Sunday, March 31, 2024

  ইচ্ছে চড়ুই 


রোদ  দুপুরে  উঠান ভরে

ছোট্ট  চড়ুই কান্না জোরে, 

সব কেড়েছে ঐ ছাতারে।


আকাশ ছোঁয়া, উপায় নেই

দিচ্ছে উড়ান চিল শালিকেই,

ঘরের কোণেই   লুকিয়ে  রই ।


মাঝ পুকুর ভরা , ডুব সাঁতার

মাছরাঙা আছে ঐ চৌকিদার, 

অভ‍্যাসে তাই  বাধ‍্য অনাহার।


কাব‍্যে আমার ভারি মজা

পোষাক ছেঁড়া,রাজা সাজা,

মাদল ওরে জোরসে বাজা।


আঁধার নামে চুপে আলগোছে,

চড়ুই  সবজান্তা  সবই বোঝে, 

সাপলুডো জীবন তাতেই মজে।


আজ

ইচ্ছে চড়ুই ক্লান্তি পোষে,

অসহায় বোধে আকাশ ভাসে, 

রোদ্দুর একা মুচকি হাসে।


রোজনামচায় জাগে সন্ধ্যা সকাল,

চলতি পথে মরছে আল,

উপায়হীনে এদিকওদিক বাড়ে জন্জাল।


দিনের শেষে সন্ধ্যা নামে,

ক্লান্ত চড়ুই একলা থামে,

পিদিম আলো তৃতীয় যামে।


ভাবতে বসে হিসেব নিকেষ,

চৈতি হাওয়ার আলতো রেশ,

মরা সবুজে বছর শেষ।


উথাল পাথাল হৃদয় ঝড়,

চুপের কথায় স্তব্ধ চর

কালের ডাকে নতুন বছর।

 ইচ্ছে চড়ুই


রোদ  দুপুরে  উঠান ভরে

ছোট্ট  চড়ুই কান্না জোরে, 

সব কেড়েছে ঐ ছাতারে।


আকাশ ছোঁয়া, উপায় নেই

দিচ্ছে উড়ান চিল শালিকেই,

ঘরের কোণেই   লুকিয়ে  রই ।


মাঝ পুকুর ভরা , ডুব সাঁতার

মাছরাঙা আছে ঐ চৌকিদার, 

অভ‍্যাসে তাই  বাধ‍্য অনাহার।


কাব‍্যে আমার ভারি মজা

পোষাক ছেঁড়া,রাজা সাজা,

মাদল ওরে জোরসে বাজা।


আঁধার নামে চুপে আলগোছে,

চড়ুই  সবজান্তা  সবই বোঝে, 

সাপলুডো জীবন তাতেই মজে।

 পথ চলা পাগল পথভোলার । গহিন বনপথ ছাড়িয়ে জনবনে এই মানবসাগরে ।তার মনে পড়ে এতো এই বসন্তে দূগ্গার আবাহন ।যেদিকে তাকায় দূগ্গা নব নব রুপে ।জগতে সমাজে একলা লড়াই । আনত হয় পাগল । জীবন দিয়ে আলো দিয়ে করুণাধারায়  নতুন করে গ্রামের নাটমন্দিরে ফেরে জীবনের জয়গান গেয়ে ।মরণ নেই জীবনই মরণ অমৃতমন্থনে নীলকন্ঠ হয়ে ওঠা ।আমরা তো অমৃতস্য পুত্র ।

 রাততারাদলে মেঘবালিকায় গল্পগাথা,

নয়নতারায় আগুন জ্বলে, পোড়ে ব্যাথা ।

 

Saturday, March 30, 2024

 ভরা রাতের আলোয়, ক্লান্ত দিনে

পাগল মাদল,মাতাল আদুল ভীড়ে।


নিঝুম নদীর  ছায়ায় , বৃন্দ গানে

জলের ছবি, ভুলভুলাইয়া বৃষ্টি ঝরে ।  


আকাশ  শব্দে হারায়, চন্দ্র বনে

বৃহন্নলা,মুহ‍্যমান রূগ্ন বোধের ভারে।


নীলকন্ঠ আবর্তনে চক্রাকারে।

Friday, March 29, 2024

 কোথায় তুমি?

একমনে গোছাচ্ছি।

কি স্বর্ণময়ী?

সংসার, ঘরবাড়ি,বাক্সপ্যাটরা।

কখন অবসর?


