Monday, April 29, 2019

         (  ১)

আমরাও বাঁচি
রোদেলা বিকেল,অনেক অনেক পথ পেরিয়ে
গ্রাম ছাড়িয়ে দুচোখ ভরে তুই আকাশপানে।
পার হয়ে গেলো একটি দুটি কতক  জীবন ,
তুই কি সেই আগের মতো আছিস, বহমান,
অনর্গল ।পায়ে হাতে ছুয়ে পাই তো শুধুই অশ্রুপাথর ।
তুই কি ওরে পাগলপারা ইছামতী ?

চাঁদেলা সাঁঝবেলা ফিসফিস কানে কানে, দে দৌড়
দে দৌড়,একটুখানি অন্য ভুবনে আপন সুরে ,সব
হারিয়ে বকুলব্যাথা,কুল যে ভাঙে উথাল ঢেউ কষ্নকলি ।
ওই যে হোথায় ঔ সুদূরে বৄষ্টি রাঙা স্বপ্ন চর আবছা
নিথর, সব ভেসে যায়, তবু জাগতে চায় পাইন হাওয়ায় ।
তুমি নয় তো সেই বিদ্যাধরী ?

একেলা আকাশ,ছোট্ট ডিঙি, ঠায় দাড়িয়ে,কিসের খোঁজ?
আঁধার নামে, ওকুল কাঁদে, নাও ভাসায়ে ভাসা মন ।
বৈঠা হাতে ,সে হাত কাঁপে, অথৈ মাঝে ভাটিয়ালি
খোঁজের খোঁজ, চোখের জল, ডুব সাঁতারে অমুল্যধন ।
এত শিকলেও বাঁধন টুটে আপন ধারায় অগাধ অশেষ
মরেও বাঁচিস ,অমৄতপানে শীর্ণ কোপাই ।

সরস্বতী জেগে ওঠ ,কানা নদী বয়ে চল আপন সুরে
জ্যোৎস্না ধারায় নেচে নেচে গেয়ে চল নিজের সুরে
নদী তুই জাগ , বেঁচে থাক আপন ধারায় মরিসনা ,
দিন কাল সময় বর্তমানে ভবিষ্যতে মেলে ধর ইচ্ছেডানা ,
নদী তোর অবলম্বনে আমরাও বাঁচি ।

                   (২)
বাঁচি কি ?
অনেক পথ পেরিয়ে আজ সব নদী মরূসাগরে,
বাঁজে বিউগল,হুইসেল সুতীব্র, যন্ত্র বসত গড়ে।

গভীর গহন মনে তীব্র ঝড়ের নিশিডাক মাঝরাতে,
মরানদী পুর্ন দেহবিভঙ্গিমার অতীত স্বপ্ন সাক্ষাতে।

জারূল,অমলতাস, কৃষ্ণচুড়ায় আজ ও ভরে বুক,
আদেখলপনার চোখে আদরে কাজলকালো সুখ।

সর্বহারানদী  শেষপারাণির মাঝি,ভাসে ,ডোবে নাও,
একা কান্না,আঁজলা ভরে ঘৃণা আর ও ঘৃণায় ভরাও।




Thursday, April 25, 2019

অনিমেষ হায় নবারুণ,স্বপ্ন পুড়ছে, জীবন মরছে, আমাকে এই সমাজে চাইনা।
গ্রাম ,শহর, নদী কাঁদছে,সভ‍্যতার বিদায় হুইসেল বাজিয়ে,আছি কেন? এই মন্বন্তর।ঘোলাটে সকাল,অচেনা স্টেশন, ট্রেন থেমে যায়, মালগাড়ী সহাবস্থানে, আকাশবাণী মৃত্যুর অনিবার্যতায় ।

নীল আঁধার ,আগুনে ঘুম ঝরছে, চাইনা ভরপেট অনাহার চাই না।
রেসের মাঠ পাগলকোলে,মাতাল ঘোড়া মুড়ির ঠোঙায়,
বিলাসীবালা গোলাপ গাঁদায়। একলা কান্না সব নীরব মহাসাগরে নির্মোহ সুর সাধছে।
পাহাড় চূড়া বনভোজনে, তার ছেঁড়া সব তালের সারি, রুপসী চা শীতঘুমে,ছররা গুলি উদাম নাচছে।

