Tuesday, March 5, 2024

গাজনের মাস, অন্তহীনে ঝাপ,রক্ত ঝরছেই। বাজছে মরণবীণ। অনেক দিন নিয়ে গিয়েছি অনেককে,আজ মনে হয় যে কোনো দিন আমাকে নিয়েই ওরা পৌঁছে দেবে।

বাক্সখাটের মধ্যে রাখা আছে গিটারটা।সেই কলেজবেলার টিউশন করে জমানো পয়সা দিয়ে কিনেছিলাম, একটুআধটু  টুংটাং আওয়াজ বের করতাম,আজও শেখার সময় করে উঠতে পারিনি।যাওয়ার আগে ওটা কাউকে দিয়ে যেতে হবে।

ফ্যাতারুরা অভিযুক্ত অশ্লিলতার দায়ে,সমাজ রেয়াত করে না। অবশ্য ফ্যাতাড়ু হবার মতো যোগ্যতা আমার মতো বোকা....র নেই।হাত পা ছুড়তে পারি, উড়তে কিন্তু পারিনা। বৌ বাচ্চা প্রতিপালনের দায়িত্বপ্রাপ্ত  একটি ছাপোষা কেরানী যার জন্ম মৃত্যু দিনযাপন পূর্বনির্ধারিত।

অফিস বা বাড়ি কোন কাজেই মাথা কাজ করেনা।বিক্রম সিং খুব টানে, শুনতে থাকি।,না থাকলে তো এই পৃথিবীর কিছু যায় আসেনা। পাল্টায় কেবল মুখোসের মুখ। আকাশের রঙ ম্যাড়মেড়ে ঘোলাটে।

 নয়নতারা কেমন আছে কে জানে?ছাদকার্নিসের উচ্চতা বাড়তে থাকে।কে কতটা নিরাপদ?পারি না করতে নিজেকে নিরাবরণ ,দৌড়ে গিয়ে বলতে পারি না,পরে থাকতে হয় মুখবন্ধনী। আতঙ্কের চারপাশ।

 অনেকদিন হয়ে গেল,ক্যামেলিয়া ফুটতে চাইছে না।যে মধু বাতাস গুনগুন করে কথার ঝড় বইয়ে ভিজিয়ে রাখতে আমাকে,এখন আমাকে দেখলেই মুখ ফিরিয়ে নেয়। হাতে হাতের স্পর্শ রাখা, অনুভবে জাগা বড়ো কঠিন।

যেখানেই যাই একটা সঙ্কোচবোধ কাজ করে, অনাহুত উপস্থিতি। বুঝতে পারিনে। হৃদয় যা করতে চায়,সে তো আকাশ কুটিরের সামনের এক উঠোন হাসি।শ্মশানের অতৃপ্ত চন্ডাল।বীরত্ব পচে যাওয়া মৃতদেহে। শামুকখোলার অন্তরের জলটুকুও যায় শুকিয়ে।

রাতগুলো বিড়ম্বনা। মানুষ বড়ো একা।না বলা কথা সব একজোট হয়। মুক্তাঙ্গনে বসে উবু হয়ে।ওই পাঁচিলের ওপারে ফুল, পাখি, চাঁদেলা মধুরিমা। কবিতাকে আঁকড়ে ধরি।যে পথ চাইলে ও যেতে পারিনি, এগিয়ে আসে সেই পথ, চিৎকার করে ডাকে।

মরা মানুষের দুচোখ জুড়ে কবিতা।


No comments:

Post a Comment