Thursday, March 28, 2024

 লজ্জারুণ অমল আলোয় সুহাসে সুবাতাস,

একটুকরো আরেকটু জীবন আরো কিছুক্ষণ।

প্রতিদিন নতুন সকাল আরবার অমৄতসন্ধান,

মনমাধুকরী আর কেবলই অন্তর অবলোকন

 

Wednesday, March 27, 2024

 ফিরে আসা,

বহু পথ অতিক্রম করে,

এক পা এগোনো ,

হলো না।


জঙ ধরেছে ,

মুখগুলো আবছা আলো,

চীৎকারে কন্ঠ,

অবসন্ন অনুভব।


দমকে কাশি,

বিস্ফোরনের চাহিদা,

জমাটবাঁধা স্মৃতি,

মুখ ফেরায় নিঃশ্বাস।


দীর্ঘতর ব্যবধান,

শিরশিরানি দ্রুতলয়ে,

হাতে তবু হাত,

প্রাণের হৃদস্পন্দন।


ভালোবাসা মায়াময়,

আগুনের ধিকিধিকি,

চেনা পথ,

বসে পড়া।

 আকন্ঠতৃষ্না।

 মরণরে

গোধুলির আগুন লালে লাল মোরামের 

পাগল পথ মিলতে চায় আকাশের সীমায়, 

উদাস বাউলের গানে আকাশ বাতাস সবখানে,

মরণরে তুহু মম শ্যাম সমান, উন্মনরক্ত্চুড়ায় ।


নীরা কিম্তু বলেছিল “আমার জন্য একটা

প্রেমের কবিতা লিখো” কিন্তু বৄষ্টি তুই

কেন আমার সাথে ভিজলিনা ? কেন

আমার অতলে গাভী হয়ে কাঁদলিনা ?


হয়তো বৃষ্টি নামবে অঝোরে পাগল করা

বেহুলা নদীর পারে একা একা ঝরা পাতা,

আগুনটা চিতার,জ্বলছে,পুড়ছে উড়ছে মন।

বৃষ্টি নামলেও চিতাটা মোম জোছনায় ভাসবে ।


নীরা তুমি বলেছ “একদিন আমি হবে আর

আমি তোমার বিবস্ত্র ক্যানভাস তুলিনয়ন”

গোটা চব্বিশটা ঘন্টা কৄষ্ন গহ্বরে দুঃসহ

নিদারুন একান্ত রক্তকরবী  মেঘমল্লারে। 


দিনের শেষে অচিন সবুজ পাখি বাড়ি

ফেরার চাওয়ায় হারায় গহিন গহনে 

ঝরা পাতা ফুরফুর উড়ানে, চিতায় না

মোম জোছনায় এই পড়ন্ত বেলায় অন্ধমিল্টন ।

 আবছা মায়ায় আদুরী ছায়ায় মন কেন জাগে,

চৈতি হাওয়ায়  অন্তর আত্মায় কি ঘোর লাগে।

           

Monday, March 25, 2024

 রেলের গাড়ি,বুকঝিম ছেড়ে যাওয়া,ডাকে চেনা জানালা ।

তালাজুড়ে মরচে,মরা ঘাসের কান্না, এলোকেশী ভুবনডাঙার মাঠ।

মৃত্যুর প্রকারভেদ, দুলকি চালে হাসি,বৃত্তসীমায় উপহাসে মনপাহারা।

ছেঁড়াতারে বাউলানী,ওদের কথা  থামেনা।পলাশঝরা পথের লালমাটি।

আজ আর ভুবনডাঙায় চাঁদ হাসে না।

হাতের হাতে শীতলতা, আঁকড়ে ধরে রাখা, আজকের অন্ধ যাপণ।



Saturday, March 23, 2024

 শহর বাউল রাতআধাঁরে একতারাতে কি সুর বাজে,

ঔ আকাশে,জাগে মাতাল মন কোন মৌতাজে?

সে কোন দেশের তরে সওদাগরের নৌকা সাজে?