ভাঙা বেঞ্চে পাতা ঝরছে,জমছে আগুন , উন্মাদ উচ্চাকাঙ্ক্ষা,এই সমাজে শঙ্খনিনাদ, উন্মাদ মত্ত মরিচীকায, আঁজলা ভরে বিতৃষ্ণা , অক্ষম মৈনাক, সমাজতল পদপৃষ্ট ভাবনা,চেতনা,এই সমাজ আমাকে চায়না ,না।

ভুলভুলাইয়া,সান্ধ‍্য বাসর, স্তব্ধ অনুভব,মাথার উপরে চক্কর কাটে নীলকন্ঠ ঝাঁকে ঝাঁকে,অতলদীঘির জলে শকুনের দল গায় গান। সুধী সুন্দর পৃথিবী আরও যৌবনবতী হও,আর চাওনা যখন ,একটু যাওয়ার রাস্তা দাও। একটু হালকা আর আবর্জনা মুক্ত।

শীতাতপ তুমি দাবদাহে কুসুম কুমারী, পথভ্রষ্ট,চলৎশক্তিহীন, দৃষ্টি শুন‍্য হোক,কবে তুমি দুগ্গা কচুগাছ তলায়,অবশেষের শেষ সকাল অথবা সঘন সাঁঝবেলায়। একটু যাওয়ার পথ চাই, তোমাকেই চাই শেষ পর্যন্ত।





Friday, April 19, 2019

প্রখর তপনতাপে মনন চিন্তন সহজিয়ার মেঠো সুর কোথায় যে ভেসে যায় ।নিজেকে আলোকেরবৃত্তে ধরে রাখার কি কঠিন সংগ্রাম । পলাশ শিমুল করবী আর তো চোখে পড়েনা । সবাইতো মুখোসের আড়ালে।একটু যদি বাউল মন অসুর থেকে সুরে ছাতিমের আদরে একটু শীতলপাটির কোমল ছোয়ায় নিজেকে ভেজাতে পারতো ।

                সরস্বতী
আজ অবসন্ন বিকেলে তোর কথাগুলো  সশব্দে আর্তনাদে
উপহাস করছে ।বছর কুড়ি,কতটুকুই বা সময়?
“বাবু গো আমার কোন উপায় নাই গো বাবু,সত্যি উপায় নাই”।
কথাগুলো আজও বুকটাকে আমার ভাঙে চুরমার করে দেয়,বারবার।

সুয্ ওঠে ,নামেও ,আবার ওঠে,বাপটা তো বিছানার সাথে মিশতেই আছে,
কাজে যাবে কিভাবে?মা, তার তো এখন অন্য মরদ।
“বাবু গো আমার কোন উপায় নাই গো বাবু,সত্যি উপায় নাই”।
কথাগুলো আজও আমার মুখোসটাকে ছেড়ে,লবনাক্ত করে দেয়,বারবার।


আগলা উঠোণ, ছেড়া চাটাই, আমি আর মুখোমুখি ক্ষয়ে যাওয়া নারী,

পাহাড়মুলে সন্ধ্যা নামে দ্রুত পায়ে,বিকেলটা ছটফট করতে থাকে,

ওষুধ নয়, একমুঠো চাল,একটু দুধ বা ডিম,

ফরমায়েসি নব্যকবি,কলম ভাঙে, প্রশ্নটা মরে, উত্তরটাই কেবল এই পাহাড় থেকে

ঐ পাহাড় থেকে আশ্রয় নেয় চিলেকোঠায়, আজও এখনও “বাবু গো আমার কোন উপায় নাই গো বাবু,
সত্যি উপায় নাই”। ওরা কি এখন গাছ হয়ে গেছে, আমি কিন্তু বেশ আছি,সখের কাব্যবিলাসী।

                   
                       সুধা
তোদের সেই মাটির বাড়ী, এত্তো বড় সব ফাটল,জামরুলতলা,পুকুরধার,
ছোটঠাকুরের ঠাকুরগড়া,ছেড়া ফ্রকের সেলাই পকেট ভরে কত বনকুল,
বাবার পেটোন, দে দৌড় দি দৌড়, রেললাইন,কান পেতে ধিকি ধিকি গান, চন্ডিতলা,
একলা দেউল, চল্ না একবার জোড়হাতে সেই চাওয়াটাই চাই চল্ দৌড়

