আগুনগুলান ভিজছে,ঘুম ভাঙছে সবুজ,
মন তুই কাঁদিস কেনে ,কেন এতো অবুঝ।
পথ চলা পাগল পথভোলার । গহিন বনপথ ছাড়িয়ে জনবনে এই মানবসাগরে ।তার মনে পড়ে এতো এই বসন্তে দূগ্গার আবাহন ।যেদিকে তাকায় দূগ্গা নব নব রুপে ।জগতে সমাজে একলা লড়াই । আনত হয় পাগল । জীবন দিয়ে আলো দিয়ে করুণাধারায় নতুন করে গ্রামের নাটমন্দিরে ফেরে জীবনের জয়গান গেয়ে ।মরণ নেই জীবনই মরণ অমৃতমন্থনে নীলকন্ঠ হয়ে ওঠা ।আমরা তো অমৃতস্য পুত্র ।
ইচ্ছে চড়ুই
রোদ দুপুরে উঠান ভরে
ছোট্ট চড়ুই কান্না জোরে,
সব কেড়েছে ঐ ছাতারে।
আকাশ ছোঁয়া, উপায় নেই
দিচ্ছে উড়ান চিল শালিকেই,
ঘরের কোণেই লুকিয়ে রই ।
মাঝ পুকুর ভরা , ডুব সাঁতার
মাছরাঙা আছে ঐ চৌকিদার,
অভ্যাসে তাই বাধ্য অনাহার।
কাব্যে আমার ভারি মজা
পোষাক ছেঁড়া,রাজা সাজা,
মাদল ওরে জোরসে বাজা।
আঁধার নামে চুপে আলগোছে,
চড়ুই সবজান্তা সবই বোঝে,
সাপলুডো জীবন তাতেই মজে।
মরণরে
গোধুলির আগুন লালে লাল মোরামের
পাগল পথ মিলতে চায় আকাশের সীমায়,
উদাস বাউলের গানে আকাশ বাতাস সবখানে,
মরণরে তুহু মম শ্যাম সমান, উন্মনরক্ত্চুড়ায় ।
নীরা কিম্তু বলেছিল “আমার জন্য একটা
প্রেমের কবিতা লিখো” কিন্তু বৄষ্টি তুই
কেন আমার সাথে ভিজলিনা ? কেন
আমার অতলে গাভী হয়ে কাঁদলিনা ?
হয়তো বৃষ্টি নামবে অঝোরে পাগল করা
বেহুলা নদীর পারে একা একা ঝরা পাতা,
আগুনটা চিতার,জ্বলছে,পুড়ছে উড়ছে মন।
বৃষ্টি নামলেও চিতাটা মোম জোছনায় ভাসবে ।
নীরা তুমি বলেছ “একদিন আমি হবে আর
আমি তোমার বিবস্ত্র ক্যানভাস তুলিনয়ন”
গোটা চব্বিশটা ঘন্টা কৄষ্ন গহ্বরে দুঃসহ
নিদারুন একান্ত রক্তকরবী মেঘমল্লারে।
দিনের শেষে অচিন সবুজ পাখি বাড়ি
ফেরার চাওয়ায় হারায় গহিন গহনে
ঝরা পাতা ফুরফুর উড়ানে, চিতায় না
মোম জোছনায় এই পড়ন্ত বেলায় অন্ধমিল্টন ।
স্নান সেরে নিলাম রোদ গলে পড়া বিকেল আলোয়,
আঁধারে গা শুকালাম, মিলতে থাকলাম একলা চুপকথা সাথে, অনেকটা পথ এক আকাশে বসবাস।
তুমি ছিলে সেই নিভৃত সকালে, সেই যে জানালা খুলে তুমি আর আমি আলো খোঁজার খেলা খেলতাম একান্ত সবুজে।
আজ,অন্য রকম এক নিঘুম অস্হির রাত, চোখে মাকড়সার জালগুলো সব সাততারার গান বাঁধছে।
তুমি কি ঘুমিয়ে পড়েছো ? নয়া বসত,আজ কাল,অনন্তকালের গল্পগাঁথা।
