আজ কবিতার দিন,একলা ছাদে বসে দু লাইন জীবনের জলছবি না এঁকে পারলাম না, অস্থির বাক্যমালা
দুগ্গাসুতমাসু(২)
দুগ্গাসুতমাসু(২)
জানো আজ আমি আর ক্লান্ত রঙ্গন আলো আঁধারের
মিলনের গান শুনছিলাম, আকাশের কাছাকাছি
সাথী একলা নীরন্ন বক নিথর নারিকেল চুড়ায়
,সবাই তো আজ রঙিন খাদ্যের বড়ো আকাল।
কি গভীর আলিঙ্গনে দিন গেলো আবেশের রাত গভীরতায়
, আর এই শহরবাউল মগ্নহংসবলাকায় ।
আকন্দবন সার দিয়ে এসে জড়িয়ে ঢাকে মনবনের
ফাগ, নীরব নরম মরা শালুক জলে ডুবতে ডুবতে
ঘুমিয়ে পড়ি ।বুঝতে ভুল করি আছি না কি মরেছি
।কচি সবুজ পাতায় মরাফাগুন মনে পড়িয়ে দেয়
পুর্নগর্ভা চন্দ্রিমায় তুমি কথা দিয়েছিলে
পাশে থেকে রেখে আদুরী হাত, চলাচল,বাকিটুকু টলমলে পদ্মপাতায়।
হায় ,বারে বারে আকাশের কাছে ছুটে যাই,সাহস
ভরে পারিনা তাকাতে, বাক্ শুন্য আরশী ভেঙে চুরমার,
,স্বপন দোলা যায় ছিড়ে, পড়ে , প্রেম কেন যে এখনো মরেও বেঁচে থাকে, মৃত্যুপ্রতিক্ষা কি পিচ্ছিল রক্তিম
, আমিই পাপ ,অবুঝ আতঙ্ক ভীড় করে করে আসে যদি দুগ্গামুখ ভরে যায় অসহায় ঘৃণায় ।
কত কথা পলাশ শিমুলে সুরে চায় সাজতে আলোকমালায়,
উন্মনে গৃহবাসী খোলে দুয়ার,অব্যক্ত প্রশ্নমালা ,
উত্তর সব অথৈ চোরাবালুকাবেলায় , জীবন তোমরা
সব থেকো যে যার জায়গায়, আলো আর অন্তিম অন্ধকারে , দুগ্গা কিছুই যে পারিনা, হয়তো তাই
আমি নিদ্রায় একবুক ঝরাপাতায়।
No comments:
Post a Comment