অকুল ছাপিয়ে কোথা থেকে বন্য বন্যা এল,মাঠ ভরে কেবল তন্বী ,পাগলী উল্লাসী,
ছাদ ভরে কত তুই আমি রা ,তোর ডাকাতিয়া বাবা কেমন যেন নেভা কালবৈশাখী ,
রোদ এলো কত্তদিন পর,সবই তো গেলো, সব ,সব, সব, খুদে আর কলমিবনে তোরা
কেমন যেন হতে থাকলি মলিন মালকোষ।তুই আমার থেকে দুই না তিন কত বড়ো
ছিলি রে ?

এলো সেই দিন, আজও একলা ঝরে মনে পড়ে,আমায় এক ভরা দুপুরে আজলা ভরে আদরে ডোবালি,
সেই সেই সাঁঝবেলাতেই কোথায় যে গেলি পিদিম জ্বালাতে আর তো এলিনা,
আজও হঠাৎ করে থমকে যাই, এই মরাবেলায় আয় না নিয়ে একতাল কাদা ,
আমি একটু ছোটঠাকুর হই।তুই কি এখন হয়েছিস ভিজে আকাশ।

নন্দিন

আমিই তোকে ওই নামেই ডাকতাম,আজ ও ডাকি,তুই শুধু, পালালি কত্ত দুরে ,পুনে সারাদিন, সেই রেললাইন, অমোঘ আলিঙ্গনে, অনিমেষ ক্লান্তি মৃত্যুর বেসাতি করে। হাসি পায় জানিস,তোর একলা বাবা,তুই ,আমি কতরাত ঔ আকাশ ভেলা,নীল আকাশে তারার মালা গুনতাম, বন্ধু চল।

তুই পালাবি কত দূর,আর জীবনটাই তো অভিনয়, নতুন করে শিখতে গেলি। এখনও জানিস, চুপিচুপি, এখনও রেললাইনে কান পাতলেই তোকে দেখি,আগল খুলে যায়,হা হা হাসি ঝরঝর ঝরে পড়ে,  ধাক্কা দেয়না পাশের দেওয়াল,যাব, যেতেই হবে আকাশ ছুঁতে।বন্ধু থাকিস আনমনে।

Tuesday, April 16, 2019

                   জীবনরে

পদ্মদিঘীর গহিন টানে মন জাগে সে কোন ভোরে,
অমলতাসে মিলতে চায়, পরাণ কান্দে  মেঘমল্লারে ।

আকাশপুরে ঐ হলুদ বাড়ী হোথায় আমার বসবাস,
ইতি উতি মাধুকরী,মেঘল  ভুবনডাঙা দিয়েছে নির্বাস।

আগল খোলা, চোখে ভাসে  সবুজ অবুঝ দ্বীপ সুদুর,
কান্না জমে হাঁটি হাঁটি, দুগ্গাহাসি লুকোচুরি স্মৃতিমেদুর।

বাত‍্যজীবন ঝরামায়া, হৃদি মিলায় দগ্ধদিনে নিঃস্বরাতে,
শব্দহীনে আর্তনাদ,স্পন্দনেতে প্রলয়নাচ মাঝবেলাতে।

কোথায় তুমি ভালোবাসা,বন‍্যাঘৃনা চতুর্দিকে মৌন মুখর, নিরূদ্দেশে,অর্থহীনে চলন ভাঙে,সবখানেতে রক্তচাদর।

জ‍্যোৎস্নাবনে চিতার আগুন,ধিকি ধিকি অন্ধ আগমনী,
মরণ এসো অমোঘ আলিঙ্গনে,ভরাও অশেষ চিরন্তনী।

কালচক্র অনন্ত অব্যয়,হায় রে হায়,দিন আসে দিন যায় ধুলিধরায়  জীবন জুড়ে যত অনুভব মেশে ঝরাপাতায়।