 আবছা অবুঝে নয়নতারা ভিজে যায় ,যায় ভিজে ।

হৃদয় ভাসে, ভেসে যায় একতারা বাজে রে বাজে,

একলা বাউল জাগিস, কাঁদিস ,মরিস্,কিসের খোঁজে ।

Friday, March 22, 2024

 স্নান সেরে নিলাম রোদ গলে পড়া বিকেল আলোয়,


আঁধারে গা শুকালাম, মিলতে থাকলাম একলা চুপকথা সাথে, অনেকটা পথ এক আকাশে বসবাস।


তুমি ছিলে সেই নিভৃত সকালে, সেই যে জানালা  খুলে তুমি আর আমি আলো খোঁজার খেলা খেলতাম একান্ত সবুজে।


আজ,অন্য রকম এক নিঘুম অস্হির রাত, চোখে মাকড়সার জালগুলো সব সাততারার গান বাঁধছে।


তুমি কি ঘুমিয়ে পড়েছো ? নয়া বসত,আজ কাল,অনন্তকালের গল্পগাঁথা।


জানো অনেকদিন অনেক দিন ব্যবধানে,যুগান্তরে সবকিছু যেন কেমন পাকাল মাছের মত পিছলে পিছলে মরা ঢোলকলমীগাছের গোড়ায় জড়ো হয়েছে, নাগালের বাইরে এক্কেবারে।


গরম লাগছে,চলো আরেকবার অন্য কোন আকাশে তুমি আর আমি, অপরিচিত বাতাসের গান শুনি,জানালা কিন্তু খোলাই রেখো। 


যান্তিক ঘড়ঘড় পাখার আওয়াজ মাথার ভিতর ছুরির মতো বিঁধে বসছে, অসময়ের মালগাড়ি তীব্র শব্দে প্লাটফর্ম ছেড়ে বহুদুরে নিরুদ্দেশ অন্ধযাত্রাপথে।


কিন্তু আমি যে জানালার ছিঠকিনিটাই খুলতে পারছিনা, তুমি তো হুসস্,ঔ ওখানে।একটু পথে নেমো,দেখা হবেই ,পথেই।

Thursday, March 21, 2024

 জন অরণ্য, মানুষের মুখে কেবলই যোগ, বিয়োগ,গুণ,ভাগ, অথবা মহাশুন‍্য,

তবুও মুখোশের উপর মুখোশ,নাটকেই মগ্ন এই জীবন জরাজীর্ন।

Wednesday, March 20, 2024

 মাধুকরী করে যে পাগল সেতো চাওয়া পাওয়ার হিসেব করেনা । ঝোলা তার ভরে দেয় কতভাবে  কতজনে। পাগলভোলা চলে আপন খেয়ালে । ভবসাগরে কত মণিমাণিক্য শেয নেই পথচলার পথভোলার  চরৈবতি