জানো অনেকদিন অনেক দিন ব্যবধানে,যুগান্তরে সবকিছু যেন কেমন পাকাল মাছের মত পিছলে পিছলে মরা ঢোলকলমীগাছের গোড়ায় জড়ো হয়েছে, নাগালের বাইরে এক্কেবারে।
গরম লাগছে,চলো আরেকবার অন্য কোন আকাশে তুমি আর আমি, অপরিচিত বাতাসের গান শুনি,জানালা কিন্তু খোলাই রেখো।
যান্তিক ঘড়ঘড় পাখার আওয়াজ মাথার ভিতর ছুরির মতো বিঁধে বসছে, অসময়ের মালগাড়ি তীব্র শব্দে প্লাটফর্ম ছেড়ে বহুদুরে নিরুদ্দেশ অন্ধযাত্রাপথে।
কিন্তু আমি যে জানালার ছিঠকিনিটাই খুলতে পারছিনা, তুমি তো হুসস্,ঔ ওখানে।একটু পথে নেমো,দেখা হবেই ,পথেই।
নিকষ কালো আলো ঘিরে রাখে কালপুরুষিয়া দেহমন, অজস্র মানুষের ভিড়ে নীরব চিৎকারে শীৎকারে নেভাই আগুন,অপ্রকাশের নির্মোহে খুজি একটা দেওয়াল, দেওয়াল জুড়ে শুকোতে দিই মৃত স্বপ্ন,মুছে যাওয়া আবেগ,পাকধরা চুলের এলোমেলো কাঁপুনি,ভুলে যাওয়া পরিচয়। হয়তো কথাগুলো অতি সাধারণ , নিম্নমানের কবিতার মতো দেখায়।না , কবিতা নয়, নিতান্তই ঝরাপাতার বেসুরো বিরক্তি উৎপাদন।
তবু তুমি, তোমার কবিতা অমৃতময়, জীবনভর এই মাধুকরী,পদস্খলন, পুনঃ চলন।
আলো প্রখরতা কমায়, গোধূলি আলো গায়ে মুখে মাখি, কবিতা তুমি পাশে এসে বসো , সিঁদুর রঙা ভালোবাসো।
সবুজ ঘাসে আলপথেই বসে পড়ি,মনপুকুরের গহিন গভীরে লুকিয়ে রাখা হাসি,কান্না অভিমান দুয়ার খোলে।
কবিতা তুমি ফিসফিস করে শোনাও গাঙচিলের ঘরে ফেরার গান,অনুভব করি তোমার ঠোটে মধুপদাবলী।
কতো কত পল পার করে অবসন্ন রোদেলা ভাঙা মেলায় চোখ খোঁজে পারাণি বৈতরণীর ,ঘরফিরানি ধুলায়।
শাখকাঁসর বেজে ওঠে, এলিয়ে পড়ে হৃদিআঁধার, কালপুরুষ ইশারায় ডাকে, কবিতা আঁকড়ে ধরে একাহাত।
ঝোলা মাধুকরীর ভরে ওঠে তোমার অবোধ আবেগে, মুছে যায় দিন রাতের সীমারেখা, জীবন চলে অমৃত পথে।
শহরবাউল কবিতায় জাগে,ঘুমায়, অনিমেষে অনন্ত অশেষে।
সেই পাগলের পথ চলা,পথ ভোলা,ভুলে আবার ফিরে আসা,মনে হয় হাজার বছর আগে এই পথ দিয়েই হেঁটেছি কিন্তু সব কেমধ যেন অচেনা,চেনা রাস্তায় নতুন মোরাম,চেনা গাছের পাতা ঝরা,কেমন যেন অন্যরকম, জীবন নদীতে জোয়ার আর ভাটা উথালপাথাল মাঝদরিয়া,বৈশাখের আগমনী গান, শিমুল পলাশের মন্তাজ,দূর আর কতো দূরে, মাধুকরীর সময় হলো যে, মানুষ গুলো কেমন যেন অন্যরকম, চোখের জল, ঝাপসা চারিধার,পথ খুঁজে যাবেতো ফেরা?