অন্তরায় সুরের তৃষা,গাভীর চোখে ইতিরকথা, ইচ্ছেঘুড়ি,
ভুলভুলাইয়া,পথেরশেষ,হাসছে নীলকন্ঠ হাজার দুয়ারী।

            

Monday, April 15, 2019

পথের শেষ কোথায় ,পাগল মন কেইবা জানে,
উজানে না ভাটায় , নাও ভাসাই  কোন পানে।
দুগ্গাসুতমাসু(৩)

ওই যে উদাসীন আকাশ, আছে এক হলুদবাড়ি,
যাচ্ছি আমি,যেতে তো হবেই, আড়ি প্রাণ আড়ি।

জানো, মনে হয় মাথার মাঝে চলছে বিস্ফোরণ আর বিস্ফোরণ,
যা চাই বলতে , পারিনা, কেবলই খুঁজে ফিরি অনিমেষ অন্বেষণ।

লুকোচুরি খেলতে খেলতে , আগুনরঙা তপ্ত মরুভুমি.চাঁপার বনে ক্লান্ত রাখালিয়া বাঁশী.
অব্যক্ত বর্ণমালা. ছবি জলরঙা. অস্পৃশ্য স্পন্দণ.মহাশুন্যে কৃষ্নগহ্বর,ঠোঁটে পাগলী হাসি।

সবকিছু বড়ো যান্ত্রিক, হরিণ সেও তার তৃস্ণা ভোলে মরা যৌবন,
ভাটিয়ালী গান নীরব নীল , শুখা নদী বুক , অসহায় আত্মসমর্পণ।

কুৎসিত দুটি চোখ বাঁচিয়ে রাখা পৃথিবী সবুজ সুন্দরী,
আলগোছে বসা অনন্ত অবসর আনমন কবন্ধ মাধুকরী।

শেষের আগমনী

Sunday, April 14, 2019

হে প্রভু,নাথ হে এই নতুন বছরে আমাকে,ঐ একলা আকাশের হলুদ বাড়ীতে আশ্রয় দাও আমি আলগোছে বসে আমার কুৎসিত চোখ দিয়ে সুন্দর পৃথিবীকে দেখবো আর শেষ হবো।

Saturday, April 13, 2019

আজ চৈতি হাওয়ায় আমার জানালায় নিমফুল তার শাখায় শাখায় হেসে হেসে ভালোবেসে ফিসফিস করে জানান দিয়ে যাচ্ছে নতুনের আগমনী গান । লেবু ফুলের গন্ধে আমোদিত পাগলমন।একলা টলোমলো পায়ে যে মাধুকরীর শুরু আজও নব নব পথে মানবসাগরে বহমান তৄষ্না নিবারণের অন্তহীন আকাঙ্খায় বহমান ।আজ নীড়ে ফেরার গান,ঝরা পাতার গান মনকে বড়ো ভিজিয়ে দিচ্ছে,কাঁদিয়ে দিচ্ছে ।জীবনভোর কিসের খোঁজ,কেন যে এই পথ চলা ? নিজেকে চিনতে চিনতেই তো প্রদীপের তেল শেষ হয়ে যায় ।এতো মায়া এই ভুবনজুড়ে। মানুষতো একে একে সব্বাইকে ছেড়ে কেবল নিজের জন্যই বাঁচে ।ছোট আর কিশোরবেলায় এমনকি কিছুটা বড়োবেলায়ও তো মায়ের গন্ধ ছাড়া তো ঘুম আসতো না  । এখন কিন্তু দিব্যি টিকে আছি ।সেই সব সাথী যাদের ছেড়ে দিন কাটতো না সময়ের বাদলধারায় তাদের ছেড়ে পথ এগিয়েই চলেছে ।দুটো ভাতের দানার জন্য কি অর্থহীন কুৎসিত লড়াই । আজ আছি কাল নেই তবু তবুও ।জান্তব লালসা কত ফুল যে অকালে ঝরায় । কোন প্রাণ যে ফেরাতে পারিনা, এতো এতো অসহায় ।  সততা ,ভালোবাসা ঝরে পড়ে,আঁধারে হারায় । যে মায়ামৄদঙ্গ মন মাতাল করে দেয় সেই সুরও কোন সুদুরে কোন অস্তাচলে মিলায় ।তবুও যে পথে হাজার বছর আগে কোনো পাগল হেঁটেছিল আজ হাঁটে এই শহর বাউল ,একলা হাতে একা একতারা, কোন্ সুরে যে বাজে ।কাল হাঁটবে অন্য কেউ ।জীবনে কত পাপ, কত অন্যায়,কত ভুল এ জীবনে একটা ভালোমানুষ হওয়া হলোনা। কোনও কোনও পল আসে , যখন ফিরে দেখা ছাড়া কিছুই করার থাকেনা ।তবু স্বপ্নমন ইচ্ছেডানায় ভর করে ইতিউতি কেবলই ঘোরে সে কোন মধুমরীচিকায়, একে তো “BLOCK” করা যায়না ।
সবেরই তো একটা বিরতি বা অন্ত আছে । আজ চৈত্রশেষে এই “WALL” এ নিজের ঢাক নিজে পেটানোর জন্য একটু মাফ চেয়ে নেওয়া। নতুন বাংলা বছরে সব্বাই ভালো থাকুন ।এই ভিজে অন্ধকারে আপনারা সবাই জেগে একটু ঘরে ঘরে দুর্গাদের আপনকথামালায় বাঁচতে দিন ।ঘরে ঘরে অপু দুর্গারা প্রস্ফুটিত হোক,বিকশিত হোক ।  আমি একটু আমার দুগ্গার পুজোর মন্ত্রোউচ্চারনে নিজেকে ভেজাই ।সওদাগর নাও ভাসাও , ওই কুল যে ডাকে ।
 ।।শুভ নববর্ষ।।

