Sunday, March 31, 2019

আগুনগুলান ভিজছে,ঘুম ভাঙছে সবুজ,
মন তুই কাঁদিস কেনে ,কেন এতো অবুঝ।
রাততারাদলে মেঘবালিকায় গল্পগাথা,
নয়নতারায় আগুন জ্বলে, পোড়ে ব্যাথা ।

Sunday, March 24, 2019


অমৃতস্য পুত্র
তাপসিক্ত রুদ্রপথে ঠিক পৌছে যাব সুর্য তোমার উজ্জ্বল হৃদয়ের অন্তঃস্থলে,
দহিত হতে হবে,অর্ঘ্যে উৎসর্গ করতে হবে অহংকারউল্লাস,পাপবিন্যাস,
কেবল নাভিমূলে সযতনে লুকিয়ে রাখবো আমার বিবস্ত্র আভিমান।
খুঁজে ফিরি গলিপথে,শুকনো রাতের বিবস্ত্র কামনায়, ভিজে দিনের ঘোড়দৌড়ে।
অনাবশ্যক অনেকটা পথ পেরিয়ে এসে যখন ক্লান্ত ঘর্মাক্ত মনে তালচাটাইতে শুয়ে
অশথ্থ এর ঠিক মাথার সবুজ কচিনিঃশ্বাসগুলোর দিকে চোখ পড়ে যায়,
ভাবনাগুলো সব সচকিত কথাকলির নামাবলি নেয় পড়ে, করলাম টা কি?
ঠিক পথে হেঁটেছি কি?
রাত যখন তার উদ্দামডানা মেলে আকাশটুকু ঢাকতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে,
চুপিচুপি রামধনু জাগে তারাদের ঠেলে সরিয়ে, ডাকে অমোঘ ইশারায়,
রঙ্গিনী নদী চড়ুইছন্দে গান ধরে অমোঘ আহ্বান বলে আয় নেচে নেচে ডুবি,
ইশারায় জীবন জানতে চায় সেই আটপৌড়ে প্রশ্নটা,
কোন গাঙচিলের মোহনায় কাটিয়ে দিলে এতটা সময়?
এই শহরে এই গ্রামে ঘেঁয়ো ঘরগুলো কতশত মরা জীবনের লেদকারখানা
সচল রাখার উত্তেজনার বশে ভেঙে পড়ে,আশ্রয় খোঁজে নিজ নিজ খালাসিটোলায় ।
আমলকি বনছায়ায় আকাশদুগ্গা তুমি যখন  কলসজলে শাওন ডেকে আনো,
বাউন্ডুলে ভাবনাগুলো পাগলামি শুরু করে ,সবাই একজোট হয়ে বলে ওঠে,
চাইনা এই অন্ধকার কালরোগগ্রস্ত কেঠো বেন্চে বসে অরঙিন চা খেতে চাইনা,
আকন্ঠ পাঁকে ডুবে চিৎকার করে বলে উঠতে চাই,
মহাভারতের আদিপর্ব থেকে এতটা পথ পেরিয়েও হে পঙ্গু ইশ্বর
কেন একটা  মানসভূম তৈরী করতে হলে অপারগ ?
সবকিছু গুলিয়ে যায়,
ব্যর্থসঙ্গমে লিপ্ত হয় ফোঁটা আর না ফোঁটা হাসনুহানা কান্নাজল
জানি যেতে হবেই সুর্যের কাছে ,আশা আছে,
আহুতিতে বিসর্জন দেব আমার অপাপবিদ্ধ একান্ত আজন্ম ভালবাসা,
সব আভরণ ত্যাগ করে
বিস্ফোরণ আর বিস্ফোরণের অমোঘ আলিঙ্গন দেখবো অন্ধ ধৃতরাষ্টের চোখ দিয়ে
আজ
এমনকি আজ হতে হাজারকোটি বছর পরেও,
চৌরঙ্গীর পিচগলা চৌমাথায় দাড়িয়ে মধ্যদুপুরে।

