যাত কলমে ঘুম ভেঙে জেগে ওঠে,স্বপ্নে ভাসে অনিবার্য
অসম্ভবতাকে মনে রেখেও , অনাথ জীবন তো আমাদের সব্বার।

ক্লান্ত একলা আকাশের তারার মাঝে রোজ দিন মাগো খুঁজি ..,
এতো মুখোশের মাঝে নীরা , তুমি জেগে থাকো মলিন সততায়,দৃঢ় প্রতিজ্ঞায় ।ফাগুন
সাজে রক্তিম পলাশে  রুদ্রবৈশাখের উদগ্র কামনায়  , কালপুরুষ তুমি যাও এবার ,
পথ খসে খসে মিলছে অন্ধ ভল্গায়, শীতকাতুরে বন্যাধারায়

জোনাকগ্রামে নামছে আকাশতারার দল , মৌরিফুলে হলদে সবুজ রঙ্গিলা মেলা মন মরে ।

Friday, February 15, 2019

                 চলো যাই

আটপৌরে সকালটা আজ ঢেউএর পর ঢেউ বাঁধছে,
সময় থমকে দাঁড়ায়, শুকনোপাতাগুলান পায়ে পায়ে জমায়েত । নির্বাণ ছেড়ে আড়মোড়া ভাঙে বুদ্ধ, বুড়োকাক কোলাহলে ভরায় চায়ের টেবিল।
একপশলা মেঘবতী লজ্জারূন বাতাসকে ডাকে কোন ইশারায়।
সবকিছু চলছে আপন গতিতে ।
নীরা ওঠো ছাড়ো তোমার রাত্রিবাস,এসো পিঠে পিঠ ছুঁইয়ে আজ আমরা কোন সরোবরে পানকৌড়ি খেলবো ঠিক করে ফেলি। মরা রেলগাড়িটাকে অচলায়তনের গহ্বরে ছুড়ে ফেলতে তুমি আমি আমাদের বৃদ্ধ নগ্নযৌবনকে কাজে লাগাই।
সব সুর সাজছে আপন সঙ্গীতে।
আমার সব পাগলামি , তোমার আলগা হাসিতে ডুবিয়ে একটা নতুন সকালের অদেখা  চুপকথার আলোয় পুড়িয়ে খুঁজি পরশপাথর।
চলো না যাই একটিবার ।

Thursday, February 14, 2019

এই ব্লগ আমার কাছে ইশ্বরের কাছে চুপি চুপি কথা বলা,  আমার আর কোন প্ল‍্যাটফর্মে দাড়াবার জায়গা নেই।আগেকার দিনে মানুষ যে কথা কাউকে ব‍্যক্ত করতে পারতোনা তা লিখে রাখতো দিন লিপিতে একান্তে , গোপনে। আমি তো সারা জীবন চেষ্টা করে গেলাম একটা ছবির আঁকার, পারলাম না, সব রং তুলি ফেলেছি হারিয়ে। যাবার আগে শেষ চেষ্টা করবো ,সব ধুয়ে মুছে দিয়ে যেতে। আত্মহনন সে আমার দ্বারা মনে হয় হবেনা, কারো কাছে এই পৃথিবীর কাছে কোন প্রত‍্যাশা নেই। সবাই যত তাড়াতাড়ি এই পাগল কে ভুলে যেতে পারবে ততো তাড়াতাড়ি পারবো ফিরতে। কত যে অন‍্যায় করেছি। নাথ হে ক্ষমা দাও, যাবার আগে সব মুছে দেবার সময়টুকু দিও, শুধু আমার লুকানো স্বপ্ন গুলো কেড়ে নিও না। সব্বাইকে পৌঁছে দিয়ো একটু ভালোবাসার বাসায়। নাথ হে এই পৃথিবীকে তুমি সুন্দর করে সাজাও , তুমিই তো সব।

                 বন্যা
নক্সিগাঁথায় নীরব কাঁথা শীত জুড়ায় এলো উঠোনে,
মশারীটা রাখা শরীরের সঙ্গেই , দেখতে দেখতে গোটা ভুবন
পড়ন্ত বিকল ভগ্ন অবশেষ
কোটি বা তার থেকেও অনেক অনেক বেশী কবিতায় তো
মন বলা অক্লেশে, কেউ পড়ুক বা ছিড়ুক, যে পথ মিশতে চায়
বেপথু ক্লান্ত বুনো আকাশ।
নিমডালে চুপটি শুকতারা  দাবানল থেকে বাঁচতে নিরাপদ
আশ্রয়ে ,  উদ্ধত আলুথালু বাতাস তাকে জড়িয়ে ধরে আবেশে
খামখেয়ালী অধৈর্য সঙ্গম।
টুকরো টাকরা ছেড়া কাপড় রঙ্গিন,জুড়ে যে আলখাল্লা  পড়ে
পথ আসে গলা আঁকড়ে,  রুখু মরুদুখ কাল এবং আজ চিরসখা
মস্তিস্কে লেদমেশিনের উদ্বাহু নৃত্য।
আছি না গেছি ,দুগ্গা ?