Friday, April 12, 2019

এই বয়েসে
----শক্তি চট্টোপাধ্যায়

এই বয়েসে একটু আগুন পেলে আমার লাগতো ভালো।
যা অবশেষ, কিংবা কালো ---
পুড়িয়ে যদি খানিক পেতাম বাঁচার আলো,
লাগতো ভালো,
এই বয়েসে একটু আগুন পেলে আমার লাগতো ভালো।

কী আর এমন বয়েস তোমার?
মাথায় ময়ূরপুচ্ছ বাহার,
কী আর এমন বয়েস তোমার?
নিকটবর্তী শান্ত পাহাড়,
এখন কী সেই যাবার সময় ---
অলুক্ষুণে, যাবার সময়?


হয়েছে সময়


Thursday, April 11, 2019

আজ উদয়বেলায় পাগল মন ভরে গল্পমেলায় ভরে ছিল করবীতে অতসীতো কতদিন আসেনা ।কত যে কথামালা । হাসনুহানা মত্ত হলো তালভঙ্গতায় ।নীরব ভোরের ঘুম ভাঙ্গিয়ে পাগলের কানে এলো ঢাকের আওয়াজ ।চড়কের ঝাপ শুরুর সুর ।আজ রাজা হবে ফকির, ফকির রাজা ।জীবনের আরেকটা পাতা ঝরার দিন এলো যে ।মাধুকরীতে আজ সারা দিন কাটে মানুষের মন খুঁজে, কত যে মন কত তার রকমফের ।মনপাগল দিনের বিদায়ে যখন আকাশের তারাদের খুজতে বসে ভরাচাদ,পুণি্মায় ভরাযৌবনের গানে তাকে ভিজিয়ে দেয় ,ভরিয়ে দেয়, জীবন এতো যাতনাবিধুর । পাগল আরো পাগলামিতে নিজেকে ভরিয়ে তোলে ।মনপাখি ভোলে তার উড়ান ।

মনে পড়ে যায়, ভিজে যাই।

Tuesday, April 9, 2019

বিশ্বাস, রাখি সযতনে,
 আধারে আলো তুমি পারিজাত।
যেও না থেকো কাছে,
হৃদয় মাঝে ,,আসুক না যত আঘাত।

পাগলী তুই  আজ প্রলয় নাচে মাতলি মন উথালপাথাল
আমায় কি সাথে নিবি? ভিজছে যে জীবন  রাতসকাল।

মিলবো আমি তোর ই সুরে,মরব যে আজ রূদ্র দহন,
সব যে আজ এলোমেলো,তোর ই কাছে হৃদয় ক্ষরন।