Saturday, March 23, 2019

শহর বাউল রাতআধাঁরে, একতারাতে কি সুর বাজে,
ঔ আকাশে,জাগে মাতাল মন কোন মৌতাজে?
সে কোন দেশের তরে সওদাগরের নৌকা সাজে
 আবছা অবুঝে নয়নতারা ভিজে যায় ,যায় ভিজে ।
হৃদয় ভাসে ভেসে যায় একতারা বাজে রে বাজে,
একলা বাউল জাগিস কাঁদিস মরিস্ কিসের খোঁজে ।

Thursday, March 21, 2019

আজ কবিতার দিন,একলা ছাদে বসে দু লাইন জীবনের জলছবি না এঁকে পারলাম না, অস্থির বাক‍্যমালা

দুগ্গাসুতমাসু(২)


জানো আজ আমি আর ক্লান্ত রঙ্গন আলো আঁধারের মিলনের গান শুনছিলাম, আকাশের কাছাকাছি
সাথী একলা নীরন্ন বক নিথর নারিকেল চুড়ায় ,সবাই তো আজ রঙিন খাদ্যের বড়ো আকাল।
কি গভীর আলিঙ্গনে দিন গেলো আবেশের রাত গভীরতায় , আর এই শহরবাউল মগ্নহংসবলাকায় ।

আকন্দবন সার দিয়ে এসে জড়িয়ে ঢাকে মনবনের ফাগ, নীরব নরম মরা শালুক জলে ডুবতে ডুবতে
ঘুমিয়ে পড়ি ।বুঝতে ভুল করি আছি না কি মরেছি ।কচি সবুজ পাতায় মরাফাগুন মনে পড়িয়ে দেয়
পুর্নগর্ভা চন্দ্রিমায় তুমি কথা দিয়েছিলে পাশে থেকে রেখে আদুরী হাত, চলাচল,বাকিটুকু টলমলে পদ্মপাতায়।

হায় ,বারে বারে আকাশের কাছে ছুটে যাই,সাহস ভরে পারিনা তাকাতে, বাক্ শুন্য আরশী ভেঙে চুরমার,
,স্বপন দোলা যায়  ছিড়ে, পড়ে , প্রেম কেন যে এখনো মরেও  বেঁচে থাকে, মৃত্যুপ্রতিক্ষা কি পিচ্ছিল রক্তিম , আমিই পাপ ,অবুঝ আতঙ্ক ভীড় করে করে আসে যদি দুগ্গামুখ ভরে যায় অসহায় ঘৃণায় ।

কত কথা পলাশ শিমুলে সুরে চায় সাজতে আলোকমালায়, উন্মনে গৃহবাসী খোলে দুয়ার,অব্যক্ত প্রশ্নমালা ,
উত্তর সব অথৈ চোরাবালুকাবেলায় , জীবন তোমরা সব থেকো যে যার জায়গায়, আলো আর অন্তিম অন্ধকারে , দুগ্গা কিছুই যে পারিনা, হয়তো তাই আমি নিদ্রায় একবুক ঝরাপাতায়।

Monday, March 18, 2019

পারিনা, কিছুই। কারো সাথে ঠিক ভাবে কথাও বলতে পারি না, ইচ্ছে ও করে না, ইচ্ছে গুলো সব মরে যায়, জানি আমি একটা ক্লাউন, আড়ালে সবাই এর ই উপহাসের পাত্র।বড় কঠিন এই মরে বেঁচে থাকা, আমার আকাশ দুগ্গা গো,আমাকে একচিলতে ঘুম দাও,আমি কতদিন স্বপ্ন দেখি নি। দুগ্গা আমাকে একটা আবরণ দাও, আমি লুকিয়ে থাকি সব্বার কাছ থেকে, আঁধার আমার আরও গভীর গাঢ় করে দাও দুগ্গা, আমি ও অন্ধকার হই।
Sei pagoler path chola,path bhola,bhule abar fire asa,mone hoi hajar bochor age ei path diei heteche ,kintu sob kemon jeno ochena,chena rastay noton moram,chena gacher pata jhora,kemon jeno onnorokom ,jibon nodite joar ar bhata,uthalpathal majdoria,baisakher agomoni,sumul polasher bidayer sur,dur koto dur,madhukorite berote hobeto,manus gulan kemon jeno onnorokom,choker jol,jhapsa charidhar,path khuje fera jabeto
বছর দুই আগে লেখা,আজ ও এক ই ভাবা।