 আলো প্রখরতা কমায়, 

গোধূলি আলো গায়ে মুখে মাখি, 

কবিতা তুমি পাশে এসে বসো , 

সিঁদুর রঙা ভালোবাসো।


সবুজ ঘাসে আলপথেই বসে পড়ি,

মনপুকুরের গহিন গভীরে লুকিয়ে রাখা হাসি,কান্না অভিমান দুয়ার খোলে।


কবিতা তুমি ফিসফিস করে শোনাও  গাঙচিলের ঘরে ফেরার গান,

অনুভব করি তোমার ঠোটে মধুপদাবলী।


কতো কত পল পার করে অবসন্ন রোদেলা ভাঙা মেলায় চোখ খোঁজে পারাণি বৈতরণীর ,

ঘরফিরানি ধুলায় হৃদয় ঢাকি।


শাখকাঁসর বেজে ওঠে, 

এলিয়ে পড়ে হৃদিআঁধার, 

কালপুরুষ ইশারায় ডাকে, 

কবিতা আঁকড়ে ধরে একাহাত।


ঝোলা মাধুকরীর ভরে ওঠে তোমার অবোধ আবেগে, 

মুছে যায় দিন রাতের সীমারেখা, 

জীবন চলে অমৃত পথে।


শহরবাউল কবিতায় জাগে,ঘুমায়, 

অনিমেষে অনন্ত অশেষে।

Monday, March 18, 2024

 ইচ্ছে করে,

তোমায় আমি, এক বুক ইষ্টিকুটুম ভালোবাসি,

ভরা আকাশ, তারই মাঝে একটু পাশাপাশি ।

কালের খাতা,হলুদ ঝড়ে বেহিসাবে মনমরা,

বেতাল সুর,দিন অন্তরে আগলছেঁড়া কড়ানাড়া।


ইচ্ছে করে,

ভিজে ফাগুন,জ্বালাই চৈতি আগুন একপেয়ালা,

উজান বুক,কলকলানি ঝড়ে পাগলি ভেলা।

কাছের দুর,মনঝিম লেখঅলেখে স্মৃতির গাঁথা,

উলঙ্গ আলো, আদুলছন্দে যতি মাত্রার কথকতা।


ইচ্ছে করে,

মাঝ দরিয়া,সব হারিয়ে হাতের ছোঁয়া,

স্বপ্ন ফানুস, ব্যর্থ পথে চিতার ধোঁয়া।

রক্ত জমাট , চটজলদি শামুকখেলায় জল তরঙ্গ,

একলা হুতাশ,দহন বেলায় পুড়ছে সর্বাঙ্গ।


ইচ্ছে মরে,

মাধুকরী করে যে পাগল সেতো চাওয়া পাওয়ার হিসেব করেনা । ঝোলা তার ভরে দেয় কতভাবে  কতজনে। পাগলভোলা চলে আপন খেয়ালে । ভবসাগরে কত মণিমাণিক্য শেয নেই পথচলার ,পথভোলার ।

একলা সাম্পাণ এগিয়ে চলে,মনে ভয়, ওদের চলার পথে বিঘ্ন হয়ে দাঁড়ানোর ভয়, বেহিসাবি কিছু চেয়ে ফেলার ভয়,উপহাসিত হবার ভয়।পাশ কাটিয়ে চলতে চলতে চোখ ভিজে যায় নোনা জলে।ওই পার নয় বেশি দুর।

এক জীবনে কত যে চাওয়া। অব্যক্ত আশা নিরাশা শব্দের আকারে সেজেগুজে পাশাপাশি এসে বসে। বড়োই আগোছালো।কিছু চুপকথা গহীন খোঁজে,দেয় অন্তডুব।ওইপারের মহীরুহে আশ্রয় নেয় হাজার হাজার না বলা পথভোলা ছায়াময় কবিতা।

অমৃতময় ইচ্ছে কবিতা,ওই পারে,সাম্পান তিরতির।

একটি ছাপোষা জীবন।

 চরৈবতি।







 মুখোসটা পরে চলা,পথ এলোমেলো ধুলোভরা,

প্রানহীন শহর, ঠিকানার খোঁজে ডাক হরকরা।


টুপটাপ ঝরে মৃত্যুর উচ্ছাস, আশ্লেষের দরবার,

বুক মাঝে পসরা, রঙবেরঙের চিঠির পাহাড়।


বেদনাসিক্ত ভালোবাসা, অনুক্ত ছন্দে কথাবলা,

ঠিকানা আকাশবনে হৃদয়পুর,মেঘদুতী মেঘমালা।

Sunday, March 17, 2024

 কোন মধুরে রাত আধার কেটে কেটে  যায় ,

ভুবন ভাসে ,ভরে প্রভাতী নব  অরুনিমায়।

ফুলে ফুলে হাসে আকাশ ,একলা অমলতাস

কোন অন্তরালে তুমি নাথ হে পাই যে সুবাস।



 সেই পথে পথচলা,

সাথী সেই ছেলেবেলা।

এতো আলো আর এতো সুখ,

ফিরে ফিরে দেখি ,ভরে বুক।

    

Friday, March 15, 2024

 মেঘবালিকা এই ভোরে মনআকাশ জুড়ে,

আপন সুরে পড়ছ ঝরে বৄষ্টি হয়ে।

পাখির গানে, ফুলেল হাওয়ায় সবুজপাতায়,

চুপিচুপি কি কথা গো আনলে বয়ে ।


 

Thursday, March 14, 2024

 তারা ঝরে ঝরে পড়ে

কুয়াশায় ঢাকে হৃদিপাশ।

জীবন ভেজে মনবারিধারে

পথ কোথায় নাথ,রূদ্ধ বাতাস।

    