Monday, April 8, 2019

পাগলী তুই এলোমেলো, আকাশগঙ্গায় ভৈরবী,
ডুবছি .কাঁদছি অমৄতসুখে ,ভিজে হৄদিজলছবি।
জাগছি  . গলছি ,হারিয়ে যাচ্ছে আমার সবই,
“The winds blow…
The lightning’s fall
The space overflows,

Sunday, April 7, 2019

মৃত্যুকে রেখেছ ঢেকে ,কি আবছায়ায়,
 দিয়ে মায়া মরিচীকা,  ছেড়াজীবনের চাঁদর,
টুকরো টুকরো কাপড়ে মোড়া গড়াভাঙায়
রঙিন বেপথু আলখাল্লা , কোন সে ওস্তাগর?

কত দিন কত বছর যে লাগে মৃত্যুর খুন
লাশকাটা ঘরে ,পোড়া স্বপ্ন আর ক্লান্ত স্বাধীনতা।
দম দেওয়া পুতুল বন্ধ শ্বাস,চলে ফেরে,ভাসে,
আরামকেদারায় চুমুকে অনাহারের ছেঁড়া খাতা।

বিপন্ন বিপ্লবআগুন মহাসিন্ধুর গভীরে অতলে,
দীর্ঘায়ু কাপুরুষ জাগে ক্লীব সুশীতল কামনা।
এলো ধানমাঠে সুযৌবন আড়মোড়া ভাঙে
এটো চা,ভাগে বিড়ি,পুড়ছে মুখোশ , কালোকান্না।

চাইনা চাইনা,ভরপেট ঘুম চাই উদোম বটতলায়।





Saturday, April 6, 2019

আগুনের একেবারে মাঝখানে  এসে
দাড়ালে আর আগুন লাগে না ।
মাঝসমুদ্রে জল খেলা করে ঢেউ
পাগলামো ভোলে মাঝিকে ছাড়েনা  ।
পুড়ছি,মরছি,ছাই চারিদিকে শুধু
জীবন, পরমায়ু কতটুকু জানিনা।
দাও ভিজিয়ে,ধুইয়ে দাও আমার একলা কান্না,
কেবল আগলে রাখি আমার চৈত্র, গহিন যাতনা।
আকাশে বিদ্যুৎ রেখায় দুগ্গা তুমি আর লুকোচুরি,
হৃদি ভেসে যায়,অসহায় আঁধার খোঁজ তোমারি।

Friday, April 5, 2019

বিরহে যদি দাঁড়িয়ে ওঠো
- শক্তি চট্টোপাধ্যায়
=====================================
আসলে কেউ বড়ো হয় না, বড়োর মতো দেখায়।
নকলে আর আসলে তাকে বড়োর মতো দেখায়,
গাছের কাছে গিয়ে দাঁড়াও, দেখবে কতো ছোটো,
সোনার তাল তাংড়ে ধরে পেয়েছো ধূলিমুঠো।
ভালোবাসার দীঘিতে কতো করেছো অবগাহন,
পেয়েছো সুখ দুঃখ আর ছলে ভোলানো দাহ।
পুড়েছো বনে মালার মতো, যাওনি তবু ছেড়ে,
যতক্ষণ স্মৃতি-আড়াল নিয়েছে তাকে কেড়ে।
আসলে তুমি ক্ষুদ্র ছোট, ফুলের মতো বাগানে ফোটো--
বিরহে যদি দাঁড়িয়ে ওঠো, ভূতের মতো দেখায়!
গাছের কাছে গিয়ে দাঁড়াও, দেখবে কতো ছোট।
সেমিকোলোন
-অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত

অখিল ভারসাম্য হয়ে দাঁড়িয়ে থাকো,
নদীর ওপর সাঁকো
যে ভাবে বয় প্রতীয়মান ; এবং তুমি ভালোবাসার কথা
জ্ঞাপন করবে শঙ্খ চক্র গদা পদ্মে ; তথাপি যুগ্মতা
বক্ষে থাকুক ; এবং তুমি শ্রীমত্তকল্যাণে
যে গান গাইবে দুরূহ তার মর্মবাণী জানুক এ-সভ্যতা,
মরু যেমন নিজস্ব জল আনে ;

