Sunday, March 24, 2019


অমৃতস্য পুত্র
তাপসিক্ত রুদ্রপথে ঠিক পৌছে যাব সুর্য তোমার উজ্জ্বল হৃদয়ের অন্তঃস্থলে,
দহিত হতে হবে,অর্ঘ্যে উৎসর্গ করতে হবে অহংকারউল্লাস,পাপবিন্যাস,
কেবল নাভিমূলে সযতনে লুকিয়ে রাখবো আমার বিবস্ত্র আভিমান।
খুঁজে ফিরি গলিপথে,শুকনো রাতের বিবস্ত্র কামনায়, ভিজে দিনের ঘোড়দৌড়ে।
অনাবশ্যক অনেকটা পথ পেরিয়ে এসে যখন ক্লান্ত ঘর্মাক্ত মনে তালচাটাইতে শুয়ে
অশথ্থ এর ঠিক মাথার সবুজ কচিনিঃশ্বাসগুলোর দিকে চোখ পড়ে যায়,
ভাবনাগুলো সব সচকিত কথাকলির নামাবলি নেয় পড়ে, করলাম টা কি?
ঠিক পথে হেঁটেছি কি?
রাত যখন তার উদ্দামডানা মেলে আকাশটুকু ঢাকতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে,
চুপিচুপি রামধনু জাগে তারাদের ঠেলে সরিয়ে, ডাকে অমোঘ ইশারায়,
রঙ্গিনী নদী চড়ুইছন্দে গান ধরে অমোঘ আহ্বান বলে আয় নেচে নেচে ডুবি,
ইশারায় জীবন জানতে চায় সেই আটপৌড়ে প্রশ্নটা,
কোন গাঙচিলের মোহনায় কাটিয়ে দিলে এতটা সময়?
এই শহরে এই গ্রামে ঘেঁয়ো ঘরগুলো কতশত মরা জীবনের লেদকারখানা
সচল রাখার উত্তেজনার বশে ভেঙে পড়ে,আশ্রয় খোঁজে নিজ নিজ খালাসিটোলায় ।
আমলকি বনছায়ায় আকাশদুগ্গা তুমি যখন  কলসজলে শাওন ডেকে আনো,
বাউন্ডুলে ভাবনাগুলো পাগলামি শুরু করে ,সবাই একজোট হয়ে বলে ওঠে,
চাইনা এই অন্ধকার কালরোগগ্রস্ত কেঠো বেন্চে বসে অরঙিন চা খেতে চাইনা,
আকন্ঠ পাঁকে ডুবে চিৎকার করে বলে উঠতে চাই,
মহাভারতের আদিপর্ব থেকে এতটা পথ পেরিয়েও হে পঙ্গু ইশ্বর
কেন একটা  মানসভূম তৈরী করতে হলে অপারগ ?
সবকিছু গুলিয়ে যায়,
ব্যর্থসঙ্গমে লিপ্ত হয় ফোঁটা আর না ফোঁটা হাসনুহানা কান্নাজল
জানি যেতে হবেই সুর্যের কাছে ,আশা আছে,
আহুতিতে বিসর্জন দেব আমার অপাপবিদ্ধ একান্ত আজন্ম ভালবাসা,
সব আভরণ ত্যাগ করে
বিস্ফোরণ আর বিস্ফোরণের অমোঘ আলিঙ্গন দেখবো অন্ধ ধৃতরাষ্টের চোখ দিয়ে
আজ
এমনকি আজ হতে হাজারকোটি বছর পরেও,
চৌরঙ্গীর পিচগলা চৌমাথায় দাড়িয়ে মধ্যদুপুরে।

No comments:

Post a Comment