 অরিন্দম তুমি

ওই আকাশপথের শেষে 

বসত বসছে একের পর এক,

তুমি রা সব চলছো  এতো তাড়াতাড়ি, 

হাত দিও বাড়িয়ে।


কান্না গুলো সব মেঘপালক,

ঢেকে দিচ্ছে সবটুকু নীল জোছনা, 

ভালো থেকো,অবশ অবসরে।


শুন‍্য দেউলিয়া বাঁশী,চলো যাই ,

যদি ফিরে পাই একটুকরো সোঁদা গন্ধে ধোয়া শাওন মন, একফালি ওই আকাশ উঠোন।


ভালো থেকো, 

সুর্যের কাছে চাঁদ পাহাড়ের গল্প শুনো চুপিচুপি।

Wednesday, March 13, 2024

 এক চিলতে স্বপ্নময় আকাশ,

সবুজের অমৃত স্পন্দন।

পিচঢালা পথে মৃত্যুর সুবাস,

সময়ের নিভৃত দংশন।

Tuesday, March 12, 2024

 বেঁচে কি আছো অবনী


শববাহী শকটে শুয়ে শুয়ে আকাশ তোমায়

বড় আপনার মনে হয়, চোখ কান খোলা রেখে

দিনভোর নগরপরিক্রমন…

নিদ্রাহীন রাতে যেমন অনিমেষ শুভতারাদৄষ্টি

মৄতমানুষের মিছিল বয়ে চলে ,মরামন, নিভে

যাওয়া প্রান,উই না গঙ্গাফড়িং বা কালপুরুষ

কালোপুরুষে বন্ধ্যা চিন্তন।


আধাঁর নামে গাড়ী থামে, রাতবেলায়

জোনাকিদল আসি বলে কোথায় যে…

আশা নিরাশায় শকট তো চলৎশক্তিহীন ।

আর অচিনপাখী দ্বার খোলে ,অক্সিজেন

একান্ত উঠোন, বেসামাল সে কোন বনবাতাস,

নেমে আসে রাতজাগা প্রেমআকাশ জুড়ে 

দুগ্গা আমার,তোমার আরাধন ।


রাতগভীর তালমদিরায় হৄদি আকুল,

বানভাসি স্বপ্ন নাও , চিরসবুজ অমৄতকলস

বাঁচে,সাজে ,সুরে সাধে বিসমিল্লায় আবছা মন,

মাধবী সুবাস পায়ে পায়ে উঠান জুড়ায় ইচ্ছেতারায়,

আঁধো চন্দ্রিল পাগলামী আর বাউলানী সঙ্গমে ।

মুর্শেদ ডাকে ,কান ভরে অমোঘ বধিরতায়,

ভোর কাঁদে,দ্বার খোলে শববাহী শকট মৄতজীবন ।

বেঁচে কি আছো অবনী ?

পারবে তো দরজাটা ভাঙতে ?

Tuesday, March 5, 2024

গাজনের মাস, অন্তহীনে ঝাপ,রক্ত ঝরছেই। বাজছে মরণবীণ। অনেক দিন নিয়ে গিয়েছি অনেককে,আজ মনে হয় যে কোনো দিন আমাকে নিয়েই ওরা পৌঁছে দেবে।

বাক্সখাটের মধ্যে রাখা আছে গিটারটা।সেই কলেজবেলার টিউশন করে জমানো পয়সা দিয়ে কিনেছিলাম, একটুআধটু  টুংটাং আওয়াজ বের করতাম,আজও শেখার সময় করে উঠতে পারিনি।যাওয়ার আগে ওটা কাউকে দিয়ে যেতে হবে।

ফ্যাতারুরা অভিযুক্ত অশ্লিলতার দায়ে,সমাজ রেয়াত করে না। অবশ্য ফ্যাতাড়ু হবার মতো যোগ্যতা আমার মতো বোকা....র নেই।হাত পা ছুড়তে পারি, উড়তে কিন্তু পারিনা। বৌ বাচ্চা প্রতিপালনের দায়িত্বপ্রাপ্ত  একটি ছাপোষা কেরানী যার জন্ম মৃত্যু দিনযাপন পূর্বনির্ধারিত।

অফিস বা বাড়ি কোন কাজেই মাথা কাজ করেনা।বিক্রম সিং খুব টানে, শুনতে থাকি।,না থাকলে তো এই পৃথিবীর কিছু যায় আসেনা। পাল্টায় কেবল মুখোসের মুখ। আকাশের রঙ ম্যাড়মেড়ে ঘোলাটে।

 নয়নতারা কেমন আছে কে জানে?ছাদকার্নিসের উচ্চতা বাড়তে থাকে।কে কতটা নিরাপদ?পারি না করতে নিজেকে নিরাবরণ ,দৌড়ে গিয়ে বলতে পারি না,পরে থাকতে হয় মুখবন্ধনী। আতঙ্কের চারপাশ।