বলতে-বলতে সেমিকোলোনে এগিয়ে যাই একতরফা আদায় করার টানে,
দেখতে পাইনি ততোক্ষণে তোমায় ঘিরে দৈত্যদানবডাইনিপোকামাকড়…
ঝরছে,ভাঙছে, ঝরে পড়ছে চৈতি আলো ,অন্ধকার,
এক এক ঢেলা কান্না গুলো সব মিলে মিশে একাকার।
ঝড় তুমি আমাকে দাও  ভিজে যাওয়া লবণাক্ত একঝলক সমুদ্র, আমি ভেলায় বসে বাজাবো সেই ভুলো গিটার টা, সুর কি সাজবে?

ঝড় থামে, লবনাক্ত দ্বীপগুলোয় ছোট ছোট অঙ্কুর , বাঁচার লড়াই।বায়ু হয় স্তব্ধ, শুধু মাথার মধ্যে বিস্ফোরণ অবিরাম, সামনে , পিছনে  খাদ নিকষ গভীর। আর আকাশ এতো নীল হয়ে ওঠে, নীল।
ফুলঝুরি, তোমার নাম
---- শক্তি চট্টোপাধ্যায়

ছেলেবেলার ফুলঝুরি, তোমার নাম আমার এখনো মনে আছে ।
বলো তো আমার মন ভালো কিনা ?
মোরগঝুঁটি ডাকবাক্সে শাদা পাতা ফেলবামাত্তর কি তুখোড় সব চিঠি---
নিচে লেখা : প্রণাম জানবেন, ভালোবাসা নেবেন ।

আরে বাপু, আমি তো ওইটুকুর জন্যেই ব্যাকুল !
সেই যবে থেকে চটা-ওঠা মার্বেল-গুলি জমাই,
যবে থেকে চুড়ি-লপর যোগাযোগে বানাই শিকলি,
অষ্টপ্রহর বুকে ছিপি এঁটে গুমোরে মাটিতে পা পড়ে না ;
তবে থেকেই, ভালোবাসা, তোমার জন্যে ওৎ পেতে আছি ।

জন্মভূমি---কথাটার মধ্যে এক আশ্চর্য মাদুর বিছানো আছে,
তাতেও শুয়ে দেখতে পারো ।
জ্বালাযন্ত্রণার কথা মুখ ফুটে না বললেও টের পাই---
মানুষ যেমন ফুল, মানুষ তেমনি কাঁটা !
ঘরের ভেতরকার আসবাবে হোঁচট খেলেও তো তাকে রাখো !
সুতরাং ---
ভালো মনকে বুঝ্ দিতে সময় লাগার কথা নয়
ফুলঝুরি, তোমার নাম আমার এখনো মনে আছে ।

Thursday, April 4, 2019

বছর দুয়েক আগে লেখা, আবার ফিরে এলো ফেসবুকে,লুকিয়ে নিজেকে পড়া


আমার উঠোন ভরে আঁধার ঝরে পড়ে অন্তরে,
সুখতারা তুই আয়রে কাছে থাকিসনা ঔ সুদুরে ।
মনের মেলায় মায়ার খেলায় পরাণভরে গল্প করি,
হৄদকাননে মধুপবনে বেয়েই চলি অমৄত স্বপনতরী।
  

Tuesday, April 2, 2019

লিখে ছিলাম একসময়,আজ মনে হয় কেন,তবু
নিজে নিজেকেই পড়ি,যাবার আগে সব মুছে দিয়ে যাব একান্ত অপ্রকাশ্যে,, কাউকে কোনভাবে বিব্রত না করে। কবি বা লেখক হবার কোন বাসনা নেই আমার, হারিয়ে যেতে হবেই ভুলভুলাইয়ায়।

বসত
অনেক সাধে গড়েছি ঘর আপনার
এক দেওয়ালে ইচ্ছানদী,আরেকধারে
ছোট্ট আকাশ,স্বপ্ন পাহাড় অন্যপানে,
বাকিটাতো দরজা জানালা মিলেমিশে
সব একাকার ।

মনভেলাতে ভেসে বেড়াই,হেথায় হোথায়
যেথায় খুশি ।আপন সুরে আপন
ভোরে নিজেই কাঁদি, ইচ্ছে হলে খানিক
হাসি ।আঘাত,বেদনা,যাতনা সবইতো
অরুপ অলংকার ।