পাতা মাদুর, একমুঠো আগুন,ধিকি ধিকি কাল,আজ ও,
সামগান ভেসে আসে,মুখ লুকিয়ে নিমফুলের এলোমেলো আঁচল ।
এই মাদুরেই আমানির স্বাদ ছিলো ভিজে নোনতা, তবু আগুন ছিলো।
এবরো খেবরো পথ,ভাঙা সাইকেল, তবু গতি ছিল,হলুদ পাখির মন ছিল সবুজ, আগুন ছিলো।
নতুন মোরাম বড়ো সোহাগী, হাজার বছর ,সেই দেশ, অচেনা,রোদ্দুরের চোখে জলনদী।
কোন দিক,কোথায় মুখ, পাল্টেছে আকাশ, মুখোস আর আলখাল্লা,
ছুঁতে পাব কি সেই দুই হাত ব্যরিকেডে, জীবনের অমৃতকথা।
মাধুকরী করে যে পাগল সেতো চাওয়া পাওয়ার হিসেব করেনা । ঝোলা তার ভরে দেয় কতভাবে কতজনে। পাগলভোলা চলে আপন খেয়ালে । ভবসাগরে কত মণিমাণিক্য শেয নেই পথচলার পথভোলার চরৈবতি
অরিন্দম তুমি
ওই আকাশপথের শেষে
বসত বসছে একের পর এক,
তুমি রা সব চলছো এতো তাড়াতাড়ি,
হাত দিও বাড়িয়ে।
কান্না গুলো সব মেঘপালক,
ঢেকে দিচ্ছে সবটুকু নীল জোছনা,
ভালো থেকো,অবশ অবসরে।
শুন্য দেউলিয়া বাঁশী,চলো যাই ,
যদি ফিরে পাই একটুকরো সোঁদা গন্ধে ধোয়া শাওন মন, একফালি ওই আকাশ উঠোন।
ভালো থেকো,
সুর্যের কাছে চাঁদ পাহাড়ের গল্প শুনো চুপিচুপি।
পুনশ্চ
বারবার থমকে যাই, ফিরে ফিরে আসি, সেই কাঠের বেঞ্চিতে বসে থাকি, চায়ের রঙ লাল,চলকে ওঠে।
স্মৃতি হাত কচলায়,মানুষ শিকার অতি সহজে,পাশ কাটিয়ে এই গলি,সেই গলি,একটা ছররা, অরিন্দম একদিন ঠিক দেখা হবে সুর্য আর কালপুরুষে।
হাতুড়িতে মরচে তবু গলতে থাকে অনুভূতি, অপেক্ষায় অবয়ব,
থেকো।
বেঁচে কি আছো অবনী
শববাহী শকটে শুয়ে শুয়ে আকাশ তোমায়
বড় আপনার মনে হয়, চোখ কান খোলা রেখে
দিনভোর নগরপরিক্রমন…
নিদ্রাহীন রাতে যেমন অনিমেষ শুভতারাদৄষ্টি
মৄতমানুষের মিছিল বয়ে চলে ,মরামন, নিভে
যাওয়া প্রান,উই না গঙ্গাফড়িং বা কালপুরুষ
কালোপুরুষে বন্ধ্যা চিন্তন।
আধাঁর নামে গাড়ী থামে, রাতবেলায়
জোনাকিদল আসি বলে কোথায় যে…
আশা নিরাশায় শকট তো চলৎশক্তিহীন ।
আর অচিনপাখী দ্বার খোলে ,অক্সিজেন
একান্ত উঠোন, বেসামাল সে কোন বনবাতাস,
নেমে আসে রাতজাগা প্রেমআকাশ জুড়ে
দুগ্গা আমার,তোমার আরাধন ।
রাতগভীর তালমদিরায় হৄদি আকুল,
বানভাসি স্বপ্ন নাও , চিরসবুজ অমৄতকলস
বাঁচে,সাজে ,সুরে সাধে বিসমিল্লায় আবছা মন,
মাধবী সুবাস পায়ে পায়ে উঠান জুড়ায় ইচ্ছেতারায়,
আঁধো চন্দ্রিল পাগলামী আর বাউলানী সঙ্গমে ।
মুর্শেদ ডাকে ,কান ভরে অমোঘ বধিরতায়,
ভোর কাঁদে,দ্বার খোলে শববাহী শকট মৄতজীবন ।
বেঁচে কি আছো অবনী ?
পারবে তো দরজাটা ভাঙতে ?
আজ বড়ো মরার সাধ , বারবার জাগছে, এক আকাশ কৃষ্ণ গহ্বর, গভীরের ডাক।যদি চাও,সত্যিকারের চাওয়া যদি থাকে, বাঁচিয়ে নিও অন্য কোন দিন, অনেক তো ধুলট খেললাম,একটু ঠিক,বেঠিক বেহিসাব।
আখরের গান,মৃত একাদশী,চোখ ভরা তেষ্টা বুকে রাখলাম, আমি আজ মরলাম।
কতটা ভুলেছ? পিচগলা রাস্তায় বেনোজল,ভাঙা স্মৃতি আমিতো পুড়তে পুড়তে ওলটপালট চৈতি ছাই। চোখ দুটো জেগে আছে ,ভেসে চলেছে , নৌকা কাগজের।রাখবে কি হাতে হাত মরা মানুষে?