Thursday, March 14, 2019

এক অতি কাছের পড়শী আজ চলে গেল অন্য পাড়ায়,কষ্ট ঢাকতে ই আবার লেখা,আর তো পারিনা কিছু ই
       
       অরিন্দম তুমি

ওই আকাশপথের শেষে বসত বসছে একের পর এক,
তুমি রা সব চলছো  এতো তাড়াতাড়ি, হাত দিও বাড়িয়ে।
কান্না গুলো সব মেঘপালক,
ঢেকে দিচ্ছে সবটুকু নীল জোছনা, ভালো থেকো,অবশ অবসরে।
শুন‍্য দেউলিয়া বাঁশী,চলো যাই ,যদি ফিরে পাই একটুকরো সোঁদা গন্ধে ধোয়া শাওন মন, একফালি ওই আকাশ উঠোন।
ভালো থেকো, সুর্যের কাছে চাঁদ পাহাড়ের গল্প শুনো চুপিচুপি।

Monday, March 4, 2019

এই গভীরে, আঁধার তুমি আজ ভিজছো আকাশজলে,
বাজছে মৃদঙ্গ,মরনসাগর জাগো লগ্ন যায় যে অস্তাচলে।

Saturday, March 2, 2019

নীল নীরবে
একটা সময় সব কিছু ফেলে যেতে হয়,
হতে হয় নিরাভরণ,পিপড়ের মতো সারি দিয়ে যে পথচলা,তবলার বোল আর আসে না বনবীথিকায় সুর জাগাতে। সব বলা কথার শেষ।এখন গল্প জুড়ি গাছ, পাখি আর আমার হলুদ সবুজ একটুকরো ক্লান্ত আকাশের নয়নতারার সাথে।সবটাই একান্ত গোপনে,আমার পাগলামিতে ভিজিয়ে ভিজে  পান করি এককাপ ভালোবাসা।
যাবার আগে তোড়জোড় তো করতেই হয় ,
দুগ্গা যাবার আগে তোমার জন্য রেখে যেতে চাওয়া,
মাঠভরানো ধানের শীষ,লেবু ফুলের গন্ধে মাখামাখি করা,এক উঠোন ছাতারপাখির দামাল হাসি,
তোমার জন্য রাখবো ই আমার রাত জোনাকের আগুন পরশ, একনদী আবেগবন‍্যা, কালপুরুষের আকন্ঠ প্রেম।
জানো,কাল ভোরে তোমার নিমফুলেল হাসি আমাকে দোলা দিল,আমি তখন আরশিনগরের দিকহারা গ্রামের মনবাড়ির উঠানে মাটির ওম নিতে নিতে নিচ্ছি একবুক স্বপ্ন। তুমি শুধোলে ,আছো কেমন ? আমি তো অবাক, তোমার তো চুল গেছে পেকে, হাসি হয়েছে আরও নিটোল, আমি বলতে চাইলাম, আমি তো গাছ হয়ে গেছি,যাবার আগে আমার হৃদিকোনে জমাট বাঁধা সব সব সবটুকুই তো দিয়েছি তোমার চোখের লুকানো জীয়নকুঠুরি ভরে, বলতে চাইলাম,
আমাকে শুধু একবার তোমার হাতটা দাও, আমি আমার বুকে ছোঁয়াই, ডুবে যাই জলঙ্গী জলে,তোমার চুলের গন্ধে ভিজে আমি শঙ্খচিল হই একবার একবার ই। অন্তে গাছ, শঙ্খচিল আর সব ই একাকার।
পারলাম কই ? কোথায় যে হারিয়ে গেলে?