 অনেকদিন হয়ে গেল,ক্যামেলিয়া ফুটতে চাইছে না।যে মধু বাতাস গুনগুন করে কথার ঝড় বইয়ে ভিজিয়ে রাখতে আমাকে,এখন আমাকে দেখলেই মুখ ফিরিয়ে নেয়। হাতে হাতের স্পর্শ রাখা, অনুভবে জাগা বড়ো কঠিন।

যেখানেই যাই একটা সঙ্কোচবোধ কাজ করে, অনাহুত উপস্থিতি। বুঝতে পারিনে। হৃদয় যা করতে চায়,সে তো আকাশ কুটিরের সামনের এক উঠোন হাসি।শ্মশানের অতৃপ্ত চন্ডাল।বীরত্ব পচে যাওয়া মৃতদেহে। শামুকখোলার অন্তরের জলটুকুও যায় শুকিয়ে।

রাতগুলো বিড়ম্বনা। মানুষ বড়ো একা।না বলা কথা সব একজোট হয়। মুক্তাঙ্গনে বসে উবু হয়ে।ওই পাঁচিলের ওপারে ফুল, পাখি, চাঁদেলা মধুরিমা। কবিতাকে আঁকড়ে ধরি।যে পথ চাইলে ও যেতে পারিনি, এগিয়ে আসে সেই পথ, চিৎকার করে ডাকে।

মরা মানুষের দুচোখ জুড়ে কবিতা।


Monday, March 4, 2024

কানামাছি

নির্বাসনে পাগল,এই সমাজ থেকে ঠেলতে ঠেলতে অনেক দুরে,

অলীক দ্বীপ।

পাখিরা এখানে ভুলেছে গান,

বসে থাকে ঝিম মেরে, কিচ্ছুটি নেই করার,

বাঁশী তবু বাজে।

রক্ত ঝরে অহরহ, হৃদয়ের গহীনে।লাল, ঠিক যেন ফুটে থাকা শিমুল। হেলেদুলে ঝরে পড়ে টুপটুপ, শিমুল বা ফোঁটা ফোঁটা রক্তবিন্দু।যখন টেনে ছিঁড়তে যাই মুখমুখোস , তখনও টপ্ টপ্ ,লাল,রক্ত।

লিখতে জানিনে। তবু এই মাধ্যমের দৌলতে গোপন দিনলিপি থেকে দু এক কথা লিখি।কবিতা কবিদের জন্য। মেঠো লোক মাঠের ভাষায় দুচার কথা জুড়ে বাক্যরচনার চেষ্টা করে মাত্র।এই লেখা যখন আপন খেয়ালে সত্যিগুলো মুখ ফসকে বলে ফেলে ,সমাজ বলে ছি!ছি!, ঝাঁকের কই। বেশীর ভাগ মানুষই উপহাসে মুখ ফিরিয়ে নেয়। তবু ও লেখা আর মোছা, নিতান্তই অস্থিরতার বেলাগাম প্রকাশ। যে ইচ্ছেগুলোকে অবদমিত করে রাখা তার কিছুটা দড়ি ছিঁড়ে বেরিয়ে আসা,অবোধ বাছুরের মায়ের কাছে ফিরে যাওয়ার নিঃস্ব কামনা।বয়স বাড়ে, অনুভবের মৃত্যুর দিন এগিয়ে আসে নীরবে,একান্তে। শিশু মরতে চায়না,বালক চায়না,যুবক ও চায় অমর্ত্য জীবন।

আবেগ চিতায় পোড়ে,সেই বিশেষ ধুপের গন্ধ ইশারায় ডাকতে থাকে,বলে এটা করিসনা,ওটা বলিসনা,লিখিস না ওই কথা। এই নিজেকে জাহির করার যুগে,যা কিছু সব নিজের জন্য কেড়ে নেওয়ার যুগে এক অপরিমেয় ক্লান্তি ঘিরে ধরে,চোখ আসে বুজে।

রক্তশিমুল ঝরতে থাকে।

আমি যে সম্মোহন জানিনা।


 সবুজ পাতা,তার   বয়স বাড়ে,

ধুসরতর আবেগ আস্টেপিস্টে আঁকড়ে ধরে ।

চৈতি বাতাসে শুরু দেওয়া নেওয়া খেলা,

রক্তাক্ত দুপুরে নেভাআলোর লুকোচুরি বেলা।

মন নামক অনুভবের কড়ানাড়া অহেতুক,

গলিজুড়ে চড়ুই উঁকিঝুঁকি নির্জলা ঝিনুক।