ঘরের মাঝে গহিনবন সে মায়াকানন,
আশাতরু যে গল্পগাথে অতসীতে আর
মাধবীলতায়।স্বপনমুলে ,সুখশাখে ওই
আলোছায়ায় আঁধারতলে বাজাই
বাঁশী চৌরাসিয়ার ।

সবুজ সুরে গাই যে গান নীরার
কথায়,নয়নতারায় ।দুগ্গা আরাধনা ,
উপাসনায় আহা পরম ভালোবাসায়।
শিউলিপ্রেম আবিরে ,দখিনা সমীরে
খোলা হৄদয়দুয়ার ।

বাউলানী ঐ মাধুকরীর মোমজোছনা
লুকিয়ে রাখি অন্তরগৄহকোণে।পথ চলি
দিক ভুলি তবু নীরে ফিরি ।মেঘবালিকা
চিত্ত ভেজায় চুপকথায়,শহরবাউল একাই
আকুল ছিন্নতার ।
যখন দরজা জানালা সব যায় বন্ধ হয়ে,অবনীর মাথাটা  ছিঁড়ে যায়, কামনায় আসে মহাসাগর, ইশ্বর তুমি কি সুরে কি গান যে গেয়ে ওঠো ? হাত পা ছুড়ি ,নিজে এতো কুৎসিত বিবস্ত্র  হলাম কিভাবে?

এতো পথ পার করে যখন তোমায় দেখলাম,তুমি তো চিনতে পারলেনা? কি কথা বলতে বলতে  চলে গেলে ।
আসমানী সিঁড়ি বেয়ে তিরতির করে বয়ে গেলে কোন্ পথে ?

বুকের ভেতর যত ব‍্যাথা একজোট হয়ে বিদ্রোহী হয়ে শিকল ভাঙতে থাকলো, আমি পাগল থেকে পাগলতর হতে থাকলাম, চোখদুটো ভারী হয়ে উঠলো, আমি জনাকীর্ণ রেল গাড়ীর কু ঝিক ঝিকের মধ্যে ঘুমিয়ে পড়লাম। বাঁশী ভাঙলো।

ঢেউ এর পর ঢেউ আছড়ে পরে চুর্ন বিচুর্ন করতে থাকলো, ভাঙতে থাকলো আমি কে, আমার স্বত্বাকে , আমার সবটুকু অসহায় স্বপ্নকে, ধুলায় মিশিয়ে দিতে হবে নিজেকে, আমি কি,কেন, কোথায়? হায় যে যেখানে দাঁড়িয়ে, থেকো ভালো এই আকাশ শামিয়ানায়।

Monday, April 1, 2019

ভেঙে যাই,চুরচুর হয়ে যাই ,তবু একান্ত গোপনে
নীরব সযতনে হে আগুন তোমায় বাঁচিয়ে রাখি
আলতো শাওনে।

শলাকা বিদ্ধ হয় চোখদুটি ভিজে যায় রক্ত স্নানে,
আমৃত্যু চিত্রকথার ক‍্যানভাসে  তবুও তোমায় দেখি
উদ্দাম নয়নে।

ঝড়ের পরে ঝড় নেমে আসে, বৈশাখে আর ফাগুনে
ভবিতব্য জানি, কিন্তূ অবুঝ সবুজে জ্বালাই একাকী
পিদিম উঠানে।

ভাষা মরে বোবা কান্নায়, লবনাক্ত  মৃত্যুর আহ্বানে
কালকুটে নীল কথামালা, গভীর অন্ধ অচিন পাখি
জাগি মরনে।

তুমি থেকো,হে আগুন, অনুভবে, দিশাহীন অনুরনণে
মধুকর বসত সে আগলহীন, আলগোছে হৃদি ঢাকি
অক্ষম জীবনে।

আমার সব টুকু রাগ ,অভিমান আমার নিজ স্পন্দনে
নিজেকেই ,পৃথিবী আপন কক্ষপথে,ঝরা পাতা রাখি
পাপবিদ্ধ নির্বাণে।

শুন‍্য।